Ajker Patrika

যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদ, দিন কাটছে পঙ্গুত্বের শঙ্কায়

সাদ্দাম হো‌সেন, ঠাকুরগাঁও
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩: ৫৩
যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদ, দিন কাটছে পঙ্গুত্বের শঙ্কায়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২৫)। তার ডান পা থেকে দুই দফা অস্ত্রোপচারে বের করা হয় ১২টি গুলি। ত‌বে এখনো রয়ে গেছে আরও ৩৮‌টি গুলি। এতে পা‌য়ের রক্ত চলাচল ব‌্যহত হ‌চ্ছে। ফু‌লে উঠেছে পা। বন্ধ হ‌য়ে যায় স্বাভাবিক চলা‌ফেরা। পায়ের তীব্র ব্যথা সহ্য করতে না ‌পে‌রে হাসপাতা‌লে যন্ত্রণায় কাতরা‌চ্ছেন গুলিবিদ্ধ এই শিক্ষার্থী। ডান পা কোনোদিন স্বাভাবিক হবে কিনা সেটা নিয়েও শঙ্কায় আবু সাঈদ ও তার পরিবারের সদস্যরা।

চিকিৎসকেরা বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পা‌য়ের হা‌ড়ের কাছাকা‌ছি গু‌লি চ‌লে যাওয়ায় দেশে এ গুলি বের করার সুযোগ নেই। গুলি ‌বের কর‌তে গে‌লে পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হ‌য়ে যে‌তে পারে। তবে বিদেশে উন্নত চিকিৎসায় বের করা যেতে পারে এ সব গু‌লি।

আবু সাঈদের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদ‌রের জামালপুর ইউ‌নিয়‌নের রামপুর গ্রা‌মে। বাবার নাম জুল‌ফিকার আলী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাঈদ বড়। তিনি সদ‌রের শীবগঞ্জ ডিগ্রী ক‌লেজ থে‌কে ২০২৩ সা‌লে ডিগ্রী পাশ ক‌রেন। বাবা জুল‌ফিকার আলী হো‌মিও চি‌কিৎসক। বাবার কোনো রকম রোজগা‌রে চলে তা‌দের পরিবার।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে আবু সাঈদ বলেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। এ দিন দুপু‌রে বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল নি‌য়ে শহ‌রের কোর্টচত্ব‌রে দি‌কে গে‌লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সে সময় পু‌লি‌শের গু‌লি‌তে ডান পা‌য়ে ৫০‌টি ছররা বুলেট লাগে। মুহূর্তেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পায়ে ব্যান্ডেজ পেঁচিয়ে ওই দিনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ক্ষতস্থান শুকানোর পর অস্ত্রোপচার করার কথা জানান চিকিৎসক। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারেননি।

সাঈদের বাবা জুল‌ফিকার আলী ব‌লেন, গত ৬ আগস্ট এক‌টি প্রাই‌ভেট ক্লি‌নি‌কে ভ‌র্তি ক‌রে ছে‌লের চি‌কিৎসা করান। প‌রে সেখান থে‌কে দিনাজপুর এম আব্দুর র‌হিম মে‌ডি‌কেলে নি‌য়ে যাই। সেখা‌নে অস্ত্রপচা‌রে দুই দফা ১২‌টি গু‌লি বের ক‌রেন চিকিৎসকেরা। এরপর ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বিদ্যালয় হাসপাতালে নি‌য়ে গে‌লে চি‌কিৎসকরা জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আর একটি গুলিও বের করা সম্ভব না। কিছু‌দিন থাকার প‌রে হাসপাতাল থে‌কে ছাড়পত্র দেয়। ছেলের চিকিৎসার জন্য তারা দেশে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। পরিপূর্ণ চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আমাদের এত টাকা নেই।

এখনো স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছেন না জা‌নি‌য়ে আবু সাঈদ ব‌লেন, হাট‌তে গে‌লে প্রচণ্ড ব‌্যাথা ক‌রে। পা ফু‌লে যাওয়ায় নড়াচড়াও করা যায় না। যন্ত্রণায় রাতে ঘুমাতে পারি না। এ অবস্থায় গত রোববার আবারও দিনাজপুর মে‌ডি‌কে‌লে ভ‌র্তি হই। চি‌কিৎসকরা জা‌নি‌য়েছেন, দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা করা গেলে হয়তো বের করা যেতে পারে গু‌লি।

চো‌খের পা‌নি ছে‌ড়ে দি‌য়ে সাঈদের মা বিল‌কিস বানু বলেন, এখন চিকিৎসার সব খরচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করছে। বর্তমান সরকারের কাছে আমার একটাই চাওয়া প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে হলেও যেন তার এক মাত্র সন্তা‌নের গুলি গু‌লো বের করে দেওয়া হয়।

প্রতিবেশী স্কুল শিক্ষক জয়নাল আ‌বেদীন বলেন, সাঈদের পরিবার খুবই দরিদ্র। তাঁর চিকিৎসা নিয়ে পরিবার খুবই চিন্তিত। তাদের পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। সমাজে যারা বিত্তবান আছেন, তাঁদের এগিয়ে আসা দরকার। যাতে এ তরুণ ছে‌লে‌টি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার জাকির হোসেন পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার জাকির হোসেন পাটোয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার পাঁচড়া এলাকার রাস্তার মাথা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জাকির হোসেন পাটোয়ারী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচড়া পাটোয়ারী বাড়ির মৃত হাফেজ মিয়ার ছেলে। বিষয়টি বুধবার সকালে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানাউল্লাহ নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, জাকির হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে এবং দীর্ঘদিন তিনি পলাতক ছিলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের নাটকে নারী নির্যাতনের দৃশ্যে পাঞ্জাবি-টুপি নিয়ে জামায়াত নেতাদের আপত্তি, উত্তেজনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নারী নির্যাতনের দৃশ্যে পাঞ্জাবি-টুপি পরিহিত রাজাকার দেখানো নিয়ে জামায়াত নেতাদের আপত্তি নিয়ে উত্তেজনা। ছবি: স্ক্রিনশট
নারী নির্যাতনের দৃশ্যে পাঞ্জাবি-টুপি পরিহিত রাজাকার দেখানো নিয়ে জামায়াত নেতাদের আপত্তি নিয়ে উত্তেজনা। ছবি: স্ক্রিনশট

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্পে রাজাকারের পাঠ’ শীর্ষক নাটক মঞ্চায়ন নিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ালো লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায়। নাটকে রাজাকারের চরিত্রে অভিনেতাদের পাঞ্জাবি ও টুপি পরিধান এবং নারী নির্যাতনের দৃশ্য প্রদর্শিত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পোশাকে অভিনয় করা ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আলেকজান্ডার আ স ম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজের পর এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজটির ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী নাটকটিতে অংশ নেন, যেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের মধ্যকার সংঘাতময় চিত্র তুলে ধরা হয়। রাজাকারের ভূমিকায় কয়েকজন শিক্ষার্থী পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করছিলেন। এই দৃশ্যে নারী নির্যাতনের অংশ থাকাকালীন উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম এবং পৌর আমির আবুল খায়ের মঞ্চে এসে আপত্তি তোলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই পোশাকে রাজাকারের চরিত্র চিত্রায়ণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে। তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিনের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেন।

এতে দুই পক্ষের মধ্যে মঞ্চেই শুরু হয় তীব্র বাগ্বিতণ্ডা। পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল, তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দ্রুত তাঁরা হস্তক্ষেপে করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।

উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহিম তাঁর আপত্তির কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘পাঞ্জাবি-টুপি পরে অভিনয় করায় একজন মুসলমান হিসেবে আমি এটি মেনে নিতে পারিনি। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে এর ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। পরে ইউএনও ও ওসি সাহেবের মধ্যস্থতায় বিষয়টির সমাধান হয়েছে।’

কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আশরাফ উদ্দিন এই ঘটনাকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, পরে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নাটক চলাকালে পাঞ্জাবি-টুপি ব্যবহার নিয়ে এক পক্ষ আপত্তি তোলায় কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করা হয় এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাটমোহরে সমতল জমিতে কমলা চাষে সম্ভাবনা, সফল কৃষক খয়বর

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
নিজ বাগানের গাছে ফলন দেখাচ্ছেন চাটমোহরের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ বাগানের গাছে ফলন দেখাচ্ছেন চাটমোহরের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

সমতল ভূমিতে কমলা চাষ সাধারণত অপ্রচলিত হলেও পাবনার চাটমোহরে এর বাণিজ্যিক চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শখের বসে করা কৃষক খয়বর রহমানের কমলাবাগান এখন বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রথম বছরেই আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় কৃষক যেমন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন, তেমনি কৃষি বিভাগও আশা করছে তাঁর দেখানো পথে কমলা চাষের বিস্তার ঘটবে।

সাইট্রাসজাতীয় ফল মাল্টা ও কমলা মূলত পাহাড়ি অঞ্চলের হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাটমোহরে মাল্টা চাষের প্রসার ঘটেছে। তবে কমলা চাষ এত দিন শখের ছাদবাগানেই সীমাবদ্ধ ছিল। কাঙ্ক্ষিত সফলতা না পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ তেমন বিস্তার লাভ করেনি। এই অবস্থায় কৃষক খয়বর রহমানের বাণিজ্যিক চাষে সফলতা অন্য কৃষকদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগশোয়াইল গ্রামের কৃষক খয়বর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও দেখে কমলা চাষে আগ্রহী হন। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার এক কৃষকের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে তিনি ২১ শতক জমিতে কমলার বাগান গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে ৫০টি চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো তাঁর বাগানে ফুল আসে। পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছে ফল রাখলে সেগুলো পরিপক্ব হয়।

কমলাচাষি খয়বর রহমান জানান, তাঁর বাগানের ১১টি গাছে বর্তমানে ১০০ কেজির বেশি কমলা রয়েছে। শুরুতে নিছক শখের বসে বাগান করলেও এখন এটি লাভজনক হবে বলে আশা করছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁর। আগামী বছর পূর্ণমাত্রায় ফলন এলে বিক্রি ১ লাখ টাকার বেশি হবে বলে আশা করছেন।

উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান সাঈদ বলেন, চাটমোহরে কমলা চাষ একেবারেই নতুন উদ্যোগ। খয়বর রহমানের বাগানে উৎপাদিত কমলার মান ও গুণগত বৈশিষ্ট্য বাজারে পাওয়া কমলার মতোই ভালো। প্রতিটি গাছে যে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে বাগানটি লাভজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি। এই সাফল্য অন্য কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ বলেন, অপ্রচলিত কমলা প্রথমবারের মতো চাষ করে খয়বর রহমান যে সাফল্য পেয়েছেন, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে কমলা চাষকে বাণিজ্যিকভাবে রূপ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাঁর সাফল্য দেখে আরও অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলামপুরে পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতা আটক

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি  
আটক করা আওয়ামী লীগের তিন নেতা। ছবি: সংগৃহীত
আটক করা আওয়ামী লীগের তিন নেতা। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের ইসলামপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন পলবান্ধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্রাম হোসেন মাস্টার, কুলকান্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী সরদার এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোনাহার সরকার।

এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার ডিউটি অফিসার ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) অমৃত চন্দ্র সেন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাসমত আলী সরদারকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের শাখা-২ (ডিবি) সদস্যরা আটক করে মঙ্গলবার রাতে থানায় হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া একই দিন রাতে পৃথক অভিযানে আক্রাম হোসেন মাস্টার ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোনাহার সরকারকে আটক করা হয়েছে।

অমৃত চন্দ্র সেন আরও বলেন, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামালপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত