শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন দপ্তরের মতো সুবিধা চাইলেও সরকার হাঁটছে অন্য পথে।
৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা তাঁদের পদনাম বদল করে বেতন গ্রেড উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসা এসব আবেদন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নেও হাত দিয়েছে। তবে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আপত্তিতে এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সরকারি দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম না হওয়ায় অভিন্ন নিয়োগবিধি জারি করলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। বরং সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।
বর্তমানে ডিসি এবং ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আরেকটি নিয়োগ বিধিমালা রয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়-বিভাগের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সচিবালয়ের কর্মচারীরা উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। আর বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হলে সবার জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে।
সরকার অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর সচিবালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসের কর্মচারীরা একদিকে এবং সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন।
এখন সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব, ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ৯ জন উপসচিব পদে আছেন। ১৩ মে নন-ক্যাডার উপসচিবের আরও ছয়টি পদ সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সহকারী সচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের আরও পদ সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছেন কর্মচারীরা।
অন্যদিকে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ৮৩১টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৪৭৫ জন। বাকি পদে পদোন্নতি ও নিয়োগের জন্য জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর মাঠ প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমানের প্রায় ১৪ হাজার পদ রয়েছে। এ ছাড়া ফিডার পদ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদবি অনুযায়ী, সচিবালয়ের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন কর্মচারীরা।
বৈষম্যের সূচনা যেভাবে
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৭৭ সালের ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারীসহ সব দপ্তরের সমজাতীয় পদগুলোর জন্য একই নিয়োগবিধি এবং ১৩ ও ১৪তম বেতন গ্রেড নির্ধারিত ছিল। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (জনপ্রশাসনের আগের নাম) শুধু সচিবালয়ের ভেতরে যাঁদের অফিস তাঁদের দায়িত্ব, বেতন স্কেল, কর্মপরিধি ও পদমর্যাদা অপরিবর্তিত রেখে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, শাখা সহকারী, বাজেট পরীক্ষক পদবি বদলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে। ১৯৯৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দিয়ে ১০ম বেতন গ্রেড দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের নভেম্বরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারি কর্ম কমিশনের আদেশে পিএসসির প্রধান সহকারী, শাখা সহকারী, উচ্চমান সহকারী পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা হয়। এসব পদের বেতনও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর ধরা হয়।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারীর পদবি পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করে বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। এটি ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১৬ মে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদবি বদলে উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা; প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদবি বদলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উচ্চমান সহকারীর পদবি বদলে উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা হয়। তবে তাঁদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয়।
সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা পদবি বদলে বেতনবৈষম্য নিরসনের জন্য দুই যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ২৫২টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারীর সমমানের পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সচিবালয়ের মতো করার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।
প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ বছর ধরে অধিদপ্তর, সংস্থার সঙ্গে পদবিবৈষম্য করা হচ্ছে। কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পদবিবৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বারবার কমিটি গঠন করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার ১৩ হাজারসহ প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদবি ও বেতনবৈষম্যের শিকার। এ বৈষম্য নিরসন না করে অভিন্ন নিয়োগবিধি করলে বেতনবৈষম্য আরও বাড়বে।
উদ্যোগ আছে, বাস্তবায়ন নেই
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ২০১২ সালের ১২ আগস্টের সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। সেই সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একই কমিটির সভায় এ বিষয়টি আবার আলোচিত হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে তাদের অধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয়। ২৫২টি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানায়। তবে এরপর মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পদ-পদবিবৈষম্যের বিষয়ে একটি সভা করে। দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভায় এবং একাদশ সংসদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভায় সচিবালয়ের মতো করে সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সরকারি সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও গেজেটেড পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় শাখা একটি উপকমিটি গঠন করে।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় উপকমিটির সুপারিশ মোতাবেক সব দপ্তর থেকে পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সব সচিবকে চিঠি দেয়। এরপর ৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি সংস্থা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে তাদের প্রস্তাব পাঠায়। বিধি অনুবিভাগ এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দিলে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে সরকারকে সুপারিশ দিতে কমিটি করা হয়। ওই সময় বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামীম সোহেল। তাঁকে সম্প্রতি বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই অনুবিভাগের অন্য দায়িত্বে বসানো হয়েছে। বিধি-১ অনুবিভাগে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
শামীম সোহেল গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আর ওই দায়িত্বে না থাকায় কমিটিতে কী হচ্ছে, তা বলতে পারব না।’
তবে কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, ‘সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের চাপের মুখে কমিটির প্রথম সভা স্থগিত করা হয়েছে। এখন আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।’
অভিন্ন বিধিমালায় জটিলতা বাড়বে
২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল। তখন পর্যায়ক্রমে এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের সুপারিশ দিতে গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে কর্মচারীদের আপত্তির মুখে ১৩ মে কমিটির সভা ডেকেও তা স্থগিত করা হয়।
সবার জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে বদলির পথ তৈরি হবে।
আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে বৈষম্য বাড়বে। কারণ সচিবালয় নির্দেশমালার কাজের ধরন আর মাঠ প্রশাসনের কাজের ধরন এক নয়। আমরা অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন-সংক্রান্ত গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাচ্ছেন, আমরাও তাঁদের মতো সুবিধা চাই। সরকার কীভাবে আমাদের সে সুবিধা দেবে, সেটা সরকারের ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য করা হচ্ছে, আমরা এর অবসান চাই।’
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া মনে করেন, সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘সব দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম নয়। নিয়োগের সময় একই ধরনের যোগ্যতাও চাওয়া হয় না। অভিন্ন নিয়োগবিধি না করে সব সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা যেতে পারে। হুট করে এমন কিছু করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
অভিন্ন নিয়োগবিধির পক্ষে নন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদারও। আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা বাস্তবভিত্তিক নয়। সব সরকারি অফিসের কাজের ধরন এক নয়, ফলে সুযোগ-সুবিধায় ভিন্নতা থাকতেই পারে। প্রয়োজনে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন দপ্তরের মতো সুবিধা চাইলেও সরকার হাঁটছে অন্য পথে।
৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা তাঁদের পদনাম বদল করে বেতন গ্রেড উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসা এসব আবেদন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নেও হাত দিয়েছে। তবে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আপত্তিতে এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সরকারি দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম না হওয়ায় অভিন্ন নিয়োগবিধি জারি করলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। বরং সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।
বর্তমানে ডিসি এবং ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আরেকটি নিয়োগ বিধিমালা রয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়-বিভাগের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সচিবালয়ের কর্মচারীরা উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। আর বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হলে সবার জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে।
সরকার অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর সচিবালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসের কর্মচারীরা একদিকে এবং সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন।
এখন সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব, ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ৯ জন উপসচিব পদে আছেন। ১৩ মে নন-ক্যাডার উপসচিবের আরও ছয়টি পদ সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সহকারী সচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের আরও পদ সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছেন কর্মচারীরা।
অন্যদিকে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ৮৩১টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৪৭৫ জন। বাকি পদে পদোন্নতি ও নিয়োগের জন্য জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর মাঠ প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমানের প্রায় ১৪ হাজার পদ রয়েছে। এ ছাড়া ফিডার পদ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদবি অনুযায়ী, সচিবালয়ের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন কর্মচারীরা।
বৈষম্যের সূচনা যেভাবে
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৭৭ সালের ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারীসহ সব দপ্তরের সমজাতীয় পদগুলোর জন্য একই নিয়োগবিধি এবং ১৩ ও ১৪তম বেতন গ্রেড নির্ধারিত ছিল। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (জনপ্রশাসনের আগের নাম) শুধু সচিবালয়ের ভেতরে যাঁদের অফিস তাঁদের দায়িত্ব, বেতন স্কেল, কর্মপরিধি ও পদমর্যাদা অপরিবর্তিত রেখে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, শাখা সহকারী, বাজেট পরীক্ষক পদবি বদলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে। ১৯৯৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দিয়ে ১০ম বেতন গ্রেড দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের নভেম্বরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারি কর্ম কমিশনের আদেশে পিএসসির প্রধান সহকারী, শাখা সহকারী, উচ্চমান সহকারী পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা হয়। এসব পদের বেতনও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর ধরা হয়।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারীর পদবি পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করে বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। এটি ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১৬ মে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদবি বদলে উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা; প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদবি বদলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উচ্চমান সহকারীর পদবি বদলে উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা হয়। তবে তাঁদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয়।
সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা পদবি বদলে বেতনবৈষম্য নিরসনের জন্য দুই যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ২৫২টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারীর সমমানের পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সচিবালয়ের মতো করার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।
প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ বছর ধরে অধিদপ্তর, সংস্থার সঙ্গে পদবিবৈষম্য করা হচ্ছে। কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পদবিবৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বারবার কমিটি গঠন করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার ১৩ হাজারসহ প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদবি ও বেতনবৈষম্যের শিকার। এ বৈষম্য নিরসন না করে অভিন্ন নিয়োগবিধি করলে বেতনবৈষম্য আরও বাড়বে।
উদ্যোগ আছে, বাস্তবায়ন নেই
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ২০১২ সালের ১২ আগস্টের সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। সেই সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একই কমিটির সভায় এ বিষয়টি আবার আলোচিত হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে তাদের অধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয়। ২৫২টি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানায়। তবে এরপর মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পদ-পদবিবৈষম্যের বিষয়ে একটি সভা করে। দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভায় এবং একাদশ সংসদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভায় সচিবালয়ের মতো করে সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সরকারি সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও গেজেটেড পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় শাখা একটি উপকমিটি গঠন করে।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় উপকমিটির সুপারিশ মোতাবেক সব দপ্তর থেকে পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সব সচিবকে চিঠি দেয়। এরপর ৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি সংস্থা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে তাদের প্রস্তাব পাঠায়। বিধি অনুবিভাগ এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দিলে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে সরকারকে সুপারিশ দিতে কমিটি করা হয়। ওই সময় বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামীম সোহেল। তাঁকে সম্প্রতি বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই অনুবিভাগের অন্য দায়িত্বে বসানো হয়েছে। বিধি-১ অনুবিভাগে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
শামীম সোহেল গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আর ওই দায়িত্বে না থাকায় কমিটিতে কী হচ্ছে, তা বলতে পারব না।’
তবে কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, ‘সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের চাপের মুখে কমিটির প্রথম সভা স্থগিত করা হয়েছে। এখন আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।’
অভিন্ন বিধিমালায় জটিলতা বাড়বে
২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল। তখন পর্যায়ক্রমে এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের সুপারিশ দিতে গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে কর্মচারীদের আপত্তির মুখে ১৩ মে কমিটির সভা ডেকেও তা স্থগিত করা হয়।
সবার জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে বদলির পথ তৈরি হবে।
আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে বৈষম্য বাড়বে। কারণ সচিবালয় নির্দেশমালার কাজের ধরন আর মাঠ প্রশাসনের কাজের ধরন এক নয়। আমরা অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন-সংক্রান্ত গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাচ্ছেন, আমরাও তাঁদের মতো সুবিধা চাই। সরকার কীভাবে আমাদের সে সুবিধা দেবে, সেটা সরকারের ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য করা হচ্ছে, আমরা এর অবসান চাই।’
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া মনে করেন, সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘সব দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম নয়। নিয়োগের সময় একই ধরনের যোগ্যতাও চাওয়া হয় না। অভিন্ন নিয়োগবিধি না করে সব সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা যেতে পারে। হুট করে এমন কিছু করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
অভিন্ন নিয়োগবিধির পক্ষে নন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদারও। আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা বাস্তবভিত্তিক নয়। সব সরকারি অফিসের কাজের ধরন এক নয়, ফলে সুযোগ-সুবিধায় ভিন্নতা থাকতেই পারে। প্রয়োজনে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে। ভারতে তাদের যারা আশ্রয় দিয়েছিল, সেই দুজনকে আটক করেছে মেঘালয় পুলিশ।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এবং অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ফয়সাল করিম দাউদ ওরফে রাহুল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখের সহযোগী ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, চারজন সাক্ষী হয়েছেন।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে হাদি হত্যাকাণ্ডের মোটিভ কী ছিল—এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, সেই মোতাবেক এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মূল দুই আসামি ফয়সাল করিম ওরফে মাসুদ ওরফে রাহুল, মোটরসাইকেলচালক আলমগীর শেখ দুজনেই ভারতে পালিয়ে গেছে। আমাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে মেঘালয় পুলিশ পাচারে সহায়তার অভিযোগে সেখানকার দুজনকে আটক করেছে।’
মেঘালয় পুলিশ পুর্তি ও সামী নামে ভারতের দুই নাগরিককে আটক করেছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে (অটোরিকশা) করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুড়ে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তাঁরা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তাঁরা।
একই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্ট (২০২৪) যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাই জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তাঁরা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন বেলা আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১৪ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার ঘটনায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডে যারা অংশ নিয়েছিল, তারা ভারতে পালিয়ে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
৫ ঘণ্টা আগে