Ajker Patrika

আক্কেলপুরে নির্ধারিত স্ট্যান্ড ছাড়া যাত্রী তোলায় জরিমানা, প্রতিবাদে ২ রুটে বাস চলাচল বন্ধ

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ মে ২০২৪, ২১: ৩৬
আক্কেলপুরে নির্ধারিত স্ট্যান্ড ছাড়া যাত্রী তোলায় জরিমানা, প্রতিবাদে ২ রুটে বাস চলাচল বন্ধ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পৌর শহরের নির্ধারিত স্ট্যান্ড ছাড়া যাত্রী তোলায় এক চালককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসচালকেরা আক্কেলপুর পৌর শহরের কলেজ বাজারের এমআর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে সিদ্দির মোড় পর্যন্ত সড়কে আড়াআড়িভাবে বাস রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। 

এক ঘণ্টা পর চালকেরা সড়কের ওপর থেকে বাস নিয়ে টার্মিনালে চলে আসেন। এর পর থেকে শ্রমিকেরা ঘোষণা দিয়ে আক্কেলপুর-জয়পুরহাট ও আক্কেলপুর-বগুড়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম আক্কেলপুর পৌর শহরের ভেতরে কোথায় বাস-অটোরিকশা দাঁড়াবে তা সাইনবোর্ড লাগিয়ে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে দেড়টার দিকে জয়পুরহাটগামী জনক-জননী নামে একটি যাত্রীবাহী বাস কিশোরীর মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিচ্ছিল। ইউএনও মনজুরুল আলম সেখানে এসে বাসচালক আনিছুর রহমানকে ধরে তাঁর গাড়িতে তুলে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। 

ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাসচালককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাসচালকে আটকে রাখার খবরে আক্কেলপুর-বগুড়া ও আক্কেলপুর-জয়পুরহাট রুটের বাসচালকেরা ছুটে আসেন। তাঁরা কলেজ বাজারের এমআর সরকারি ডিগ্রি কলেজ গেট থেকে সিদ্দির মোড় পর্যন্ত সড়কের ওপর আড়াআড়িভাবে বাস রেখে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। 

খবর পেয়ে ইউএনও মনজুরুল আলম ঘটনাস্থলে আসেন। বাসশ্রমিকেরা ইউএনও সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর সেখান থেকে তিন বাসশ্রমিককে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। 

ইউএনও কার্যালয় থেকে বাসশ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়ার পরও চালকেরা সড়কের ওপর থেকে বাস না সরাতে অনড় ছিলেন। পরে শ্রমিকনেতার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চালকেরা সড়ক থেকে বাস সরিয়ে টার্মিনালে নিয়ে যান। এরপর বাসচালকেরা ঘোষণা দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদে আক্কেলপুর-জয়পুরহাট ও আক্কেলপুর-বগুড়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখেন। 

বিকেল সাড়ে ৫টায় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনাল থেকে কোনো রুটে বাস ছাড়েনি। টার্মিনালে শ্রমিকেরা এসে জড়ো হচ্ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে অটোরিকশাচালকেরাও যোগ দেন। 

বাসচালক আনিছুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বেলা দেড়টার দিকে যাত্রী নিয়ে জয়পুরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। কিশোরীর মোড়ে বাস থামিয়ে যাত্রী নিচ্ছিলাম। ইউএনও এসে আমাকে নামিয়ে তাঁর গাড়িতে তুলে উপজেলায় নিয়ে আমার এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বাসচালকেরা সড়ক অবরোধ করেন।’ 
 
বাসচালক রাজু আহাম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রেলগেটে এলাকায় বাস দাঁড়ানোর কারণে ইউএনও আমার দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।’
 
অটোরিকশাচালক সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ইউএনও সাহেব আমাদের গালিগালাজ করে চাবি কেড়ে নেন। ইউএনওর সঙ্গে থাকা আনসার সদস্যরা মারমুখী আচরণ করেন।’ 
 
জয়পুরহাট মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সহসাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আক্কেলপুর পৌর শহরের বাস চলাচলের সময় ইউএনও সাহেব প্রায় দিনই বাসচালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন। ইউএনও সাহেব আজকে একজন বাসচালককে তাঁর কার্যালয়ে ধরে নিয়ে জরিমানা করেছেন। ইউএনওর এমন আচরণের প্রতিবাদে আমরা বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। আগামীকাল বাস চলাচল করবে কি না তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’ 
 
জানতে চাইলে আক্কেলপুর থানার ওসি নয়ন হোসেন বলেন, আজ দুপুরে কলেজ বাজারে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে বাস রেখে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন বাসশ্রমিকেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। 
 
জানতে চাইলে ইউএনও মনজুরুল আলম বলেন, সড়কের ওপর যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে রেখে যানজট সৃষ্টি করছিল। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাসচালকের এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাসচালক জরিমানার টাকা দিতে পারেননি। এ কারণে তাঁকে উপজেলায় আনা হয়েছিল। জরিমানার টাকা দেওয়ায় বাসচালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে কনকনে শীতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীতে কনকনে শীতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টায় কয়েকজন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুয়াশার চাদরে মোড়া রাজশাহী কাঁপছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। দিনের তাপমাত্রা ক্রমেই নেমে যাওয়ায় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে কনকনে শীতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

বুধবার সকাল সাড়ে ৬টায় রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল শতভাগ। ফলে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

এদিকে তিন দিন ধরে পদ্মার তীরের এই জেলায় সূর্যের দেখা নেই বললে চলে। ভোর থেকে সকাল, এরপর দুপুর পেরিয়েও কুয়াশার আস্তরণ কাটছে না। হিমেল বাতাস শরীর ছুঁয়ে গেলেই কাঁপুনি ধরছে। প্রতিদিন যেন শীত নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।

সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজ কমে যাওয়ায় আয় নেই। আবার শীত নিবারণের পর্যাপ্ত গরম কাপড়ও নেই। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষকে কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে রাত কাটাতে হচ্ছে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে ভোরে কাজের আশায় রাজশাহী নগরের তালাইমারী এলাকায় আসেন দিনমজুর নাজমুল। কিন্তু শীতের কারণে কাজের দেখা মেলেনি। তিনি বলেন, ‘আজ খুব বেশি ঠান্ডা। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, তাই কাজও পাওয়া যায়নি। আগে যেখানে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কাজ মিলত, এখন এই শীতে সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই কাজ পাওয়া যায় না।’

রিকশাচালক জাকির আলী বলেন, ‘হুহু করে ঠান্ডা বাতাস বইছে। রিকশা চালাতে গেলে শরীর জমে আসে। যাত্রী কম, আয়ও কম। খুব কষ্টে দিন কাটছে। কয়দিন এই অবস্থা থাকবে কে জানে!’

এদিকে তীব্র শীতের প্রভাব পড়েছে নগরজীবনেও। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশা আর ঠান্ডার ভয়ে মানুষ দ্রুত ঘরে ফিরছে। আর সন্ধ্যা নামলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অধিকাংশ দোকানপাট। যেন পুরো শহর আগেভাগেই নিস্তব্ধ হয়ে পড়ছে।

গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট আরও বেশি। রাজশাহীর বানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা তুষার আলম জানান, শহরের তুলনায় গ্রামে শীত অনেক বেশি অনুভূত হচ্ছে। খোলা মাঠ, নদী আর কুয়াশার কারণে ঠান্ডা যেন হাড়ে হাড়ে ঢুকে পড়ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিক থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। বুধবার ভোরের পর থেকে কুয়াশার আধিক্য দেখা যায়। কুয়াশার কারণে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মতো অনুভূতি হচ্ছে। রাজশাহীসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত মেহেরপুরের জনজীবন, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
গাংনীতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গাংনীতে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুর জেলায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর সঙ্গে বইছে ঝিরি ঝিরি বাতাস। সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে সড়ক ও আশপাশের এলাকা। কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু অবস্থায় পড়েছে মানুষ।

কুয়াশা উপেক্ষা করেই মানুষ নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছে। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে কুয়াশা ভেদ করে চলাচল করছে। দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজে ছুটছেন। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ সকালে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চারদিক এত কুয়াশায় ঢাকা যে অনেক সময় রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তায় বের হতে ভয় লাগছে। এর সঙ্গে তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঝিনঝিন করছে।

মাঠে কাজ করতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, চরম শীত আর কুয়াশার মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।

আরেক শ্রমিক শিপন আলী বলেন, ‘আমরা দিনমজুর। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। আজ শীত খুব বেশি। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে, কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে।’

অটোচালক বকুল হোসেন জানান, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় মাঠ ও রাস্তা ঢেকে গেছে। পেটের তাগিদে বের হতে হলেও ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি।

ঝিরি ঝিরি বাতাস আর ঘন কুয়াশার মধ্যেই জমিতে কাজ করছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঝিরি ঝিরি বাতাস আর ঘন কুয়াশার মধ্যেই জমিতে কাজ করছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা

নছিমনচালক হিরোক ইসলাম বলেন, ‘ভোরে মাছ আনতে বের হতে হয়। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ভয় বেশি। ধীরে চালালেও ভয় কাটে না। শীত আর বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জানান, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। এমন আবহাওয়া আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হতে পারে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশা ও শীত থাকলেও এখন পর্যন্ত মাঠের ফসলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় পাশের জেলা চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিসের তথ্যই মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকা আজ বুধবার সকালে সূর্য উঁকি দিলেও সারা দেশে শীতের দাপট চলছেই। তাপমাত্রাও গতকালের তুলনায় বেশ কমেছে। এর মধ্যে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল গোপালগঞ্জ জেলায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলাসহ খুলনা, বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধানের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের অনেক জায়গায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সারা দেশে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৪, রংপুর ও ময়মনসিংহ, সিলেটে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ২, খুলনায় ৮ দশমিক ৫ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা আজ বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম হওয়ায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ইন্দিরা রোডের ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ বুধবার সকাল থেকে র‍্যাম্পটি বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বেলা আনুমানিক ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকতে পারে। জানাজা উপলক্ষে ওই এলাকায় যানবাহন ও মানুষের চাপ বাড়বে; তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন (অব.) হাসিব হাসান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই এই এলাকায় ভিড় বেড়েছে। র‍্যাম্পের নিচে যানবাহন চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় আমরা সকাল থেকেই ফার্মগেট নামার র‍্যাম্পটি বন্ধ করে দিয়েছি।’

হাসিব হাসান আরও বলেন, বিকল্প হিসেবে যাত্রীদের এফডিসি নামার র‍্যাম্প ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপরেও চালকদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফার্মগেট নামার র‍্যাম্প বন্ধ থাকার তথ্য জানিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত