উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এরই মধ্যে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে নানামুখী প্রচারের পাশাপাশি মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়েও পেনশন নিয়ে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরেও সর্বস্তরের জনগণকে পেনশন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার। সেদিন প্রাথমিকভাবে চারটি স্কিম চালু করা হয়। পরে চালু করা হয় আরেকটি। স্কিমগুলো হলো–প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রত্যয়। ‘প্রবাস’ শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’। কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমারসহ স্বকর্মে নিয়োজিত মানুষের জন্য ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ হলো নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য। এসব স্কিমে আজীবন পেনশন-সুবিধা পেতে ন্যূনতম ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হবে। তবে কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে চাঁদা দিলে তাঁকে ৪২ বছর দিতে হবে। সর্বশেষ চালু করা স্কিম প্রত্যয় সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য।
চালু হওয়া স্কিমগুলোয় ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে অনুযায়ী সাড়া মিলছে না। স্কিম চালুর ছয় মাসে যত মানুষ হিসাব খুলেছে, তা লক্ষ্যের ১ শতাংশেরও কম। পেনশন স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণ কম হওয়ায় চাঁদাও জমা পড়ছে কম। যদিও পেনশন তহবিলের চাঁদা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পেনশন স্কিমে চাঁদা কম জমা পড়ায় সেখান থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা পাচ্ছে না সরকার। জানা গেছে, গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হওয়া ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শুরুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলেও স্কিম চালুর পর সেই আগ্রহে ভাটা পড়ার মূল কারণ আস্থার সংকট। এ অবস্থায় মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি। সরকার এখন তা নিয়ে কাজ করছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর ছয় মাস পূর্তি হয়েছে ১৭ মার্চ। এর পরদিন ১৮ মার্চ এক পরিপত্রে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ২২ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যার মধ্যে ১৪টিই ছিল পেনশন সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ নিয়ে। বাকি নির্দেশনাগুলোর পাঁচটি নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে এবং তিনটি ছিল মনিটরিং-সংক্রান্ত।
উদ্বুদ্ধকরণ-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোয় পেনশন স্কিম সম্পর্কে সর্বাত্মক প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও আগ্রহী করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। হাটবাজার, গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ মেলা প্রভৃতি জায়গায় জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিজ্ঞাপন, জিঙ্গেল, ভিডিও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে প্রয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত আলাদা ডেস্ক স্থাপন এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পরিপত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতন করে তাদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে স্থানীয় কেব্ল টিভি নেটওয়ার্কে টিভি স্ক্রল প্রদর্শন, সিনেমা হলগুলোতে শো শুরু হওয়ার আগে এবং মধ্যবিরতিতে ভিডিও প্রদর্শনের নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। একইভাবে দেশের মসজিদগুলোতে এখন থেকে জুমার খুতবায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বয়ান এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও পুরোহিতদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ক্যাম্পেইন হিসাবে এই উদ্যোগ যথেষ্ট ব্যাপক ও সুচিন্তিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনকে মোটিভেশনে পরিণত করা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব সৃষ্টি করা। সেই উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইনে তৃণমূল থেকে যে ফিডব্যাক পাওয়া যাবে, সেগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
শুধু প্রচার নয়, মানুষ যাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সহজে নিবন্ধিত হতে পারে, সে জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত করে তোলা, সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই যেন জনগণ বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারে, তার সব ব্যবস্থা রাখা এবং ডাক বিভাগের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের আউটলেটের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর শাখা ফ্রন্ট অফিস হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও অর্থ জমা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ভ্রাম্যমাণ বুথের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
পেনশন স্কিমের কার্যক্রম নজরদারির বিষয়েও তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে জাতীয় বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন নিজস্ব সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় যথাপদ্ধতিতে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথোপযুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো চালুসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এরই মধ্যে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে নানামুখী প্রচারের পাশাপাশি মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়েও পেনশন নিয়ে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরেও সর্বস্তরের জনগণকে পেনশন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার। সেদিন প্রাথমিকভাবে চারটি স্কিম চালু করা হয়। পরে চালু করা হয় আরেকটি। স্কিমগুলো হলো–প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রত্যয়। ‘প্রবাস’ শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’। কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমারসহ স্বকর্মে নিয়োজিত মানুষের জন্য ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ হলো নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য। এসব স্কিমে আজীবন পেনশন-সুবিধা পেতে ন্যূনতম ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হবে। তবে কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে চাঁদা দিলে তাঁকে ৪২ বছর দিতে হবে। সর্বশেষ চালু করা স্কিম প্রত্যয় সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য।
চালু হওয়া স্কিমগুলোয় ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে অনুযায়ী সাড়া মিলছে না। স্কিম চালুর ছয় মাসে যত মানুষ হিসাব খুলেছে, তা লক্ষ্যের ১ শতাংশেরও কম। পেনশন স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণ কম হওয়ায় চাঁদাও জমা পড়ছে কম। যদিও পেনশন তহবিলের চাঁদা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পেনশন স্কিমে চাঁদা কম জমা পড়ায় সেখান থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা পাচ্ছে না সরকার। জানা গেছে, গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হওয়া ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শুরুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলেও স্কিম চালুর পর সেই আগ্রহে ভাটা পড়ার মূল কারণ আস্থার সংকট। এ অবস্থায় মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি। সরকার এখন তা নিয়ে কাজ করছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর ছয় মাস পূর্তি হয়েছে ১৭ মার্চ। এর পরদিন ১৮ মার্চ এক পরিপত্রে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ২২ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যার মধ্যে ১৪টিই ছিল পেনশন সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ নিয়ে। বাকি নির্দেশনাগুলোর পাঁচটি নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে এবং তিনটি ছিল মনিটরিং-সংক্রান্ত।
উদ্বুদ্ধকরণ-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোয় পেনশন স্কিম সম্পর্কে সর্বাত্মক প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও আগ্রহী করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। হাটবাজার, গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ মেলা প্রভৃতি জায়গায় জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিজ্ঞাপন, জিঙ্গেল, ভিডিও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে প্রয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত আলাদা ডেস্ক স্থাপন এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পরিপত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতন করে তাদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে স্থানীয় কেব্ল টিভি নেটওয়ার্কে টিভি স্ক্রল প্রদর্শন, সিনেমা হলগুলোতে শো শুরু হওয়ার আগে এবং মধ্যবিরতিতে ভিডিও প্রদর্শনের নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। একইভাবে দেশের মসজিদগুলোতে এখন থেকে জুমার খুতবায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বয়ান এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও পুরোহিতদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ক্যাম্পেইন হিসাবে এই উদ্যোগ যথেষ্ট ব্যাপক ও সুচিন্তিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনকে মোটিভেশনে পরিণত করা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব সৃষ্টি করা। সেই উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইনে তৃণমূল থেকে যে ফিডব্যাক পাওয়া যাবে, সেগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
শুধু প্রচার নয়, মানুষ যাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সহজে নিবন্ধিত হতে পারে, সে জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত করে তোলা, সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই যেন জনগণ বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারে, তার সব ব্যবস্থা রাখা এবং ডাক বিভাগের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের আউটলেটের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর শাখা ফ্রন্ট অফিস হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও অর্থ জমা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ভ্রাম্যমাণ বুথের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
পেনশন স্কিমের কার্যক্রম নজরদারির বিষয়েও তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে জাতীয় বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন নিজস্ব সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় যথাপদ্ধতিতে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথোপযুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো চালুসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
১৮ মিনিট আগে
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিসহ একাধিক ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব বাজেট (রাষ্ট্রীয় কোষাগার) থেকে তাঁর চিকিৎসার অর্থ দেওয়া হবে। ওসমান হাদিকে বাইরে পাঠানোর জন্য কাল যখন মেসেজ এল, আমরা বলেছি, টাকাপয়সা কোনো ব্যাপার না। উই উইল গিভ অ্যালোকেশন (আমরা বরাদ্দ দেব)।’
ভারত থেকে চাল আমদানি
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫–২৬ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৯ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদনের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনা হবে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রে ছয়টি প্রস্তাব পাওয়া যায়, যার মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ভারতের এম/এস বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি টন ৩৫১ দশমিক ১১ মার্কিন ডলারে চাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার
সরকার সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রো নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৮০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। প্রতি টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪১৩ দশমিক ৪৬ মার্কিন ডলার। এতে দুই দফায় মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সাবিকের সঙ্গে ৬ লাখ ৩০ হাজার টন সার আমদানির চুক্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাফার গুদাম নির্মাণ
সার সংরক্ষণ ও বিতরণব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে নওগাঁ ও বগুড়া জেলায় দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। নওগাঁয় ২৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার একটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বগুড়ায় ২০ হাজার টন ধারণক্ষমতার গুদাম নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গুদামে স্টিল স্ট্রাকচার, অফিস কাম গেস্টহাউস, আনসার ব্যারাক, সাবস্টেশন, জেনারেটর, সোলার সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
রাবনাবাদ নদীর ওপর সেতু
পটুয়াখালীর লেবুখালী–বাউফল–গলাচিপা–আমড়াগাছিয়া সড়কে রাবনাবাদ নদীর ওপর ৮৮২ দশমিক ৮১ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৬৪ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, কালভার্ট, টোল প্লাজা ও আলোকসজ্জার কাজও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এলএনজি
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এম/এস পোসকো ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন থেকে স্পট মার্কেটের মাধ্যমে এই এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ মার্কিন ডলার।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে নগদ জানিয়েছে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে গিয়ে কার্ড রিচার্জ করা যাবে। মেট্রোরেলের র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস দুই ধরনের কার্ডেই করা যাবে রিচার্জ। নগদের মাধ্যমে যাত্রীরা এই দুই ধরনের কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
মেট্রোরেলে কার্ড রিচার্জ করতে যাত্রীদের প্রথমে র্যাপিড পাস-এর ওয়েবসাইট (www.rapidpass.com.bd) বা অ্যাপে যেতে হবে। র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা না থাকলে কার্ড রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। এরপর গ্রাহকের কার্ডটির তথ্য দিয়ে কার্ডটি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
নিবন্ধনের পর সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন সম্পন্ন হলে যাত্রীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় কার্ড নির্বাচন করে রিচার্জের অঙ্ক নির্বাচন করবেন। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অপশনে ক্লিক করে নগদ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে আবারও রিচার্জের জন্য নগদ গ্রাহকেরা নগদ ওয়ালেট নম্বরটি সেভ করে রাখতে পারবেন। ফলে বারবার আর নম্বর দিতে হবে না। অপশন নির্বাচনের পর নগদ নম্বর প্রদান করতে হবে এবং মেসেজে পাওয়া ওটিপি প্রদান করে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড প্রদান করলে কার্ড রিচার্জ সম্পন্ন হবে।
অনলাইন রিচার্জের পর স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম)-এ কার্ডটি ট্যাপ করে রিচার্জকৃত ব্যালেন্স যুক্ত করতে হবে। রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস চলে যাবে। একটি কার্ডে একবারে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।

নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
এক বিজ্ঞপ্তিতে নগদ জানিয়েছে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ওয়েবসাইটে থাকা লিংকে গিয়ে কার্ড রিচার্জ করা যাবে। মেট্রোরেলের র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস দুই ধরনের কার্ডেই করা যাবে রিচার্জ। নগদের মাধ্যমে যাত্রীরা এই দুই ধরনের কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।
মেট্রোরেলে কার্ড রিচার্জ করতে যাত্রীদের প্রথমে র্যাপিড পাস-এর ওয়েবসাইট (www.rapidpass.com.bd) বা অ্যাপে যেতে হবে। র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা না থাকলে কার্ড রেজিস্ট্রেশন অপশনে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে। এরপর গ্রাহকের কার্ডটির তথ্য দিয়ে কার্ডটি নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
নিবন্ধনের পর সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন সম্পন্ন হলে যাত্রীরা তাঁদের প্রয়োজনীয় কার্ড নির্বাচন করে রিচার্জের অঙ্ক নির্বাচন করবেন। এরপর মোবাইল ব্যাংকিং অপশনে ক্লিক করে নগদ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। পরবর্তীতে আবারও রিচার্জের জন্য নগদ গ্রাহকেরা নগদ ওয়ালেট নম্বরটি সেভ করে রাখতে পারবেন। ফলে বারবার আর নম্বর দিতে হবে না। অপশন নির্বাচনের পর নগদ নম্বর প্রদান করতে হবে এবং মেসেজে পাওয়া ওটিপি প্রদান করে ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড প্রদান করলে কার্ড রিচার্জ সম্পন্ন হবে।
অনলাইন রিচার্জের পর স্টেশনে থাকা অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম)-এ কার্ডটি ট্যাপ করে রিচার্জকৃত ব্যালেন্স যুক্ত করতে হবে। রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস চলে যাবে। একটি কার্ডে একবারে ১০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
১৮ মিনিট আগে
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১৮ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১ দিন আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজারে বাংলাদেশের অংশ এখনো মাত্র ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ সাড়ে ৫ শতাংশ।
এই অবস্থান আরও স্পষ্ট হয় ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায়। ইউরোপের তৈরি পোশাক আমদানির প্রায় অর্ধেকই আসে বাংলাদেশ থেকে, আর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও শীর্ষ সরবরাহকারীর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। তবু জাপানের মতো স্থিতিশীল ও উচ্চমূল্যের বাজারে বাংলাদেশ এখনো ব্যবহৃত সুযোগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে—এখানে এখনো বড় জায়গা খালি রয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যও সেই সম্ভাবনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ২০২৪ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার; যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জাপান এখন বাংলাদেশের ১২তম রপ্তানি গন্তব্য।
তবে চলতি অর্থবছরের গত কয়েক মাসের প্রবণতা বাজারের পরিবর্তন আরও স্পষ্ট করে। ইপিবির সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাপানে রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ২০ হাজার ডলার। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। অস্ট্রেলিয়া এ সময়ে দ্বিতীয় বৃহৎ অপ্রচলিত বাজার হলেও সেখানে রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। ফলে জাপান এখন অপ্রচলিত রপ্তানি বাজারে সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা গন্তব্য হিসেবে সামনে আসছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান হাসান আরিফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও স্থিতিশীল একটি বাজার হলো জাপান। সরকারের পর্যালোচনায়ও বিষয়টি রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগাতে আগামী জানুয়ারির মধ্যে আমরা দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি, যা সম্পন্ন হলে রপ্তানি আশানুরূপ বাড়ানো সম্ভব হবে।’
জাপানের এই উত্থান কাকতাল নয়। রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ-ঝুঁকি ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ায় আমদানিকারকেরা নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন। আর জাপান এমন একটি বাজার, যেখানে মূল্য-সুবিধার পাশাপাশি গুণগত মান, কঠোর কমপ্লায়েন্স এবং দ্রুত বদলে যাওয়া ফ্যাশন-চাহিদার প্রতি গুরুত্ব বেশি। এসব মানদণ্ড পূরণ করতে পারলে বাজারটি দীর্ঘমেয়াদি ও নিশ্চিত প্রবৃদ্ধির সুযোগ দেয়।
কিন্তু এখানেই চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট। জাপানি ক্রেতারা ছোট পরিমাণের অর্ডার দেন, মূল্য নিয়ে আগাম ছাড় পাওয়া সহজ নয়, আর প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ কমপ্লায়েন্স অপরিহার্য। এ বিষয়ে দেশের অন্যতম প্রস্তুতকারক টিম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল নকিব জানান, ‘অর্ডারের কঠোর ইন্সপেকশন বাংলাদেশে জাপানের অর্ডার ধরার সবচেয়ে বড় বাধা। মান নিশ্চিত না হলে তারা একটিও পণ্য নেয় না।’
এই কঠোরতা একদিকে বাধা, আবার অন্যদিকে সুবিধা। কারণ যে প্রতিষ্ঠান একবার জাপানের মান ধরে রাখতে পারে, তাদের জন্য বাজারটি স্থিতিশীল থাকে। জাপানি ব্র্যান্ডগুলো সরবরাহকারী খুব সহজে বদলায় না, ফলে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল মনে করেন, বৈশ্বিক উত্তেজনার এই সময়ে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াতে পারলে অপ্রচলিত বাজারগুলোই ভবিষ্যতের বড় নিরাপত্তা হয়ে উঠবে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
১৮ মিনিট আগে
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগে
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

আট দিনব্যাপী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় ১৫ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। পণ্য বিক্রির পাশাপাশি ১৬ কোটি টাকার পণ্যের অর্ডার পেয়েছেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত ইয়াসমিন ও ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুমী এ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এর আগে ১১টি জাতীয় এসএমই পণ্য মেলায় প্রায় ৩ হাজার উদ্যোক্তা তাঁদের পণ্য বিক্রি করেছেন। ১১টি পণ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের ৫৭ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি এবং প্রায় ৯৩ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণকারী ১০টি প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ স্টলের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ছয় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার–২০২৫’ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীদের প্রত্যেকের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেওয়া হয়।
শতভাগ দেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় এই আয়োজন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ডিসেম্বর মেলার উদ্বোধন করেন শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে প্রায় সাড়ে তিন শ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৪টি প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া হস্ত ও কারুশিল্পের ৫৪টি, পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য খাতের ৪০টি; পাটজাত পণ্যের ৩৫টি; কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের ২৮টি; শতরঞ্জি, বাঁশ, বেত, হোগলা, সুপারিখোল ও কাঠের ১৫টি; খাদ্যপণ্যের ১৪টি; লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের ১৩টি; জুয়েলারি শিল্পের ৯টি; প্রসাধন খাতের সাতটি; তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা খাতের পাঁচটি; হারবাল–ভেষজশিল্পের পাঁচটি; প্লাস্টিক পণ্যের পাঁচটি; ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস খাতের তিনটি, ফার্নিচার খাতের তিনটি এবং অন্যান্য খাতের ১১টি স্টল।
মেলায় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের আটটি দপ্তর-সংস্থাসহ সরকারের প্রায় ১৫টি সংস্থা, প্রায় ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মেলায় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন, পণ্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও পণ্যের হালাল সনদ প্রাপ্তি, পেটেন্ট, শিল্প নকশা, ট্রেড মার্ক ও জি আই স্বীকৃতি, স্কিলস ইকোসিস্টেম বিষয়ে ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২ টাকা ৯৮ পয়সা। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে ৮০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে সার সংরক্ষণের জন্য বাফার গুদাম নির্মাণ, পটুয়াখালীর রাবনাবাদ...
১৮ মিনিট আগে
নগদ নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সুবিধা। মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করতে এখন কোনো যাত্রীকে লাইনে দাঁড়াতে বা ভোগান্তি পোহাতে হবে না। ঘরে বসে নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে মুহূর্তে মেট্রোরেল কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগে
ইউরোপ-আমেরিকার ওপর দীর্ঘদিনের নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার তাগিদ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা বাড়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নতুন বাজার খুঁজছে, আর সেই অপ্রচলিত গন্তব্যগুলোর মধ্যে জাপান সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে। অথচ দেশটির ২২ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলারের বিশাল পোশাক আমদানি বাজ
১৮ ঘণ্টা আগে