Ajker Patrika

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০১ মে ২০২৫, ০৯: ০০
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন স্থানান্তর পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বিদ্যালয়ের ভবন স্থানান্তর পরিদর্শন করেন কর্মকর্তারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় নিয়ম না মেনে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শন করেছেন কর্মকর্তারা। আজ মঙ্গলবার বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা উচ্চবিদ্যালয়ে তাঁরা পরিদর্শনে যান।

ধলেশ্বরী নদীর পূর্ব পার থেকে পশ্চিম পারে ভবন স্থানান্তরের ফলে চরাঞ্চলের এই বিদ্যালয়ের ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আজ সরেজমিনে দেখা গেছে, আগের তালাবদ্ধ টিনশেড ভবনের আঙিনায় পাঠ কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে ছনকা বাজারসংলগ্ন এলাকায় তিন দিন আগে গড়ে তোলা হয়েছে টিনের নতুন ভবন। উভয় স্থানেই দেখা যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অবস্থান।

এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে চলে বিভিন্ন অফিসে অভিযোগ দেওয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ সময় ইউএনও মো. ইকবাল হোসেন নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন স্থানে রাতের আঁধারে ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি অবগত নন। এলাকাবাসী যা করেছেন, তা আইন মেনে হয়নি। আগে যেখানে বিদ্যালয় ভবন ছিল, সেটি নদীভাঙনের কবলে পড়ায় ভবন স্থানান্তরের আদেশ পাওয়া গেছে। তবে তা বাস্তবায়ন আইন মেনে হওয়া উচিত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, প্রথমে বিদ্যালয়টি নিম্নমাধ্যমিক ছিল। তাঁদের প্রস্তাব ও চেষ্টায় এটি উচ্চবিদ্যালয় হিসেবে অনুমোদিত হয়। নদীভাঙনের সমস্যা দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ভবন স্থানান্তরের আদেশ আনা হয়েছে। কিন্তু চার-পাঁচ বছরের মধ্যে নদীতে কোনো ভাঙন দেখা দেয়নি। নদীতে কোনো বাড়ি বিলীন হয়নি। তাই চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিদ্যালয়টি আগের স্থানেই বহাল রাখার দাবি জানান তিনি।

এ সময় ইউএনও ইকবাল হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজেই জানেন না বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নিয়ম মেনে স্থানান্তর হয়নি বলে তাঁরাই স্বীকার করেছেন। আর আগের নির্মিত স্থানের পক্ষের দাবিও যৌক্তিক। তাই উভয় পক্ষের সাতজন করে প্রতিনিধিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অফিসে ডেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত