Ajker Patrika

যখন বুঝতে পেরেছি, তখন সবকিছু শেষ: ট্রেন চালক

জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ০৯: ৩৯
যখন বুঝতে পেরেছি, তখন সবকিছু শেষ: ট্রেন চালক

সাধারণত রেললাইন পার হতে দেখেশুনে পার হতে হয়। কিন্তু মাইক্রোবাসটি এত স্পিডে ঢুকছে ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে লাগার পর বুঝতে পারছি, কিছু ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন কন্ট্রোলে নিয়ে আসি। তখন অবশ্য সবকিছু শেষ—এভাবেই গতকালের ট্রেন ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন মহানগর প্রভাতী ট্রেনের মূল চালক (লোকোমাস্টার) জহিরুল হক খান।

গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় বড় তাকিয়া স্টেশন এলাকায় মহানগর প্রভাতী ট্রেন ও পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছে। এরই মধ্যে মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ। 

শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার বর্ণনা করেন লোকোমাস্টার জহিরুল হক খান। তিনি জানান, লেভেল ক্রসিংয়ের আগে গাছের জন্য বার (ব্যারিয়ার) ফেলা ছিল কি না দেখা যায়নি। ক্রসিংয়ে যখন ট্রেন, তখন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাইক্রোবাসটি চলে আসে। ট্রেনও স্পিড থাকায় ওই মুহূর্তে আর কিছু করার ছিল না। 

ঘটনার বর্ণনার সময় আঁতকে উঠে জহিরুল হক খান বলেন, ‘সাধারণত রেললাইন পার হতে দেখেশুনে পার হতে হয়। কিন্তু মাইক্রোবাসটি এত স্পিডে ঢুকছে যে ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে লাগার পর বুঝতে পারছি, কিছু ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন কন্ট্রোলে নিয়ে আসি। তখন অবশ্য সবকিছু শেষ।’ 

গেটম্যান থাকলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতো না উল্লেখ করে জহিরুল খান বলেন, ‘ওই লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান থাকলে মাইক্রোবাসটি ঢুকতে পারতনা। যদি গেটম্যান থাকত তাহলে বার পড়ত। আর বার পড়লে গাড়ি কীভাবে রেললাইনে ঢুকবে।’ 

প্রত্যক্ষদর্শীরাও শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, ঘটনার সময় ছিলেন না গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন। এমনকি বারও ফেলানো অবস্থায় ছিল না। তাই মাইক্রোবাসটি রেললাইনে উঠে যায়। যেহেতু পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস স্বাভাবিকভাবেই গাড়ির ভেতর পর্যটকেরা আনন্দ করে, গান করে। সে কারণে গাড়ির চালকও বুঝতে পারেননি ট্রেন আসছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য অনুমোদিত লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যাল থাকে। কিন্তু মিরসরাই বড়তাকিয়া স্টেশনের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ওই ক্রসিংটিতে কোনো সিগন্যালের সিস্টেম ছিল না। সাধারণত কোনো ট্রেন কাছাকাছি আসলে সিগন্যালের লালবাতি জ্বলে উঠে এবং সাইরেন বাঁজতে থাকে। এতে লেভেল ক্রসিংয়ের আশপাশের লোকজন সতর্ক হয়ে যান। 

ট্রেন চালক জহিরুল হক খান বলেন, ‘আমিও সেখানে কোনো সিগন্যাল দেখিনি। ফলে গাড়িটি এত কাছাকাছি চলে আসছে ট্রেন থামানো যায়নি। সাধারণত একটি ট্রেন থামাতে হলে ৪০০ গজ পর্যন্ত দূরত্ব থাকতে হয়। তবুও আমি হার্ড কপি ব্রেক করছি, ইঞ্জিনের পাওয়ারও কমায় দিয়েছি কিন্তু এর আগেই ইঞ্জিনে উঠে যায় মাইক্রোবাসটি।’ 

আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ‘ট্রেন থেকে নেমে লাশের সারি দেখে নিজেকে মেনে নিতে পারিনি। তরুণ ছেলেরা এভাবে লাশ হবে কোনো মা-বাবাই মেনে নিতে পারে না। আমারও সন্তান আছে, বুঝি সন্তানরা যে কতো আদরের।’ 

চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রকৌশলী (ডিএন-১) মো. হাসান মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিয়ম আছে রেললাইন পার হতে হলে ডানে-বামে দেখে পার হতে হয়। একটু যদি সতর্ক হতো তাহলে এত বড় ঘটনা ঘটতো না। 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুর খবরে নওফেলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ২৩
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভকারীরা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় ভাঙচুর ও বাড়ির সামনে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় ইন্ডিয়ান হাইকমিশন কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা করে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১ থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট চশমা হিলে নওফেলের বাসার সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে তারা বাসার ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। বাসার পার্কিংয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

একই সময়ে আরেকটি দল নগরীর খুলশী এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, ঘটনাস্থলে টিম রয়েছে। পুলিশ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে থামানোর চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক নিহত, প্রাণিচিকিৎসক আশঙ্কাজনক

খুলনা প্রতিনিধি
নিহত সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন সলুয়া বাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সলুয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় দেবাশীষ নামের এক প্রাণিচিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সলুয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ সময় ওই দুজন চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা খুব কাছ থেকে দুজনকে গুলি করে।

নিহত ইমদাদুল হক মিলন ওই এলাকার মো. বজলুর ছেলে। কয়েক মাস আগে তিনি একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া মিলন খুলনার স্থানীয় একটি দৈনিকে আড়ংঘাটা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পরে নিজেই ‘বর্তমান সময়’ নামের একটি অনলাইন পোর্টাল বের করেন। জমি নিয়ে তাঁর সঙ্গে একটি পক্ষের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

আহত দেবাশীষকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানতে চাইলে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘ইমদাদুল হক মিলন গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাণিচিকিৎসক দেবাশীষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে বলে জানতে পেরেছি।’

ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, চরমপন্থী হুমায়ূন কবির হুমা গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি।

একটি সূত্র জানায়, প্রাণিচিকিৎসক দেবাশীষ ওরফে দীবা বিশ্বাসের বুকে ও মাথায় আগে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরেরটা সাংবাদিক মিলনের মাথায়। সেখানে পাঁচ রাউন্ড গুলি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুর খবরে উত্তাল শাহবাগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩৫
হাদির মৃত্যুর খবরে উত্তাল শাহবাগ

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী-সমর্থকেরা। আজ বৃহস্পতিবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ শুরু হয়।

আজ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীরা হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে স্লোগান ও বিক্ষোভ-মিছিল করছেন। তাঁরা ‘হাদি’ ‘হাদি’ বলে স্লোগানও দেন।

একই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে আসা বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন।

জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার গণসংযোগের উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে তিনি হামলার শিকার হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে চলন্ত একটি মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী গুলি করেন। গুলিটি তাঁর মাথায় লাগে।

গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

ঢাকায় হাদির অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া নিউরোসার্জন অধ্যাপক আবদুল আহাদ আজ রাতে এক ভিডিওবার্তায় জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আপত্তিকর টিকটক ভিডিও, তিন যুবককে খুঁজছে পুলিশ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় আপত্তিকর টিকটক ভিডিও বানিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিন যুবক। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে ধারণ করা ১২ সেকেন্ডের ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, উপজেলার নারায়ণডহর এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসার সামনে এক যুবক স্কেটিং করতে করতে ভ্যানের পেছনে বসা এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছেন। একপর্যায়ে মেয়েটির পোশাক টেনে খোলার চেষ্টা করেন ওই যুবক। আপত্তিকর ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ১৫ ডিসেম্বর ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এমন কাজকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওতে দেখানো বিষয়টি অভিনয়ের অংশ। আলোচনায় আসার জন্যই মূলত এমন আপত্তিকর ভিডিওটি করা হয়েছে। ভিডিওটি করেছেন রোমান নামের এক যুবক, স্কেটিং করেছেন রাকিব হাসান (২০) এবং মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন হানিফ (২০)। হানিফ ও রোমান সম্পর্কে আপন দুই ভাই। তাঁরা পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামের ওয়াসিম মিয়ার ছেলে।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছেন এবং তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি দাবি করছি।’

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ভিডিওটি মূলত অভিনয়। এতে মেয়ের পোশাকে ছিলেন হানিফ নামের এক যুবক। তবে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই তিন যুবক আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান খান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই তাঁদের গ্রেপ্তারে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত