Ajker Patrika

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ২৩
পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা
প্রতীকী ছবি

সব ধরনের ওষুধের মধ্যে দেশে পরিপাকতন্ত্রের জটিলতাবিষয়ক ওষুধ বিক্রিতে রয়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে। সরকারি গবেষণায় উঠে এসেছে, এসব ওষুধ বিক্রির অঙ্ক বছরে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেজাল খাবার গ্রহণ ও সার্বিক খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনাচার ও অসংক্রামক রোগের বিস্তার বাড়ার কারণে পরিপাকতন্ত্রের রোগের ঘটনা বেড়েছে। নিজে নিজে ওষুধ সেবনের প্রবণতা বাড়াও এই রোগের ওষুধের বিক্রি বেড়ে চলার একটি কারণ।

সরকারের তথ্য বলছে, বছরে দেশের ওষুধের বাজারের আকার ৩৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর ৯৪ শতাংশই ব্যয় হয় ব্যক্তি উদ্যোগ বা পরিবারের মাধ্যমে। সরকারি ব্যয় মাত্র ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

একটি জরিপের অংশ হিসেবে সরকারের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট। ‘বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপেন্ডিচার ট্র্যাকিং বাই ডিজিজেস ২০২০’ নামের জরিপটি ২০২৩ সালের শেষে এসে প্রকাশ করা হয়। এটাই এ-বিষয়ক সর্বশেষ জরিপ। আর ওষুধের মোট ব্যয় নিয়ে এমন বড় জরিপ বাংলাদেশে প্রথম। এতে খুচরা পর্যায়ে ওষুধের দোকান, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ওষুধের ব্যয়ের বিবরণ উঠে এসেছে। গবেষণাটিতে রোগভেদে ওষুধের বিভাজনও দেখানো হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে পেশিতন্ত্র ও সংযোগকারী টিস্যুর রোগের ওষুধে। এসব রোগসংক্রান্ত ওষুধের বাজার ৬ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংবহনতন্ত্র অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড, রক্তনালির যাবতীয় রোগের ওষুধের বাজার। এর আকার ৬ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে থাকা পরিপাকতন্ত্রের রোগের ওষুধের পেছনে ব্যয় হয় ৫ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা, যা মোট ওষুধের বাজারের ১৪ শতাংশ।

২১ এপ্রিল বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির এক কর্মশালায় বলা হয়, দেশের ওষুধের বাজারের সবচেয়ে বড় অংশ খাদ্যনালি ও বিপাকীয় নিরাময়ের ওষুধ নিয়ে। এর আকার মোট বাজারের ৩৫ শতাংশ।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট স্বাস্থ্য ব্যয় ৭৭ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা। এর ৫০ শতাংশই চলে যাচ্ছে ওষুধের বাজারে।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষণায় পরিপাকতন্ত্রের যেসব রোগব্যাধি ও সমস্যার উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বমি সিনড্রোম, ডায়রিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়া, পিত্তথলিতে পাথর, গ্যাস, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, ভুল খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব এবং মানসিক চাপের মতো রোগ। নিজের উদ্যোগেই ওষুধ কেনা, তাৎক্ষণিক প্রতিকারের সন্ধান খোঁজা, নৈমিত্তিক অ্যাসিড ও পেট ফাঁপা এবং আলসার নিরাময়ের ওষুধের উচ্চ ব্যবহারের মতো কয়েকটি কারণে পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের বাজারের আকার এত বড় হয়েছে। দরকারে-অদরকারে ওষুধ কেনায় অপচয় ও সাধারণ স্বাস্থ্যগত বিপত্তি হওয়া ছাড়াও উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কারণে ওষুধের বিরুদ্ধে জীবাণুর প্রতিরোধ সৃষ্টি হচ্ছে। কমছে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকারিতা।

পরিপাকতন্ত্রের রোগগুলোকে ১০টি ভাগ করে ওষুধের ব্যয়ের বিভাজন করেছে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট। তাদের জরিপ বলছে, পরিপাকনালির রোগের কারণেই বিক্রি হচ্ছে সোয়া দুই হাজার কোটি টাকার ওষুধ। ব্যবহৃত ওষুধের ৪২ শতাংশই অ্যাসিড, গ্যাস ইত্যাদির কারণে। এসব ওষুধের ভোক্তার ৫৭ শতাংশ নারী এবং ৪৩ শতাংশ পুরুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস হপকিন্স মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, হজমজনিত রোগগুলোই পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। এর সঙ্গে খাদ্যনালি, লিভার, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদন্ত্র, পিত্তথলি এবং অগ্ন্যাশয়ের সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণ হজমজনিত ব্যাধির মধ্যে রয়েছে খাদ্যনালি ও পাকস্থলীর মধ্যবর্তী পেশির বিভিন্ন রোগ, ক্যানসার, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স (দুধজাতীয় খাদ্য হজমে অক্ষমতা) এবং হাইটাল হার্নিয়া। হজমজনিত অসুখের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণের মধ্যে রয়েছে রক্তপাত, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, বুক জ্বালা, ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমি।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ফোকাল পয়েন্ট ডা. সুব্রত পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় জাতীয় স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক ব্যয়ের তথ্য প্রকাশ করলেও ওষুধজনিত খরচ নিয়ে এমন কাজ প্রথম। ওষুধের ব্যয় কোথায় কত হচ্ছে, তা এই গবেষণায় উঠে এসেছে। এর মানে অবশ্য এই নয় যে সব ওষুধ ভোক্তা নিজেই কিনেছে। এর মধ্যে রপ্তানিও রয়েছে। ওষুধ কেনার কারণে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয়ের অঙ্ক প্রভাবিত হচ্ছে, এটিও গবেষণায় দেখানো হয়েছে। আমরা কিছু সুপারিশও দিয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ‘উইলি’তে প্রকাশিত প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশিদের বিপাকীয় সমস্যাবিষয়ক একটি গবেষণায় বলা হয়, বিপাকীয় উপসর্গগুলো হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিদের মধ্যেও ২০ শতাংশের শরীরে বিপাকীয় উপসর্গ ছিল। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে ৭০ শতাংশের এবং ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশের বিপাকীয় উপসর্গ ছিল। পুরুষের চেয়ে নারীদের মধ্যে বিপাকীয় জটিলতা বেশি দেখা গেছে।

জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিপাকতন্ত্রের যেসব রোগ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অ্যাসিডিটির ওষুধের সেবন বেশি। এটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ নিজ ইচ্ছায় খায়। এসব ওষুধ শুধু ওটিসি (যা ওভার দ্য কাউন্টার অর্থাৎ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কেনা যায়) বলেই যে মানুষ ইচ্ছেমতো কিনতে পারছে, বিষয়টা এমন নয়। বাংলাদেশে ওষুধের দোকানে ব্যবস্থাপত্র দেখার বিষয়টা তো তেমনভাবে মানাই হয় না। এসব ওষুধের এত বেশি সেবন অস্বাভাবিক।’

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের অতিমাত্রায় সেবনের কারণ হিসেবে এসব ওষুধের সহজলভ্যতা এবং লোকের অসচেতনতা ও অজ্ঞতার কথা বলেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ) প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক। আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘মানুষ এসব ওষুধ মুড়ির মতো খায়। খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচারের কারণে অ্যাসিডিটি, পেটে ব্যথা হলেই তারা এসব ওষুধ খায়। অথচ এসব সমস্যা খুব সহজে রোধ করা যায়। আমাদের খাদ্যাভ্যাস গ্যাসের সৃষ্টি করে। আমরা ডালজাতীয় খাবার বেশি খাই। নিশ্চল জীবনাচার এবং মানসিক চাপ গ্যাসের সৃষ্টি করে। রাতে পেটভরে খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেও পেটে ব্যথ্যা ও গ্যাস হয়।’

অতিমাত্রায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ নির্বিচার ওষুধ গ্রহণের ফলাফল জানে না। যেমন রেনিটিডিন নামের ওষুধ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। কেননা এতে ক্যানসার ঘটানোর মতো উপাদান পাওয়া গেছে। মানুষ নিত্যনতুন গ্যাসের ওষুধ খাচ্ছে। কোন ওষুধে কী আছে, তা এক দিনে জানা যায় না। ওটিসি হিসেবে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এ ধরনের যেসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।

উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’

দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫২
পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত