Ajker Patrika

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ, অশনাক্ত ৮ মরদেহ দাফন

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ মে ২০২৩, ১৯: ৪৬
সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ, অশনাক্ত ৮ মরদেহ দাফন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ১০ মাস পার হলেও হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা আট মরদেহ নিতে কেউ আবেদন করেননি। একই সঙ্গে পরিচয় শনাক্তের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও তাঁদের পরিচয় মেলেনি। ফলে গত ২০ এপ্রিল আদালতের অনুমতি নিয়ে নগরীর বাইশ মহল্লা কবরস্থানে মরদেহগুলো দাফন করেছে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। 

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ।

জানা গেছে, গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত ৫১ জনের মরদেহ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৯টি মরদেহ নিহতদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে মর্গে থাকা ২২টি মরদেহের বেশির ভাগই দগ্ধ হয়ে যাওয়ায় চেহারা বিকৃত হওয়ায় তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাঁদের স্বজনেরা কোনোভাবেই মরদেহগুলো শনাক্ত করতে পারেননি। 

পরে গত বছরের ৭ জুন এসব মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ২২টি মরদেহ ফিরে পেতে ডিএনএ নমুনা দেন ৩৫ জন। নমুনা সংগ্রহের এক মাস পর আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত শেষে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি থাকে আরও ১৪ জনের মরদেহ। পরবর্তীকালে গত বছরের অক্টোবরে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় পরিচয় শনাক্তের পর আরও ছয় মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ফাইল ছবিপুলিশ জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় করা মামলা ও মর্গে থাকা মরদেহের পরিচয় শনাক্তের কাজ তদারকি করেন তৎকালীন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে পুড়ে অঙ্গার হওয়া পরিচয়বিহীন ২২ মরদেহের মধ্যে ১৪টি মরদেহ পরিচয় শনাক্ত করে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে গত বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি সীতাকুণ্ড থানা থেকে অন্যত্র বদলি হলে মামলাটি নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর তাঁরা মর্গে পড়ে থাকা আটটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালান। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পরও মর্গে পড়ে থাকা মরদেহগুলো ফিরে পেতে কোনো স্বজনেরা যোগাযোগ করেননি। সেই সঙ্গে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও মরদেহের পরিচয় শনাক্তে ব্যর্থ হন তাঁরা। পরে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো দাফন করতে আদালতের শরণাপন্ন হন। এতে আদালতের অনুমতি দিলে গত ২০ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর বাইশ মহল্লা মসজিদে দাফন করা হয়।

ওসি আরও বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে বেওয়ারিশ মরদেহগুলো তাঁরা কবর দিয়েছেন এবং সেই স্থানটিকে চিহ্নিত করে রেখেছেন। তবে কোনো স্বজন যদি মরদেহ ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে আসেন, তখন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুটমিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিকে ভর্তি একটি কনটেইনার বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা যান। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ।

আরও পড়ুন:

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব হত্যার চেষ্টা: মামলা ডিবিতে, গ্রেপ্তার তন্বি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার দাবি

খুলনা প্রতিনিধি
আহত মোতালেক শিকদার ও গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বি। ছবি: সংগৃহীত
আহত মোতালেক শিকদার ও গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বি। ছবি: সংগৃহীত

খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি কেএমপির ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। গত সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলায় তানিয়া তন্বির ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

এদিকে এই মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তার হওয়া এনসিপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব তানিয়া তন্বি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অন্তঃসত্ত্বা বিষয়ে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার রাতে তাঁকে নগরীর টুটপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটির অধিক তদন্তের জন্য আজ বুধবার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বি অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সে কারণে তাঁকে প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।

কেএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বি এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি। চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগবাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বি এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে। ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে; আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জ্ঞিাসাবাদ করা হবে।’ তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে তন্বির স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব কাজ করছে।

ডিবির ওসি বলেন, বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মামলার নথি ডিবি কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়নি। মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বি অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিমানবন্দর থেকে গুলশান ও এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ‎

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৪
বিমানবন্দর থেকে গুলশান ও এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ‎

‎দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

একই সঙ্গে বসুন্ধরা আবাসিকে এভারকেয়ার হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গমনাগমন এলাকায় (হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জসীমউদ্‌দীন রোড হয়ে এয়ারপোর্ট রোড থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার হয়ে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেস হয়ে পূর্বাচল হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল হয়ে এয়ারপোর্ট টু বনানী সড়ক হয়ে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ দিয়ে গুলশান-২ সার্কেল হয়ে গুলশান নর্থ অ্যাভিনিউ দিয়ে তাঁর বাসভবন পর্যন্ত) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যেকোনো ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এভারকেয়ার হাসপাতাল ও সংলগ্ন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো।

‎বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদনহীন ড্রোন ওড়ানোর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে ডিএমপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিন উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো নিষেধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন উড়াতে মারা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

‎গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বড়দিন উদ্‌যাপিত হবে। ওই অনুষ্ঠান ভাবগম্ভীর ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অরডিন্যান্সের ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‎

‎পবিত্র বড়দিন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরাপদে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে গভীর রাতে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের শীতলক্ষ্যার তীরের কেবিএম ব্রিকস ইটভাটায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের শীতলক্ষ্যার তীরের কেবিএম ব্রিকস ইটভাটায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে এক জাসাস নেতাকে গভীর রাতে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের শীতলক্ষ্যার তীরের কেবিএম ব্রিকস নামক ইটভাটায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েকজন মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করেছে।

নিহত মো. ফরিদ সরকার (৩৫) উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি গোসিঙ্গা ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নিহত ব্যক্তির বাবা জামাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গতকাল রাতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে আবুল কাশেমের মালিকানাধীন কেবিএম ইটভাটায় ডেকে নেয়। রাত ১০টার দিকে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। রাত ৩টার দিকে স্থানীয় লোকজন বাসায় এসে খবর দেয় আমার ছেলেকে কয়েকজন মিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে গেছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ছেলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করত। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে সমস্যা চলছে। কয়েকজন মাটি সরবরাহ করতে বাধা দিয়ে আসছিল ছেলেকে।’

নিহত ব্যক্তির মা ফরিদা বেগম বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে আমার ছেলে আর আমি একই সঙ্গে রাতের খাবার খাই। খাবার শেষে ইটভাটার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। রাত ৩টার দিকে ছেলেকে মেরে ফেলছে, এমন খবর পেয়ে মাথায় আসমান ভেঙে পড়ে। আমার কলিজাটা শেষ করে দিল ওরা। আমি ছেলেকে ফেরত চাই। আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে ওরা মেরে ফেলেছে। আমাদের শত্রুরা আমার ছেলেকে বাঁচতে দিল না। সবার নাম বলব পরে।’

কেবিএম ইটভাটার কর্মচারী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইটভাটায় এসে আগুন পোহাতে থাকে ফরিদ ভাই। এরপর রাত ৩টার দিকে কয়েকজন অচেনা ব্যক্তি রামদা হাতে এসে ফরিদ ভাইকে ধাওয়া করে। আমরা ভয়ে দৌড়ে পাশের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিই। এরপর কুপিয়ে-পিটিয়ে মেরে ফেলে যায়।’

গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালিয়াকৈর (সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপাতত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি দুর্বৃত্তের হাতে খুন বলতে হবে। পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য রয়েছে। কারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এমন তথ্য রয়েছে। আপাতত তদন্তের জন্য বলা যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত