Ajker Patrika

তত্ত্বাবধায়কের দুর্নীতিতে সরকারের গচ্চা ১৪ লাখ

  • প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে ও শর্ত লঙ্ঘন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে ওষুধ ক্রয়।
  • নিয়ম অনুসরণ না করেই ব্যয়।
  • স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনেমিলেছে সত্যতা।
সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি  
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ১১
মঞ্জুরুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
মঞ্জুরুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালনকালে হাসপাতালটিতে বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে রাষ্ট্রের ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৩ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ৯ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হালিমা খাতুন স্বাক্ষরিত দুটি অডিট আপত্তির প্রতিবেদনসহ একটি পত্র ২৫০ শয্যা মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কের কাছে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ওই তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অডিট আপত্তির জবাব স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরে প্রেরণের জন্য বলা হয়। তবে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো জবাব দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক ডা. আহাম্মদ কবীর বলেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। অডিট রিপোর্ট আসা একটি রুটিন ওয়ার্ক। ওই সময়ে (২০২৩-২৪ অর্থবছর) যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যথাসময়ে জবাব দিয়ে দেওয়া হবে।’ তবে সে সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন জেলার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে যেসব অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে সেগুলো কেনাকাটায় তাঁর অনাপত্তি ও অনুমতি রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘অডিট একটা স্বাভাবিক বিষয়, অফিশিয়াল বিষয়। এটা আবার ফয়সালাও হয়। আর ওই সময় যেহেতু আমি দায়িত্বে ছিলাম, তাই জবাব দিয়ে দিয়েছি।’

অডিট প্রতিবেদনে যা আছে

স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের পৃথক দুটি প্রতিবেদন বলা হয়, প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার্জিক্যাল ওষুধ কেনা ও দরপত্র অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে ওষুধ কেনায় রাষ্ট্রের ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৩ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

তার মধ্যে ‘দরপত্র অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে ইডিসিএলের (সরকারি মালিকানাধীন ওষুধ কোম্পানি) পরিবর্তে বেসরকারি সরবরাহকারীর কাছ থেকে ওষুধ কেনার ফলে সরকারের ৬ লাখ ১০ হাজার ৩৪৩ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে’ শিরোনামে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়—মুন্সিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, সুপারিনটেনডেন্টের কার্যালয়ে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে চতুর্থ এইচপিএনএসপি-এর অধীনে লাইন ডিরেক্টর, হাসপাতাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট মহাখালী, ঢাকা কর্তৃক ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে প্রদত্ত বাজেটে, টেন্ডার অনুমোদনের শর্ত লঙ্ঘন করে ইডিসিএল-এর পরিবর্তে সরবরাহকারীর কাছ থেকে ওষুধ কেনার কারণে সরকারের ৬ লাখ ১০ হাজার ৩৪৩ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়া ‘প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে এমএসআর সার্জিক্যাল সরঞ্জাম এবং রাসায়নিক রি-এজেন্ট সামগ্রী কেনায় সরকারের ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে’ শিরোনামে দ্বিতীয় প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের এমএসআর সার্জিক্যাল সরঞ্জাম এবং রাসায়নিক রি-এজেন্ট সামগ্রী বেশি দামে মেসার্স সিনাপস ইন্টারন্যাশনাল নামক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেনা হয়েছে। ইন্টারনেট/স্থানীয় বাজার থেকে একই ধরনের এমএসআর কেমিক্যাল রি-এজেন্ট পণ্য সংগ্রহ করে অডিটকারীরা দেখেছে যে প্রদত্ত ইউনিটমূল্য প্রকৃত বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া আরও অনিয়ম করে নির্ধারিত বাজারমূল্যের সঙ্গে ৩০% ভ্যাট, আইটি, লভ্যাংশ এবং পরিবহন খরচ যোগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া বিধি অনুযায়ী, টেন্ডার দেওয়ার আগে বর্তমান বাজারমূল্য বিশ্লেষণ করেনি তারা। স্বাস্থ্য অডিট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা বিনতে মোশারফ স্বাক্ষরিত ওই অডিট প্রতিবেদনে বলা হয়, উল্লিখিত অর্থ সংগ্রহ করে সরকারি কোষাগারে জমা করা প্রয়োজন এবং অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারে হামলার পক্ষে না: আবরার ফাইয়াজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আবরার ফাইয়াজ। ফাইল ছবি
আবরার ফাইয়াজ। ফাইল ছবি

প্রথম আলো বা ডেইলি স্টারে হামলার পক্ষে না— এমন মন্তব্য করে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাইয়াজ। তিনি ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরার ফাহাদের ছোট ভাই।

আজ রাত পৌনে একটার দিকে নিজের ফেসবুকে এ পোস্ট করেছেন তিনি।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ লেখেন, ওসমান হাদি ভাই চেয়েছিলেন কালচারাল ফ্যাসিজমের মূলোৎপাটন করতে। ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে এত এত বই রাখার বা এক্টিভিটির কারণ ছিলো প্রথম আলো গং দের ন্যারেটিভের বাইরে মানুষকে চিন্তা করতে, কথা বলতে শেখানো।

তিনি তাঁর ফেসবুকে আরও লেখেন, ওসমান ভাইয়ের শাহাদাতকে স্যাবোটেজ দিয়ে চাপা দেওয়া এই চক্রান্তে পা না দিয়ে সঠিক লক্ষ্যে অটুট থাকুন। এজেন্সি গত এক সপ্তাহে স্যাবোটেজের অনেক পরিকল্পনা করেছে এটা মাথায় রাইখেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে ডেইলি স্টার ভবনে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তর আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে, ডেইলি স্টার ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশন ২টি ইউনিট কাজ করে।

বর্তমানে ডেইলি স্টার ভবনের সামনে এনসিপি নেতারা। সেখানে রয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন।

মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘ডেইলি স্টার ভবনের সাংবাদিক অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির মৃত্যুর খবরে নওফেলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ২৩
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। বিক্ষোভকারীরা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় ভাঙচুর ও বাড়ির সামনে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় ইন্ডিয়ান হাইকমিশন কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা করে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১ থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট চশমা হিলে নওফেলের বাসার সামনে অবস্থান করে। একপর্যায়ে তারা বাসার ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। বাসার পার্কিংয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।

একই সময়ে আরেকটি দল নগরীর খুলশী এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা করে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলাইমান বলেন, ঘটনাস্থলে টিম রয়েছে। পুলিশ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে থামানোর চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক নিহত, প্রাণিচিকিৎসক আশঙ্কাজনক

খুলনা প্রতিনিধি
নিহত সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন। ছবি: সংগৃহীত
নিহত সাংবাদিক এমদাদুল হক মিলন। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন সলুয়া বাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সলুয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় দেবাশীষ নামের এক প্রাণিচিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সলুয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ সময় ওই দুজন চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা খুব কাছ থেকে দুজনকে গুলি করে।

নিহত ইমদাদুল হক মিলন ওই এলাকার মো. বজলুর ছেলে। কয়েক মাস আগে তিনি একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। এ ছাড়া মিলন খুলনার স্থানীয় একটি দৈনিকে আড়ংঘাটা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। পরে নিজেই ‘বর্তমান সময়’ নামের একটি অনলাইন পোর্টাল বের করেন। জমি নিয়ে তাঁর সঙ্গে একটি পক্ষের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

আহত দেবাশীষকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানতে চাইলে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আহমেদ বলেন, ‘ইমদাদুল হক মিলন গুলিতে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রাণিচিকিৎসক দেবাশীষ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে বলে জানতে পেরেছি।’

ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, চরমপন্থী হুমায়ূন কবির হুমা গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি।

একটি সূত্র জানায়, প্রাণিচিকিৎসক দেবাশীষ ওরফে দীবা বিশ্বাসের বুকে ও মাথায় আগে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরেরটা সাংবাদিক মিলনের মাথায়। সেখানে পাঁচ রাউন্ড গুলি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত