নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ঢাকা ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি। তাতে ওই ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।’
আজ বুধবার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ১৯ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আরও ২৫৯ পাতার সহযোগী কাগজপত্র দাখিল করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজে জ্বলে না, এটি ঠিক নয়। কারণ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজেই জ্বলতে পারে।’
প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তিনটি বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি হলো ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন। আমরা অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করেছি, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করেছি কারা এর জন্য দায়ী। আমরা ২০টি সুপারিশ করেছি। সেখানে আমরা বৈধ অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তুলে ধরেছি। কিছু নিয়মকানুন আছে, কিছু আইন কানুনের অনুপস্থিতির বিষয় ছিল। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। বিশেষ করে ডিজি কার্গো অ্যাক্ট ১৯৫৩ সংশোধনের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। এটি আমাদের এক নম্বর সুপারিশ ছিল। এটি সংশোধন করতে হবে আইএমডিজি কোডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আইএমডিজি কোডের সর্বশেষ ভলিউমগুলো বের হয়েছে ২০১৮ সালে। আর আমাদের আইনটা হলো ১৯৫৩ সালে।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পাইনি, কোনো সফটওয়্যার পাইনি। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, এগুলোর কোনো ব্যাকআপ ছিল না। কিন্তু আমরা এগুলো রিকভার করার চেষ্টা করেছি। এটা মালিক পক্ষের একটা ব্যর্থতা। কারণ, ২০২২ সালে ক্লাউডে বা অন্যত্র কোনো নিরাপদ জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ সেভ থাকবে না এটি আধুনিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যায় না। বিশেষ করে একজন বিদেশি নাগরিক যেখানে এটি মালিক। এটি মালিক পক্ষের এক ধরনের ব্যর্থতা অবশ্যই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ তো অবশ্যই দায়ী। কারণ, আমার ঘরে আগুন লাগলে আমার দায় অবশ্যই থাকবে। তবে যারা এটি তদারকি করতেন, তারাও তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন না।’ এ সময় তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি বলে জানান।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি অপডক পরিচালনার জন্য ২৫ টির মতো লাইসেন্স নিতে হয়। আমরা সুপারিশ করেছি ২০১৬ সালের অপডক নীতিমালা আছে। অফডকগুলো মনিটরিংয়ের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং টিম আছে। আমরা বলেছি, ওই কমিটিতে এই ২৫টি সংস্থার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করলে এই কমিটি মিটিং করে সুপারিশ করতে পারবে। কার লাইসেন্স হবে, আর কার লাইসেন্স হবে না। এখন কোন সংস্থা লাইসেন্স দিয়েছে, কোন সংস্থা লাইসেন্স দেয়নি, এগুলো একটার টা অন্যটা জানে না। কারণ, এক সংস্থার সঙ্গে অন্য সংস্থার কোনো যোগাযোগ নেই।’
২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তাদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, যারা ঘটনার সময় সেখানে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এর বাইরে আল রাজী কেমিক্যালের মালিক, ওই প্রতিষ্ঠানের জিএমসহ (মার্কেটিং) সিঅ্যান্ডএফ, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স, শিপিং লাইন এবং বিএম কন্টেইনার ডিপোর সঙ্গে জড়িতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ডিপো মনিটরিং এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা প্রতিবেদন নিয়েছি।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছি। এই রিপোর্টের একটি সীমাবদ্ধতা আমরা পেয়েছি, সেটি হলো যারা ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ জন ডিপো কর্মী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এটি আমাদের জন্য একটা সীমাবদ্ধতা, তারা নিহত হওয়ায় আমরা তাদের বক্তব্য নিতে পারিনি। ডিপো পরিচালনার সঙ্গে জড়িত উচ্চ পর্যায়ের দু-একজনের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারিনি। এর মধ্যে একজন মহাব্যবস্থাপক বিদেশ ছিলেন, আরেকজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক। ওনার নামে মামলা থাকায় তিনি পলাতক রয়েছেন।’

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ঢাকা ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি। তাতে ওই ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।’
আজ বুধবার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ১৯ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আরও ২৫৯ পাতার সহযোগী কাগজপত্র দাখিল করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজে জ্বলে না, এটি ঠিক নয়। কারণ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজেই জ্বলতে পারে।’
প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তিনটি বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি হলো ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন। আমরা অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করেছি, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করেছি কারা এর জন্য দায়ী। আমরা ২০টি সুপারিশ করেছি। সেখানে আমরা বৈধ অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তুলে ধরেছি। কিছু নিয়মকানুন আছে, কিছু আইন কানুনের অনুপস্থিতির বিষয় ছিল। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। বিশেষ করে ডিজি কার্গো অ্যাক্ট ১৯৫৩ সংশোধনের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। এটি আমাদের এক নম্বর সুপারিশ ছিল। এটি সংশোধন করতে হবে আইএমডিজি কোডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আইএমডিজি কোডের সর্বশেষ ভলিউমগুলো বের হয়েছে ২০১৮ সালে। আর আমাদের আইনটা হলো ১৯৫৩ সালে।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পাইনি, কোনো সফটওয়্যার পাইনি। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, এগুলোর কোনো ব্যাকআপ ছিল না। কিন্তু আমরা এগুলো রিকভার করার চেষ্টা করেছি। এটা মালিক পক্ষের একটা ব্যর্থতা। কারণ, ২০২২ সালে ক্লাউডে বা অন্যত্র কোনো নিরাপদ জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ সেভ থাকবে না এটি আধুনিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যায় না। বিশেষ করে একজন বিদেশি নাগরিক যেখানে এটি মালিক। এটি মালিক পক্ষের এক ধরনের ব্যর্থতা অবশ্যই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ তো অবশ্যই দায়ী। কারণ, আমার ঘরে আগুন লাগলে আমার দায় অবশ্যই থাকবে। তবে যারা এটি তদারকি করতেন, তারাও তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন না।’ এ সময় তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি বলে জানান।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি অপডক পরিচালনার জন্য ২৫ টির মতো লাইসেন্স নিতে হয়। আমরা সুপারিশ করেছি ২০১৬ সালের অপডক নীতিমালা আছে। অফডকগুলো মনিটরিংয়ের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং টিম আছে। আমরা বলেছি, ওই কমিটিতে এই ২৫টি সংস্থার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করলে এই কমিটি মিটিং করে সুপারিশ করতে পারবে। কার লাইসেন্স হবে, আর কার লাইসেন্স হবে না। এখন কোন সংস্থা লাইসেন্স দিয়েছে, কোন সংস্থা লাইসেন্স দেয়নি, এগুলো একটার টা অন্যটা জানে না। কারণ, এক সংস্থার সঙ্গে অন্য সংস্থার কোনো যোগাযোগ নেই।’
২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তাদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, যারা ঘটনার সময় সেখানে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এর বাইরে আল রাজী কেমিক্যালের মালিক, ওই প্রতিষ্ঠানের জিএমসহ (মার্কেটিং) সিঅ্যান্ডএফ, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স, শিপিং লাইন এবং বিএম কন্টেইনার ডিপোর সঙ্গে জড়িতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ডিপো মনিটরিং এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা প্রতিবেদন নিয়েছি।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছি। এই রিপোর্টের একটি সীমাবদ্ধতা আমরা পেয়েছি, সেটি হলো যারা ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ জন ডিপো কর্মী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এটি আমাদের জন্য একটা সীমাবদ্ধতা, তারা নিহত হওয়ায় আমরা তাদের বক্তব্য নিতে পারিনি। ডিপো পরিচালনার সঙ্গে জড়িত উচ্চ পর্যায়ের দু-একজনের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারিনি। এর মধ্যে একজন মহাব্যবস্থাপক বিদেশ ছিলেন, আরেকজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক। ওনার নামে মামলা থাকায় তিনি পলাতক রয়েছেন।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ঢাকা ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি। তাতে ওই ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।’
আজ বুধবার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ১৯ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আরও ২৫৯ পাতার সহযোগী কাগজপত্র দাখিল করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজে জ্বলে না, এটি ঠিক নয়। কারণ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজেই জ্বলতে পারে।’
প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তিনটি বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি হলো ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন। আমরা অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করেছি, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করেছি কারা এর জন্য দায়ী। আমরা ২০টি সুপারিশ করেছি। সেখানে আমরা বৈধ অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তুলে ধরেছি। কিছু নিয়মকানুন আছে, কিছু আইন কানুনের অনুপস্থিতির বিষয় ছিল। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। বিশেষ করে ডিজি কার্গো অ্যাক্ট ১৯৫৩ সংশোধনের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। এটি আমাদের এক নম্বর সুপারিশ ছিল। এটি সংশোধন করতে হবে আইএমডিজি কোডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আইএমডিজি কোডের সর্বশেষ ভলিউমগুলো বের হয়েছে ২০১৮ সালে। আর আমাদের আইনটা হলো ১৯৫৩ সালে।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পাইনি, কোনো সফটওয়্যার পাইনি। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, এগুলোর কোনো ব্যাকআপ ছিল না। কিন্তু আমরা এগুলো রিকভার করার চেষ্টা করেছি। এটা মালিক পক্ষের একটা ব্যর্থতা। কারণ, ২০২২ সালে ক্লাউডে বা অন্যত্র কোনো নিরাপদ জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ সেভ থাকবে না এটি আধুনিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যায় না। বিশেষ করে একজন বিদেশি নাগরিক যেখানে এটি মালিক। এটি মালিক পক্ষের এক ধরনের ব্যর্থতা অবশ্যই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ তো অবশ্যই দায়ী। কারণ, আমার ঘরে আগুন লাগলে আমার দায় অবশ্যই থাকবে। তবে যারা এটি তদারকি করতেন, তারাও তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন না।’ এ সময় তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি বলে জানান।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি অপডক পরিচালনার জন্য ২৫ টির মতো লাইসেন্স নিতে হয়। আমরা সুপারিশ করেছি ২০১৬ সালের অপডক নীতিমালা আছে। অফডকগুলো মনিটরিংয়ের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং টিম আছে। আমরা বলেছি, ওই কমিটিতে এই ২৫টি সংস্থার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করলে এই কমিটি মিটিং করে সুপারিশ করতে পারবে। কার লাইসেন্স হবে, আর কার লাইসেন্স হবে না। এখন কোন সংস্থা লাইসেন্স দিয়েছে, কোন সংস্থা লাইসেন্স দেয়নি, এগুলো একটার টা অন্যটা জানে না। কারণ, এক সংস্থার সঙ্গে অন্য সংস্থার কোনো যোগাযোগ নেই।’
২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তাদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, যারা ঘটনার সময় সেখানে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এর বাইরে আল রাজী কেমিক্যালের মালিক, ওই প্রতিষ্ঠানের জিএমসহ (মার্কেটিং) সিঅ্যান্ডএফ, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স, শিপিং লাইন এবং বিএম কন্টেইনার ডিপোর সঙ্গে জড়িতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ডিপো মনিটরিং এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা প্রতিবেদন নিয়েছি।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছি। এই রিপোর্টের একটি সীমাবদ্ধতা আমরা পেয়েছি, সেটি হলো যারা ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ জন ডিপো কর্মী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এটি আমাদের জন্য একটা সীমাবদ্ধতা, তারা নিহত হওয়ায় আমরা তাদের বক্তব্য নিতে পারিনি। ডিপো পরিচালনার সঙ্গে জড়িত উচ্চ পর্যায়ের দু-একজনের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারিনি। এর মধ্যে একজন মহাব্যবস্থাপক বিদেশ ছিলেন, আরেকজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক। ওনার নামে মামলা থাকায় তিনি পলাতক রয়েছেন।’

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ঢাকা ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করিয়েছি। তাতে ওই ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।’
আজ বুধবার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে ১৯ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আরও ২৫৯ পাতার সহযোগী কাগজপত্র দাখিল করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজে জ্বলে না, এটি ঠিক নয়। কারণ, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নিজে নিজেই জ্বলতে পারে।’
প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের তিনটি বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি হলো ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন। আমরা অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজে বের করেছি, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করেছি কারা এর জন্য দায়ী। আমরা ২০টি সুপারিশ করেছি। সেখানে আমরা বৈধ অবকাঠামোগত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তুলে ধরেছি। কিছু নিয়মকানুন আছে, কিছু আইন কানুনের অনুপস্থিতির বিষয় ছিল। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। বিশেষ করে ডিজি কার্গো অ্যাক্ট ১৯৫৩ সংশোধনের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি। এটি আমাদের এক নম্বর সুপারিশ ছিল। এটি সংশোধন করতে হবে আইএমডিজি কোডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। আইএমডিজি কোডের সর্বশেষ ভলিউমগুলো বের হয়েছে ২০১৮ সালে। আর আমাদের আইনটা হলো ১৯৫৩ সালে।’
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ পাইনি, কোনো সফটওয়্যার পাইনি। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, এগুলোর কোনো ব্যাকআপ ছিল না। কিন্তু আমরা এগুলো রিকভার করার চেষ্টা করেছি। এটা মালিক পক্ষের একটা ব্যর্থতা। কারণ, ২০২২ সালে ক্লাউডে বা অন্যত্র কোনো নিরাপদ জায়গায় সিসিটিভি ফুটেজ সেভ থাকবে না এটি আধুনিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যায় না। বিশেষ করে একজন বিদেশি নাগরিক যেখানে এটি মালিক। এটি মালিক পক্ষের এক ধরনের ব্যর্থতা অবশ্যই।’
এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ তো অবশ্যই দায়ী। কারণ, আমার ঘরে আগুন লাগলে আমার দায় অবশ্যই থাকবে। তবে যারা এটি তদারকি করতেন, তারাও তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারেন না।’ এ সময় তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অন্য কোনো কেমিক্যালের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি বলে জানান।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি অপডক পরিচালনার জন্য ২৫ টির মতো লাইসেন্স নিতে হয়। আমরা সুপারিশ করেছি ২০১৬ সালের অপডক নীতিমালা আছে। অফডকগুলো মনিটরিংয়ের জন্য নৌ মন্ত্রণালয়ে একটি মনিটরিং টিম আছে। আমরা বলেছি, ওই কমিটিতে এই ২৫টি সংস্থার প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করলে এই কমিটি মিটিং করে সুপারিশ করতে পারবে। কার লাইসেন্স হবে, আর কার লাইসেন্স হবে না। এখন কোন সংস্থা লাইসেন্স দিয়েছে, কোন সংস্থা লাইসেন্স দেয়নি, এগুলো একটার টা অন্যটা জানে না। কারণ, এক সংস্থার সঙ্গে অন্য সংস্থার কোনো যোগাযোগ নেই।’
২৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি তাদের মধ্যে ৫ জন ছিলেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, যারা ঘটনার সময় সেখানে অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলায় কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এক পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এর বাইরে আল রাজী কেমিক্যালের মালিক, ওই প্রতিষ্ঠানের জিএমসহ (মার্কেটিং) সিঅ্যান্ডএফ, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স, শিপিং লাইন এবং বিএম কন্টেইনার ডিপোর সঙ্গে জড়িতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। ডিপো মনিটরিং এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা প্রতিবেদন নিয়েছি।’
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছি। এই রিপোর্টের একটি সীমাবদ্ধতা আমরা পেয়েছি, সেটি হলো যারা ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১৬ জন ডিপো কর্মী দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এটি আমাদের জন্য একটা সীমাবদ্ধতা, তারা নিহত হওয়ায় আমরা তাদের বক্তব্য নিতে পারিনি। ডিপো পরিচালনার সঙ্গে জড়িত উচ্চ পর্যায়ের দু-একজনের সঙ্গে আমরা কথা বলতে পারিনি। এর মধ্যে একজন মহাব্যবস্থাপক বিদেশ ছিলেন, আরেকজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক। ওনার নামে মামলা থাকায় তিনি পলাতক রয়েছেন।’

ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মডেল থানাসংলগ্ন দীঘির পশ্চিম পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৯টার দিকে দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত
১৮ মিনিট আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
২৮ মিনিট আগে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তফসিল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকলেও সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বন্ধ ছিল। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেফেনী প্রতিনিধি

ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মডেল থানাসংলগ্ন দীঘির পশ্চিম পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৯টার দিকে দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক ব্যক্তি অজ্ঞাত এ মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এক ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করে।
আবু কাউছার নিপু নামের দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক ব্যক্তি বলেন, আমি দীঘি দেখাশোনার কাজ করি। প্রতিদিনের মতো রাতে দিঘির পশ্চিম পাশে হাঁটার সময় লাইটের আলোতে পানিতে মানুষের মাথার মতো কিছু দেখতে পাই। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, মরদেহটি পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তার পরনে শার্ট, লুঙ্গি ও মাফলার ছিল। কয়েক দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। পরিচয় শনাক্তে পিবিআই কাজ করছে। মরদেহ এখানে কীভাবে এসেছে এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।

ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মডেল থানাসংলগ্ন দীঘির পশ্চিম পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৯টার দিকে দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক ব্যক্তি অজ্ঞাত এ মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এক ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করে।
আবু কাউছার নিপু নামের দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এক ব্যক্তি বলেন, আমি দীঘি দেখাশোনার কাজ করি। প্রতিদিনের মতো রাতে দিঘির পশ্চিম পাশে হাঁটার সময় লাইটের আলোতে পানিতে মানুষের মাথার মতো কিছু দেখতে পাই। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ বলেন, মরদেহটি পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তার পরনে শার্ট, লুঙ্গি ও মাফলার ছিল। কয়েক দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। পরিচয় শনাক্তে পিবিআই কাজ করছে। মরদেহ এখানে কীভাবে এসেছে এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরা
০৬ জুলাই ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
২৮ মিনিট আগে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তফসিল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকলেও সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বন্ধ ছিল। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ওই তরুণীকে শনাক্ত ও নাম-পরিচয় বের করা হলেও তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তা প্রকাশ করা হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
‘আয়েশা’কে গ্রেপ্তার এবং এই জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গৃহকর্মী তাঁর প্রকৃত নাম ও ঠিকানা দেননি। তাঁকে কেউ চিনতেও পারছিলেন না। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। বাসা থেকে তিনি যে ফোন নিয়ে গেছেন, সেটাও বের হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল না থাকায় ওই বাড়ির গেট থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে কোনদিকে গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সূত্র বলেছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর চার দিনের মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ ছিল না। সব সময় বোরকা পরে থাকায় ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায়ও তাঁর মুখ স্পষ্টভাবে ধরা পড়েনি। ফলে তাঁকে শনাক্তে ম্যানুয়ালি কাজ করতে হয়। সম্ভাব্য সব ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।
এর আগে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্মীর নাম-ঠিকানা ও কোনো মোবাইল ফোন না থাকায় পরিচয় জানা যাচ্ছে না। দ্রুতই তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে ‘গৃহকর্মী আয়েশা’কে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
বাদী এজাহারে আরও বলেন, অজ্ঞাত কারণে গৃহকর্মী আয়েশা তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মেয়ে নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্তের চেষ্টা করছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে লায়লা ও তাঁর মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সকালে তাঁদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের মরদেহ দাফন করা হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ওই তরুণীকে শনাক্ত ও নাম-পরিচয় বের করা হলেও তাঁকে গ্রেপ্তারের পর তা প্রকাশ করা হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে।
গত সোমবার সকালে শাহজাহান রোডের ১৪ তলা একটি আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিয়াকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। গতকাল তাঁদের মরদেহ নাটোরে দাফন করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভবনের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর এক নারী স্কুলড্রেস পরে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। চার দিন আগে আয়েশা পরিচয় দিয়ে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নেওয়া তরুণী (২০) এই জোড়া খুনে জড়িত বলে সন্দেহ স্বজনদের। ঘটনার পর থেকে ওই তরুণী পলাতক।
‘আয়েশা’কে গ্রেপ্তার এবং এই জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গৃহকর্মী তাঁর প্রকৃত নাম ও ঠিকানা দেননি। তাঁকে কেউ চিনতেও পারছিলেন না। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। বাসা থেকে তিনি যে ফোন নিয়ে গেছেন, সেটাও বের হয়েই বন্ধ করে দিয়েছেন। আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সচল না থাকায় ওই বাড়ির গেট থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে কোনদিকে গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সূত্র বলেছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে ওই তরুণীর চার দিনের মোবাইল ফোনে কোনো যোগাযোগ ছিল না। সব সময় বোরকা পরে থাকায় ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায়ও তাঁর মুখ স্পষ্টভাবে ধরা পড়েনি। ফলে তাঁকে শনাক্তে ম্যানুয়ালি কাজ করতে হয়। সম্ভাব্য সব ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করে তাঁকে শনাক্ত করা হয়।
এর আগে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গৃহকর্মীর নাম-ঠিকানা ও কোনো মোবাইল ফোন না থাকায় পরিচয় জানা যাচ্ছে না। দ্রুতই তাঁকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
জোড়া হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে ‘গৃহকর্মী আয়েশা’কে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লা আফরোজের স্বামী স্কুলশিক্ষক আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ৭টার দিকে তিনি উত্তরায় স্কুলে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও মেয়ের রক্তে ভেজা লাশ দেখেন। ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে নাফিসার স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস নিয়ে যান।
বাদী এজাহারে আরও বলেন, অজ্ঞাত কারণে গৃহকর্মী আয়েশা তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছেন।
সুরতহাল প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লায়লা আফরোজের শরীরে প্রায় ৩০টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মেয়ে নাফিসার শরীরে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ অভিযুক্তকে শনাক্তের চেষ্টা করছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে লায়লা ও তাঁর মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সকালে তাঁদের গ্রামের বাড়ি নাটোর পৌরসভার দক্ষিণ বড়গাছায় নেওয়া হয়। জোহরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের মরদেহ দাফন করা হয়।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরা
০৬ জুলাই ২০২২
ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মডেল থানাসংলগ্ন দীঘির পশ্চিম পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৯টার দিকে দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত
১৮ মিনিট আগে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তফসিল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকলেও সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বন্ধ ছিল। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে
ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেবেরোবি সংবাদদাতা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তফসিল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকলেও সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বন্ধ ছিল। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নপত্র জমা নিচ্ছেন না বা নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে কেন নেই, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে আপনারা নির্বাচন কমিশনারদের জিজ্ঞেস করলে সঠিক তথ্য পাবেন।’
এর আগে সকাল থেকে কমিশনের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এটি পরিকল্পিত অবহেলা, যা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে কমিশনের অনুপস্থিতি নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যর্থতার নগ্ন উদাহরণ। এতে নির্বাচন নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
কমিশনে আসা প্রার্থী মো. শিবলী সাদিক বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত শেষ দিনে সকাল থেকে কার্যালয়ে আছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কেউ নেই। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে কমিশনের অনুপস্থিতি একটি বড় প্রশাসনিক ব্যর্থতা। এতে পুরো নির্বাচনী কাঠামো দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
ভিপি প্রার্থী আহমাদুল হক আলবীর বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে দেখি অফিসই বন্ধ। আজ শেষ দিন জানার পরও সকাল থেকে আমরা এখানে বসে আছি। কিন্তু কমিশনের কেউ নেই। এতে আমাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহজামান, কমিশনার সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার সরকার ও সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকার কারণ দেখিয়ে তফসিল স্থগিত করে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ ডিসেম্বর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও দাখিল (ডোপ টেস্টের রিপোর্টসহ), ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এবং ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তফসিল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকলেও সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বন্ধ ছিল। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মনোনয়নপত্র জমা নিচ্ছেন না বা নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে কেন নেই, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে আপনারা নির্বাচন কমিশনারদের জিজ্ঞেস করলে সঠিক তথ্য পাবেন।’
এর আগে সকাল থেকে কমিশনের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করেন প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এটি পরিকল্পিত অবহেলা, যা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে কমিশনের অনুপস্থিতি নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যর্থতার নগ্ন উদাহরণ। এতে নির্বাচন নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
কমিশনে আসা প্রার্থী মো. শিবলী সাদিক বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত শেষ দিনে সকাল থেকে কার্যালয়ে আছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কেউ নেই। মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে কমিশনের অনুপস্থিতি একটি বড় প্রশাসনিক ব্যর্থতা। এতে পুরো নির্বাচনী কাঠামো দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’
ভিপি প্রার্থী আহমাদুল হক আলবীর বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে দেখি অফিসই বন্ধ। আজ শেষ দিন জানার পরও সকাল থেকে আমরা এখানে বসে আছি। কিন্তু কমিশনের কেউ নেই। এতে আমাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শাহজামান, কমিশনার সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার সরকার ও সহযোগী অধ্যাপক মো. হাসান আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অসংগতি থাকার কারণ দেখিয়ে তফসিল স্থগিত করে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন। পরে ৩ ডিসেম্বর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়।
তফসিল অনুযায়ী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ ও দাখিল (ডোপ টেস্টের রিপোর্টসহ), ১০ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ, ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক তালিকা সম্পর্কে প্রার্থীদের আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এবং ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরা
০৬ জুলাই ২০২২
ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মডেল থানাসংলগ্ন দীঘির পশ্চিম পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৯টার দিকে দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত
১৮ মিনিট আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
২৮ মিনিট আগে
ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নলছিটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার স্কুলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে না আসায় পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এতে এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হন। আজ তিনি স্কুলে এলে বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী তাঁর কক্ষে তালা দিয়ে তাঁকে আটকে রাখেন।
পরে প্রধান শিক্ষিকা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরীন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না, কাল অফিসে আসেন।’
নলছিটি থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আশরাফ আলী বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।

ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলের কক্ষে অবরুদ্ধ করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের করুয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নলছিটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার স্কুলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা স্কুলে না আসায় পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এতে এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা ক্ষুব্ধ হন। আজ তিনি স্কুলে এলে বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী তাঁর কক্ষে তালা দিয়ে তাঁকে আটকে রাখেন।
পরে প্রধান শিক্ষিকা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
প্রধান শিক্ষক মলিনা রানী গোস্বামীর মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু না বলেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিরীন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখন কোনো মন্তব্য করতে পারব না, কাল অফিসে আসেন।’
নলছিটি থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) আশরাফ আলী বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ থেকে মুক্ত করেছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকেই সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এই ঘটনায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমরা ১৭ ধরনের নমুনা পুলিশের অপরা
০৬ জুলাই ২০২২
ফেনী শহরের রাজাঝির দীঘি থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মডেল থানাসংলগ্ন দীঘির পশ্চিম পাশ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ৯টার দিকে দীঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত
১৮ মিনিট আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে নিজেদের ফ্ল্যাটে মা ও মেয়ে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ‘গৃহকর্মী আয়েশাকে’ শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর প্রকৃত নাম-পরিচয় ও তাঁর স্বামীর নামও জেনেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
২৮ মিনিট আগে
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তফসিল অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন থাকলেও সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় বন্ধ ছিল। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল ব্রাকসু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে