শিপুল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:
শিপুল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।
গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।
তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।
অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’
এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’
র্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।
গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।
তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।
অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’
এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’
র্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১৫ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত পরে...

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত পরে...

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
১৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১৯ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে