Ajker Patrika

সরকারকে নিজেদের ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণা করতে হবে: নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ০৫
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি আয়োজিত ‘বিপ্লব, বিপ্লবী সরকার ও আজকের বাংলাদেশ’-শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি আয়োজিত ‘বিপ্লব, বিপ্লবী সরকার ও আজকের বাংলাদেশ’-শীর্ষক আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিজেদের ‘বিপ্লবী সরকার’ বলে ঘোষণা করতে হবে বলে জানিয়েছেন নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমির সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার। সেই সঙ্গে আওয়ামী সরকারের সহায়ক আইনজীবীদের সনদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নবাব সলিমুল্লাহ একাডেমি আয়োজিত ‘বিপ্লব, বিপ্লবী সরকার ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তিনি।

মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, ‘এই সরকারকে নিজেদের বিপ্লবী সরকার বলে ঘোষণা দিতে হবে। এত রক্ত ঝরার পরে, এত ছাত্র-জনতা পঙ্গু হওয়ার পরে, আবারও আমরা সেই চর্বিত চর্বনে শপথ নিলাম। দ্বিতীয়ত, সংবিধান বাতিল করতে হবে। বিপ্লবী সরকার হয়ে গেলে এমনিতেও আর সংবিধান থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশটা এখন যেভাবে চলছে, দীর্ঘদিন ধরে অসংগতির মধ্যে ছিলাম, এখনো তেমন চলছে। আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এখনো এই সরকার পূরণ করতে পারছে না। রাজনৈতিক মামলাগুলো এখনো তুলে নেওয়া হয়নি, যেসব আইনজীবী সরকারের দালাল ছিল, তারা এখনো আদালতে আসা-যাওয়া করে। তাদের অপরাধের বিচার করে, তাদের সনদ বাতিল করতে হবে, যাতে তারা আর আইন অঙ্গনে ঢুকতে না পারে।’

আব্দুল জব্বার প্রস্তাব করে বলেন, ‘নবাব সলিমুল্লাহ আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমরা তাঁর নামে অন্তত একটি রাস্তার নামকরণ করার কথা বলেছিলাম। আমি প্রস্তাব করছি, পল্টন থেকে তাঁতিবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি নবাব সলিমুল্লাহ’র নামে ঘোষণা করা হোক।’

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্যান ইসলামিক মুভমেন্টের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা জামাল ভূঁইয়া। বিগত স্বৈরশাসককে আরও দুর্বল করতে তিনি সরকারকে নিজেদের বিপ্লবী সরকার ঘোষণা দেওয়া, সংবিধান বাতিল করা; পূর্বের নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ; স্বৈরশাসনের জন্য দায়ী সব ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারকাজ সম্পন্ন করা; ভারতের সঙ্গে সব বৈষম্যমূলক চুক্তি বাতিল করা এবং মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার আহ্বান জানান।

গণভোটের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে “কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী আইন বাতিল বলে গণ্য হইবে” মর্মে একটি গণভোট ব্যতীত জাতীয় নির্বাচন নয়। কারণ, প্রত্যেকটি বিপ্লবের পর বিপ্লবের স্পিরিট কী হবে, এটি নির্ধারণ করা আবশ্যক। যে স্পিরিটের আলোকে পরবর্তী সংবিধান রচনা বা দেশ পরিচালনা করা হবে। এ অবস্থায় বিপ্লবী সরকারের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোরআন ও সুন্নাহকে মূলনীতি হিসেবে নির্ধারণের জন্য একটি গণভোটের আয়োজন করা আবশ্যক।’

সভায় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে একটা সোনার থালা। সেই মধ্যযুগেও ইউরোপ থেকে এখানে আসার জন্য তারা উদ্‌গ্রীব থাকত। আজকে সেই দেশকে ভিখারির দেশ বানিয়েছি আমরা। এই দেশে যাতে আর কোনো দৈত্য, স্বৈরাচার ক্ষমতায় না বসতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘ভারত এবং হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন, বিপ্লব, সংগ্রাম ৩৫ দিনের নয়, গত ১৬ বছর ধরেই চলছে। সরকারের কয়েকজন ছাড়া এই সরকারের আর কেউ রাস্তায় ছিল না। তাই এই সরকার বিপ্লবী সরকার নয়। ৫ তারিখে যে বিজয় এসেছে, তাতে যদি আমরা খুশি হয়ে যাই, তাহলে বড় ভুল করছি। ভারতের “র”-এর পরিকল্পনায় এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আর কখনো বিপন্ন হতে দেব না।’

দার্শনিক আবু মহী মূসা বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা মেধাবী, বিএসসি ক্যাডাররা মেধাবী, পুলিশরা মেধাবী, কিন্তু এই মেধাবীরা এত বছর ধরে কী করছে? এরাই দেশটাকে ধ্বংস করেছে। মেধাবী আর জ্ঞানী এক বিষয় না।’

গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে। এ দাবি এখন সময়ের দাবি।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কথা ছিল দেশে বিপ্লবী সরকার গঠন করার, কিন্তু তা হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফর্মুলা ভারতের দেওয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও এর বিরোধিতা করেননি। এর পেছনে রহস্য রয়েছে। তাই বর্তমান রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করে বিপ্লবী সরকার গঠন করতে হবে।’

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শেখ মুজিব না হলে এই দেশে একনায়ক শাসন কায়েম হতো না। তিনি দেশে একনায়ক শাসন কায়েম করতে চেয়েছিলেন। শেখ মুজিব নায়কতন্ত্র কায়েম না করলে, তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা এক নায়িকা হতেন না।’

এ ছাড়া সভায় ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত উর্দুভাষী সংখ্যালঘু কাউন্সিল বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আফজাল ওয়ার্সি, ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশের মহাসচিব ইকবাল হাসান স্বপন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধি
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’

নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’

বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬৭ বছর পর রামেক হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।

হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।

এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।

কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজমিস্ত্রির বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযানে পাওয়া অস্ত্রসামগ্রী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত