উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এরই মধ্যে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে নানামুখী প্রচারের পাশাপাশি মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়েও পেনশন নিয়ে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরেও সর্বস্তরের জনগণকে পেনশন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার। সেদিন প্রাথমিকভাবে চারটি স্কিম চালু করা হয়। পরে চালু করা হয় আরেকটি। স্কিমগুলো হলো–প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রত্যয়। ‘প্রবাস’ শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’। কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমারসহ স্বকর্মে নিয়োজিত মানুষের জন্য ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ হলো নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য। এসব স্কিমে আজীবন পেনশন-সুবিধা পেতে ন্যূনতম ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হবে। তবে কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে চাঁদা দিলে তাঁকে ৪২ বছর দিতে হবে। সর্বশেষ চালু করা স্কিম প্রত্যয় সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য।
চালু হওয়া স্কিমগুলোয় ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে অনুযায়ী সাড়া মিলছে না। স্কিম চালুর ছয় মাসে যত মানুষ হিসাব খুলেছে, তা লক্ষ্যের ১ শতাংশেরও কম। পেনশন স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণ কম হওয়ায় চাঁদাও জমা পড়ছে কম। যদিও পেনশন তহবিলের চাঁদা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পেনশন স্কিমে চাঁদা কম জমা পড়ায় সেখান থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা পাচ্ছে না সরকার। জানা গেছে, গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হওয়া ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শুরুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলেও স্কিম চালুর পর সেই আগ্রহে ভাটা পড়ার মূল কারণ আস্থার সংকট। এ অবস্থায় মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি। সরকার এখন তা নিয়ে কাজ করছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর ছয় মাস পূর্তি হয়েছে ১৭ মার্চ। এর পরদিন ১৮ মার্চ এক পরিপত্রে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ২২ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যার মধ্যে ১৪টিই ছিল পেনশন সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ নিয়ে। বাকি নির্দেশনাগুলোর পাঁচটি নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে এবং তিনটি ছিল মনিটরিং-সংক্রান্ত।
উদ্বুদ্ধকরণ-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোয় পেনশন স্কিম সম্পর্কে সর্বাত্মক প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও আগ্রহী করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। হাটবাজার, গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ মেলা প্রভৃতি জায়গায় জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিজ্ঞাপন, জিঙ্গেল, ভিডিও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে প্রয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত আলাদা ডেস্ক স্থাপন এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পরিপত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতন করে তাদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে স্থানীয় কেব্ল টিভি নেটওয়ার্কে টিভি স্ক্রল প্রদর্শন, সিনেমা হলগুলোতে শো শুরু হওয়ার আগে এবং মধ্যবিরতিতে ভিডিও প্রদর্শনের নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। একইভাবে দেশের মসজিদগুলোতে এখন থেকে জুমার খুতবায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বয়ান এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও পুরোহিতদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ক্যাম্পেইন হিসাবে এই উদ্যোগ যথেষ্ট ব্যাপক ও সুচিন্তিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনকে মোটিভেশনে পরিণত করা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব সৃষ্টি করা। সেই উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইনে তৃণমূল থেকে যে ফিডব্যাক পাওয়া যাবে, সেগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
শুধু প্রচার নয়, মানুষ যাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সহজে নিবন্ধিত হতে পারে, সে জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত করে তোলা, সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই যেন জনগণ বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারে, তার সব ব্যবস্থা রাখা এবং ডাক বিভাগের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের আউটলেটের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর শাখা ফ্রন্ট অফিস হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও অর্থ জমা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ভ্রাম্যমাণ বুথের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
পেনশন স্কিমের কার্যক্রম নজরদারির বিষয়েও তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে জাতীয় বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন নিজস্ব সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় যথাপদ্ধতিতে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথোপযুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো চালুসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এরই মধ্যে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে নানামুখী প্রচারের পাশাপাশি মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়েও পেনশন নিয়ে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরেও সর্বস্তরের জনগণকে পেনশন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার। সেদিন প্রাথমিকভাবে চারটি স্কিম চালু করা হয়। পরে চালু করা হয় আরেকটি। স্কিমগুলো হলো–প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রত্যয়। ‘প্রবাস’ শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’। কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমারসহ স্বকর্মে নিয়োজিত মানুষের জন্য ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ হলো নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য। এসব স্কিমে আজীবন পেনশন-সুবিধা পেতে ন্যূনতম ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হবে। তবে কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে চাঁদা দিলে তাঁকে ৪২ বছর দিতে হবে। সর্বশেষ চালু করা স্কিম প্রত্যয় সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য।
চালু হওয়া স্কিমগুলোয় ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে অনুযায়ী সাড়া মিলছে না। স্কিম চালুর ছয় মাসে যত মানুষ হিসাব খুলেছে, তা লক্ষ্যের ১ শতাংশেরও কম। পেনশন স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণ কম হওয়ায় চাঁদাও জমা পড়ছে কম। যদিও পেনশন তহবিলের চাঁদা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পেনশন স্কিমে চাঁদা কম জমা পড়ায় সেখান থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা পাচ্ছে না সরকার। জানা গেছে, গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হওয়া ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শুরুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলেও স্কিম চালুর পর সেই আগ্রহে ভাটা পড়ার মূল কারণ আস্থার সংকট। এ অবস্থায় মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি। সরকার এখন তা নিয়ে কাজ করছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর ছয় মাস পূর্তি হয়েছে ১৭ মার্চ। এর পরদিন ১৮ মার্চ এক পরিপত্রে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ২২ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যার মধ্যে ১৪টিই ছিল পেনশন সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ নিয়ে। বাকি নির্দেশনাগুলোর পাঁচটি নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে এবং তিনটি ছিল মনিটরিং-সংক্রান্ত।
উদ্বুদ্ধকরণ-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোয় পেনশন স্কিম সম্পর্কে সর্বাত্মক প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও আগ্রহী করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। হাটবাজার, গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ মেলা প্রভৃতি জায়গায় জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিজ্ঞাপন, জিঙ্গেল, ভিডিও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে প্রয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত আলাদা ডেস্ক স্থাপন এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পরিপত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতন করে তাদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে স্থানীয় কেব্ল টিভি নেটওয়ার্কে টিভি স্ক্রল প্রদর্শন, সিনেমা হলগুলোতে শো শুরু হওয়ার আগে এবং মধ্যবিরতিতে ভিডিও প্রদর্শনের নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। একইভাবে দেশের মসজিদগুলোতে এখন থেকে জুমার খুতবায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বয়ান এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও পুরোহিতদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ক্যাম্পেইন হিসাবে এই উদ্যোগ যথেষ্ট ব্যাপক ও সুচিন্তিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনকে মোটিভেশনে পরিণত করা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব সৃষ্টি করা। সেই উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইনে তৃণমূল থেকে যে ফিডব্যাক পাওয়া যাবে, সেগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
শুধু প্রচার নয়, মানুষ যাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সহজে নিবন্ধিত হতে পারে, সে জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত করে তোলা, সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই যেন জনগণ বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারে, তার সব ব্যবস্থা রাখা এবং ডাক বিভাগের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের আউটলেটের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর শাখা ফ্রন্ট অফিস হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও অর্থ জমা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ভ্রাম্যমাণ বুথের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
পেনশন স্কিমের কার্যক্রম নজরদারির বিষয়েও তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে জাতীয় বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন নিজস্ব সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় যথাপদ্ধতিতে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথোপযুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো চালুসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এরই মধ্যে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে নানামুখী প্রচারের পাশাপাশি মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়েও পেনশন নিয়ে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরেও সর্বস্তরের জনগণকে পেনশন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার। সেদিন প্রাথমিকভাবে চারটি স্কিম চালু করা হয়। পরে চালু করা হয় আরেকটি। স্কিমগুলো হলো–প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রত্যয়। ‘প্রবাস’ শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’। কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমারসহ স্বকর্মে নিয়োজিত মানুষের জন্য ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ হলো নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য। এসব স্কিমে আজীবন পেনশন-সুবিধা পেতে ন্যূনতম ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হবে। তবে কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে চাঁদা দিলে তাঁকে ৪২ বছর দিতে হবে। সর্বশেষ চালু করা স্কিম প্রত্যয় সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য।
চালু হওয়া স্কিমগুলোয় ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে অনুযায়ী সাড়া মিলছে না। স্কিম চালুর ছয় মাসে যত মানুষ হিসাব খুলেছে, তা লক্ষ্যের ১ শতাংশেরও কম। পেনশন স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণ কম হওয়ায় চাঁদাও জমা পড়ছে কম। যদিও পেনশন তহবিলের চাঁদা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পেনশন স্কিমে চাঁদা কম জমা পড়ায় সেখান থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা পাচ্ছে না সরকার। জানা গেছে, গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হওয়া ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শুরুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলেও স্কিম চালুর পর সেই আগ্রহে ভাটা পড়ার মূল কারণ আস্থার সংকট। এ অবস্থায় মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি। সরকার এখন তা নিয়ে কাজ করছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর ছয় মাস পূর্তি হয়েছে ১৭ মার্চ। এর পরদিন ১৮ মার্চ এক পরিপত্রে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ২২ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যার মধ্যে ১৪টিই ছিল পেনশন সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ নিয়ে। বাকি নির্দেশনাগুলোর পাঁচটি নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে এবং তিনটি ছিল মনিটরিং-সংক্রান্ত।
উদ্বুদ্ধকরণ-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোয় পেনশন স্কিম সম্পর্কে সর্বাত্মক প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও আগ্রহী করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। হাটবাজার, গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ মেলা প্রভৃতি জায়গায় জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিজ্ঞাপন, জিঙ্গেল, ভিডিও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে প্রয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত আলাদা ডেস্ক স্থাপন এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পরিপত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতন করে তাদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে স্থানীয় কেব্ল টিভি নেটওয়ার্কে টিভি স্ক্রল প্রদর্শন, সিনেমা হলগুলোতে শো শুরু হওয়ার আগে এবং মধ্যবিরতিতে ভিডিও প্রদর্শনের নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। একইভাবে দেশের মসজিদগুলোতে এখন থেকে জুমার খুতবায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বয়ান এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও পুরোহিতদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ক্যাম্পেইন হিসাবে এই উদ্যোগ যথেষ্ট ব্যাপক ও সুচিন্তিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনকে মোটিভেশনে পরিণত করা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব সৃষ্টি করা। সেই উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইনে তৃণমূল থেকে যে ফিডব্যাক পাওয়া যাবে, সেগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
শুধু প্রচার নয়, মানুষ যাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সহজে নিবন্ধিত হতে পারে, সে জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত করে তোলা, সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই যেন জনগণ বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারে, তার সব ব্যবস্থা রাখা এবং ডাক বিভাগের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের আউটলেটের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর শাখা ফ্রন্ট অফিস হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও অর্থ জমা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ভ্রাম্যমাণ বুথের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
পেনশন স্কিমের কার্যক্রম নজরদারির বিষয়েও তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে জাতীয় বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন নিজস্ব সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় যথাপদ্ধতিতে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথোপযুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো চালুসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এরই মধ্যে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে নানামুখী প্রচারের পাশাপাশি মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয়েও পেনশন নিয়ে আলোচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের বাইরেও সর্বস্তরের জনগণকে পেনশন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার জন্য গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে সর্বজনীন পেনশন চালু করে সরকার। সেদিন প্রাথমিকভাবে চারটি স্কিম চালু করা হয়। পরে চালু করা হয় আরেকটি। স্কিমগুলো হলো–প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রত্যয়। ‘প্রবাস’ শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’। কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমারসহ স্বকর্মে নিয়োজিত মানুষের জন্য ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ হলো নিম্ন আয়ের অসচ্ছল মানুষের জন্য। এসব স্কিমে আজীবন পেনশন-সুবিধা পেতে ন্যূনতম ১০ বছর নির্দিষ্ট হারে চাঁদা দিতে হবে। তবে কেউ ১৮ বছর বয়স থেকে চাঁদা দিলে তাঁকে ৪২ বছর দিতে হবে। সর্বশেষ চালু করা স্কিম প্রত্যয় সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য।
চালু হওয়া স্কিমগুলোয় ১০ কোটি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নেয় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে অনুযায়ী সাড়া মিলছে না। স্কিম চালুর ছয় মাসে যত মানুষ হিসাব খুলেছে, তা লক্ষ্যের ১ শতাংশেরও কম। পেনশন স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণ কম হওয়ায় চাঁদাও জমা পড়ছে কম। যদিও পেনশন তহবিলের চাঁদা থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। পেনশন স্কিমে চাঁদা কম জমা পড়ায় সেখান থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী টাকা পাচ্ছে না সরকার। জানা গেছে, গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা হওয়া ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শুরুতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলেও স্কিম চালুর পর সেই আগ্রহে ভাটা পড়ার মূল কারণ আস্থার সংকট। এ অবস্থায় মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরানোর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি। সরকার এখন তা নিয়ে কাজ করছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর ছয় মাস পূর্তি হয়েছে ১৭ মার্চ। এর পরদিন ১৮ মার্চ এক পরিপত্রে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ২২ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, যার মধ্যে ১৪টিই ছিল পেনশন সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণ নিয়ে। বাকি নির্দেশনাগুলোর পাঁচটি নিবন্ধন কার্যক্রম নিয়ে এবং তিনটি ছিল মনিটরিং-সংক্রান্ত।
উদ্বুদ্ধকরণ-সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলোয় পেনশন স্কিম সম্পর্কে সর্বাত্মক প্রচারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও আগ্রহী করতে বিভিন্ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা, উদ্বুদ্ধকরণ মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। হাটবাজার, গ্রোথ সেন্টার, গ্রামীণ মেলা প্রভৃতি জায়গায় জেলা ও উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিজ্ঞাপন, জিঙ্গেল, ভিডিও নিয়মিত প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে প্রয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত আলাদা ডেস্ক স্থাপন এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দাপ্তরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পরিপত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে সচেতন করে তাদের মাধ্যমে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা লিখন প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে স্থানীয় কেব্ল টিভি নেটওয়ার্কে টিভি স্ক্রল প্রদর্শন, সিনেমা হলগুলোতে শো শুরু হওয়ার আগে এবং মধ্যবিরতিতে ভিডিও প্রদর্শনের নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। একইভাবে দেশের মসজিদগুলোতে এখন থেকে জুমার খুতবায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বয়ান এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও পুরোহিতদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘ক্যাম্পেইন হিসাবে এই উদ্যোগ যথেষ্ট ব্যাপক ও সুচিন্তিত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই ক্যাম্পেইনকে মোটিভেশনে পরিণত করা, অর্থাৎ সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থার মনোভাব সৃষ্টি করা। সেই উদ্দেশ্যে এই ক্যাম্পেইনে তৃণমূল থেকে যে ফিডব্যাক পাওয়া যাবে, সেগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।’
শুধু প্রচার নয়, মানুষ যাতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সহজে নিবন্ধিত হতে পারে, সে জন্য পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত করে তোলা, সব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকেই যেন জনগণ বিভিন্ন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারে, তার সব ব্যবস্থা রাখা এবং ডাক বিভাগের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের আউটলেটের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংকগুলোর শাখা ফ্রন্ট অফিস হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের নিবন্ধন ও অর্থ জমা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যার উদ্ভব হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রয়োজনে সময়ে সময়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও ভ্রাম্যমাণ বুথের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নিবন্ধন-সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতার উদ্ভব হলে তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করতে হবে।
পেনশন স্কিমের কার্যক্রম নজরদারির বিষয়েও তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে জাতীয় বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা যেন নিজস্ব সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনায় যথাপদ্ধতিতে সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যথোপযুক্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো চালুসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১০ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নাগরিকদের সাড়া নেই। প্রত্যাশা অনুযায়ী জমা পড়ছে না চাঁদা। স্কিম চালুর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ হাজার মানুষ হিসাব খুলেছেন। এ অবস্থায় পেনশন স্কিমে সর্বস্তরের জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার। এ জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে প্রচারে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্র
২৭ মার্চ ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে