সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সক্রিয় নজরদারি কম থাকা উদ্বেগের বড় কারণ। বড় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের প্রস্তুতি কতটা, সেই প্রশ্নও অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা বলছেন, রাজধানীতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। শতাব্দীর বেশি সময় এই অঞ্চলে খুব বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হওয়ায় ভূগর্ভে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংযোগস্থলে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে এখানে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু আগে-পরে তা ঘটবেই। তবে তা কবে হবে, আগেই বলা সম্ভব নয়। এ কারণে ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে সতর্কতা এবং ভূমিকম্প ঘটলে করণীয় বিষয়ে সচেতনতার দিকে নজর দেওয়াই সবচেয়ে জরুরি কাজ। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গত ১০ বছরে রাজউক, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর নদী-তীরবর্তী বা নিচু জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা এলাকাগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজধানীর আরও অনেক এলাকার মতো নিচু জমি ভরাট করে নির্মিত ভবনগুলোরও বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে যথাযথভাবে নিয়ম না মেনে। খোদ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিজেদের সমীক্ষার বরাত দিয়ে বলেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে (চ্যুতি) ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে।
বুয়েটসহ বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, পুরান ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবনের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর। নিচু জমিতে বালু ফেলে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি
ভূমিকম্পের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন যন্ত্রপাতির কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ৭ বা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৪ থেকে ৬ লাখ ভবন ধসে পড়তে পারে। এই অবস্থায় শুধু যন্ত্রপাতির সংখ্যার বিষয়টি আর বিবেচ্য হবে না; তখন এটি আর সক্ষমতার মধ্যে থাকবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে আধুনিক প্রযুক্তিও কখনো কখনো অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে।’
আজাদ আনোয়ার আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, কিছু জায়গায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতেও পারবে না। আর ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু হবে না। এই ধরনের দুর্যোগে পুরো জাতিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগ প্রয়োজন হবে।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৫০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়েছে মাটির সঠিক গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়াই। নকশা অনুযায়ী রড বা কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি ৪০ শতাংশ ভবনে। আর ২৫ শতাংশ বাণিজ্যিক ভবনে অনুমোদিত নকশা পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই বাস্তবতায় প্রকৌশলী ও স্থপতিরা ঢাকায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূমিকম্প বিশারদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহর দিনের পর দিন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখন হঠাৎ রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। তবে জনগণকে সচেতন করা, এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করা, বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। তাহলে ক্ষতি কমানো সম্ভব।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভবনের কলামে ৩ মিলিমিটারের বেশি চওড়া ফাটল, বিমে তির্যক ফাটল এবং বেসমেন্ট, ছাদ বা লিফটের শ্যাফটে দীর্ঘ ফাটল থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুরান ঢাকার চকবাজারের এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর দরজা আটকে যায়। দেয়ালেও ফাটল। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে যাব কোথায়? নিরাপদ বাসা কোথায় পাব? নিশ্চয়তা কী?’
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না
আমাদের দেশে সাধারণত ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ায় তা আতঙ্কিত করেছে সবাইকে। তবে এ বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, ‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না; বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা ট্রমাটাইজড হয়ে পড়ে। এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। ভূমিকম্পের সময় সবাইকে ভবনের নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে হবে।’
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভবনের তালিকা প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি জরুরি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট গঠন, ফল্টলাইনভিত্তিক রিস্ক জোন চিহ্নিত করা, পুরান ঢাকা ও মিরপুরে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা সমীক্ষা, ভবন সংস্কারে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বা তহবিল ও জনগণকে ফাটল-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রতিটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সক্রিয় নজরদারি কম থাকা উদ্বেগের বড় কারণ। বড় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের প্রস্তুতি কতটা, সেই প্রশ্নও অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা বলছেন, রাজধানীতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। শতাব্দীর বেশি সময় এই অঞ্চলে খুব বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হওয়ায় ভূগর্ভে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংযোগস্থলে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে এখানে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু আগে-পরে তা ঘটবেই। তবে তা কবে হবে, আগেই বলা সম্ভব নয়। এ কারণে ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে সতর্কতা এবং ভূমিকম্প ঘটলে করণীয় বিষয়ে সচেতনতার দিকে নজর দেওয়াই সবচেয়ে জরুরি কাজ। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গত ১০ বছরে রাজউক, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর নদী-তীরবর্তী বা নিচু জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা এলাকাগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজধানীর আরও অনেক এলাকার মতো নিচু জমি ভরাট করে নির্মিত ভবনগুলোরও বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে যথাযথভাবে নিয়ম না মেনে। খোদ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিজেদের সমীক্ষার বরাত দিয়ে বলেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে (চ্যুতি) ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে।
বুয়েটসহ বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, পুরান ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবনের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর। নিচু জমিতে বালু ফেলে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি
ভূমিকম্পের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন যন্ত্রপাতির কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ৭ বা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৪ থেকে ৬ লাখ ভবন ধসে পড়তে পারে। এই অবস্থায় শুধু যন্ত্রপাতির সংখ্যার বিষয়টি আর বিবেচ্য হবে না; তখন এটি আর সক্ষমতার মধ্যে থাকবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে আধুনিক প্রযুক্তিও কখনো কখনো অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে।’
আজাদ আনোয়ার আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, কিছু জায়গায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতেও পারবে না। আর ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু হবে না। এই ধরনের দুর্যোগে পুরো জাতিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগ প্রয়োজন হবে।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৫০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়েছে মাটির সঠিক গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়াই। নকশা অনুযায়ী রড বা কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি ৪০ শতাংশ ভবনে। আর ২৫ শতাংশ বাণিজ্যিক ভবনে অনুমোদিত নকশা পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই বাস্তবতায় প্রকৌশলী ও স্থপতিরা ঢাকায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূমিকম্প বিশারদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহর দিনের পর দিন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখন হঠাৎ রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। তবে জনগণকে সচেতন করা, এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করা, বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। তাহলে ক্ষতি কমানো সম্ভব।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভবনের কলামে ৩ মিলিমিটারের বেশি চওড়া ফাটল, বিমে তির্যক ফাটল এবং বেসমেন্ট, ছাদ বা লিফটের শ্যাফটে দীর্ঘ ফাটল থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুরান ঢাকার চকবাজারের এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর দরজা আটকে যায়। দেয়ালেও ফাটল। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে যাব কোথায়? নিরাপদ বাসা কোথায় পাব? নিশ্চয়তা কী?’
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না
আমাদের দেশে সাধারণত ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ায় তা আতঙ্কিত করেছে সবাইকে। তবে এ বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, ‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না; বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা ট্রমাটাইজড হয়ে পড়ে। এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। ভূমিকম্পের সময় সবাইকে ভবনের নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে হবে।’
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভবনের তালিকা প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি জরুরি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট গঠন, ফল্টলাইনভিত্তিক রিস্ক জোন চিহ্নিত করা, পুরান ঢাকা ও মিরপুরে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা সমীক্ষা, ভবন সংস্কারে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বা তহবিল ও জনগণকে ফাটল-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রতিটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৬ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৫ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
৬ দিন আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৫ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
৬ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৬ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
৬ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৬ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৫ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
৬ দিন আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৬ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৫ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে