Ajker Patrika

খুলনা পুলিশ কমিশনারকে অপসারণে আবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম, না মানলে সব থানা ঘেরাও

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ২২: ১৭
প্রেসক্লাবের প্রধান গেটে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রেসক্লাবের প্রধান গেটে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনার পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারকে অপসারণে আবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই সময়ের মধ্যে তাঁকে অপসারণ করা না হলে খুলনার সব থানা ঘেরাওসহ দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলমের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি।

এর আগে পুলিশ কমিশনারের অপসারণ দাবিতে আজ বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল পর্যন্ত খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) সদর দপ্তরের সামনে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বেলা ৩টায় খুলনা জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে খুলনার স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। পরে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণে বিকেল সাড়ে ৫টায় খুলনা প্রেসক্লাবে যান তিনি। পুড়ে যাওয়া প্রেসক্লাব ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রেস সচিব।

শফিকুল আলমের প্রেসক্লাবে অবস্থানের খবর পেয়ে কেএমপির সদর দপ্তরের সামনে ব্লকেড কর্মসূচিতে থাকা দেড়-দুই শ ছাত্র প্রেসক্লাবের সামনের স্যার ইকবাল রোডে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা প্রেসক্লাবের প্রধান গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় যৌথ বাহিনী নিরাপত্তার জন্য খুলনা প্রেসক্লাবে অবস্থান নেয়।

শিক্ষার্থীরা প্রেস সচিবের কাছে পুলিশ কমিশনারের অপসারণের ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান। এ নিয়ে সাংবাদিকেরা ছাত্রদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করলেও তাঁরা তাঁদের অনুরোধ রাখেননি। এরপর খুলনা জেলা প্রশাসক আসার পর তাঁকে নিয়ে প্রেস সচিব আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রেস সচিব শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন। এ সময় ছাত্ররা বলেন, জুলাই আন্দোলনের পরে বর্তমান পুলিশ কমিশনার খুলনার দায়িত্ব নিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করে আসছেন। পাশাপাশি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে তিনি তাঁদের রক্ষা করছেন। এমনকি তাঁর শ্যালককে দিয়ে খুলনায় মেলাসহ ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দুই ছাত্রকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। এর মধ্যে একজন নিহত হন। এসব ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি বর্তমান পুলিশ কমিশনার। এই পুলিশ কমিশনারের আমলে প্রায় প্রতিদিনই খুলনা মহানগরীতে সন্ত্রাসী হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটছে। বিগত কয়েক মাসে অর্ধশতাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তখন শিক্ষার্থীদের দাবির কথা আগামীকাল রোববারের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন প্রেস সচিব। এতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে রাত ৮টা ১১ মিনিটে প্রেস সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা প্রেসক্লাব ত্যাগ করেন।

বৈঠকের পর রাত সাড়ে ৮টায় ক্লাব চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, আগামীকাল রোববারের মধ্যে আমাদের দাবি প্রধান উপদেষ্টার নিকট পৌঁছে দেবেন এবং কালকের মধ্যে রেজাল্ট জানিয়ে দেবেন। তবে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

বাপ্পি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখব। এ সময়ের মধ্যে পুলিশ কমিশনারকে সরানো না হলে খুলনার সব থানা ঘেরাওসহ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে মামলার আসামি পুলিশের এসআই সুকান্তকে আটক করে খানজাহান আলী থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে ছাত্র-জনতা। কিন্তু রাতেই থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত বুধ ও বৃহস্পতিবার কেএমপির সদর দপ্তর ঘেরাও করে পুলিশ কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

তাঁরা পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবি করেন। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা কর্মসূচি স্থগিত রেখে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। কিন্তু পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ না করায় আজ বেলা আড়াইটা থেকে ‘ব্লকেড কর্মসূচি’ শুরু করেন।

কেএমপি সদর দপ্তরের সামনের সড়কে ব্যারিকেড দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে খানজাহান আলী সড়কের সুন্দরবন কলেজ থেকে রূপসা ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা মহানগরে আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র রুমি রহমান বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ পুলিশ কমিশনারকে দেখতে চাই না। আমরা কেএমপি কমিশনার হিসেবে একজন দেশপ্রেমিক যোগ্য লোককে চাই।’

এদিকে এসআই সুকান্তকে গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন সাবেক এমপি শাহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
শাহ নুরুল কবীর শাহিন। ছবি: সংগৃহীত
শাহ নুরুল কবীর শাহিন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), উত্তর জেলা বিএনপি এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য শাহ নুরুল কবীর শাহিন। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়াইয়ের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। এ সময় শাহ নুরুল কবীর শাহিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রের একটি কপি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অসুবিধা থাকায় আমি (শাহিন) দলের সকল পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমি দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

শাহ নুরুল কবীর শাহিন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের কাকনহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত শাহ নুরুল হুদার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে শাহ নুরুল কবীর শাহিন বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে ৪৩ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ২০০১ সালে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ঈশ্বরগঞ্জবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও আমি ভোটের মাঠে থাকব।’

আপনি অন্য কোনো দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহিন বলেন, ‘অনেক দলই আমাকে অফার করছে। কিন্তু আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে আমি ভোটের মাঠে থাকব।’

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত দিয়ে ৫ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্তে আজ রোববার সকালে বিজিবির হাতে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্তে আজ রোববার সকালে বিজিবির হাতে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে নারী-পুরুষসহ পাঁচজন ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাঁদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন।

নওগাঁ ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম মাসুমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।

আরিফুল ইসলাম মাসুম জানান, বিভীষণ সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ২১৯-এর সাব পিলার ৭১-এর আনুমানিক এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে লালমাটি খড়ির ঘাট এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় কাজের উদ্দেশে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জামিল ডারা গ্রামের কামরুল লস্কর, সাদ্দাম লস্কর, লিপি লস্কর ও মোছা. ফিরোজা এবং বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কাটাদূরে গ্রামের হায়দার সরদার।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিজিবির হাতে আটক পাঁচ ব্যক্তিকে আমাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁরা বাংলাদেশি নাগরিক বলে দাবি করেছেন। আপাতত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে নিজ নিজ পরিবারের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: চেম্বার আদালতে মান্নার আবেদনের শুনানি সোমবার পর্যন্ত মুলতবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ফাইল ছবি

ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তাঁর এই আবেদনের শুনানি আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। মান্নার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগামীকাল সোমবার এই বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ১০ ডিসেম্বর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডকে ‘কলব্যাক নোটিশ’ পাঠায়। নোটিশটি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায় পাঠানো হয়। মাহমুদুর রহমান মান্না আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ৫০ শতাংশের অংশীদার, আর এ বি এম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ২৫ শতাংশ এবং তাঁর স্ত্রী ইসমত আরা লাইজু ২৫ শতাংশ অংশীদার।

নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গত বুধবার হাইকোর্ট মান্নার রিট খারিজ করে দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গণভোটের প্রচারণায় মুন্সিগঞ্জে ভোটের গাড়ি ‘সুপার ক্যারাভান’

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২২
আজ মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘ভোটের গাড়ি’। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ‘ভোটের গাড়ি’। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচারণায় নেমেছে বিশেষায়িত যান ‘সুপার ক্যারাভান’। এই প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) মুন্সিগঞ্জ শহরের পুরোনো কাচারি এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সকাল থেকে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করে ‘ভোটের গাড়ি’।

এ সময় জেলা প্রশাসক সৈয়দা নুরমহল আশরাফী, পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলমসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।জেলা প্রশাসক সৈয়দা নুরমহল আশরাফী বলেন, ‘ক্যারাভান থেকে আগামী সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের ওপর প্রস্তাবিত গণভোটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও এর তাৎপর্য জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হয়।

আধুনিক প্রযুক্তি ও তথ্য-সংবলিত ক্যারাভানটি নাগরিকদের ভোটাধিকার এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়ে সচেতন করতে সারা দেশে পরিভ্রমণ করছে।’

মুন্সিগঞ্জ সদরের এই বিশেষ প্রচারণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে এবং নির্বাচন ও গণভোট-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুই শতাধিক লোক উপস্থিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত