আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। যদিও এরপরই তাঁর সম্পদের পরিমাণ কমে যায় উল্লেখযোগ্যভাবে। কোম্পানিটি মূলত চীনের ঐতিহ্যবাহী ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে বিভিন্ন পণ্য তৈরির ব্যবসা করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, সম্পদের এই ওঠানামার সময় আউ অফিসে ছিলেন না। হংকংয়ের কজওয়ে বেতে রিজেনসেলের সদর দপ্তরে কর্মীরা জানান, দুই সময়ই আউ অফিসে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন। এরপর সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান। প্রতিষ্ঠানটির নবম তলাজুড়ে অফিস রয়েছে। সেখানে বড় একটি টেবিল টেনিসের টেবিলও দেখা যায়।
রিজেনসেল মূলত ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা পণ্যের ব্যবসা করে। প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের বাবা সিক-কি আউ উদ্ভাবিত ফর্মুলা ‘ব্রেন থিওরি’র একচেটিয়া মালিকানা প্রতিষ্ঠানটির হাতে।
ছোট আকারের এই লোকসানি কোম্পানিটি হঠাৎ করে শেয়ারবাজারে আলোচনায় আসে। আউয়ের হাতে কোম্পানিটির ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। শেয়ারের দামের এই রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি তাঁকে কাগজে-কলমে হংকংয়ের অন্যতম শীর্ষ ধনী বানিয়ে দেয়। তবে শেয়ারদরের এই উল্লম্ফন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জনপ্রিয় ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম মর্নিং ব্রিউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মন্তব্য করেছে, ‘আমি তাহলে কোনো কিছু মিস করে গেলাম (যার কারণে এমনটা ঘটেছে)?’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনরা এবং এসইসি এই ঘটনায় দ্রুত নজর দিতে পারে। ছোট আকারের এবং কম মূল্যের কোম্পানির শেয়ার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এ ধরনের শেয়ার ‘পাম্প অ্যান্ড ডাম্প’ স্ক্যামের শিকার হতে পারে, যেখানে প্রতারকেরা দাম বাড়িয়ে দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে দেন।
হংকংভিত্তিক পোর্ট শেল্টার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যারিস বলেন, ‘এটি শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এক উদাহরণ। এ ধরনের ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তদন্তকারীদের নজর কাড়ে।’
এদিকে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ৪ জুন বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা পরিবর্তনের বিষয়ে জনমত নিতে আহ্বান জানিয়েছে। এতে বিশেষ কিছু সুবিধা সীমিত হতে পারে, যেমন ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদন বা শীর্ষ নির্বাহীদের শেয়ার লেনদেনের তথ্য প্রকাশ না করার সুযোগ।
রিজেনসেল ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১ মিলিয়ন ও ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে। কোম্পানির চিফ মেডিকেল অফিসার পদ দুই বছর ধরে ফাঁকা।
আউ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের হাস স্কুল অব বিজনেস থেকে পড়াশোনা করেছেন। ’৯০-এর দশকের শেষ দিকে ডয়েচে ব্যাংকে কাজ করেন তিনি। ছোটবেলায় তিনি পড়াশোনায় দুর্বল ছিলেন, কথা বলায় সমস্যা ছিল এবং সহজে রাগ করতেন বলে কোম্পানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, ‘প্রাকৃতিক ও সামগ্রিক (হোলিস্টিক) চীনা ওষুধ দিয়ে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা করে মানুষের জীবন উন্নত করা।’
রিজেনসেলের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অর্ধ মিলিয়নের বেশি অনুসারী রয়েছে। অন্যদিকে, হংকংয়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বিওয়ান মেডিসিনসের অনুসারী মাত্র আড়াই হাজার। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় টেলর সুইফটের কনসার্টের ফ্রি টিকিট অফারের মাধ্যমে রিজেনসেল এই অনুসারী সংখ্যা বাড়িয়েছে।
রিজেনসেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার ডিজিটাল মোবাইল ভেঞ্চার। এটি তাইওয়ানের স্যামুয়েল চেন ও তাঁর স্ত্রী ফিওনা চ্যাংয়ের মালিকানাধীন। চেন জুম ভিডিও কমিউনিকেশনে প্রাথমিক বিনিয়োগ করেছিলেন। মহামারির সময় কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ১ হাজার ৫০০ শতাংশ বাড়লে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন।
চেন ও তাঁর পরিবার তাইপেভিত্তিক পোলারিস গ্রুপের ৫৫ শতাংশ মালিক। প্রতিষ্ঠানটি ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ তৈরির কাজ করছে। এ ছাড়া তিনি তাইপেভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট প্রস্তুতকারক সোনিক্স টেকনোলজিরও সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম এসব বিষয় দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। কোম্পানিগুলোকে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য করা যায়, কেন শেয়ারের দাম বাড়ছে বা কমছে, কিংবা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের রস স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক এরিক গর্ডন বলেন, ‘আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন এসইসি ও ফিনরার স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম রয়েছে, যা এসব বিষয় ধরতে পারে। তারা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে পারে জানাতে যে তাদের শেয়ার কেন বাড়ছে বা কমছে, বা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।’ তবে লোকসান বা আয়ের ঘাটতি থাকা কোনো কোম্পানির জন্য আলাদা সন্দেহের কারণ নয় বলে জানান গর্ডন।
রিজেনসেল এখন পর্যন্ত শেয়ারের দাম কিংবা প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের সম্পদ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাজারে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই মনে করছেন, কর্তৃপক্ষের তদন্তেই এর প্রকৃত কারণ পরিষ্কার হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। যদিও এরপরই তাঁর সম্পদের পরিমাণ কমে যায় উল্লেখযোগ্যভাবে। কোম্পানিটি মূলত চীনের ঐতিহ্যবাহী ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে বিভিন্ন পণ্য তৈরির ব্যবসা করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, সম্পদের এই ওঠানামার সময় আউ অফিসে ছিলেন না। হংকংয়ের কজওয়ে বেতে রিজেনসেলের সদর দপ্তরে কর্মীরা জানান, দুই সময়ই আউ অফিসে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন। এরপর সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান। প্রতিষ্ঠানটির নবম তলাজুড়ে অফিস রয়েছে। সেখানে বড় একটি টেবিল টেনিসের টেবিলও দেখা যায়।
রিজেনসেল মূলত ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা পণ্যের ব্যবসা করে। প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের বাবা সিক-কি আউ উদ্ভাবিত ফর্মুলা ‘ব্রেন থিওরি’র একচেটিয়া মালিকানা প্রতিষ্ঠানটির হাতে।
ছোট আকারের এই লোকসানি কোম্পানিটি হঠাৎ করে শেয়ারবাজারে আলোচনায় আসে। আউয়ের হাতে কোম্পানিটির ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। শেয়ারের দামের এই রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি তাঁকে কাগজে-কলমে হংকংয়ের অন্যতম শীর্ষ ধনী বানিয়ে দেয়। তবে শেয়ারদরের এই উল্লম্ফন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জনপ্রিয় ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম মর্নিং ব্রিউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মন্তব্য করেছে, ‘আমি তাহলে কোনো কিছু মিস করে গেলাম (যার কারণে এমনটা ঘটেছে)?’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনরা এবং এসইসি এই ঘটনায় দ্রুত নজর দিতে পারে। ছোট আকারের এবং কম মূল্যের কোম্পানির শেয়ার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এ ধরনের শেয়ার ‘পাম্প অ্যান্ড ডাম্প’ স্ক্যামের শিকার হতে পারে, যেখানে প্রতারকেরা দাম বাড়িয়ে দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে দেন।
হংকংভিত্তিক পোর্ট শেল্টার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যারিস বলেন, ‘এটি শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এক উদাহরণ। এ ধরনের ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তদন্তকারীদের নজর কাড়ে।’
এদিকে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ৪ জুন বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা পরিবর্তনের বিষয়ে জনমত নিতে আহ্বান জানিয়েছে। এতে বিশেষ কিছু সুবিধা সীমিত হতে পারে, যেমন ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদন বা শীর্ষ নির্বাহীদের শেয়ার লেনদেনের তথ্য প্রকাশ না করার সুযোগ।
রিজেনসেল ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১ মিলিয়ন ও ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে। কোম্পানির চিফ মেডিকেল অফিসার পদ দুই বছর ধরে ফাঁকা।
আউ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের হাস স্কুল অব বিজনেস থেকে পড়াশোনা করেছেন। ’৯০-এর দশকের শেষ দিকে ডয়েচে ব্যাংকে কাজ করেন তিনি। ছোটবেলায় তিনি পড়াশোনায় দুর্বল ছিলেন, কথা বলায় সমস্যা ছিল এবং সহজে রাগ করতেন বলে কোম্পানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, ‘প্রাকৃতিক ও সামগ্রিক (হোলিস্টিক) চীনা ওষুধ দিয়ে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা করে মানুষের জীবন উন্নত করা।’
রিজেনসেলের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অর্ধ মিলিয়নের বেশি অনুসারী রয়েছে। অন্যদিকে, হংকংয়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বিওয়ান মেডিসিনসের অনুসারী মাত্র আড়াই হাজার। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় টেলর সুইফটের কনসার্টের ফ্রি টিকিট অফারের মাধ্যমে রিজেনসেল এই অনুসারী সংখ্যা বাড়িয়েছে।
রিজেনসেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার ডিজিটাল মোবাইল ভেঞ্চার। এটি তাইওয়ানের স্যামুয়েল চেন ও তাঁর স্ত্রী ফিওনা চ্যাংয়ের মালিকানাধীন। চেন জুম ভিডিও কমিউনিকেশনে প্রাথমিক বিনিয়োগ করেছিলেন। মহামারির সময় কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ১ হাজার ৫০০ শতাংশ বাড়লে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন।
চেন ও তাঁর পরিবার তাইপেভিত্তিক পোলারিস গ্রুপের ৫৫ শতাংশ মালিক। প্রতিষ্ঠানটি ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ তৈরির কাজ করছে। এ ছাড়া তিনি তাইপেভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট প্রস্তুতকারক সোনিক্স টেকনোলজিরও সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম এসব বিষয় দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। কোম্পানিগুলোকে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য করা যায়, কেন শেয়ারের দাম বাড়ছে বা কমছে, কিংবা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের রস স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক এরিক গর্ডন বলেন, ‘আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন এসইসি ও ফিনরার স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম রয়েছে, যা এসব বিষয় ধরতে পারে। তারা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে পারে জানাতে যে তাদের শেয়ার কেন বাড়ছে বা কমছে, বা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।’ তবে লোকসান বা আয়ের ঘাটতি থাকা কোনো কোম্পানির জন্য আলাদা সন্দেহের কারণ নয় বলে জানান গর্ডন।
রিজেনসেল এখন পর্যন্ত শেয়ারের দাম কিংবা প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের সম্পদ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাজারে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই মনে করছেন, কর্তৃপক্ষের তদন্তেই এর প্রকৃত কারণ পরিষ্কার হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১০ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী...
৩০ জুন ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১০ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী...
৩০ জুন ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৪ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী...
৩০ জুন ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১০ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী...
৩০ জুন ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১০ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৪ ঘণ্টা আগে