শিপুল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:
শিপুল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কী দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তার বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গতকাল শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে তার পড়ার বই, স্কুলের পোশাক, একমাত্র বাইসাইকেলসহ সবকিছু পুড়ে গেছে।
সাইফুলের মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘সব শ্যাষ। এক পোশাকে আছি। চিন্তাও করির পাওছি না, আইজ হামার কিছু নাই। সউগ ছাই। ছাওয়াটার কান্দোন থাকার পাওছি না। এই সাইকেল কোনাত চড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরত যায় প্রাইভেট পড়িছে। এ্যালা আর তাক পাবার নেয়। ওর বাপের সাইকেল কেনার সমর্থ্য নাই।’
সানির মতো ওই গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া তাসিফা আলী (১২) ও ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া আলিফ আলীরও (৮) বই, খাতা, কাপড়সহ সবকিছু পুড়ে গেছে। পোড়া ঘরে মায়ের সঙ্গে বসে তাঁরা পুড়ে যাওয়া বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছিল।
তাসিফা আলী বলে, ‘মায়ের সঙ্গে জলসাত আছনো। আইজ সকালে আসি দেখি সউগ পোড়া গেইছে। তোমরা কন তো এ্যালা কেমন করি পড়া পড়মো। হামার বইগুলো কেনে পুড়ি দেইল কন তো?’
তাসিফার মা বলেন, ‘শুধু সন্তানদের বই না। ঘরে থাকা জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড়সহ ঘরের সব পুড়ে গেছে। এক কাপড়ে আছি। হঠাৎ ধরা আগুন টের পাইলে কিছু বাঁচা যায়, আর মাইনসে যদিক ইচ্ছা করি আগুন দেয় তাক রক্ষা কেমনে করমেন। যারা হামার ঘর পোড়াইছে তার হামরা বিচার চাই।’
শুধু সানি আহমদ ও তাসিফা আলী নয়, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার বিক্ষুব্ধ জনতা আহমদনগর, ফুলতলা, সালসিড়ি এলাকার প্রায় ১৬০টি পরিবারের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে অর্ধশতাধিক শিশুর বইখাতা পুড়ে গেছে। প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছে পরিবারগুলো।
আজ শনিবার দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পঞ্চগড় সদরের চৌরঙ্গী মোড়, বকুলতলা, ধাক্কারমাড়ার মোড়, জালাসি মোড় এলাকা ঘুরে অন্তত ৩০ জন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জলসা বন্ধের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসককে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, তা যদি আমলে নিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসে জলসা বন্ধ করা যেত তাহলে আজ এই পরিস্থিতির হয়তো সৃষ্টি হতো না। প্রশাসনের অবহেলার ফলে এমনটি হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেন।
ফুলতলা গ্রামের গৃহবধূ তাজমহল বেগম বলেন, ‘পুলিশ থাকিও হামার ঘর পুড়িল। দেশের ভোটার হয়াও হামার নিরাপত্তা নাই। খুব ভয়ে আছি, ফির কখন হামলা চালায়, জানটা কাড়ি নেয়।’
বকুলতলা মোড়ে কথা হয় ফল ব্যবসায়ী জুলহাস রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশতো জলসা বন্ধই করিল। তা এই জলসা গন্ডগোলের আগোত বন্ধ করলে কী হইল। এতে সংঘর্ষও হইল না হয়, নিরীহ মানুষগুলার বাড়ি-ঘরও ভাঙিল না হয়। এ্যালা সউগ সময় আতঙ্কে আছি, কখন কী হয়। ব্যবসা করির পাওছি না।’
এই দাবি শুধু শহরের ফল ব্যবসায়ী জুলহাসের নয়; সাধারণ ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরও। আহমদনগরের বাসিন্দা আপন আহমদ (২৮) বলেন, ‘প্রশাসনের অবহেলার কারণে আজই এই দশা আমাদের। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে বলেই আমরা জলসা করেছি। অথচ পুলিশের সামনেই বাড়িঘর ভাঙল, আগুন লাগাল। ওদের একজন মারা গেছে, আমাদেরও একজন মারা গেছে। এখনো শঙ্কায় আছি কখন জানি হামলা করে।’
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা জোড়দার করতে পুলিশি টহল বাড়িয়েছি। পাশাপাশি মাঠে বিজিবি ও র্যাব রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হতে থাকেন। এরপর মিছিল বের করা হয়। আকস্মিকভাবে মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এতে দুজন নিহত এবং তিন পুলিশ সদস্য ও দুজন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা শহরের ধাক্কামারা এলাকায় গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয়টি ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁরা পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করেন এবং প্রতিষ্ঠানের মালামালে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৭ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৭ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

‘ক্যামন করি স্কুল যাব, কি দিয়া পড়া পড়ব। অ্যাসেম্বলিত ড্রেস ছাড়া কেমন করি দাঁড়াব। আমার যে সব আগুনে পুড়ে গেল।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে পুড়ে যাওয়া ঘরের বারান্দাতে পোড়া বাইসাইকেল হাতে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল সানি আহমদ। পঞ্চগড়ের ফুলতলা গ্রামে তাঁর বাড়ি। সে নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
০৪ মার্চ ২০২৩
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৭ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২৩ মিনিট আগে