এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার এক বিচারককে দুই ধাপ ডিঙিয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই বিচারক ১৬ বছর ধরে চাকরিতেই নেই। ২০০৮ সালে সাময়িক বরখাস্ত ও ২০১০ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
তবে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে ওই বিচারককে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। এরপর সরকার আপিল করলে ২০২১ সালেও চাকরি ফেরতের রায় বহাল থাকে। এরপরও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁকে চাকরিতে ফেরানো হয়নি।
অথচ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুর, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবিধান, চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০০৭ অনুযায়ী যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য যুগ্ম জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক কাজের অভিজ্ঞতাসহ ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আর সিনিয়র জেলা জজ হতে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
অর্থাৎ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭–এর বাইরে গিয়ে যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার ওই বিচারককে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায়। তবে ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন থাকা অবস্থাতেই ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এবার সরাসরি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার পতনের পরের দিনই তড়িঘড়ি করে যোগদানের প্রজ্ঞাপন, একদিন পরই পদোন্নতির প্রস্তাব এবং ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন অবস্থাতেই নতুন করে বিধির বাইরে গিয়ে ওই বিচারকের পদোন্নতির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচারিক অভিজ্ঞতা ছাড়া এই রকম পদোন্নতির নজির নেই। এই বিষয়ে জানতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এ রকম কোনো নজির আছে বলে আমার জানা নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে বিবেচনাধীন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত এটা হয় না। এর আগে এ রকম কোনো নজির নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কী হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
আযাদ সুবহানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মজলুম ছিলাম। ১৬ বছর হাল না ছেড়ে ফাইট করেছি। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর যোগদান করতে গিয়েছিলাম। তবে তৎকালীন আইন সচিব বললেন আপিলের মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাঁরা আপিল করবেন না। তবে সাড়ে ৫ মাস পর তাঁরা (মন্ত্রণালয়) আপিল করে দিলেন। ২০২১ সালের আপিলের রায়ও পেলাম। কিন্তু আমাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।’
সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা আযাদ সুবহানীকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ করতে প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি জিএ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় পাঠিয়েছেন। আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
সৈয়দ আজাদ সুবহানী ২০০৮ সালে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকাকালে বিচারকাজ পরিচালনায় অনিয়ম, বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর ওই বছরের ৮ জুলাই চিঠি দেওয়া হয় নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে।
আযাদ সুবহানীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য শুরুতে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা জজ এ. কে. এম জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিলে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনীর তৎকালীন জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে।
জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামের তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। এরপর মন্ত্রণালয় আযাদ সুবহানীকে সতর্ক করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি (প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ সদ্যের প্রশাসনিক কমিটি) তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অনুমোদন দেয়। এরপর বিষয়টি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট (সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির সমন্বয়ে বৈঠক) সভায়। ফুলকোর্ট সভাও ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
আযাদ সুবহানীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সতর্ক করে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অসম্মতি জানালে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কেন তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে না, মর্মে সরকার দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপর জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি প্রকাশ করা হলেও তিনি শাস্তির বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো।
এদিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আযাদ সুবহানী। ট্রাইব্যুনাল ওই সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করে সব বকেয়া সুবিধাসহ চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে আপিল করে। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল সরকারের করা আপিল খারিজ করে ২০২১ সালের ৯ মার্চ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তবে রায় অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর চাকরি ফেরত দিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যার কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি।
আরও খবর পড়ুন:

যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার এক বিচারককে দুই ধাপ ডিঙিয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই বিচারক ১৬ বছর ধরে চাকরিতেই নেই। ২০০৮ সালে সাময়িক বরখাস্ত ও ২০১০ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
তবে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে ওই বিচারককে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। এরপর সরকার আপিল করলে ২০২১ সালেও চাকরি ফেরতের রায় বহাল থাকে। এরপরও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁকে চাকরিতে ফেরানো হয়নি।
অথচ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুর, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবিধান, চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০০৭ অনুযায়ী যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য যুগ্ম জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক কাজের অভিজ্ঞতাসহ ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আর সিনিয়র জেলা জজ হতে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
অর্থাৎ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭–এর বাইরে গিয়ে যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার ওই বিচারককে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায়। তবে ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন থাকা অবস্থাতেই ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এবার সরাসরি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার পতনের পরের দিনই তড়িঘড়ি করে যোগদানের প্রজ্ঞাপন, একদিন পরই পদোন্নতির প্রস্তাব এবং ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন অবস্থাতেই নতুন করে বিধির বাইরে গিয়ে ওই বিচারকের পদোন্নতির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচারিক অভিজ্ঞতা ছাড়া এই রকম পদোন্নতির নজির নেই। এই বিষয়ে জানতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এ রকম কোনো নজির আছে বলে আমার জানা নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে বিবেচনাধীন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত এটা হয় না। এর আগে এ রকম কোনো নজির নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কী হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
আযাদ সুবহানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মজলুম ছিলাম। ১৬ বছর হাল না ছেড়ে ফাইট করেছি। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর যোগদান করতে গিয়েছিলাম। তবে তৎকালীন আইন সচিব বললেন আপিলের মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাঁরা আপিল করবেন না। তবে সাড়ে ৫ মাস পর তাঁরা (মন্ত্রণালয়) আপিল করে দিলেন। ২০২১ সালের আপিলের রায়ও পেলাম। কিন্তু আমাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।’
সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা আযাদ সুবহানীকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ করতে প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি জিএ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় পাঠিয়েছেন। আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
সৈয়দ আজাদ সুবহানী ২০০৮ সালে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকাকালে বিচারকাজ পরিচালনায় অনিয়ম, বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর ওই বছরের ৮ জুলাই চিঠি দেওয়া হয় নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে।
আযাদ সুবহানীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য শুরুতে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা জজ এ. কে. এম জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিলে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনীর তৎকালীন জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে।
জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামের তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। এরপর মন্ত্রণালয় আযাদ সুবহানীকে সতর্ক করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি (প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ সদ্যের প্রশাসনিক কমিটি) তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অনুমোদন দেয়। এরপর বিষয়টি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট (সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির সমন্বয়ে বৈঠক) সভায়। ফুলকোর্ট সভাও ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
আযাদ সুবহানীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সতর্ক করে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অসম্মতি জানালে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কেন তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে না, মর্মে সরকার দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপর জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি প্রকাশ করা হলেও তিনি শাস্তির বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো।
এদিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আযাদ সুবহানী। ট্রাইব্যুনাল ওই সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করে সব বকেয়া সুবিধাসহ চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে আপিল করে। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল সরকারের করা আপিল খারিজ করে ২০২১ সালের ৯ মার্চ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তবে রায় অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর চাকরি ফেরত দিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যার কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি।
আরও খবর পড়ুন:
এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার এক বিচারককে দুই ধাপ ডিঙিয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই বিচারক ১৬ বছর ধরে চাকরিতেই নেই। ২০০৮ সালে সাময়িক বরখাস্ত ও ২০১০ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
তবে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে ওই বিচারককে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। এরপর সরকার আপিল করলে ২০২১ সালেও চাকরি ফেরতের রায় বহাল থাকে। এরপরও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁকে চাকরিতে ফেরানো হয়নি।
অথচ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুর, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবিধান, চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০০৭ অনুযায়ী যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য যুগ্ম জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক কাজের অভিজ্ঞতাসহ ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আর সিনিয়র জেলা জজ হতে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
অর্থাৎ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭–এর বাইরে গিয়ে যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার ওই বিচারককে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায়। তবে ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন থাকা অবস্থাতেই ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এবার সরাসরি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার পতনের পরের দিনই তড়িঘড়ি করে যোগদানের প্রজ্ঞাপন, একদিন পরই পদোন্নতির প্রস্তাব এবং ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন অবস্থাতেই নতুন করে বিধির বাইরে গিয়ে ওই বিচারকের পদোন্নতির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচারিক অভিজ্ঞতা ছাড়া এই রকম পদোন্নতির নজির নেই। এই বিষয়ে জানতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এ রকম কোনো নজির আছে বলে আমার জানা নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে বিবেচনাধীন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত এটা হয় না। এর আগে এ রকম কোনো নজির নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কী হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
আযাদ সুবহানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মজলুম ছিলাম। ১৬ বছর হাল না ছেড়ে ফাইট করেছি। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর যোগদান করতে গিয়েছিলাম। তবে তৎকালীন আইন সচিব বললেন আপিলের মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাঁরা আপিল করবেন না। তবে সাড়ে ৫ মাস পর তাঁরা (মন্ত্রণালয়) আপিল করে দিলেন। ২০২১ সালের আপিলের রায়ও পেলাম। কিন্তু আমাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।’
সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা আযাদ সুবহানীকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ করতে প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি জিএ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় পাঠিয়েছেন। আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
সৈয়দ আজাদ সুবহানী ২০০৮ সালে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকাকালে বিচারকাজ পরিচালনায় অনিয়ম, বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর ওই বছরের ৮ জুলাই চিঠি দেওয়া হয় নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে।
আযাদ সুবহানীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য শুরুতে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা জজ এ. কে. এম জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিলে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনীর তৎকালীন জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে।
জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামের তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। এরপর মন্ত্রণালয় আযাদ সুবহানীকে সতর্ক করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি (প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ সদ্যের প্রশাসনিক কমিটি) তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অনুমোদন দেয়। এরপর বিষয়টি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট (সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির সমন্বয়ে বৈঠক) সভায়। ফুলকোর্ট সভাও ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
আযাদ সুবহানীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সতর্ক করে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অসম্মতি জানালে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কেন তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে না, মর্মে সরকার দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপর জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি প্রকাশ করা হলেও তিনি শাস্তির বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো।
এদিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আযাদ সুবহানী। ট্রাইব্যুনাল ওই সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করে সব বকেয়া সুবিধাসহ চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে আপিল করে। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল সরকারের করা আপিল খারিজ করে ২০২১ সালের ৯ মার্চ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তবে রায় অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর চাকরি ফেরত দিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যার কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি।
আরও খবর পড়ুন:

যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার এক বিচারককে দুই ধাপ ডিঙিয়ে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ওই বিচারক ১৬ বছর ধরে চাকরিতেই নেই। ২০০৮ সালে সাময়িক বরখাস্ত ও ২০১০ সালে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।
তবে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালে ওই বিচারককে চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ দেন। এরপর সরকার আপিল করলে ২০২১ সালেও চাকরি ফেরতের রায় বহাল থাকে। এরপরও তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁকে চাকরিতে ফেরানো হয়নি।
অথচ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুর, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলাবিধান, চাকরির অন্যান্য শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০০৭ অনুযায়ী যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য যুগ্ম জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক কাজের অভিজ্ঞতাসহ ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ পদে দুই বছরের বিচারিক অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। আর সিনিয়র জেলা জজ হতে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
অর্থাৎ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা, ২০০৭–এর বাইরে গিয়ে যুগ্ম জেলা পদ মর্যাদার ওই বিচারককে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ পদে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
মন্ত্রণালয়ের ওই প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায়। তবে ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন থাকা অবস্থাতেই ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এবার সরাসরি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
সরকার পতনের পরের দিনই তড়িঘড়ি করে যোগদানের প্রজ্ঞাপন, একদিন পরই পদোন্নতির প্রস্তাব এবং ফুলকোর্ট সভায় বিবেচনাধীন অবস্থাতেই নতুন করে বিধির বাইরে গিয়ে ওই বিচারকের পদোন্নতির প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিচারিক অভিজ্ঞতা ছাড়া এই রকম পদোন্নতির নজির নেই। এই বিষয়ে জানতে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম রব্বানী আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এ রকম কোনো নজির আছে বলে আমার জানা নেই। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্টে বিবেচনাধীন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. শাহজাহান সাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণত এটা হয় না। এর আগে এ রকম কোনো নজির নেই। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কী হবে সেটি সুপ্রিম কোর্ট ও মন্ত্রণালয়ের বিষয়।
আযাদ সুবহানী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মজলুম ছিলাম। ১৬ বছর হাল না ছেড়ে ফাইট করেছি। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর যোগদান করতে গিয়েছিলাম। তবে তৎকালীন আইন সচিব বললেন আপিলের মেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে, তাঁরা আপিল করবেন না। তবে সাড়ে ৫ মাস পর তাঁরা (মন্ত্রণালয়) আপিল করে দিলেন। ২০২১ সালের আপিলের রায়ও পেলাম। কিন্তু আমাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।’
সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকা আযাদ সুবহানীকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ করতে প্রস্তাব এসেছে। বিষয়টি জিএ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় পাঠিয়েছেন। আগামী ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
সৈয়দ আজাদ সুবহানী ২০০৮ সালে যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকাকালে বিচারকাজ পরিচালনায় অনিয়ম, বিচারপ্রার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতি বরাবর ওই বছরের ৮ জুলাই চিঠি দেওয়া হয় নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে।
আযাদ সুবহানীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য শুরুতে কুমিল্লার তৎকালীন জেলা জজ এ. কে. এম জহির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিলে বিভাগীয় মামলা করা হয়। পরে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ওই মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনীর তৎকালীন জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে।
জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলামের তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ মেলে। এরপর মন্ত্রণালয় আযাদ সুবহানীকে সতর্ক করে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দিতে সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠায়। তবে সুপ্রিম কোর্টের জিএ কমিটি (প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৪ সদ্যের প্রশাসনিক কমিটি) তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর অনুমোদন দেয়। এরপর বিষয়টি পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট (সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের সব বিচারপতির সমন্বয়ে বৈঠক) সভায়। ফুলকোর্ট সভাও ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
আযাদ সুবহানীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সতর্ক করে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে পুনরায় প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অসম্মতি জানালে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, কেন তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে না, মর্মে সরকার দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। এরপর জাতীয় দৈনিকে বিষয়টি প্রকাশ করা হলেও তিনি শাস্তির বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। তাই সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে আযাদ সুবহানীকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো।
এদিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আযাদ সুবহানী। ট্রাইব্যুনাল ওই সিদ্ধান্ত বেআইনি ঘোষণা করে সব বকেয়া সুবিধাসহ চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে আপিল করে। প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল সরকারের করা আপিল খারিজ করে ২০২১ সালের ৯ মার্চ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখেন। তবে রায় অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে তাঁর চাকরি ফেরত দিয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। যার কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ওই পরিস্থিতির মধ্যেই ৬ আগস্ট হঠাৎ করে আযাদ সুবহানীকে চাকরিতে যোগদান করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর একদিন পরই আবার প্রস্তাব পাঠানো হয় অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি দিতে।
০৭ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে