বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। সন্ধ্যার আগে তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করে অভিভাবকদের জানান।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয়া দশমীর পরের দিন গোলাপগঞ্জ হাট হওয়ার কারণে এক দিন পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আয়োজন করা হয় এই বউমেলার।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে এই মেলায় প্রথা অনুযায়ী সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজতে আসেন এই মেলায়। ১৮ পেরিয়ে ২৫ ছুঁই ছুঁই বয়সের তরুণ–তরুণীরা রঙিন পোশাক পরে বাড়ির বড়দের সঙ্গে মেলায় আসেন। কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গীর নজর কাড়তে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরে তাঁরা নানাভাবে চেষ্টা করেন!
মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে আসতে শুরু করে মানুষ। সকাল থেকে ভিড় বাড়তে থাকলেও মূল মেলা শুরু হয় বেলা ৩টার পর, রাত পর্যন্ত থাকে মানুষের আনাগোনা।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, তিল ধারণের জায়গা নেই। মেলাটি কবে শুরু কেউ অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। কেউ বলেন, ১০০ বছরের বেশি। আর কেউ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে’ এই মেলা চলছে। সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী পেতে এক বছর অপেক্ষা করে থাকেন।
জীবনসঙ্গী খোঁজা মূল উপলক্ষ হলেও মেলায় থাকে নানা পণ্যের পসরা। বাহারি কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, লিপস্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালা, মাটির তৈরি খেলনা, গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত দা, কুড়াল, হাঁড়ি, পাতিল ও নানা পদের খাবারের দোকান। চলতে থাকে বাজনার তালে ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গানের আসর। আর স্কুলমাঠের একদিকে চলে কনে বাছাই পর্ব।
মেলায় সাঁওতাল তরুণীরা এসেছিলেন রঙিন পোশাক পরে। নজর কাড়তে গলায় মাথায় বাহারি ফুলের সাজ। তাঁদের দৃষ্টি রুমাল বাঁধা হাতের দিকে। বিপরীত লিঙ্গের দৃষ্টি কাড়তে হাতে রুমাল বেঁধে মেলায় আসেন তরুণেরা। সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই বেঁধে ফেলতে হয় সঙ্গী।
নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস বলেন, আগে কঠিন সামাজিক বিধিবিধান থাকলেও বর্তমানে অনেকেই রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি মেনে বিয়ে করছেন। যুবক–যুবতীরা একে অপরকে পছন্দ করলে পারিবারিক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিয়ের মাধ্যমে তাঁরা দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। একসময় পাত্রী পছন্দ হলে পাত্র তাঁকে কাঁধে তুলে নিয়ে যেতেন নিজের বাড়িতে। এখন সে প্রথা না থাকলেও, বর–কনে পছন্দের জন্য মেলায় ভিড় জমান সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা। সঙ্গে অভিভাবকেরাও থাকেন। বাদ্য–বাজনার তালে চলে বউ বাছাইয়ের উৎসব। সময়ের সঙ্গে এই প্রক্রিয়াতেও এসেছে পরিবর্তন। এখন পছন্দ হলেই বিয়ে হয়ে যায় না। বরং পছন্দ হলে তা অভিভাবকদের জানানো হয়। অভিভাবকেরা একমত হলে তবেই শুরু হয় বিয়ের কাজ।
গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন চন্দ্র রায় বলেন, প্রতি বছর এই সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সের মানুষের পাশাপাশি মেলায় হিন্দু ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি শীতল মার্ডি বলেন, এক সময় এই মেলার নাম ছিল বউমেলা। এখন এ মেলা মিলনমেলা নামে পরিচিত। পূর্ব পুরুষেরা এই মেলা শুরু করেন। আমরা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছি। তবে কবে থেকে এ মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে সেটা সঠিক ভাবে বলা যাবে না। বাপ–দাদার কাছে শুনেছি, যুগ যুগ ধরে এ মেলা আপনা-আপনি চলছে। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছি বাপ দাদার পথ ধরে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আত্মীয়–স্বজনেরা বছরে একবার হলেও এই এলাকায় মিলিত হয়।
বিকেলে শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মনজুরুল ইসলাম (মঞ্জু)। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি আমিরুল বাহার।
নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বীরগঞ্জ থানা-পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ সদস্যরা।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী মেলা পরিদর্শন করে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, মেলাটি সম্পর্কে সারা বাংলাদেশে জানান দিলে এক সময় মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। সন্ধ্যার আগে তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করে অভিভাবকদের জানান।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয়া দশমীর পরের দিন গোলাপগঞ্জ হাট হওয়ার কারণে এক দিন পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আয়োজন করা হয় এই বউমেলার।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে এই মেলায় প্রথা অনুযায়ী সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজতে আসেন এই মেলায়। ১৮ পেরিয়ে ২৫ ছুঁই ছুঁই বয়সের তরুণ–তরুণীরা রঙিন পোশাক পরে বাড়ির বড়দের সঙ্গে মেলায় আসেন। কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গীর নজর কাড়তে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরে তাঁরা নানাভাবে চেষ্টা করেন!
মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে আসতে শুরু করে মানুষ। সকাল থেকে ভিড় বাড়তে থাকলেও মূল মেলা শুরু হয় বেলা ৩টার পর, রাত পর্যন্ত থাকে মানুষের আনাগোনা।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, তিল ধারণের জায়গা নেই। মেলাটি কবে শুরু কেউ অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। কেউ বলেন, ১০০ বছরের বেশি। আর কেউ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে’ এই মেলা চলছে। সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী পেতে এক বছর অপেক্ষা করে থাকেন।
জীবনসঙ্গী খোঁজা মূল উপলক্ষ হলেও মেলায় থাকে নানা পণ্যের পসরা। বাহারি কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, লিপস্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালা, মাটির তৈরি খেলনা, গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত দা, কুড়াল, হাঁড়ি, পাতিল ও নানা পদের খাবারের দোকান। চলতে থাকে বাজনার তালে ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গানের আসর। আর স্কুলমাঠের একদিকে চলে কনে বাছাই পর্ব।
মেলায় সাঁওতাল তরুণীরা এসেছিলেন রঙিন পোশাক পরে। নজর কাড়তে গলায় মাথায় বাহারি ফুলের সাজ। তাঁদের দৃষ্টি রুমাল বাঁধা হাতের দিকে। বিপরীত লিঙ্গের দৃষ্টি কাড়তে হাতে রুমাল বেঁধে মেলায় আসেন তরুণেরা। সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই বেঁধে ফেলতে হয় সঙ্গী।
নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস বলেন, আগে কঠিন সামাজিক বিধিবিধান থাকলেও বর্তমানে অনেকেই রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি মেনে বিয়ে করছেন। যুবক–যুবতীরা একে অপরকে পছন্দ করলে পারিবারিক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিয়ের মাধ্যমে তাঁরা দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। একসময় পাত্রী পছন্দ হলে পাত্র তাঁকে কাঁধে তুলে নিয়ে যেতেন নিজের বাড়িতে। এখন সে প্রথা না থাকলেও, বর–কনে পছন্দের জন্য মেলায় ভিড় জমান সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা। সঙ্গে অভিভাবকেরাও থাকেন। বাদ্য–বাজনার তালে চলে বউ বাছাইয়ের উৎসব। সময়ের সঙ্গে এই প্রক্রিয়াতেও এসেছে পরিবর্তন। এখন পছন্দ হলেই বিয়ে হয়ে যায় না। বরং পছন্দ হলে তা অভিভাবকদের জানানো হয়। অভিভাবকেরা একমত হলে তবেই শুরু হয় বিয়ের কাজ।
গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন চন্দ্র রায় বলেন, প্রতি বছর এই সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সের মানুষের পাশাপাশি মেলায় হিন্দু ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি শীতল মার্ডি বলেন, এক সময় এই মেলার নাম ছিল বউমেলা। এখন এ মেলা মিলনমেলা নামে পরিচিত। পূর্ব পুরুষেরা এই মেলা শুরু করেন। আমরা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছি। তবে কবে থেকে এ মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে সেটা সঠিক ভাবে বলা যাবে না। বাপ–দাদার কাছে শুনেছি, যুগ যুগ ধরে এ মেলা আপনা-আপনি চলছে। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছি বাপ দাদার পথ ধরে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আত্মীয়–স্বজনেরা বছরে একবার হলেও এই এলাকায় মিলিত হয়।
বিকেলে শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মনজুরুল ইসলাম (মঞ্জু)। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি আমিরুল বাহার।
নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বীরগঞ্জ থানা-পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ সদস্যরা।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী মেলা পরিদর্শন করে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, মেলাটি সম্পর্কে সারা বাংলাদেশে জানান দিলে এক সময় মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। সন্ধ্যার আগে তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করে অভিভাবকদের জানান।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয়া দশমীর পরের দিন গোলাপগঞ্জ হাট হওয়ার কারণে এক দিন পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আয়োজন করা হয় এই বউমেলার।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে এই মেলায় প্রথা অনুযায়ী সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজতে আসেন এই মেলায়। ১৮ পেরিয়ে ২৫ ছুঁই ছুঁই বয়সের তরুণ–তরুণীরা রঙিন পোশাক পরে বাড়ির বড়দের সঙ্গে মেলায় আসেন। কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গীর নজর কাড়তে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরে তাঁরা নানাভাবে চেষ্টা করেন!
মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে আসতে শুরু করে মানুষ। সকাল থেকে ভিড় বাড়তে থাকলেও মূল মেলা শুরু হয় বেলা ৩টার পর, রাত পর্যন্ত থাকে মানুষের আনাগোনা।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, তিল ধারণের জায়গা নেই। মেলাটি কবে শুরু কেউ অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। কেউ বলেন, ১০০ বছরের বেশি। আর কেউ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে’ এই মেলা চলছে। সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী পেতে এক বছর অপেক্ষা করে থাকেন।
জীবনসঙ্গী খোঁজা মূল উপলক্ষ হলেও মেলায় থাকে নানা পণ্যের পসরা। বাহারি কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, লিপস্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালা, মাটির তৈরি খেলনা, গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত দা, কুড়াল, হাঁড়ি, পাতিল ও নানা পদের খাবারের দোকান। চলতে থাকে বাজনার তালে ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গানের আসর। আর স্কুলমাঠের একদিকে চলে কনে বাছাই পর্ব।
মেলায় সাঁওতাল তরুণীরা এসেছিলেন রঙিন পোশাক পরে। নজর কাড়তে গলায় মাথায় বাহারি ফুলের সাজ। তাঁদের দৃষ্টি রুমাল বাঁধা হাতের দিকে। বিপরীত লিঙ্গের দৃষ্টি কাড়তে হাতে রুমাল বেঁধে মেলায় আসেন তরুণেরা। সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই বেঁধে ফেলতে হয় সঙ্গী।
নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস বলেন, আগে কঠিন সামাজিক বিধিবিধান থাকলেও বর্তমানে অনেকেই রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি মেনে বিয়ে করছেন। যুবক–যুবতীরা একে অপরকে পছন্দ করলে পারিবারিক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিয়ের মাধ্যমে তাঁরা দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। একসময় পাত্রী পছন্দ হলে পাত্র তাঁকে কাঁধে তুলে নিয়ে যেতেন নিজের বাড়িতে। এখন সে প্রথা না থাকলেও, বর–কনে পছন্দের জন্য মেলায় ভিড় জমান সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা। সঙ্গে অভিভাবকেরাও থাকেন। বাদ্য–বাজনার তালে চলে বউ বাছাইয়ের উৎসব। সময়ের সঙ্গে এই প্রক্রিয়াতেও এসেছে পরিবর্তন। এখন পছন্দ হলেই বিয়ে হয়ে যায় না। বরং পছন্দ হলে তা অভিভাবকদের জানানো হয়। অভিভাবকেরা একমত হলে তবেই শুরু হয় বিয়ের কাজ।
গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন চন্দ্র রায় বলেন, প্রতি বছর এই সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সের মানুষের পাশাপাশি মেলায় হিন্দু ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি শীতল মার্ডি বলেন, এক সময় এই মেলার নাম ছিল বউমেলা। এখন এ মেলা মিলনমেলা নামে পরিচিত। পূর্ব পুরুষেরা এই মেলা শুরু করেন। আমরা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছি। তবে কবে থেকে এ মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে সেটা সঠিক ভাবে বলা যাবে না। বাপ–দাদার কাছে শুনেছি, যুগ যুগ ধরে এ মেলা আপনা-আপনি চলছে। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছি বাপ দাদার পথ ধরে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আত্মীয়–স্বজনেরা বছরে একবার হলেও এই এলাকায় মিলিত হয়।
বিকেলে শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মনজুরুল ইসলাম (মঞ্জু)। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি আমিরুল বাহার।
নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বীরগঞ্জ থানা-পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ সদস্যরা।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী মেলা পরিদর্শন করে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, মেলাটি সম্পর্কে সারা বাংলাদেশে জানান দিলে এক সময় মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে। সন্ধ্যার আগে তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করে অভিভাবকদের জানান।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয়া দশমীর পরের দিন গোলাপগঞ্জ হাট হওয়ার কারণে এক দিন পর মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আয়োজন করা হয় এই বউমেলার।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির আয়োজনে এই মেলায় প্রথা অনুযায়ী সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা জীবনসঙ্গী খুঁজতে আসেন এই মেলায়। ১৮ পেরিয়ে ২৫ ছুঁই ছুঁই বয়সের তরুণ–তরুণীরা রঙিন পোশাক পরে বাড়ির বড়দের সঙ্গে মেলায় আসেন। কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গীর নজর কাড়তে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরে তাঁরা নানাভাবে চেষ্টা করেন!
মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে আসতে শুরু করে মানুষ। সকাল থেকে ভিড় বাড়তে থাকলেও মূল মেলা শুরু হয় বেলা ৩টার পর, রাত পর্যন্ত থাকে মানুষের আনাগোনা।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, তিল ধারণের জায়গা নেই। মেলাটি কবে শুরু কেউ অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না। কেউ বলেন, ১০০ বছরের বেশি। আর কেউ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে’ এই মেলা চলছে। সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী পেতে এক বছর অপেক্ষা করে থাকেন।
জীবনসঙ্গী খোঁজা মূল উপলক্ষ হলেও মেলায় থাকে নানা পণ্যের পসরা। বাহারি কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, লিপস্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালা, মাটির তৈরি খেলনা, গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত দা, কুড়াল, হাঁড়ি, পাতিল ও নানা পদের খাবারের দোকান। চলতে থাকে বাজনার তালে ঐতিহ্যবাহী নাচ ও গানের আসর। আর স্কুলমাঠের একদিকে চলে কনে বাছাই পর্ব।
মেলায় সাঁওতাল তরুণীরা এসেছিলেন রঙিন পোশাক পরে। নজর কাড়তে গলায় মাথায় বাহারি ফুলের সাজ। তাঁদের দৃষ্টি রুমাল বাঁধা হাতের দিকে। বিপরীত লিঙ্গের দৃষ্টি কাড়তে হাতে রুমাল বেঁধে মেলায় আসেন তরুণেরা। সন্ধ্যা গড়ানোর আগেই বেঁধে ফেলতে হয় সঙ্গী।
নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস বলেন, আগে কঠিন সামাজিক বিধিবিধান থাকলেও বর্তমানে অনেকেই রাষ্ট্রীয় নিয়মনীতি মেনে বিয়ে করছেন। যুবক–যুবতীরা একে অপরকে পছন্দ করলে পারিবারিক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিয়ের মাধ্যমে তাঁরা দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। একসময় পাত্রী পছন্দ হলে পাত্র তাঁকে কাঁধে তুলে নিয়ে যেতেন নিজের বাড়িতে। এখন সে প্রথা না থাকলেও, বর–কনে পছন্দের জন্য মেলায় ভিড় জমান সাঁওতাল তরুণ–তরুণীরা। সঙ্গে অভিভাবকেরাও থাকেন। বাদ্য–বাজনার তালে চলে বউ বাছাইয়ের উৎসব। সময়ের সঙ্গে এই প্রক্রিয়াতেও এসেছে পরিবর্তন। এখন পছন্দ হলেই বিয়ে হয়ে যায় না। বরং পছন্দ হলে তা অভিভাবকদের জানানো হয়। অভিভাবকেরা একমত হলে তবেই শুরু হয় বিয়ের কাজ।
গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহেন চন্দ্র রায় বলেন, প্রতি বছর এই সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিভিন্ন বয়সের মানুষের পাশাপাশি মেলায় হিন্দু ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি শীতল মার্ডি বলেন, এক সময় এই মেলার নাম ছিল বউমেলা। এখন এ মেলা মিলনমেলা নামে পরিচিত। পূর্ব পুরুষেরা এই মেলা শুরু করেন। আমরা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যাচ্ছি। তবে কবে থেকে এ মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে সেটা সঠিক ভাবে বলা যাবে না। বাপ–দাদার কাছে শুনেছি, যুগ যুগ ধরে এ মেলা আপনা-আপনি চলছে। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছি বাপ দাদার পথ ধরে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আত্মীয়–স্বজনেরা বছরে একবার হলেও এই এলাকায় মিলিত হয়।
বিকেলে শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাঁওতালদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির বীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মনজুরুল ইসলাম (মঞ্জু)। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি আমিরুল বাহার।
নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বীরগঞ্জ থানা-পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ সদস্যরা।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী মেলা পরিদর্শন করে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, মেলাটি সম্পর্কে সারা বাংলাদেশে জানান দিলে এক সময় মেলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে।
আরও খবর পড়ুন:

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
৩০ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা আলুগুলো মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আলুভর্তি একটি বড় ট্রলার খাওখীর গ্রামের কালিজিরা খালের পাড়ে নিয়ে আসে। পরে ট্রলার থেকে আলুর বস্তাগুলো খালের পাশের মনির তালুকদারের জমিতে নামিয়ে রেখে খালি ট্রলারটি চলে যায়। প্রথমে এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, আলুগুলো হয়তো কেউ কিনে রেখেছে এবং পরে নিয়ে যাবে। কিন্তু বুধবার রাত থেকে শনিবার দিন পর্যন্ত কেউ আলুগুলো নিতে না আসায় সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
পরে বিষয়টি মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু খানকে জানানো হলে তিনি নলছিটি থানা-পুলিশকে অবহিত করেন।
মিন্টু খান জানান, আলুর মালিককে খুঁজে না পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলুগুলো জব্দ করে।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ জব্দ করা আলুর বস্তাগুলো আপাতত আমার জিম্মায় রেখেছে।’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়েছে। আলুর কোনো বৈধ মালিক এখনো শনাক্ত করা যায়নি। আলুর বস্তাগুলো আপাতত স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা আলুগুলো মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আলুভর্তি একটি বড় ট্রলার খাওখীর গ্রামের কালিজিরা খালের পাড়ে নিয়ে আসে। পরে ট্রলার থেকে আলুর বস্তাগুলো খালের পাশের মনির তালুকদারের জমিতে নামিয়ে রেখে খালি ট্রলারটি চলে যায়। প্রথমে এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, আলুগুলো হয়তো কেউ কিনে রেখেছে এবং পরে নিয়ে যাবে। কিন্তু বুধবার রাত থেকে শনিবার দিন পর্যন্ত কেউ আলুগুলো নিতে না আসায় সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।
পরে বিষয়টি মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু খানকে জানানো হলে তিনি নলছিটি থানা-পুলিশকে অবহিত করেন।
মিন্টু খান জানান, আলুর মালিককে খুঁজে না পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলুগুলো জব্দ করে।
মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ জব্দ করা আলুর বস্তাগুলো আপাতত আমার জিম্মায় রেখেছে।’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়েছে। আলুর কোনো বৈধ মালিক এখনো শনাক্ত করা যায়নি। আলুর বস্তাগুলো আপাতত স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
৩০ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, ‘আজ কী হয়েছে, সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, যার একটি সুরাহা হতে চলেছে। আগামীকাল (সোমবার) অফিশিয়ালি আমরা জানাব।’
এর আগে আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। ডিনদের কেউ আজ নিজেদের বিভাগে ক্লাসে যাননি।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনকে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে থাকার নির্দেশ দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, ‘আজ কী হয়েছে, সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, যার একটি সুরাহা হতে চলেছে। আগামীকাল (সোমবার) অফিশিয়ালি আমরা জানাব।’
এর আগে আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। ডিনদের কেউ আজ নিজেদের বিভাগে ক্লাসে যাননি।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনকে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে থাকার নির্দেশ দেন।

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পোস্টে রাবির সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ লেখেন, ‘নিরাপত্তা না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া ও অন্যান্য একডেমিক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখিত। আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে আমার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া এবং প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে আটশত শিক্ষকের প্রতি ক্লাসরুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে কলার ধরে টেনে প্রশাসন ভবনের সামনে এনে বেঁধে রাখার অব্যাহত হুমকি দেয়া হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সকল শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
কাজী জাহিদ আরও লেখেন, ‘যেই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাল্লাহ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজী জাহিদ বলেন, ‘এভাবে জেনারেল নোটিশের মতো সংখ্যা উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার পর আমরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী সাত শতাধিক শিক্ষক যদি ফ্যাসিস্ট হয়, তাহলে সেখানে তো আমারও নাম আছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকই তো রাজনীতি করে। বর্তমান প্রশাসনে থাকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেভাবেই আমাদেরও নাম আছে।’ নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান কাজী জহিদ।
এর আগে গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা নমনীয়তা উৎপাদন করবে, আমরা তাদের জুতা খুলে মুখে মারব ইনশা আল্লাহ। রাবিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চাকরি করে, তাদের আগামী রোববার থেকে কলার ধরে টেনে টেনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখব।’
এ ছাড়া গতকাল শনিবার আম্মার এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকেরা যদি এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেক শিক্ষকই এভাবে নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পোস্টে রাবির সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ লেখেন, ‘নিরাপত্তা না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া ও অন্যান্য একডেমিক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখিত। আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে আমার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া এবং প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে আটশত শিক্ষকের প্রতি ক্লাসরুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে কলার ধরে টেনে প্রশাসন ভবনের সামনে এনে বেঁধে রাখার অব্যাহত হুমকি দেয়া হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সকল শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
কাজী জাহিদ আরও লেখেন, ‘যেই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাল্লাহ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজী জাহিদ বলেন, ‘এভাবে জেনারেল নোটিশের মতো সংখ্যা উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার পর আমরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী সাত শতাধিক শিক্ষক যদি ফ্যাসিস্ট হয়, তাহলে সেখানে তো আমারও নাম আছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকই তো রাজনীতি করে। বর্তমান প্রশাসনে থাকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেভাবেই আমাদেরও নাম আছে।’ নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান কাজী জহিদ।
এর আগে গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা নমনীয়তা উৎপাদন করবে, আমরা তাদের জুতা খুলে মুখে মারব ইনশা আল্লাহ। রাবিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চাকরি করে, তাদের আগামী রোববার থেকে কলার ধরে টেনে টেনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখব।’
এ ছাড়া গতকাল শনিবার আম্মার এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকেরা যদি এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেক শিক্ষকই এভাবে নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
৩০ মিনিট আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেতালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালায় ফসল রক্ষার নামে বিষ মাখানো সরিষার বীজ ছিটিয়ে পাখিনিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষ মাখানো বীজ খেয়ে শতাধিক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মারা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামে একের পর এক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন অফিসার তন্ময় আচার্য্য।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তন্ময় আচার্য্য সাংবাদিকদের জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধমূলক ঘটনা। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বন্য প্রাণিনিধন আইনত দণ্ডনীয়। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৯ ডিসেম্বর হরিশ্চন্দ্রকাঠি বিলে সরিষা চাষের জন্য বীজ বপন করেন তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারী। পাখির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে বীজে বিষ মাখানো হয়। পরদিন ওই ক্ষেতে কবুতর ও ঘুঘু পাখির ব্যাপক বিচরণ লক্ষ করা যায়। এর পর থেকে একে একে পাখিগুলো অসুস্থ হয়ে মারা যেতে থাকে। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১০০টির বেশি কবুতর এবং একটি ঘুঘু পাখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত খাঁ ও হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের অনেক কবুতর মারা গেছে। এগুলো আমাদের শখ আর জীবিকার অংশ। এমন ক্ষতি আগে কখনো হয়নি।’
রহিমাবাদ গ্রামের আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারীকে ফোন করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল মজিদ বলেন, কাজটি ঠিক হয়নি।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটির বিষয়ে আমি শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরার তালায় ফসল রক্ষার নামে বিষ মাখানো সরিষার বীজ ছিটিয়ে পাখিনিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষ মাখানো বীজ খেয়ে শতাধিক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মারা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামে একের পর এক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন অফিসার তন্ময় আচার্য্য।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তন্ময় আচার্য্য সাংবাদিকদের জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধমূলক ঘটনা। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বন্য প্রাণিনিধন আইনত দণ্ডনীয়। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৯ ডিসেম্বর হরিশ্চন্দ্রকাঠি বিলে সরিষা চাষের জন্য বীজ বপন করেন তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারী। পাখির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে বীজে বিষ মাখানো হয়। পরদিন ওই ক্ষেতে কবুতর ও ঘুঘু পাখির ব্যাপক বিচরণ লক্ষ করা যায়। এর পর থেকে একে একে পাখিগুলো অসুস্থ হয়ে মারা যেতে থাকে। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১০০টির বেশি কবুতর এবং একটি ঘুঘু পাখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত খাঁ ও হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের অনেক কবুতর মারা গেছে। এগুলো আমাদের শখ আর জীবিকার অংশ। এমন ক্ষতি আগে কখনো হয়নি।’
রহিমাবাদ গ্রামের আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারীকে ফোন করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল মজিদ বলেন, কাজটি ঠিক হয়নি।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটির বিষয়ে আমি শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর পরের দিন প্রচার প্রচারণা ছাড়াই প্রতি বছর ‘বাসিয়া হাটি’ নামে পরিচিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের মিলনমেলা বসে। মেলার প্রধান আকর্ষণ সাঁওতালদের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া। ঐতিহ্যগতভাবে বউমেলা নামে পরিচিত এটি। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ঐতিহ্য চলে আসছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৪
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়।
৬ মিনিট আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
৩০ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
১ ঘণ্টা আগে