Ajker Patrika

সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি-বেতনকাঠামো নিয়ে পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ

  • ৩০টি দপ্তর চায় সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মতো সুবিধা।
  • অভিন্ন নিয়োগবিধি করতে চাইছে সরকার।
  • অভিন্ন নিয়োগবিধিতে জটিলতার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ১৬: ৩২
সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি-বেতনকাঠামো নিয়ে পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন দপ্তরের মতো সুবিধা চাইলেও সরকার হাঁটছে অন্য পথে।

৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা তাঁদের পদনাম বদল করে বেতন গ্রেড উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসা এসব আবেদন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নেও হাত দিয়েছে। তবে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আপত্তিতে এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সরকারি দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম না হওয়ায় অভিন্ন নিয়োগবিধি জারি করলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। বরং সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।

বর্তমানে ডিসি এবং ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আরেকটি নিয়োগ বিধিমালা রয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়-বিভাগের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সচিবালয়ের কর্মচারীরা উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। আর বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হলে সবার জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে।

সরকার অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর সচিবালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসের কর্মচারীরা একদিকে এবং সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন।

এখন সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব, ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ৯ জন উপসচিব পদে আছেন। ১৩ মে নন-ক্যাডার উপসচিবের আরও ছয়টি পদ সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সহকারী সচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের আরও পদ সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছেন কর্মচারীরা।

অন্যদিকে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ৮৩১টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৪৭৫ জন। বাকি পদে পদোন্নতি ও নিয়োগের জন্য জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর মাঠ প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমানের প্রায় ১৪ হাজার পদ রয়েছে। এ ছাড়া ফিডার পদ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদবি অনুযায়ী, সচিবালয়ের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন কর্মচারীরা।

বৈষম্যের সূচনা যেভাবে

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৭৭ সালের ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারীসহ সব দপ্তরের সমজাতীয় পদগুলোর জন্য একই নিয়োগবিধি এবং ১৩ ও ১৪তম বেতন গ্রেড নির্ধারিত ছিল। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (জনপ্রশাসনের আগের নাম) শুধু সচিবালয়ের ভেতরে যাঁদের অফিস তাঁদের দায়িত্ব, বেতন স্কেল, কর্মপরিধি ও পদমর্যাদা অপরিবর্তিত রেখে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, শাখা সহকারী, বাজেট পরীক্ষক পদবি বদলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে। ১৯৯৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দিয়ে ১০ম বেতন গ্রেড দেওয়া হয়।

২০০৮ সালের নভেম্বরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারি কর্ম কমিশনের আদেশে পিএসসির প্রধান সহকারী, শাখা সহকারী, উচ্চমান সহকারী পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা হয়। এসব পদের বেতনও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর ধরা হয়।

২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারীর পদবি পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করে বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। এটি ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১৬ মে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদবি বদলে উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা; প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদবি বদলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উচ্চমান সহকারীর পদবি বদলে উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা হয়। তবে তাঁদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয়।

সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা পদবি বদলে বেতনবৈষম্য নিরসনের জন্য দুই যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসছেন।

বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ২৫২টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারীর সমমানের পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সচিবালয়ের মতো করার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।

প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ বছর ধরে অধিদপ্তর, সংস্থার সঙ্গে পদবিবৈষম্য করা হচ্ছে। কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পদবিবৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বারবার কমিটি গঠন করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার ১৩ হাজারসহ প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদবি ও বেতনবৈষম্যের শিকার। এ বৈষম্য নিরসন না করে অভিন্ন নিয়োগবিধি করলে বেতনবৈষম্য আরও বাড়বে।

উদ্যোগ আছে, বাস্তবায়ন নেই

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ২০১২ সালের ১২ আগস্টের সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। সেই সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একই কমিটির সভায় এ বিষয়টি আবার আলোচিত হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে তাদের অধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয়। ২৫২টি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানায়। তবে এরপর মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পদ-পদবিবৈষম্যের বিষয়ে একটি সভা করে। দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভায় এবং একাদশ সংসদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভায় সচিবালয়ের মতো করে সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সরকারি সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও গেজেটেড পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় শাখা একটি উপকমিটি গঠন করে।

২০২২ সালের ২৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় উপকমিটির সুপারিশ মোতাবেক সব দপ্তর থেকে পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সব সচিবকে চিঠি দেয়। এরপর ৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি সংস্থা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে তাদের প্রস্তাব পাঠায়। বিধি অনুবিভাগ এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দিলে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে সরকারকে সুপারিশ দিতে কমিটি করা হয়। ওই সময় বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামীম সোহেল। তাঁকে সম্প্রতি বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই অনুবিভাগের অন্য দায়িত্বে বসানো হয়েছে। বিধি-১ অনুবিভাগে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।

শামীম সোহেল গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আর ওই দায়িত্বে না থাকায় কমিটিতে কী হচ্ছে, তা বলতে পারব না।’

তবে কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, ‘সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের চাপের মুখে কমিটির প্রথম সভা স্থগিত করা হয়েছে। এখন আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।’

অভিন্ন বিধিমালায় জটিলতা বাড়বে

২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল। তখন পর্যায়ক্রমে এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের সুপারিশ দিতে গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে কর্মচারীদের আপত্তির মুখে ১৩ মে কমিটির সভা ডেকেও তা স্থগিত করা হয়।

সবার জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে বদলির পথ তৈরি হবে।

আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে বৈষম্য বাড়বে। কারণ সচিবালয় নির্দেশমালার কাজের ধরন আর মাঠ প্রশাসনের কাজের ধরন এক নয়। আমরা অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন-সংক্রান্ত গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাচ্ছেন, আমরাও তাঁদের মতো সুবিধা চাই। সরকার কীভাবে আমাদের সে সুবিধা দেবে, সেটা সরকারের ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য করা হচ্ছে, আমরা এর অবসান চাই।’

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া মনে করেন, সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘সব দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম নয়। নিয়োগের সময় একই ধরনের যোগ্যতাও চাওয়া হয় না। অভিন্ন নিয়োগবিধি না করে সব সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা যেতে পারে। হুট করে এমন কিছু করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হবে।’

অভিন্ন নিয়োগবিধির পক্ষে নন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদারও। আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা বাস্তবভিত্তিক নয়। সব সরকারি অফিসের কাজের ধরন এক নয়, ফলে সুযোগ-সুবিধায় ভিন্নতা থাকতেই পারে। প্রয়োজনে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি: আসিফ নজরুল

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রবাসীরা জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় অর্জনে প্রবাসীদের সমর্থন ও ত্যাগ অতুলনীয়। তাঁদের কল্যাণে সরকার বদ্ধপরিকর।

আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্সের সর্বোত্তম ব্যবহারবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিভিসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে সাধারণ কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী নিয়োগ বাড়বে এবং কর্মী ও নিয়োগকর্তার অধিকার ও স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো শুরু করেছি। দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জর্ডানে নারী শ্রমিকদের বিনা ফি-তে ও জরিমানা ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে আসার সময় আগে একটি মোবাইল ফোন আনতে পারতেন। আমরা এটি বাড়িয়ে দুটি আনতে পারার সুযোগ করেছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে এবং আংশিক মালিকানায় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রবাসীদের কল্যাণে মাইলফলক অগ্রগতি অর্জিত হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আই আর ভ্যালেন্টাইন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফনে মোতায়েন থাকবেন ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়িকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যও থাকবেন।

প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আপসহীন নেত্রী। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন, এটা অতুলনীয়। এভারকেয়ার থেকে খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়ি সংসদে ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসা পর্যন্ত জানাজা এবং দাফন—সবকিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর জানাজা, দাফনসহ প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সরকার। এ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন, সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্বে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ডিএমপির ১০ হাজারের বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনা থাকবে।

নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থার তরফ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, এখন আরও বড় আকারে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সকালে তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে। নেওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হবে। তবে কখন লাশ সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাঁকে নিয়ে আসা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকেরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরও বড় আকারে হবে। সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী ছিলেন না, তিনি জাতীয় নেত্রী ছিলেন। বিএনপির দলীয় অবস্থান থেকে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশ যখন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা নেওয়া হবে, তখন রাস্তার দুপাশে জনসাধারণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫০
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগামীকাল বুধবার ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল বুধবার ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান ও দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত