নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু।
ওসি ক্যশৈনু জানান, গতকাল সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে হাক্কানী পাবলিশার্সের প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। আজ জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া সমন্বয়কেরা হলেন মোহাম্মদপুর থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী। বাকি দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আফারহান সরকার দিনার ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ট্রাফিক সহায়ক মোহাম্মদ জিসান উল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা ও পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধানমন্ডি থানার ওসির উদ্দেশে এক তরুণ বলেন, ‘আপনি কেন এইখানে কথা বলতেছেন এইভাবে। আপনি ওসি, আপনি গ্রেপ্তার করলেন না কেন। আমি বলছি, আমি বলছি...আপনি গ্রেপ্তার করেন।’ এরপরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনজনকে হেফাজতে নেয় ধানমন্ডি থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১১টার পর সিভিল পোশাক পরিহিত একদল লোক ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে ‘আওয়ামী দোসরদের ঠাঁই নাই’ বলে নানা স্লোগান দেন। এরপর বাসার দারোয়ানকে ধাক্কা দিয়ে চতুর্থ তলার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা।
পরে ৯৯৯-এ কল করে পরিস্থিতি জানিয়ে অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে আসে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী নেতারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে বলেন। কিন্তু পুলিশের কাছে গোলাম মোস্তফা নিজেকে অসুস্থ দাবি করেন এবং রাতে দরজা খুলতে রাজি হননি। এ ছাড়া মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার না করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান সেখানে থাকা উপস্থিত নেতারা। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই তিন নেতাকে হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে হান্নান মাসউদকে জিজ্ঞেস করা হলে ধানমন্ডি থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমনি খোঁজখবর নিতে এসেছি। একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মীমাংসা করা হলো। এ ঘটনায় বাইরের অনেকে জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গতকাল মধ্যরাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ১৫-২০ জন লোক অবস্থান করেন এবং বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা উত্তেজিত ও মারমুখী আচরণ করেন। তাঁরা মো. গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে এ ধরনের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে তাঁদের আজ বিকেলে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে অহেতুক হয়রানি করলে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্ট
তিনজনকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ। তাতে তিনি বলেছেন, ‘মোহাম্মদপুর থানা বৈবিছাআর আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হয় মব সৃষ্টির চেষ্টাকালে, যার ফলে বৈবিছাআর পরিচয়ে স্টুডেন্টরা ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছিল। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি, যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রুজু করেনি এবং করতেও চাচ্ছিল না।’
হান্নান মাসউদ আরও লিখেছেন, ‘আর তা ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিল, যেটা পরবর্তী সময়ে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশা আল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত এরেস্ট হবে। ডিএমপিকে ওদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু।
ওসি ক্যশৈনু জানান, গতকাল সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে হাক্কানী পাবলিশার্সের প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। আজ জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া সমন্বয়কেরা হলেন মোহাম্মদপুর থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী। বাকি দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আফারহান সরকার দিনার ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ট্রাফিক সহায়ক মোহাম্মদ জিসান উল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা ও পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধানমন্ডি থানার ওসির উদ্দেশে এক তরুণ বলেন, ‘আপনি কেন এইখানে কথা বলতেছেন এইভাবে। আপনি ওসি, আপনি গ্রেপ্তার করলেন না কেন। আমি বলছি, আমি বলছি...আপনি গ্রেপ্তার করেন।’ এরপরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনজনকে হেফাজতে নেয় ধানমন্ডি থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১১টার পর সিভিল পোশাক পরিহিত একদল লোক ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে ‘আওয়ামী দোসরদের ঠাঁই নাই’ বলে নানা স্লোগান দেন। এরপর বাসার দারোয়ানকে ধাক্কা দিয়ে চতুর্থ তলার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা।
পরে ৯৯৯-এ কল করে পরিস্থিতি জানিয়ে অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে আসে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী নেতারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে বলেন। কিন্তু পুলিশের কাছে গোলাম মোস্তফা নিজেকে অসুস্থ দাবি করেন এবং রাতে দরজা খুলতে রাজি হননি। এ ছাড়া মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার না করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান সেখানে থাকা উপস্থিত নেতারা। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই তিন নেতাকে হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে হান্নান মাসউদকে জিজ্ঞেস করা হলে ধানমন্ডি থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমনি খোঁজখবর নিতে এসেছি। একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মীমাংসা করা হলো। এ ঘটনায় বাইরের অনেকে জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গতকাল মধ্যরাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ১৫-২০ জন লোক অবস্থান করেন এবং বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা উত্তেজিত ও মারমুখী আচরণ করেন। তাঁরা মো. গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে এ ধরনের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে তাঁদের আজ বিকেলে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে অহেতুক হয়রানি করলে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্ট
তিনজনকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ। তাতে তিনি বলেছেন, ‘মোহাম্মদপুর থানা বৈবিছাআর আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হয় মব সৃষ্টির চেষ্টাকালে, যার ফলে বৈবিছাআর পরিচয়ে স্টুডেন্টরা ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছিল। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি, যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রুজু করেনি এবং করতেও চাচ্ছিল না।’
হান্নান মাসউদ আরও লিখেছেন, ‘আর তা ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিল, যেটা পরবর্তী সময়ে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশা আল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত এরেস্ট হবে। ডিএমপিকে ওদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু।
ওসি ক্যশৈনু জানান, গতকাল সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে হাক্কানী পাবলিশার্সের প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। আজ জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া সমন্বয়কেরা হলেন মোহাম্মদপুর থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী। বাকি দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আফারহান সরকার দিনার ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ট্রাফিক সহায়ক মোহাম্মদ জিসান উল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা ও পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধানমন্ডি থানার ওসির উদ্দেশে এক তরুণ বলেন, ‘আপনি কেন এইখানে কথা বলতেছেন এইভাবে। আপনি ওসি, আপনি গ্রেপ্তার করলেন না কেন। আমি বলছি, আমি বলছি...আপনি গ্রেপ্তার করেন।’ এরপরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনজনকে হেফাজতে নেয় ধানমন্ডি থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১১টার পর সিভিল পোশাক পরিহিত একদল লোক ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে ‘আওয়ামী দোসরদের ঠাঁই নাই’ বলে নানা স্লোগান দেন। এরপর বাসার দারোয়ানকে ধাক্কা দিয়ে চতুর্থ তলার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা।
পরে ৯৯৯-এ কল করে পরিস্থিতি জানিয়ে অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে আসে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী নেতারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে বলেন। কিন্তু পুলিশের কাছে গোলাম মোস্তফা নিজেকে অসুস্থ দাবি করেন এবং রাতে দরজা খুলতে রাজি হননি। এ ছাড়া মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার না করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান সেখানে থাকা উপস্থিত নেতারা। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই তিন নেতাকে হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে হান্নান মাসউদকে জিজ্ঞেস করা হলে ধানমন্ডি থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমনি খোঁজখবর নিতে এসেছি। একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মীমাংসা করা হলো। এ ঘটনায় বাইরের অনেকে জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গতকাল মধ্যরাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ১৫-২০ জন লোক অবস্থান করেন এবং বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা উত্তেজিত ও মারমুখী আচরণ করেন। তাঁরা মো. গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে এ ধরনের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে তাঁদের আজ বিকেলে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে অহেতুক হয়রানি করলে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্ট
তিনজনকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ। তাতে তিনি বলেছেন, ‘মোহাম্মদপুর থানা বৈবিছাআর আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হয় মব সৃষ্টির চেষ্টাকালে, যার ফলে বৈবিছাআর পরিচয়ে স্টুডেন্টরা ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছিল। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি, যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রুজু করেনি এবং করতেও চাচ্ছিল না।’
হান্নান মাসউদ আরও লিখেছেন, ‘আর তা ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিল, যেটা পরবর্তী সময়ে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশা আল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত এরেস্ট হবে। ডিএমপিকে ওদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানান ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু।
ওসি ক্যশৈনু জানান, গতকাল সোমবার রাতে ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে হাক্কানী পাবলিশার্সের প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। আজ জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া সমন্বয়কেরা হলেন মোহাম্মদপুর থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বী। বাকি দুজন হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব আফারহান সরকার দিনার ও মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ট্রাফিক সহায়ক মোহাম্মদ জিসান উল্লাহ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা পরিচয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা ও পুলিশের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ধানমন্ডি থানার ওসির উদ্দেশে এক তরুণ বলেন, ‘আপনি কেন এইখানে কথা বলতেছেন এইভাবে। আপনি ওসি, আপনি গ্রেপ্তার করলেন না কেন। আমি বলছি, আমি বলছি...আপনি গ্রেপ্তার করেন।’ এরপরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনজনকে হেফাজতে নেয় ধানমন্ডি থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১১টার পর সিভিল পোশাক পরিহিত একদল লোক ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার বাসার সামনে অবস্থান নিয়ে ‘আওয়ামী দোসরদের ঠাঁই নাই’ বলে নানা স্লোগান দেন। এরপর বাসার দারোয়ানকে ধাক্কা দিয়ে চতুর্থ তলার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা।
পরে ৯৯৯-এ কল করে পরিস্থিতি জানিয়ে অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে আসে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী নেতারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করতে বলেন। কিন্তু পুলিশের কাছে গোলাম মোস্তফা নিজেকে অসুস্থ দাবি করেন এবং রাতে দরজা খুলতে রাজি হননি। এ ছাড়া মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার না করতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান সেখানে থাকা উপস্থিত নেতারা। একপর্যায়ে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওই তিন নেতাকে হেফাজতে নিয়ে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে হাক্কানী পাবলিশার্সের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিষয়ে হান্নান মাসউদকে জিজ্ঞেস করা হলে ধানমন্ডি থানায় উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এমনি খোঁজখবর নিতে এসেছি। একটা ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটা মীমাংসা করা হলো। এ ঘটনায় বাইরের অনেকে জড়িত আছে। সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’
এদিকে এই ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাইফুল ইসলাম রাব্বিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গতকাল মধ্যরাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে ধানমন্ডি ৪ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে ১৫-২০ জন লোক অবস্থান করেন এবং বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা উত্তেজিত ও মারমুখী আচরণ করেন। তাঁরা মো. গোলাম মোস্তফা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে থানায় নিয়ে আসে। পরে এ ধরনের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার শর্তে তাঁদের আজ বিকেলে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানান ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাউকে অহেতুক হয়রানি করলে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো। ভবিষ্যতে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।
হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্ট
তিনজনকে মোহাম্মদপুর থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ। তাতে তিনি বলেছেন, ‘মোহাম্মদপুর থানা বৈবিছাআর আহ্বায়কসহ তিনজনকে আটক করা হয় মব সৃষ্টির চেষ্টাকালে, যার ফলে বৈবিছাআর পরিচয়ে স্টুডেন্টরা ধানমন্ডি থানায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করছিল। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের অনুরোধে আমি সেখানে যাই। সেখানে গেলে প্রশাসনের অনুরোধে বিষয়টির মধ্যস্থতা করি, যেহেতু প্রশাসন ওদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ রুজু করেনি এবং করতেও চাচ্ছিল না।’
হান্নান মাসউদ আরও লিখেছেন, ‘আর তা ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা মঞ্চের ব্যানারে নিয়মিত মব সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের মধ্যেও একজন সেখানে ছিল, যেটা পরবর্তী সময়ে আমি জানতে পারি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে পরিপূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে, ইনশা আল্লাহ এই মব সৃষ্টির মূল হোতারা দ্রুত এরেস্ট হবে। ডিএমপিকে ওদের ব্যাপারে ইনফর্ম করা হয়েছে।’

ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের বলা হলেও কর্ণপাত না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র নিলটুলি স্বর্ণকারপট্টির মুজিব সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের একাধিক টিম।
সরেজমিন দেখা গেছে, একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। নির্মাণাধীন এই ভবনের মালিক স্থানীয় সঞ্জয় কর্মকার, অজয় কর্মকার ও সেলিম নামে আরেক ব্যক্তি। পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পার্শ্ববর্তী ভবনসংলগ্ন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা বা প্যারাসাইলিং ব্যবস্থা ছিল না। এই অবস্থায় পাইলিংয়ের (নিচের অংশ) কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন নির্মাণশ্রমিকেরা। হঠাৎ করেই ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে দৌড়ে সরে পড়েন নির্মাণশ্রমিক ও শোরুমটির কর্মচারীরা।
বেস্ট বাইয়ের কর্মীরা জানান, তারা সকালে এসে ফ্লোরের টাইলসে ফাটল দেখতে পান। ফাটল ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলে ক্যাশ কাউন্টার টেবিলটা সরিয়ে ফেলেন, এর মধ্যেই ধসে পড়ে ভবনের এক পাশ।
ধসে পড়া ভবন ও বেস্ট বাই ফ্রাঞ্চাইজের মালিক মনিরা খাতুনের দাবি, এ ঘটনায় তাঁর ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং তিনি এর বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বারবার নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের সতর্ক করা হয়েছে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা রাতের আঁধারে আমার ভবনের নিচের মাটি সরিয়ে ফেলেছে, যার কারণে আজকের এই দুর্ঘটনা। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী ৩ ফুট দূরত্ব রেখে কাজ করার কথা থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আজ সকালে উল্টো আমার কর্মচারীদের হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়।’

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা শহরের বাসিন্দা ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোজাফফর আলী মুসা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ভবন নির্মাণ করতে হলে পৌরসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং তা সঠিকভাবে তদারকির দায়িত্ব তাদের। যদি সঠিকভাবে তদারকি হতো তাহলে এমন দুর্ঘটনা না-ও ঘটতে পারত।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভবনমালিকদের একজন সঞ্জয় সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে আসা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে তাঁরা এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে কোনো অভিযোগ পায়নি পুলিশ। অভিযোগ পেলে সেটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পৌরসভার প্রশাসক ও ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. সোহরাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।’

ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের বলা হলেও কর্ণপাত না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র নিলটুলি স্বর্ণকারপট্টির মুজিব সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের একাধিক টিম।
সরেজমিন দেখা গেছে, একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ চলছিল। নির্মাণাধীন এই ভবনের মালিক স্থানীয় সঞ্জয় কর্মকার, অজয় কর্মকার ও সেলিম নামে আরেক ব্যক্তি। পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পার্শ্ববর্তী ভবনসংলগ্ন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা বা প্যারাসাইলিং ব্যবস্থা ছিল না। এই অবস্থায় পাইলিংয়ের (নিচের অংশ) কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন নির্মাণশ্রমিকেরা। হঠাৎ করেই ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে দৌড়ে সরে পড়েন নির্মাণশ্রমিক ও শোরুমটির কর্মচারীরা।
বেস্ট বাইয়ের কর্মীরা জানান, তারা সকালে এসে ফ্লোরের টাইলসে ফাটল দেখতে পান। ফাটল ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলে ক্যাশ কাউন্টার টেবিলটা সরিয়ে ফেলেন, এর মধ্যেই ধসে পড়ে ভবনের এক পাশ।
ধসে পড়া ভবন ও বেস্ট বাই ফ্রাঞ্চাইজের মালিক মনিরা খাতুনের দাবি, এ ঘটনায় তাঁর ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং তিনি এর বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘বারবার নির্মাণাধীন ভবনমালিকদের সতর্ক করা হয়েছে এবং নিয়ম মেনে কাজ করতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা রাতের আঁধারে আমার ভবনের নিচের মাটি সরিয়ে ফেলেছে, যার কারণে আজকের এই দুর্ঘটনা। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী ৩ ফুট দূরত্ব রেখে কাজ করার কথা থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আজ সকালে উল্টো আমার কর্মচারীদের হুমকি-ধমকিও দেওয়া হয়।’

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা শহরের বাসিন্দা ও জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোজাফফর আলী মুসা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘ভবন নির্মাণ করতে হলে পৌরসভার অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং তা সঠিকভাবে তদারকির দায়িত্ব তাদের। যদি সঠিকভাবে তদারকি হতো তাহলে এমন দুর্ঘটনা না-ও ঘটতে পারত।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভবনমালিকদের একজন সঞ্জয় সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাস্থলে আসা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মাসুদ আলম জানান, খবর পেয়ে তাঁরা এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে কোনো অভিযোগ পায়নি পুলিশ। অভিযোগ পেলে সেটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পৌরসভার প্রশাসক ও ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. সোহরাব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে
২০ মে ২০২৫
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেজাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শেখ হাসিনা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা চারটি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আজিজুর রহমান বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এসব হলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ নাম রাখা হয়েছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে
২০ মে ২০২৫
ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জাফলং থেকে ছেড়ে আসা বানিয়াচংগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ব্রিজের ওপর ওঠামাত্রই ব্রিজের দুটি পাটাতন ভেঙে যায়। মুহূর্তেই ট্রাকের পেছনের দুটি চাকা ধসে পড়ে এবং পুরো ট্রাকটি ব্রিজে আটকে যায়।
এতে দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, টমটম, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন। বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবসায়ীরা।
দুর্ঘটনার পর ব্রিজের একপাশ থেকে অন্যপাশে যাওয়ার জন্য যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে ভাঙা অংশ অতিক্রম করছে। এতে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ট্রাকটি ব্রিজে উঠতেই জোরে শব্দ হয়। একটু পরই দেখি পাটাতন নিচে ধসে গেছে। ভাগ্য ভালো যে ট্রাকটি পুরোপুরি নিচে পড়ে যায়নি। তবে এখন তো ও পথে চলাচলকারীরা আটকা পড়ে আছে।’
যাত্রীরা জানান, রত্না বেইলি ব্রিজটি বহুদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভারী যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। এদিকে যাত্রীদের দাবি, এখানে যেন বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হয়, যাতে প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার কাজ চলছে। পাথরবোঝাই ট্রাকটিতে বেশি লোড থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে
২০ মে ২০২৫
ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে মব সৃষ্টি করে এক প্রকাশককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তাঁর বাসার সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তিন সমন্বয়ককে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের উপস্থিতিতে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে
২০ মে ২০২৫
ফরিদপুরে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের কাজ করার সময় পাশের আরেকটি দ্বিতল ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। এতে ভবনটিসহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনে অবস্থিত আরএফএল কোম্পানির বেস্ট বাই শোরুম। তবে প্রাণে বেঁচে গেছেন সেখানে কর্মরতরা। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনমালিকের অভিযোগ, নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য নির্মাণাধীন
৮ মিনিট আগে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখ হয়েছে ‘শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক হল’, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘নবাব সলিমুল্লাহ হল’। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই চব্বিশ জাগরণী হল’ এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ ফেলানী খাতুন হল’ না
৩৩ মিনিট আগে
হবিগঞ্জ-বানিয়াচং আঞ্চলিক সড়কের রত্না বেইলি সেতুর দুটি পাটাতন ভেঙে পাথরবোঝাই ট্রাক আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ওই পথে সব ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও ওই পথে চলাচলকারীরা। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে