Ajker Patrika

ইন্টার্নদের হাতে মার খাওয়া সুমন ৩ হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা নিলেন মুখ ঢেকে

রিমন রহমান, রাজশাহী
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ৪১
ইন্টার্নদের হাতে মার খাওয়া সুমন ৩ হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা নিলেন মুখ ঢেকে

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার সুমন পারভেজ রিপন (৩০) প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীর তিনটি হাসপাতাল-ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। তবে চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা করতে চাননি। পরে একটি সামাজিক সংগঠনের নেতার পরামর্শে মুখ ঢেকে একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সুমন পারভেজ রিপন। তবে যে হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলো চিকিৎসা করেনি এবং যেখানে মুখ ঢেকে চিকিৎসা করেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম জানাতে চাননি সুমন। তিনি বলেন, ‘এমনিতেই বিপদের মধ্যে আছি। আমি সবাইকে জড়িয়ে আরও বিপদ বাড়াতে চাই না।’ তিনি বিচার দাবি করে বলেছেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। সুষ্ঠু বিচার চাই। বিচার না পেলে হাসপাতালের সামনে গিয়ে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।’ 

সুমন পারভেজ নগরীর বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর মা পিয়ারা বেগম (৬০) সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) রোগে আক্রান্ত। এ জন্য ২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রামেক হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। বুধবার দুপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাঁদের কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে সুমনকে বেধড়ক পেটান।

এ ঘটনার পর নিরাপত্তার সংকটে পরদিন বৃহস্পতিবার চিকিৎসা শেষ না করেই পিয়ারা বেগমকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যান স্বজনেরা। এই ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আলমগীর হোসেন ও ফরহাদ হাসান নামে দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসককেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সুমন পারভেজ বলেন, ‘প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তারা আমাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। তারা ১০-১৫ জনের মতো ছিল। সবার হাত-পা চলেছে। আমার সারা শরীরে ব্যথা। বুকের ব্যথা অসহনীয়। এ জন্য চিকিৎসা দরকার। তার জন্য বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর এলাকার দুটি ক্লিনিক আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাই। কিন্তু ডাক্তাররা আমাকে চিনতে পেরেছেন। সে জন্য তারা আমার চিকিৎসা করতে চায়নি। হাসপাতালেও ভর্তি নেওয়া হয়নি। ডাক্তারদের গ্রুপে হয়তো আমাকে চিকিৎসা না করানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। 

‘পরে রাজশাহীর একটি সামাজিক সংগঠনের এক নেতার পরামর্শে মুখ ঢেকে অন্য একটি হাসপাতালে যাই। ওই নেতা নিজে সেখানকার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আমাকে ভর্তি নেওয়া হয়। আমার শরীরের অবস্থা দেখেই ডাক্তার বলেছেন, “এগুলো তো মারধরের দাগ।” তখন বলেছি, পারিবারিক বিরোধে আমাকে মারধর করা হয়েছে। এভাবে মিথ্যা কথা বলে চিকিৎসা নিই। পরে মনে হলো, ডাক্তাররা আমার পরিচয় জেনে গেছেন। তাই চলে এসেছি।’ 

সুমন বলেন, গতকাল রাতে ওই হাসপাতালে ভর্তির পর এক্স-রে করা হয়েছে। এতে বুকের ডান দিকের একটি হাড় ক্ষতিগ্রস্ত বলে দেখা গেছে। এক দিনেই হাসপাতালে চার হাজার টাকা বিল হয়েছে। কয়েকজনের কাছ থেকে ধার করে এই বিল পরিশোধ করেছেন। তারপর ব্যবস্থাপত্র লিখে নিয়ে আজ দুপুরে হাসপাতাল থেকে চলে এসেছেন। 

এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে সুমন বলেন, ‘অভিযোগ করার জন্য থানায় গিয়েছিলাম। ওই সময়ই মাকে হাসপাতাল থেকে আনার জন্য চলে যাই। অভিযোগ করা হয়নি। এখনো আমার মা অসুস্থ। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট আছে। আজও বাসায় নেবুলাইজার দেওয়া হয়েছে। আমি নিজেও অসুস্থ। তাই অভিযোগ করতে যাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই অভিযোগ করতে চাই। 

‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। বিচার না পেলে হাসপাতালের সামনে গিয়ে আমি আত্মহত্যা করব। কারণ, আমি কোনো অপরাধ করিনি। সৎ সাহস থাকলে কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করুক। তারা তো এটা করছে না। আমার দোষ থাকলে তারাই ফুটেজ বের করে দিত।’ 

তিনটি হাসপাতাল-ক্লিনিকে সুমনের চিকিৎসা না করার তীব্র সমালোচনা করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার থেকে চিকিৎসকেরা সুমনকে বঞ্চিত করেছেন। এই ঘটনারও যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। যারা চিকিৎসা দেয়নি, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা দরকার। নইলে ভবিষ্যতেও এমনটা ঘটবে। মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে।’ 

জানতে চাইলে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) রাজশাহী জেলার সভাপতি ডা. চিন্ময় কান্তি দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোন কোন হাসপাতাল-ক্লিনিক সুমনকে চিকিৎসা দেয়নি, তাদের নাম বলতে হবে। নাম না বলে এ ধরনের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। সুমনের সঙ্গে আসলেই কী ঘটেছে, তা আমি জানি না। তবে কেউ যদি তার চিকিৎসা না করেন, তাহলে এটা ঠিক হয়নি। কারণ, শত্রু হলেও তার চিকিৎসা করতে হবে। এটাই চিকিৎসাবিদ্যার এথিকস।’

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘বুধবার মারধরের ঘটনার পরই একজন আবাসিক সার্জনকে দিয়ে সুমনের চিকিৎসা করিয়েছি। ওটিতে নিয়ে তার ক্ষতস্থানের ড্রেসিং করে দেওয়া হয়েছিল। এক্স-রে করেও দেখা হয়েছিল। পরে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সুমনের শারীরিক অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানোর দরকার ছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’

নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’

বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত