Ajker Patrika

রামেক হাসপাতালের ২ ইন্টার্ন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত, ঘটনা তদন্তে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রামেক হাসপাতালের ২ ইন্টার্ন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত, ঘটনা তদন্তে কমিটি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ছেলেকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় দুই ইন্টার্ন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক বরখাস্ত থাকবেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক হলেন- ফরহাদ হাসান ও আলমগীর হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘গতকালই (বুধবার) তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আরও কিছু কাজ হবে। তারপর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কক্ষে সুমন পারভেজ রিপন (৩০) নামে এক যুবককে দফায় দফায় বেধড়ক পেটান একদল ইন্টার্ন চিকিৎসক। রিপনের মা পিয়ারা বেগম (৬০) গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। রিপোর্ট দেখানোকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার জের ধরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাকে পেটান।

এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এতে রিপনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আর মাইরেন না স্যার। ম্যালা মাইর‌্যাছেন ভাই। আমাকে একটু পানি খেতে দেন। আমি মরে যাব। আমাকে মারার কথা আম্মাকে বইলেন না। আম্মা অসুস্থ হয়ে পড়বে।’ 

এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা রিপনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। মাথা ন্যাড়া করে দিতে চান। এ ছাড়া ‘চিকিৎসকদের মারতে চাওয়ায়’ রিপনের হাত কেটে নিতে চান ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।

ভুক্তভোগী রিপনের বাড়ি রাজশাহী নগরীর বোসপাড়া মহল্লায়। হাসপাতালে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন নগরীর রাজপাড়া থানায়। তবে অভিযোগ না করেই তিনি চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক। ওসি বলেন, ‘ছেলেটা এসে বলল যে সে অভিযোগ করবে। আমরা বললাম, অভিযোগ নেব। সমস্যা নাই। 

পরে সে বলল, তার মাকে অন্য জায়গায় চিকিৎসা করাবে। হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না। এটা শুনে আমি হাসপাতালে ফোন করলাম। হাসপাতাল আমাকে জানিয়েছে যে, তার মাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরে আমি একটা মিটিংয়ে যাই। এসে ছেলেটাকে আর পাইনি।’

রামেক হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এভাবে মাঝে মাঝেই রোগীর স্বজনদের পেটান ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। বাবার লাশ আটকে রেখে ছেলেকে মারধর করে পুলিশে তুলে দেওয়ার মতো ঘটনার নজিরও আছে। 

২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হামলার শিকার হন রাবি শিক্ষার্থীরা। 

এতে রাবির অন্তত ছয় শিক্ষার্থী আহত হন। হাসপাতালে বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও চিকিৎসকদের ‘চাপ’ ও কর্মবিরতির মতো কর্মসূচির কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শক্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না।

তবে এবার আর কোনো ছাড় নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমি একবছর হলো এখানে এসেছি। আমার সময়ে এবারই প্রথম এমন ঘটনা। আগে তো কখনো ইন্টার্ন চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হয়নি। আমি দুজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে বরখাস্ত করেছি। কেউ দোষী হলে কোনো ছাড় পাবেন না।’

তবে রিপন ‘ফেরেশতা নয়’ মন্তব্য করে বুধবারের ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সমালোচনা করেছেন হাসপাতাল পরিচালক। তিনি বলেন, ‘কয়েকটা পত্রিকার রিপোর্ট পড়লাম। মনে হলো ছেলেটা ফেরেশতা। তার কোনো দোষ নেই। 

আসলে তারও তো দোষ আছে। আমি ওয়ার্ডে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি। তবে পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন; ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা মারধরের কাজটা ঠিক করেননি। তারা ভুল করেছেন। এটা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে সহমর্মিতা দেখানোর পর্যায়ে পড়ে না, যেটা দেখানো দরকার।’

এর আগে ওই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল পরিচালক বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাংবাদিকদের একটি বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘হাসপাতালে মাকে ভর্তির পর থেকেই রিপন বিভিন্ন সময় চিকিৎসক  ও নার্সদের বিরক্ত করছিলেন। গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। 

বুধবার দুপুরে ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার রোগীর চিকিৎসা নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন রিপন চিকিৎসকদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দেন এবং গালিগালাজ শুরু করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও তিনি আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং একজন ইন্টার্ন চিকিৎসককে আঘাত করেন। এতে ওয়ার্ডে সংঘর্ষের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’

যদিও রিপনকে মারধরের সময়ের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রিপন বলছেন- তিনি কাউকে মারেননি। তখন একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বলছেন, ‘তুই মারার চেয়ে বড় কিছু করেছিস।’ একজন ইন্টার্ন অভিযোগ তোলেন যে রিপন তাকে বলেছেন, ‘জুম্মায় জুম্মায় আট দিন বয়স হয়েছে। চোখ, কান, মুখ আমি ফাটিয়ে দেব।’ 

তখন রিপন এ কথার প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আমি এই কথা আপনাকে বলিনি স্যার।’ একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক তখন বলে ওঠেন, ‘এই, তুই হাত দিতে (মারতে) চাইছিলি না? হাত কাইটা রাইখা দিই?’ এ সময় রিপন বলেন, ‘আমি মারিনি কাউকে।’ রিপন তাকে ইন্টার্নদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অনুরোধ করলে তাকে বলা হয়, ‘এই তুই বের হবি কেন? তুই না ডাক্তার দেখবি? দ্যাখ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।

এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।

নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।

রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।

এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।

বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ ইসলামী আন্দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেছেন, দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে দেশকে তুলে আনতে হলে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘কোনো ধরনের তালিবালি নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন না।’

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন করায় সাবেক কয়েকজন সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) মবের শিকার হয়েছেন। আমরা চাই না ভবিষ্যতে কোনো সিইসি মবের আওতায় চলে আসুক।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে ফয়জুল করিম অভিযোগ করেন, ‘শক্তিশালী দল দাবি করা একটি দলের কর্মীরা বরিশালের নির্বাচনী মাঠে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেছে।’

জামায়াতসহ আট দলের সঙ্গে সমঝোতার নির্বাচনে ফয়জুল বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) ও বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বরিশাল-৫ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাপ-দাদার জন্মভূমি। এ আসনটি অন্য কোনো দল দাবি করা ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ। আমরা তো জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের আসনটি গিয়ে দাবি করব না। তাদেরও উচিত না আমাদের আসনটি দাবি করা।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল মহানগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন নাইস, নির্বাহী সদস্য মো. হালিম, শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মো. সানাউল্লাহ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আহত ৩২

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি 
ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ঈশ্বরদীতে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে দেশের সব কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একযোগে আট দফা দাবি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ দুপুরে ঈশ্বরদীর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শহরের আলহাজ্ব মোড়ে পূর্বঘোষিত অবরোধ ও বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের ফলে ঈশ্বরদী-পাবনা ও ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশ বাঁশ ও লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বলেন, ‘দাবি জানানোর জন্য আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় বসেছিলাম। কিন্তু পুলিশ এসে আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কাউকে আঘাত করিনি। তবে আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা কয়েক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাউকে আঘাত করা হয়নি।’

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান, কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়নি। তবে সড়ক অবরোধের কারণে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোরে ১৯ মামলার আসামি ‘ত্রাস সোহাগ’ গ্রেপ্তার

­যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৪
গ্রেপ্তার সোহাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার সোহাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের ঝিকরগাছার আলোচিত সন্ত্রাসী ১৯ মামলার আসামি সোহাগ খানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর শহরের কালেক্টরেট ভবনের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে (প্যারিস রোড) তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার সোহাগ খান ঝিকরগাছার পুরন্দরপুর মহল্লার আব্দুল আজিজ খানের ছেলে। এলাকায় তিনি ‘ত্রাস সোহাগ’ হিসেবে পরিচিত।

পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, গত ১০ অক্টোবর ঝিকরগাছার কাউরিয়া এলাকায় সোহাগের হাঁসের খামারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে আটক করে পুলিশ। সোহাগ তখন পালিয়ে যান। ওই খামার থেকে চায়নিজ কুড়াল, খেলনা পিস্তল, লোহার শাবল, ওয়াকিটকি, ওজন মাপার ডিজিটাল যন্ত্র, করাত, জ্যাকেটসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তখন থেকে পুলিশ সোহাগের খোঁজ করতে থাকে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাশার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ বিকেলে সোহাগ খানকে প্যারিস রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদকসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

জমিয়তে উলামাকে যে ৪টি আসন ছেড়ে দিল বিএনপি

দিল্লির পর কলকাতায় ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত