কামরুল হাসান

অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের কাছে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে যাওয়া-আসাটা ডালভাতের মতো। কাজে- অকাজে প্রায়ই যেতে হয়। অনেকে সেখানে দীর্ঘ সময়ও কাটান। কিন্তু পুলিশ-সাংবাদিকের বাইরেও কিছু লোক মিন্টো রোডের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। সে রকমই একজন ছিলেন মোকাররম হোসেন দরদি। তিনি ঠিক কী করতেন, তা তখনো জানি না, তবে প্রায়ই তাঁকে ডিবি অফিসে দেখতাম; বিশেষ করে এসি আকরাম হোসেনের (রুবেল হত্যা মামলার আসামি) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো। এসি আকরামের গাড়িতে তাঁকে ডিবি অফিসে ঢুকতে ও বেরোতে দেখা যেত। আকরামের কারণে অন্য কর্মকর্তারাও তাঁকে খুব সমীহ করতেন। আর সেই একই কারণে মোকাররম হোসেন দরদি কাউকে পাত্তা দিতেন না।
একদিন সকালে ডিবি অফিসে এক কর্মকর্তার রুমে বসে আছি, সেখানে ঢুকলেন মোকাররম হোসেন দরদি। সেই কর্মকর্তা তাঁকে খুব একটা পছন্দ করতেন না। আমি অনেকটা যেচেই মোকাররমের সঙ্গে পরিচিত হলাম। যাওয়ার সময় একটি ভিজিটিং কার্ড আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। দেখি, তিনি শাহজালাল কো-অপারেটিভ সোসাইটির এমডি। মোকাররম চলে যাওয়ার পর সেই কর্মকর্তা আমার হাতে অনেকগুলো ফটোকপি করা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, মোকাররম উত্তরার ছয় বিঘা জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছেন। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে আছেন বলে কেউ কিছু বলতে পারছে না। আমি কাগজগুলো হাতে নিয়ে বেরিয়ে এলাম।
তিন-চার দিন পর গেলাম সেই জমি দেখতে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক লাগোয়া উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের একটি খালি প্লট। এয়ারপোর্ট থেকে উত্তরার দিকে যেতে মাসকট প্লাজার ঠিক আগে ডান দিকে ছয় বিঘার প্লট। সামনের সাইনবোর্ডে লেখা শাহজালাল সুপার মার্কেট। চারদিক টিন দিয়ে ঘেরা। তার ভেতরে ছোট ছোট দোকান বানানো হচ্ছে। টিনের শব্দে কান পাতা দায়। সব দোকানের আকার প্রায় একই রকম। অবস্থা দেখে মনে হলো, সাংবাদিক পরিচয়ে গেলে কাজ হবে না। তার চেয়ে দোকানের ক্রেতা সেজে কথা বললে মন্দ হয় না। একজনের কাছে গেলাম ক্রেতা সেজে। তিনি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখালেন আর বললেন, এখানে ৫১৮টি টিনশেড দোকান হবে। এক মাসের মধ্যে সব হস্তান্তর করা হবে।
প্রতি দোকানের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে, বুকিংয়ের জন্য এখনই দিতে হবে দেড় লাখ টাকা। তাঁর বক্তব্য হলো, দোকানের বরাদ্দ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে যা পাওয়ার পেয়ে গেলাম। আমার দরকার এর সঙ্গে কারা জড়িত, তা জানা। লোকটাকে বললাম, ভাই, এত টাকা বিনিয়োগ করব, মালিক কারা জানতে হবে। তিনি আমাকে নিয়ে পাশের একটি ভবনের নিচতলায় গেলেন। সেখানে আরও কয়েকজন বসে ছিলেন। তাঁদের একজনকে ম্যানেজার বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন। সেই ম্যানেজার আমাকে নানা প্রশ্ন করার পর কিছু কাগজ দিলেন। দেখি সেই কাগজে শাহজালাল কো-অপারেটিভ সোসাইটির শেয়ারহোল্ডারদের নাম-পরিচয় আছে। প্রথম নামটি দীপু চৌধুরী, পিতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এরপরে আছেন মোকাররম হোসেন দরদি। আছে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রী ও পুত্রের নাম। ম্যানেজার আমাকে বললেন, এর মধ্যে ৩০ কোটি টাকার দোকান বিক্রি হয়ে গেছে। আমি বললাম, ভাই, এটা নাকি সরকারি জমি। তিনি আমাকে ধমকের সুরে বললেন, কারা আছে দেখছেন না? কেউ কিছু করতে পারব?
যে জমিতে দোকানগুলো উঠছে, তার একটু দূরেই রাজউকের উত্তরা কার্যালয়, গেলাম সেখানে। এক কর্মকর্তা সব ধরনের সহযোগিতা করে বললেন, আপনারা লিখলে কাজ হবে। তথ্যপ্রমাণগুলো জোগাড়ের পর ফোন দিলাম দীপু চৌধুরীকে। বললেন, সব দেখাশোনা করছেন মোকাররম হোসেন দরদি, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। মোকাররম হোসেন দরদিকে ফোন দিতেই তিনি যা বললেন, তা আর না বলি। পরদিন ২০০০ সালের ৫ জুন প্রথম পাতায় ঢাউস করে ছাপা হলো, ‘গায়ের জোরে দখল করে নেওয়া উত্তরার ছ’ বিঘা জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে বিশাল মার্কেট’। সেই খবর প্রকাশের পর সকাল থেকে শুরু হলো ‘মধুর’ অত্যাচার। পরিচিত দু-একজন ফোন করে বললেন, কাজটা ঠিক হয়নি।
সেদিন সকাল থেকে ভয়ে ভয়ে আছি। ফোনও ধরছি নম্বর দেখে দেখে। এর মধ্যে দুপুরের দিকে একজন ফোন করে বকাঝকা করলেন, ভয়ও দেখালেন। ভয় অবশ্য তেমন পাইনি, কিন্তু মনে হলো, আজ আর অন্য কোথাও যাওয়া ঠিক হবে না। মিন্টো রোডের জনসংযোগ শাখা থেকে বেরিয়ে সোজা চলে এলাম ইস্কাটনে, জনকণ্ঠ অফিসে। মোটরসাইকেল পার্ক করে নিউজরুমে উঠে দেখি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাসির আহমেদের তিনটি মিসড কল। ফিরতি কল করতেই বললেন, এক্ষুনি মন্ত্রণালয়ে চলে আসেন, মন্ত্রী আপনাকে খুঁজছেন। এবার সত্যিই একটু ভয় পেলাম।
জনকণ্ঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিট করতেন আহমেদ দীপু। আমি শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশটুকু দেখতাম। আর অগ্রজ সাংবাদিক ওবায়দুল কবীর করতেন আওয়ামী লীগ বিট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে তাঁর অনেক ভাব। আমাকে মন্ত্রীর খোঁজ করার বিষয়টি তাঁকে জানাতেই বললেন, চলে যান, ভয় নেই। রাজনীতির জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের অসীম স্নেহ করতেন, কিন্তু ভুলত্রুটি পেলে ধোলাই দিতেও ছাড়তেন না। আমি যখন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালাম, দেখি তিনি দলবল নিয়ে গাড়িতে উঠছেন। আমাকে দেখে বললেন, ...ওই মিয়া, এত দেরি করলা, চলো। কোথায় যাব তা আর জিজ্ঞাসা না করেই মন্ত্রীর গাড়ির পেছনে ছুটতে শুরু করলাম।
সচিবালয় থেকে বেরিয়ে আমরা চলেছি ফার্মগেটের দিকে, এরপর এয়ারপোর্ট রোড ধরে বিমানবন্দরের দিকে। ধীরে ধীরে সাহস বাড়ছে। মন ভালো হয়ে যাচ্ছে। আমার আর বুঝতে বাকি থাকল না যে খবর প্রকাশের কারণে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তিনি তার শেষ দেখতে যাচ্ছেন। মন্ত্রীর বহর এসে থামল ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক লাগোয়া উত্তরার সেই প্লটের কাছে। আমি মনে করেছিলাম, মন্ত্রী আমাকে নিয়ে নিজে অবস্থা দেখতে এসেছেন। কিন্তু এখানে এসে দেখি এলাহি কাণ্ড। আগে থেকেই রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট এবং অনেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। সঙ্গে তিনটা বুলডোজার। মন্ত্রী আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো ‘ধ্বংসযজ্ঞ’। তিন দিক থেকে তিনটি বুলডোজার চোখের পলকে গুঁড়িয়ে দিল পুরো মার্কেট। এক ঘণ্টার মধ্যে উন্মুক্ত মাঠ আবার আলো-বাতাসের মুখ দেখল।
উচ্ছেদ অভিযান শেষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ডেকে বললেন, ফলোআপটা ভালো কইরা কইরো। আমি বললাম, জি, আচ্ছা। ততক্ষণে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মোটরসাইকেল টান দিলাম অফিসের উদ্দেশে।
এখনো উত্তরার দিকে গেলে সেই জমিটার দিকে তাকাই। জমিটা ফাঁকাই আছে। শুধু সিটি করপোরেশন আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য একটি দোতলা টিনের ঘর বানিয়েছে। সরকারি জমি দখল এখনো হয়, উচ্ছেদও হয়। কিন্তু সবই হয় লোকদেখানো। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখি, যথা পূর্বং তথা পরম্।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের কাছে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে যাওয়া-আসাটা ডালভাতের মতো। কাজে- অকাজে প্রায়ই যেতে হয়। অনেকে সেখানে দীর্ঘ সময়ও কাটান। কিন্তু পুলিশ-সাংবাদিকের বাইরেও কিছু লোক মিন্টো রোডের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। সে রকমই একজন ছিলেন মোকাররম হোসেন দরদি। তিনি ঠিক কী করতেন, তা তখনো জানি না, তবে প্রায়ই তাঁকে ডিবি অফিসে দেখতাম; বিশেষ করে এসি আকরাম হোসেনের (রুবেল হত্যা মামলার আসামি) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল চোখে পড়ার মতো। এসি আকরামের গাড়িতে তাঁকে ডিবি অফিসে ঢুকতে ও বেরোতে দেখা যেত। আকরামের কারণে অন্য কর্মকর্তারাও তাঁকে খুব সমীহ করতেন। আর সেই একই কারণে মোকাররম হোসেন দরদি কাউকে পাত্তা দিতেন না।
একদিন সকালে ডিবি অফিসে এক কর্মকর্তার রুমে বসে আছি, সেখানে ঢুকলেন মোকাররম হোসেন দরদি। সেই কর্মকর্তা তাঁকে খুব একটা পছন্দ করতেন না। আমি অনেকটা যেচেই মোকাররমের সঙ্গে পরিচিত হলাম। যাওয়ার সময় একটি ভিজিটিং কার্ড আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। দেখি, তিনি শাহজালাল কো-অপারেটিভ সোসাইটির এমডি। মোকাররম চলে যাওয়ার পর সেই কর্মকর্তা আমার হাতে অনেকগুলো ফটোকপি করা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, মোকাররম উত্তরার ছয় বিঘা জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছেন। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে আছেন বলে কেউ কিছু বলতে পারছে না। আমি কাগজগুলো হাতে নিয়ে বেরিয়ে এলাম।
তিন-চার দিন পর গেলাম সেই জমি দেখতে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক লাগোয়া উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের একটি খালি প্লট। এয়ারপোর্ট থেকে উত্তরার দিকে যেতে মাসকট প্লাজার ঠিক আগে ডান দিকে ছয় বিঘার প্লট। সামনের সাইনবোর্ডে লেখা শাহজালাল সুপার মার্কেট। চারদিক টিন দিয়ে ঘেরা। তার ভেতরে ছোট ছোট দোকান বানানো হচ্ছে। টিনের শব্দে কান পাতা দায়। সব দোকানের আকার প্রায় একই রকম। অবস্থা দেখে মনে হলো, সাংবাদিক পরিচয়ে গেলে কাজ হবে না। তার চেয়ে দোকানের ক্রেতা সেজে কথা বললে মন্দ হয় না। একজনের কাছে গেলাম ক্রেতা সেজে। তিনি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখালেন আর বললেন, এখানে ৫১৮টি টিনশেড দোকান হবে। এক মাসের মধ্যে সব হস্তান্তর করা হবে।
প্রতি দোকানের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে, বুকিংয়ের জন্য এখনই দিতে হবে দেড় লাখ টাকা। তাঁর বক্তব্য হলো, দোকানের বরাদ্দ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে যা পাওয়ার পেয়ে গেলাম। আমার দরকার এর সঙ্গে কারা জড়িত, তা জানা। লোকটাকে বললাম, ভাই, এত টাকা বিনিয়োগ করব, মালিক কারা জানতে হবে। তিনি আমাকে নিয়ে পাশের একটি ভবনের নিচতলায় গেলেন। সেখানে আরও কয়েকজন বসে ছিলেন। তাঁদের একজনকে ম্যানেজার বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন। সেই ম্যানেজার আমাকে নানা প্রশ্ন করার পর কিছু কাগজ দিলেন। দেখি সেই কাগজে শাহজালাল কো-অপারেটিভ সোসাইটির শেয়ারহোল্ডারদের নাম-পরিচয় আছে। প্রথম নামটি দীপু চৌধুরী, পিতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। এরপরে আছেন মোকাররম হোসেন দরদি। আছে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রী ও পুত্রের নাম। ম্যানেজার আমাকে বললেন, এর মধ্যে ৩০ কোটি টাকার দোকান বিক্রি হয়ে গেছে। আমি বললাম, ভাই, এটা নাকি সরকারি জমি। তিনি আমাকে ধমকের সুরে বললেন, কারা আছে দেখছেন না? কেউ কিছু করতে পারব?
যে জমিতে দোকানগুলো উঠছে, তার একটু দূরেই রাজউকের উত্তরা কার্যালয়, গেলাম সেখানে। এক কর্মকর্তা সব ধরনের সহযোগিতা করে বললেন, আপনারা লিখলে কাজ হবে। তথ্যপ্রমাণগুলো জোগাড়ের পর ফোন দিলাম দীপু চৌধুরীকে। বললেন, সব দেখাশোনা করছেন মোকাররম হোসেন দরদি, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। মোকাররম হোসেন দরদিকে ফোন দিতেই তিনি যা বললেন, তা আর না বলি। পরদিন ২০০০ সালের ৫ জুন প্রথম পাতায় ঢাউস করে ছাপা হলো, ‘গায়ের জোরে দখল করে নেওয়া উত্তরার ছ’ বিঘা জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে বিশাল মার্কেট’। সেই খবর প্রকাশের পর সকাল থেকে শুরু হলো ‘মধুর’ অত্যাচার। পরিচিত দু-একজন ফোন করে বললেন, কাজটা ঠিক হয়নি।
সেদিন সকাল থেকে ভয়ে ভয়ে আছি। ফোনও ধরছি নম্বর দেখে দেখে। এর মধ্যে দুপুরের দিকে একজন ফোন করে বকাঝকা করলেন, ভয়ও দেখালেন। ভয় অবশ্য তেমন পাইনি, কিন্তু মনে হলো, আজ আর অন্য কোথাও যাওয়া ঠিক হবে না। মিন্টো রোডের জনসংযোগ শাখা থেকে বেরিয়ে সোজা চলে এলাম ইস্কাটনে, জনকণ্ঠ অফিসে। মোটরসাইকেল পার্ক করে নিউজরুমে উঠে দেখি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাসির আহমেদের তিনটি মিসড কল। ফিরতি কল করতেই বললেন, এক্ষুনি মন্ত্রণালয়ে চলে আসেন, মন্ত্রী আপনাকে খুঁজছেন। এবার সত্যিই একটু ভয় পেলাম।
জনকণ্ঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিট করতেন আহমেদ দীপু। আমি শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশটুকু দেখতাম। আর অগ্রজ সাংবাদিক ওবায়দুল কবীর করতেন আওয়ামী লীগ বিট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে তাঁর অনেক ভাব। আমাকে মন্ত্রীর খোঁজ করার বিষয়টি তাঁকে জানাতেই বললেন, চলে যান, ভয় নেই। রাজনীতির জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের অসীম স্নেহ করতেন, কিন্তু ভুলত্রুটি পেলে ধোলাই দিতেও ছাড়তেন না। আমি যখন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছালাম, দেখি তিনি দলবল নিয়ে গাড়িতে উঠছেন। আমাকে দেখে বললেন, ...ওই মিয়া, এত দেরি করলা, চলো। কোথায় যাব তা আর জিজ্ঞাসা না করেই মন্ত্রীর গাড়ির পেছনে ছুটতে শুরু করলাম।
সচিবালয় থেকে বেরিয়ে আমরা চলেছি ফার্মগেটের দিকে, এরপর এয়ারপোর্ট রোড ধরে বিমানবন্দরের দিকে। ধীরে ধীরে সাহস বাড়ছে। মন ভালো হয়ে যাচ্ছে। আমার আর বুঝতে বাকি থাকল না যে খবর প্রকাশের কারণে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তিনি তার শেষ দেখতে যাচ্ছেন। মন্ত্রীর বহর এসে থামল ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক লাগোয়া উত্তরার সেই প্লটের কাছে। আমি মনে করেছিলাম, মন্ত্রী আমাকে নিয়ে নিজে অবস্থা দেখতে এসেছেন। কিন্তু এখানে এসে দেখি এলাহি কাণ্ড। আগে থেকেই রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট এবং অনেক পুলিশ দাঁড়িয়ে। সঙ্গে তিনটা বুলডোজার। মন্ত্রী আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো ‘ধ্বংসযজ্ঞ’। তিন দিক থেকে তিনটি বুলডোজার চোখের পলকে গুঁড়িয়ে দিল পুরো মার্কেট। এক ঘণ্টার মধ্যে উন্মুক্ত মাঠ আবার আলো-বাতাসের মুখ দেখল।
উচ্ছেদ অভিযান শেষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ডেকে বললেন, ফলোআপটা ভালো কইরা কইরো। আমি বললাম, জি, আচ্ছা। ততক্ষণে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। মোটরসাইকেল টান দিলাম অফিসের উদ্দেশে।
এখনো উত্তরার দিকে গেলে সেই জমিটার দিকে তাকাই। জমিটা ফাঁকাই আছে। শুধু সিটি করপোরেশন আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য একটি দোতলা টিনের ঘর বানিয়েছে। সরকারি জমি দখল এখনো হয়, উচ্ছেদও হয়। কিন্তু সবই হয় লোকদেখানো। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখি, যথা পূর্বং তথা পরম্।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের কাছে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে যাওয়া-আসাটা ডালভাতের মতো। কাজে- অকাজে প্রায়ই যেতে হয়। অনেকে সেখানে দীর্ঘ সময়ও কাটান। কিন্তু পুলিশ-সাংবাদিকের বাইরেও কিছু লোক মিন্টো রোডের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। সে রকমই একজন ছিলেন মোকাররম হোসেন
২৯ এপ্রিল ২০২৩
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের কাছে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে যাওয়া-আসাটা ডালভাতের মতো। কাজে- অকাজে প্রায়ই যেতে হয়। অনেকে সেখানে দীর্ঘ সময়ও কাটান। কিন্তু পুলিশ-সাংবাদিকের বাইরেও কিছু লোক মিন্টো রোডের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। সে রকমই একজন ছিলেন মোকাররম হোসেন
২৯ এপ্রিল ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের কাছে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে যাওয়া-আসাটা ডালভাতের মতো। কাজে- অকাজে প্রায়ই যেতে হয়। অনেকে সেখানে দীর্ঘ সময়ও কাটান। কিন্তু পুলিশ-সাংবাদিকের বাইরেও কিছু লোক মিন্টো রোডের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। সে রকমই একজন ছিলেন মোকাররম হোসেন
২৯ এপ্রিল ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

অপরাধবিষয়ক রিপোর্টারদের কাছে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে যাওয়া-আসাটা ডালভাতের মতো। কাজে- অকাজে প্রায়ই যেতে হয়। অনেকে সেখানে দীর্ঘ সময়ও কাটান। কিন্তু পুলিশ-সাংবাদিকের বাইরেও কিছু লোক মিন্টো রোডের আশপাশে ঘুরঘুর করেন। সে রকমই একজন ছিলেন মোকাররম হোসেন
২৯ এপ্রিল ২০২৩
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৩ দিন আগে