বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১২ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
৩৭ মিনিট আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। সেখানে নড়বড়ে কয়েকটি বাঁশের ওপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির আশপাশে মাঠে লোকজন নতুন ফসল বপনের কাজ করছেন। কেউ কেউ গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। সেখানে বাঁশের ওপর কোনো রকমভাবে ভর দিয়ে রাখা খুঁটিটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, ‘আজ কী হয়েছে, সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, অনেক দিন ধরেই একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, যার একটি সুরাহা হতে চলেছে। আগামীকাল অফিশিয়ালি আমরা জানাবো।’
এর আগে আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। ডিনদের কেউ আজ নিজেদের বিভাগে ক্লাসে যাননি।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনকে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে থাকার নির্দেশ দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, ‘আজ কী হয়েছে, সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, অনেক দিন ধরেই একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, যার একটি সুরাহা হতে চলেছে। আগামীকাল অফিশিয়ালি আমরা জানাবো।’
এর আগে আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। ডিনদের কেউ আজ নিজেদের বিভাগে ক্লাসে যাননি।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনকে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে থাকার নির্দেশ দেন।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
৩৭ মিনিট আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। সেখানে নড়বড়ে কয়েকটি বাঁশের ওপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির আশপাশে মাঠে লোকজন নতুন ফসল বপনের কাজ করছেন। কেউ কেউ গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। সেখানে বাঁশের ওপর কোনো রকমভাবে ভর দিয়ে রাখা খুঁটিটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পোস্টে রাবির সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ লেখেন, ‘নিরাপত্তা না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া ও অন্যান্য একডেমিক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখিত। আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে আমার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া এবং প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে আটশত শিক্ষকের প্রতি ক্লাসরুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে কলার ধরে টেনে প্রশাসন ভবনের সামনে এনে বেঁধে রাখার অব্যাহত হুমকি দেয়া হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সকল শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
কাজী জাহিদ আরও লেখেন, ‘যেই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাল্লাহ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজী জাহিদ বলেন, ‘এভাবে জেনারেল নোটিশের মতো সংখ্যা উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার পর আমরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী সাত শতাধিক শিক্ষক যদি ফ্যাসিস্ট হয়, তাহলে সেখানে তো আমারও নাম আছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকই তো রাজনীতি করে। বর্তমান প্রশাসনে থাকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেভাবেই আমাদেরও নাম আছে।’ নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান কাজী জহিদ।
এর আগে গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা নমনীয়তা উৎপাদন করবে, আমরা তাদের জুতা খুলে মুখে মারব ইনশা আল্লাহ। রাবিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চাকরি করে, তাদের আগামী রোববার থেকে কলার ধরে টেনে টেনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখব।’
এ ছাড়া গতকাল শনিবার আম্মার এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকেরা যদি এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেক শিক্ষকই এভাবে নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পোস্টে রাবির সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ লেখেন, ‘নিরাপত্তা না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া ও অন্যান্য একডেমিক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখিত। আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে আমার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া এবং প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে আটশত শিক্ষকের প্রতি ক্লাসরুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে কলার ধরে টেনে প্রশাসন ভবনের সামনে এনে বেঁধে রাখার অব্যাহত হুমকি দেয়া হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সকল শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
কাজী জাহিদ আরও লেখেন, ‘যেই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাল্লাহ।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজী জাহিদ বলেন, ‘এভাবে জেনারেল নোটিশের মতো সংখ্যা উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার পর আমরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী সাত শতাধিক শিক্ষক যদি ফ্যাসিস্ট হয়, তাহলে সেখানে তো আমারও নাম আছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকই তো রাজনীতি করে। বর্তমান প্রশাসনে থাকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেভাবেই আমাদেরও নাম আছে।’ নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান কাজী জহিদ।
এর আগে গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা নমনীয়তা উৎপাদন করবে, আমরা তাদের জুতা খুলে মুখে মারব ইনশা আল্লাহ। রাবিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চাকরি করে, তাদের আগামী রোববার থেকে কলার ধরে টেনে টেনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখব।’
এ ছাড়া গতকাল শনিবার আম্মার এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকেরা যদি এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেক শিক্ষকই এভাবে নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১২ মিনিট আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। সেখানে নড়বড়ে কয়েকটি বাঁশের ওপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির আশপাশে মাঠে লোকজন নতুন ফসল বপনের কাজ করছেন। কেউ কেউ গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। সেখানে বাঁশের ওপর কোনো রকমভাবে ভর দিয়ে রাখা খুঁটিটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
১ ঘণ্টা আগেতালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার তালায় ফসল রক্ষার নামে বিষ মাখানো সরিষার বীজ ছিটিয়ে পাখিনিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষ মাখানো বীজ খেয়ে শতাধিক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মারা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামে একের পর এক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন অফিসার তন্ময় আচার্য্য।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তন্ময় আচার্য্য সাংবাদিকদের জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধমূলক ঘটনা। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বন্য প্রাণিনিধন আইনত দণ্ডনীয়। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৯ ডিসেম্বর হরিশ্চন্দ্রকাঠি বিলে সরিষা চাষের জন্য বীজ বপন করেন তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারী। পাখির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে বীজে বিষ মাখানো হয়। পরদিন ওই ক্ষেতে কবুতর ও ঘুঘু পাখির ব্যাপক বিচরণ লক্ষ করা যায়। এর পর থেকে একে একে পাখিগুলো অসুস্থ হয়ে মারা যেতে থাকে। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১০০টির বেশি কবুতর এবং একটি ঘুঘু পাখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত খাঁ ও হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের অনেক কবুতর মারা গেছে। এগুলো আমাদের শখ আর জীবিকার অংশ। এমন ক্ষতি আগে কখনো হয়নি।’
রহিমাবাদ গ্রামের আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারীকে ফোন করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল মজিদ বলেন, কাজটি ঠিক হয়নি।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটির বিষয়ে আমি শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাতক্ষীরার তালায় ফসল রক্ষার নামে বিষ মাখানো সরিষার বীজ ছিটিয়ে পাখিনিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষ মাখানো বীজ খেয়ে শতাধিক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মারা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে উপজেলার হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামে একের পর এক কবুতর ও ঘুঘু পাখি মরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বন বিভাগের ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন অফিসার তন্ময় আচার্য্য।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তন্ময় আচার্য্য সাংবাদিকদের জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপরাধমূলক ঘটনা। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে বন্য প্রাণিনিধন আইনত দণ্ডনীয়। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৯ ডিসেম্বর হরিশ্চন্দ্রকাঠি বিলে সরিষা চাষের জন্য বীজ বপন করেন তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারী। পাখির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার উদ্দেশ্যে বীজে বিষ মাখানো হয়। পরদিন ওই ক্ষেতে কবুতর ও ঘুঘু পাখির ব্যাপক বিচরণ লক্ষ করা যায়। এর পর থেকে একে একে পাখিগুলো অসুস্থ হয়ে মারা যেতে থাকে। এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে ১০০টির বেশি কবুতর এবং একটি ঘুঘু পাখির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত খাঁ ও হায়দার আলী বলেন, ‘আমাদের অনেক কবুতর মারা গেছে। এগুলো আমাদের শখ আর জীবিকার অংশ। এমন ক্ষতি আগে কখনো হয়নি।’
রহিমাবাদ গ্রামের আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তালা মহিলা কলেজের প্রদর্শক আবদুল বারীকে ফোন করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুল মজিদ বলেন, কাজটি ঠিক হয়নি।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটির বিষয়ে আমি শুনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১২ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
৩৭ মিনিট আগে
জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। সেখানে নড়বড়ে কয়েকটি বাঁশের ওপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির আশপাশে মাঠে লোকজন নতুন ফসল বপনের কাজ করছেন। কেউ কেউ গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। সেখানে বাঁশের ওপর কোনো রকমভাবে ভর দিয়ে রাখা খুঁটিটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।
১ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। সেখানে নড়বড়ে কয়েকটি বাঁশের ওপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির আশপাশে মাঠে লোকজন নতুন ফসল বপনের কাজ করছেন। কেউ কেউ গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। সেখানে বাঁশের ওপর কোনো রকমভাবে ভর দিয়ে রাখা খুঁটিটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি সরেজমিনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরপুবাইল গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ৪৮০ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) খুঁটিটি চোখে পড়ে। ছয় মাস ধরে খুঁটিটি এভাবে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, একবার সোজা করে দেওয়ার পর ফের হেলে পড়লেও খুঁটিটি স্থায়ীভাবে মেরামত বা প্রতিস্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্কুলসংলগ্ন কৃষি এলাকায় এভাবে উচ্চ ভোল্টেজের খুঁটি ঝুলে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাসহ কৃষকেরা আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের চরপুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া পিডিবির বিদ্যুতের তার সংযুক্ত খুঁটিটি ছয় মাস আগে একটি ধানখেতে উপড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে খেতের পানিতে থাকা মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মারা যায়। পরে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে খুঁটিটি বাঁশের ওপর ঠেকিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেন। এর পর থেকে বাঁশের ওপর ঠেকিয়ে রেখেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের লাইন চালু রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত বাঁশগুলো নরম হয়ে পচন ধরেছে। এই অবস্থায়ই খুঁটির আশপাশে কৃষকেরা কাজ করেন। চরান গরু-ছাগল।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল-আমিন বলেন, ‘খুঁটির নিচেই আমাদের খেত। কাজ করতে নামলেই ভয় লাগে—এই বুঝি খুঁটি ভেঙে পড়ল বা তার ছিঁড়ে পড়ল। এমন অবস্থায় দিনের পর দিন খেতে কাজ করা খুবই ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরেক বাসিন্দা মো. মামুন মিয়া বলেন, খুঁটি পড়ে যাওয়ার সময় মাছসহ সব জলজ প্রাণী মরে গিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, দ্রুত খুঁটিটি ঠিক করা হবে। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও শুধু বাঁশে ঠেস দিয়েই খুঁটিটি রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবুল কাশেম বলেন, এর আগেও কয়েক দফা খুঁটিটি উপড়ে পড়েছে। গত দুই বছর ধরে এমন সমস্যা চলছে। তখনো এমন বাঁশ দিয়ে কাজ চালানো হয়। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তারা আমলেই নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আবাসিক উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি কেউ লিখিত কিংবা মৌখিকভাবেও জানায়নি। যেহেতু জেনেছি, আমি দ্রুত খুঁটিটি স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে দেব।’

জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। সেখানে নড়বড়ে কয়েকটি বাঁশের ওপর কাত হয়ে পড়ে রয়েছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটির আশপাশে মাঠে লোকজন নতুন ফসল বপনের কাজ করছেন। কেউ কেউ গরু-ছাগল চরাচ্ছেন। সেখানে বাঁশের ওপর কোনো রকমভাবে ভর দিয়ে রাখা খুঁটিটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। এতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি সরেজমিনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরপুবাইল গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ৪৮০ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) খুঁটিটি চোখে পড়ে। ছয় মাস ধরে খুঁটিটি এভাবে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, একবার সোজা করে দেওয়ার পর ফের হেলে পড়লেও খুঁটিটি স্থায়ীভাবে মেরামত বা প্রতিস্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্কুলসংলগ্ন কৃষি এলাকায় এভাবে উচ্চ ভোল্টেজের খুঁটি ঝুলে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাসহ কৃষকেরা আতঙ্কে রয়েছেন।
জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের চরপুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া পিডিবির বিদ্যুতের তার সংযুক্ত খুঁটিটি ছয় মাস আগে একটি ধানখেতে উপড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে খেতের পানিতে থাকা মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী মারা যায়। পরে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে খুঁটিটি বাঁশের ওপর ঠেকিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেন। এর পর থেকে বাঁশের ওপর ঠেকিয়ে রেখেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিদ্যুতের লাইন চালু রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত বাঁশগুলো নরম হয়ে পচন ধরেছে। এই অবস্থায়ই খুঁটির আশপাশে কৃষকেরা কাজ করেন। চরান গরু-ছাগল।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল-আমিন বলেন, ‘খুঁটির নিচেই আমাদের খেত। কাজ করতে নামলেই ভয় লাগে—এই বুঝি খুঁটি ভেঙে পড়ল বা তার ছিঁড়ে পড়ল। এমন অবস্থায় দিনের পর দিন খেতে কাজ করা খুবই ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরেক বাসিন্দা মো. মামুন মিয়া বলেন, খুঁটি পড়ে যাওয়ার সময় মাছসহ সব জলজ প্রাণী মরে গিয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, দ্রুত খুঁটিটি ঠিক করা হবে। কিন্তু ছয় মাস পার হলেও শুধু বাঁশে ঠেস দিয়েই খুঁটিটি রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবুল কাশেম বলেন, এর আগেও কয়েক দফা খুঁটিটি উপড়ে পড়েছে। গত দুই বছর ধরে এমন সমস্যা চলছে। তখনো এমন বাঁশ দিয়ে কাজ চালানো হয়। বিষয়টি একাধিকবার বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি তারা আমলেই নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ আবাসিক উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি কেউ লিখিত কিংবা মৌখিকভাবেও জানায়নি। যেহেতু জেনেছি, আমি দ্রুত খুঁটিটি স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করে দেব।’

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।
১২ মিনিট আগে
নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন।
৩৭ মিনিট আগে
আজিজ সরদার বলেন, ‘এক দিনেই আমার ২৪টি কবুতর মারা গেছে। পাখিরা তো জানে না বীজে বিষ মাখানো আছে। এ ক্ষতির বিচার চাই।’ ক্ষতিগ্রস্তরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে