বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ জেলার শীর্ষস্থানীয় চার নেতার বিরুদ্ধে পদ পাইয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার ব্যবসায়ী স্থানীয় এক বিএনপি নেতা এই অভিযোগের সমর্থনে লেনদেনের তথ্যও সরবরাহ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তথ্যপ্রমাণসহ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা এ বিষয়ে তদন্ত করে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর বরগুনা-২ আসনের বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের মৃত্যুর পর বরগুনার বামনা উপজেলা বিএনপির ৩ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন খান নামের ঢাকার এক ব্যবসায়ী ওই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় বসবাস করেন এবং রাজধানীতে সিঅ্যান্ডএফের ব্যবসা করেন। নিজের অনুসারীদের বরগুনা-২ আসনের আওতাধীন বামনা-পাথরঘাটা-বেতাগী উপজেলা ও পৌর ইউনিটে পদ পাইয়ে দিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্যসচিব প্রয়াত (৭ জানুয়ারি ২০২৩) তারিকুজ্জামান টিটু, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক ও তালিমুল ইসলাম পলাশকে ‘ম্যানেজ’ করতে ১০ লাখ টাকা দেন তিনি।
জাকির খানের হয়ে বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেন পাথরঘাটা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আউয়াল। টাকা নিয়ে জাকির খানের অনুসারী বেতাগী উপজেলায় রিয়াদ খানকে সদস্যসচিব, পৌর শাখায় মিজান খানকে সদস্যসচিব, উপজেলায় মো. দুলাল হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, অধ্যাপক শাহীনকে বেতাগী উপজেলায় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, বামনা উপজেলার মোরশেদ খন্দকারকে সদস্যসচিব, পাথরঘাটায় কামরুল ইসলামকে সদস্যসচিব, একই উপজেলায় মো. সোয়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের ঢাকার দক্ষিণ খানের আশকোনা শাখা থেকে ২০২২ সালের ৩ জুলাই চার নেতার নামে আট লাখ টাকা দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ জুলাই ২৯১৬৫৯৩ নম্বর চেকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা তুলে নেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলম ফারুক মোল্লা। ২৯১৬৫৯৫ নম্বর চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা তোলেন সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু।
২৯১৬৫৯৬ নম্বর চেকে ৫০ হাজার টাকা নেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ ফারুক এবং ২৯১৬৫৯৪ নম্বর চেকের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নেন যুগ্ম আহ্বায়ক তালমিল ইসলাম পলাশ। পদ-বাণিজ্যে জড়ানো বিএনপি নেতাদের ২৪টি ফোনালাপের অডিও ক্লিপ আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। যেখানে বিকাশের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লাসহ কয়েক নেতাকে লাখ লাখ টাকা ও স্মার্টফোন উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
বরগুনা জেলা বিএনপির শীর্ষ পদের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফারুক মোল্লার ভাতিজা। তিনি কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভীকে “ম্যানেজ” করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল আগের কমিটি (নজরুল-হালিম) ভেঙে রাতের আঁধারে ফারুক মোল্লাকে আহ্বায়ক করে কমিটি এনেছেন।’
সেই নেতা আরও বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গত ১৮ জুন বিএনপির বরগুনা জেলার উপজেলা পৌরসভাসহ ১০টি ইউনিটের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর উদ্দেশ্য ছিল নতুন ইউনিট গঠনের নামে পদ-বাণিজ্য। আর সেটাই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি করেছে। টাকা নিয়েই জেলার ইউনিট কমিটিগুলো করা হয়েছে। এই ১০টি ইউনিট কমিটি গঠনে প্রায় এক কোটি টাকার পদ-বাণিজ্য হয়েছে। বিষয়টি গত বছরের অক্টোবরে লিখিতভাবে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। এর সঙ্গে ১০৮ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তও দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীন এবং কে এম শফিকুজ্জামান মাহফুজের কাছে ইউনিট কমিটি থেকে বাণিজ্যের অভিযোগ এলে তাঁরা তথ্য-উপাত্তসহ কেন্দ্রে লিখিতভাবে সরবরাহ করেছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব তারিকুজ্জামান টিটু গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চেকের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি মাদ্রাসার কাজের জন্য আমি জাকির খানের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। এখানে পদ দেওয়ার কোনো বিষয় নেই।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জেড এম সালেহ ফারুক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘বাড়ির পাশে একটি মাদ্রাসার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়েছে।’ পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে তিনি বলেন, ‘পদ-বাণিজ্য হলে জাকির খানকেই বামনার আহ্বায়ক করা হতো। সেটা তো করা হয়নি।’
জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক তালিমুল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই। আমি যদি চেক বা টাকা নিয়ে থাকি, প্রমাণ করতে পারলে সাংগঠনিক ও সামাজিক যে শাস্তি হয় মেনে নেব—এটা ষড়যন্ত্র।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামান মামুন মোল্লাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের সঙ্গেও। তাঁর মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘অডিও ক্লিপ, চেক ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখেছি। ইতিমধ্যে তৃণমূল বিএনপি নেতারা কেন্দ্রকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কিছু অনুসারীকে দলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল বিএনপি থেকে আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আমি কেন্দ্রকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরীন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অডিও ক্লিপ শুনেছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অভিযোগ ও তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করছি। সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘সম্মিলিত সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রদল নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
রংপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিয়ামুল ইসলাম নীরব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ...
১৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘সম্মিলিত সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। ছাত্রদল-সমর্থিত এই প্যানেলে ২২টি পদে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন পদে প্রার্থী দিতে পারেনি ছাত্রদল।
জানতে চাইলে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা যেহেতু ইনক্লুসিভ প্যানেল করেছি, এই পদে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করতে পারিনি। অন্য একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা এখনো চলছে। আলোচনা সমাপ্তি পর্যায়ে এলে হয়তো আমরা তাকে এই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারব। তবে এটা ইনটেনশনালি (ইচ্ছাকৃতভাবে) খালি রাখা হয়নি। টেকনিক্যাল কারণেই এখন পর্যন্ত পদটিতে কাউকে আমরা দিতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ২২টি পদের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সহসভাপতি (ভিপি) পদে মোস্তাকিম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মারুফ বিল্লাহ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জহিরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল হাসান, সহক্রীড়া সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিলন, সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক মো. আসাদুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমিত মালাকার, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক রুবেল মিয়া, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা রিয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক মোস্তফা আহমেদ, শিক্ষা গবেষণা ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মুনতাসির মামুন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক তারেক রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশিক, পরিবহন সম্পাদক নাসিমুল হুদা, ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিন সম্পাদক সোহানুর রহমান, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ। এই প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে হৃদয় মিয়া, হৃদয় আহসান, আফফান, অন্তু গোপ ও মারুফ সাকলাইন লড়বেন।
প্যানেলে নারী সদস্য কম থাকায় ও সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী ঘোষণায় নারী সদস্য না থাকা নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা ছিল। প্যানেলে বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আরও অনেককেই চেষ্টা করেছি। সেই প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে ভবিষ্যতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আপনি যেহেতু বলেছেন, আমরা সেটা কোনোভাবেই অস্বীকার করছি না।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের এই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিগত ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচনে নানা প্রতিবন্ধকতা ও অনিয়মের পরও ছাত্রদল মনে করে, শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্ম কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সেই স্বার্থকে প্রাধান্য রেখেই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিগত কয়েক মাসের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েও শিক্ষার্থীদের জন্য শেষপর্যন্ত নির্বাচনে রয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, আবু হান্নান তালুকদার, শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান, সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার প্রমুখ।

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘সম্মিলিত সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। ছাত্রদল-সমর্থিত এই প্যানেলে ২২টি পদে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন পদে প্রার্থী দিতে পারেনি ছাত্রদল।
জানতে চাইলে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা যেহেতু ইনক্লুসিভ প্যানেল করেছি, এই পদে আমরা প্রার্থী ঘোষণা করতে পারিনি। অন্য একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে আমাদের আলাপ-আলোচনা এখনো চলছে। আলোচনা সমাপ্তি পর্যায়ে এলে হয়তো আমরা তাকে এই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারব। তবে এটা ইনটেনশনালি (ইচ্ছাকৃতভাবে) খালি রাখা হয়নি। টেকনিক্যাল কারণেই এখন পর্যন্ত পদটিতে কাউকে আমরা দিতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ২২টি পদের প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সহসভাপতি (ভিপি) পদে মোস্তাকিম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মারুফ বিল্লাহ, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) জহিরুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল হাসান, সহক্রীড়া সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিলন, সাহিত্য ও বার্ষিকী সম্পাদক মো. আসাদুল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমিত মালাকার, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, সমাজসেবা সম্পাদক রুবেল মিয়া, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা রিয়া, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক মোস্তফা আহমেদ, শিক্ষা গবেষণা ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মুনতাসির মামুন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক তারেক রহমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আশিক, পরিবহন সম্পাদক নাসিমুল হুদা, ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিন সম্পাদক সোহানুর রহমান, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ। এই প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে হৃদয় মিয়া, হৃদয় আহসান, আফফান, অন্তু গোপ ও মারুফ সাকলাইন লড়বেন।
প্যানেলে নারী সদস্য কম থাকায় ও সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী ঘোষণায় নারী সদস্য না থাকা নিয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে নাছির উদ্দীন বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা ছিল। প্যানেলে বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আরও অনেককেই চেষ্টা করেছি। সেই প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে ভবিষ্যতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। আপনি যেহেতু বলেছেন, আমরা সেটা কোনোভাবেই অস্বীকার করছি না।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের এই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিগত ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচনে নানা প্রতিবন্ধকতা ও অনিয়মের পরও ছাত্রদল মনে করে, শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্ম কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। সেই স্বার্থকে প্রাধান্য রেখেই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিগত কয়েক মাসের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েও শিক্ষার্থীদের জন্য শেষপর্যন্ত নির্বাচনে রয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, আবু হান্নান তালুকদার, শাবিপ্রবি ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান, সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার প্রমুখ।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রদল নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
রংপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিয়ামুল ইসলাম নীরব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ...
১৯ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রদল নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার রাতে পৌর শহরের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জুয়েল পৌর শহরের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
এর আগে এক স্কুলছাত্রীর বড় বোন ৯ ডিসেম্বর রাতে বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সেটি তদন্ত শেষে মামলার আকারে গ্রহণ করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বলেন, জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রদল নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার রাতে পৌর শহরের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জুয়েল পৌর শহরের সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
এর আগে এক স্কুলছাত্রীর বড় বোন ৯ ডিসেম্বর রাতে বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সেটি তদন্ত শেষে মামলার আকারে গ্রহণ করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বলেন, জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘সম্মিলিত সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
২ মিনিট আগে
রংপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিয়ামুল ইসলাম নীরব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ...
১৯ মিনিট আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ও নাগেশ্বরী সংবাদদাতা

রংপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিয়ামুল ইসলাম নীরব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
নীরবের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চিলমারী এলাকায়। তার বাবা এরশাদুল হক ও মা নুরুন্নাহার বেগম। তাঁরা দুজনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রংপুর শহরের লালবাগ এলাকা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বালাপাড়া এলাকায় ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খুঁটিতে উঠে পড়ে নীরব। বিদ্যুতায়িত হয়ে দগ্ধ অবস্থায় নিচে পড়ে যায় সে।
নীরবের চাচা আবু বকর সিদ্দিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাতে তিনি জানান, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে নীরব মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে রংপুরে কোচিং করেছিল। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল হলে দেখা যায়, নীরব তাতে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গতকাল দুপুর থেকে তার পরিবার ফোন বন্ধ পায়। সন্ধ্যার পর পরিবার জানতে পারে, নীরব বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে তারের ওপর নিজের শরীর এলিয়ে দেয়। এতে তার শরীর পুড়ে যায় এবং একসময় দেহ নিচে পড়ে যায়। পরে তার বাবা রংপুর গিয়ে আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নীরবের বাবার নম্বরে ফোন দিলে তার ভাই (নীরবের চাচা) আবু বকর ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, মেডিকেলে পড়ার সুযোগ না পাওয়ার কষ্ট থেকে নীরব আত্মহত্যা করেছে। ওর বাবা-মা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। পারিবারিকভাবে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আশরাফুল হক বলেন, ‘ঘটনা শুনে ওই বাড়িতে গিয়েছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পরিবারের লোকজন সবাই শোকে স্তব্ধ। কথা বলার মতো অবস্থা নেই।’

রংপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিয়ামুল ইসলাম নীরব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
নীরবের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চিলমারী এলাকায়। তার বাবা এরশাদুল হক ও মা নুরুন্নাহার বেগম। তাঁরা দুজনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রংপুর শহরের লালবাগ এলাকা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বালাপাড়া এলাকায় ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খুঁটিতে উঠে পড়ে নীরব। বিদ্যুতায়িত হয়ে দগ্ধ অবস্থায় নিচে পড়ে যায় সে।
নীরবের চাচা আবু বকর সিদ্দিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাতে তিনি জানান, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে নীরব মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে রংপুরে কোচিং করেছিল। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল হলে দেখা যায়, নীরব তাতে উত্তীর্ণ হতে পারেনি। গতকাল দুপুর থেকে তার পরিবার ফোন বন্ধ পায়। সন্ধ্যার পর পরিবার জানতে পারে, নীরব বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে তারের ওপর নিজের শরীর এলিয়ে দেয়। এতে তার শরীর পুড়ে যায় এবং একসময় দেহ নিচে পড়ে যায়। পরে তার বাবা রংপুর গিয়ে আইনিপ্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নীরবের বাবার নম্বরে ফোন দিলে তার ভাই (নীরবের চাচা) আবু বকর ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, মেডিকেলে পড়ার সুযোগ না পাওয়ার কষ্ট থেকে নীরব আত্মহত্যা করেছে। ওর বাবা-মা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। পারিবারিকভাবে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আশরাফুল হক বলেন, ‘ঘটনা শুনে ওই বাড়িতে গিয়েছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পরিবারের লোকজন সবাই শোকে স্তব্ধ। কথা বলার মতো অবস্থা নেই।’

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘সম্মিলিত সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রদল নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ...
১৯ মিনিট আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি জানান তিনি।
এর আগে তিন দফা দাবি নিয়ে সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ডাকসু ভিপি বলেন, ‘তিন দফা দাবি নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছি। এই দাবি অবিলম্বে না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখাতে পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’ এ সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম।
দাবিগুলো হলো—
১. আমাদের ভাই ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সংশ্লিষ্ট অর্গানকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এই হামলাকে সমর্থন জুগিয়েছে, হাদি ভাই ও জুলাই বিপ্লবীদের হত্যাযোগ্য করে তুলেছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। এসব ব্যবস্থা অবিলম্বে দৃশ্যমান করতে হবে।
২. আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ লীগের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবহেলা আমরা আর সহ্য করব না।
৩. ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ও অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রদত্ত রায় কার্যকর করতে হবে। গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফেরত না দেওয়ার আগপর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না।
এসব দাবি অবিলম্বে না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখাতে পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।
গত শুক্রবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন পুরানা পল্টন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দেশে নৈরাজ্যের অভিযোগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন। এর অংশ হিসেবে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ-মিছিল শুরু হয়। ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেয়।
ছাত্র-জনতা বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে দোয়েল চত্বরে এসে প্রথম পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায়। এরপর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দফা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এই ব্যারিকেডও ভেঙে ছাত্র-জনতা মূল সড়কে চলে আসে। পরে মূল বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থানকালে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম। অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে স্বরাষ্ট্র, আইন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তিন দফা দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি জানান তিনি।
এর আগে তিন দফা দাবি নিয়ে সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ডাকসু ভিপি বলেন, ‘তিন দফা দাবি নিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছি। এই দাবি অবিলম্বে না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখাতে পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।’ এ সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম।
দাবিগুলো হলো—
১. আমাদের ভাই ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষ হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী ও সহায়তাকারী সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রের সব সংশ্লিষ্ট অর্গানকে দ্রুত জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং যাদের গাফিলতি প্রমাণিত হবে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে যারা এই হামলাকে সমর্থন জুগিয়েছে, হাদি ভাই ও জুলাই বিপ্লবীদের হত্যাযোগ্য করে তুলেছে, সেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সামাজিকভাবে সম্পূর্ণ বয়কট করতে হবে। এসব ব্যবস্থা অবিলম্বে দৃশ্যমান করতে হবে।
২. আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ লীগের বিরুদ্ধে এলাকাভিত্তিক চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সব ধরনের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবহেলা আমরা আর সহ্য করব না।
৩. ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ও অপরিহার্য পদক্ষেপ হিসেবে খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রদত্ত রায় কার্যকর করতে হবে। গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফেরত না দেওয়ার আগপর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করা যাবে না।
এসব দাবি অবিলম্বে না মানা হলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন না দেখাতে পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।
গত শুক্রবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন পুরানা পল্টন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও দেশে নৈরাজ্যের অভিযোগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন। এর অংশ হিসেবে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ-মিছিল শুরু হয়। ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেয়।
ছাত্র-জনতা বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে দোয়েল চত্বরে এসে প্রথম পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায়। এরপর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দফা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এই ব্যারিকেডও ভেঙে ছাত্র-জনতা মূল সড়কে চলে আসে। পরে মূল বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থানকালে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব টাকা লেনদেন হলেও সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে ৩ ইউনিটের কমিটির বিপরীতে ১০ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ মিললেও ১০ ইউনিটে কোটি টাকার পদ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত ‘সম্মিলিত সাস্টিয়ান ঐক্য’ নামে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
২ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জুয়েলকে শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রদল নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ মিনিট আগে
রংপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিয়ামুল ইসলাম নীরব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।
৮ মিনিট আগে