Ajker Patrika

ভরা মৌসুমেও দেখা নেই ইলিশের, দাম চড়া

  • গত বছরের চেয়ে এবার ইলিশের দৈনিক উৎপাদন কমেছে ৮-১০ মণ।
  • উৎপাদন কম হওয়ায় প্রভাব পড়েছে ইলিশের দামে।
  • গত মঙ্গলবার এক কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২,৩৫০ টাকায়।
  • ভরা মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ না পাওয়ায় হতাশ জেলেরা।
খান রফিক, বরিশাল 
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩৭
বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ধরা পড়া ইলিশ বিক্রির জন্য আনা হয়েছে নগরের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। ছবিটি গত মঙ্গলবার বিকেলের। আজকের পত্রিকা
বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় ধরা পড়া ইলিশ বিক্রির জন্য আনা হয়েছে নগরের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। ছবিটি গত মঙ্গলবার বিকেলের। আজকের পত্রিকা

চলছে ইলিশের ভরা মৌসুম। এরপরও বরিশালে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে ইলিশ মিলছে না। সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে বেড়েছে দামও। এতে সাধারণ মানুষ ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তর এবং ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, গত বছরের চেয়ে এবার ইলিশের দৈনিক উৎপাদন কমেছে ৮-১০ মণ। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০০ টাকা।

গত মঙ্গলবার নগরীর পোর্ট রোড মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশের দাম বেশ চড়া। এরপরও ক্রেতার চোখ ইলিশের দিকেই। নগরীর নিউ সার্কুলার রোডের চাকরিজীবী মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘বর্ষাতেও ইলিশের দাম কমেনি। মাঝারি সাইজের দুটি ইলিশ কিনেছি দেড় হাজার টাকায়। অথচ এমন দিনও গেছে, একই সাইজের এক হালি ইলিশ পাওয়া গেছে ৮০০ থেকে হাজার টাকায়।’

জানতে চাইলে বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের লিয়া এন্টারপ্রাইজের আড়তদার নাসির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মঙ্গলবার মোকামে প্রায় ৭০ মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। এর আগের দিন সোমবার হয়েছিল ৬০ মণ। মঙ্গলবার এক কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ টাকায়। এলসি (৯০০ গ্রাম) সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০ টাকায়। আর ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বিপরীতে গত বছরের জুনের শেষে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকায়। এলসি সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৫৫০ টাকায়, আর ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল বলে জানান ব্যবসায়ী নাসির।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, উৎপাদন কমে যাওয়ায় মাছের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। প্রচুর পরিমাণে জাটকা ধরায় পরিপূর্ণ সাইজের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছরের চেয়ে এবার কেজিতে ৫০০ টাকা বেশি দাম দিতে হচ্ছে। গত বছরের জুন মাসের চেয়ে এবারের জুনে দৈনিক ৮ থেকে ১০ মণ ইলিশ কম ধরা পড়ছে।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক আলফাজ উদ্দিন শেখ বলেন, নদীর যে চ্যানেল থেকে ইলিশ আসে তাতে যদি নাব্য সংকট দেখা দেয়, তাহলে উৎপাদন সংকট দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া আমরা জাটকা অথবা ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ সংরক্ষণ করতে পারছি কি না; সেই বিষয়গুলোও গবেষণা করা দরকার। তিনি মনে করেন, দাম বিভিন্ন কারণে বাড়ে। হয়তো প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না, অথবা পরিবহন খরচ বেশি কিংবা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি। দাম বাড়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

এ দিকে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে ভরা মৌসুমে মেঘনা, কালাবদর, কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, তেঁতুলিয়া, সন্ধ্যা, সুগন্ধ্যা নদীতে ইলিশের আশায় জেলেরা তৎপর। বিভিন্ন নদীবেষ্টিত উপজেলায় ধরাও পড়ছে বড় ইলিশ। তবে মৎস্য ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, এবার ইলিশ ধরা পড়ছে অপেক্ষাকৃত কম।

বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহনের জেলে আ ছালাম জানান, নদ-নদীতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে তাঁরা নদীতে নামা শুরু করেছেন। গত কয়েক দিন কালাবদর নদীতে কিছু ইলিশ ধরা পড়েছে।

মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার জেলে আনিছ মাঝি জানান, বছরের একটি দীর্ঘ সময়ে নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে পড়ে তাঁদের জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। তার ওপর ভরা মৌসুম এলেও ইলিশ না পাওয়ায় তাঁরা হতাশ।

এ বিষয়ে বরিশালের হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, বর্তমানে যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে সেগুলোর আকার ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজি। তবে বাজারে ইলিশের চড়া দামের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন ‘ভারতীয় নাগরিককে’ ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে নারীসহ তিন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাঁরা ভারতের আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চরবোয়ালমারী সীমান্তের ১০৫৯ নম্বর আন্তর্জাতিক মূল পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে ওই তিন ব্যক্তিকে ঠেলে পাঠানো হয়। ভারতের কুকুরমারা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ঠেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুশ ইন করা তিন ব্যক্তি হলেন আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার সামগুরা থানার সালথা এলাকার বাসিন্দা আয়েশা বেগম (৫২), একই জেলার কলিয়াবর থানার আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে রুস্তম আলী (৬৬) ও রোহা থানার সমস আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪৬)। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের জিম্মায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও আজাহার আলী জানান, বিএসএফ অবৈধভাবে একজন নারী ও দুজন পুরুষকে ভোররাতে বাংলাদেশের ভেতর ঠেলে দিয়েছে। তাঁরা দাঁতভাঙা ইউনিয়নের তেকানিগ্রাম-বাঘেরহাট বাজারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা ভারতের নাগরিক বলে নিজেদের পরিচয় দেন।

জানতে চাইলে বিজিবির গয়টাপাড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মানিক মিয়া বলেন, ‘নারীসহ ভারতীয় তিন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। তবে তাঁরা কোথায় আছেন, তা জানা নেই।’

এ বিষয়ে জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর নারীসহ আসামের ৯ নাগরিককে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সীমান্তপথে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। পরে তাঁদের আটক করে ফেরত পাঠায় বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে ঘের থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে মিলন শেখ (৩৫) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পারনওয়াপাড়া গ্রামে নিজের ঘের থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিলন শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী শেখের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো পারনওয়াপাড়া এলাকায় নিজের মাছের ঘের পাহারা দেওয়ার জন্য যান মিলন। সকাল ১০টার পরেও বাড়িতে না ফেরায় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজ ঘেরের পানিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত