শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন দপ্তরের মতো সুবিধা চাইলেও সরকার হাঁটছে অন্য পথে।
৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা তাঁদের পদনাম বদল করে বেতন গ্রেড উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসা এসব আবেদন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নেও হাত দিয়েছে। তবে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আপত্তিতে এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সরকারি দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম না হওয়ায় অভিন্ন নিয়োগবিধি জারি করলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। বরং সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।
বর্তমানে ডিসি এবং ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আরেকটি নিয়োগ বিধিমালা রয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়-বিভাগের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সচিবালয়ের কর্মচারীরা উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। আর বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হলে সবার জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে।
সরকার অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর সচিবালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসের কর্মচারীরা একদিকে এবং সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন।
এখন সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব, ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ৯ জন উপসচিব পদে আছেন। ১৩ মে নন-ক্যাডার উপসচিবের আরও ছয়টি পদ সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সহকারী সচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের আরও পদ সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছেন কর্মচারীরা।
অন্যদিকে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ৮৩১টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৪৭৫ জন। বাকি পদে পদোন্নতি ও নিয়োগের জন্য জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর মাঠ প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমানের প্রায় ১৪ হাজার পদ রয়েছে। এ ছাড়া ফিডার পদ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদবি অনুযায়ী, সচিবালয়ের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন কর্মচারীরা।
বৈষম্যের সূচনা যেভাবে
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৭৭ সালের ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারীসহ সব দপ্তরের সমজাতীয় পদগুলোর জন্য একই নিয়োগবিধি এবং ১৩ ও ১৪তম বেতন গ্রেড নির্ধারিত ছিল। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (জনপ্রশাসনের আগের নাম) শুধু সচিবালয়ের ভেতরে যাঁদের অফিস তাঁদের দায়িত্ব, বেতন স্কেল, কর্মপরিধি ও পদমর্যাদা অপরিবর্তিত রেখে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, শাখা সহকারী, বাজেট পরীক্ষক পদবি বদলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে। ১৯৯৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দিয়ে ১০ম বেতন গ্রেড দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের নভেম্বরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারি কর্ম কমিশনের আদেশে পিএসসির প্রধান সহকারী, শাখা সহকারী, উচ্চমান সহকারী পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা হয়। এসব পদের বেতনও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর ধরা হয়।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারীর পদবি পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করে বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। এটি ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১৬ মে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদবি বদলে উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা; প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদবি বদলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উচ্চমান সহকারীর পদবি বদলে উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা হয়। তবে তাঁদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয়।
সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা পদবি বদলে বেতনবৈষম্য নিরসনের জন্য দুই যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ২৫২টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারীর সমমানের পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সচিবালয়ের মতো করার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।
প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ বছর ধরে অধিদপ্তর, সংস্থার সঙ্গে পদবিবৈষম্য করা হচ্ছে। কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পদবিবৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বারবার কমিটি গঠন করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার ১৩ হাজারসহ প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদবি ও বেতনবৈষম্যের শিকার। এ বৈষম্য নিরসন না করে অভিন্ন নিয়োগবিধি করলে বেতনবৈষম্য আরও বাড়বে।
উদ্যোগ আছে, বাস্তবায়ন নেই
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ২০১২ সালের ১২ আগস্টের সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। সেই সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একই কমিটির সভায় এ বিষয়টি আবার আলোচিত হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে তাদের অধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয়। ২৫২টি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানায়। তবে এরপর মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পদ-পদবিবৈষম্যের বিষয়ে একটি সভা করে। দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভায় এবং একাদশ সংসদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভায় সচিবালয়ের মতো করে সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সরকারি সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও গেজেটেড পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় শাখা একটি উপকমিটি গঠন করে।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় উপকমিটির সুপারিশ মোতাবেক সব দপ্তর থেকে পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সব সচিবকে চিঠি দেয়। এরপর ৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি সংস্থা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে তাদের প্রস্তাব পাঠায়। বিধি অনুবিভাগ এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দিলে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে সরকারকে সুপারিশ দিতে কমিটি করা হয়। ওই সময় বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামীম সোহেল। তাঁকে সম্প্রতি বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই অনুবিভাগের অন্য দায়িত্বে বসানো হয়েছে। বিধি-১ অনুবিভাগে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
শামীম সোহেল গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আর ওই দায়িত্বে না থাকায় কমিটিতে কী হচ্ছে, তা বলতে পারব না।’
তবে কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, ‘সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের চাপের মুখে কমিটির প্রথম সভা স্থগিত করা হয়েছে। এখন আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।’
অভিন্ন বিধিমালায় জটিলতা বাড়বে
২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল। তখন পর্যায়ক্রমে এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের সুপারিশ দিতে গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে কর্মচারীদের আপত্তির মুখে ১৩ মে কমিটির সভা ডেকেও তা স্থগিত করা হয়।
সবার জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে বদলির পথ তৈরি হবে।
আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে বৈষম্য বাড়বে। কারণ সচিবালয় নির্দেশমালার কাজের ধরন আর মাঠ প্রশাসনের কাজের ধরন এক নয়। আমরা অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন-সংক্রান্ত গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাচ্ছেন, আমরাও তাঁদের মতো সুবিধা চাই। সরকার কীভাবে আমাদের সে সুবিধা দেবে, সেটা সরকারের ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য করা হচ্ছে, আমরা এর অবসান চাই।’
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া মনে করেন, সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘সব দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম নয়। নিয়োগের সময় একই ধরনের যোগ্যতাও চাওয়া হয় না। অভিন্ন নিয়োগবিধি না করে সব সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা যেতে পারে। হুট করে এমন কিছু করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
অভিন্ন নিয়োগবিধির পক্ষে নন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদারও। আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা বাস্তবভিত্তিক নয়। সব সরকারি অফিসের কাজের ধরন এক নয়, ফলে সুযোগ-সুবিধায় ভিন্নতা থাকতেই পারে। প্রয়োজনে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন দপ্তরের মতো সুবিধা চাইলেও সরকার হাঁটছে অন্য পথে।
৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা তাঁদের পদনাম বদল করে বেতন গ্রেড উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসা এসব আবেদন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নেও হাত দিয়েছে। তবে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আপত্তিতে এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সরকারি দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম না হওয়ায় অভিন্ন নিয়োগবিধি জারি করলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। বরং সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে।
বর্তমানে ডিসি এবং ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আরেকটি নিয়োগ বিধিমালা রয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়-বিভাগের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪। এই বিধিমালা অনুযায়ী, সচিবালয়ের কর্মচারীরা উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান। আর বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হলে সবার জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে।
সরকার অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর সচিবালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসের কর্মচারীরা একদিকে এবং সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন।
এখন সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব, ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ৯ জন উপসচিব পদে আছেন। ১৩ মে নন-ক্যাডার উপসচিবের আরও ছয়টি পদ সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সহকারী সচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের আরও পদ সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছেন কর্মচারীরা।
অন্যদিকে ইউএনও, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ৮৩১টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৪৭৫ জন। বাকি পদে পদোন্নতি ও নিয়োগের জন্য জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আর মাঠ প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমমানের প্রায় ১৪ হাজার পদ রয়েছে। এ ছাড়া ফিডার পদ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদবি অনুযায়ী, সচিবালয়ের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন কর্মচারীরা।
বৈষম্যের সূচনা যেভাবে
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৭৭ সালের ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারীসহ সব দপ্তরের সমজাতীয় পদগুলোর জন্য একই নিয়োগবিধি এবং ১৩ ও ১৪তম বেতন গ্রেড নির্ধারিত ছিল। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় (জনপ্রশাসনের আগের নাম) শুধু সচিবালয়ের ভেতরে যাঁদের অফিস তাঁদের দায়িত্ব, বেতন স্কেল, কর্মপরিধি ও পদমর্যাদা অপরিবর্তিত রেখে প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, শাখা সহকারী, বাজেট পরীক্ষক পদবি বদলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে। ১৯৯৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দিয়ে ১০ম বেতন গ্রেড দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের নভেম্বরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারি কর্ম কমিশনের আদেশে পিএসসির প্রধান সহকারী, শাখা সহকারী, উচ্চমান সহকারী পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা হয়। এসব পদের বেতনও ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। ১৯৯৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর ধরা হয়।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারীর পদবি পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করে বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে। এটি ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১৬ মে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদবি বদলে উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা; প্রধান সহকারী, ট্রেজারি হিসাবরক্ষক, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদবি বদলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উচ্চমান সহকারীর পদবি বদলে উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা হয়। তবে তাঁদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয়।
সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা পদবি বদলে বেতনবৈষম্য নিরসনের জন্য দুই যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ২৫২টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারীর সমমানের পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সচিবালয়ের মতো করার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে।
প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩০ বছর ধরে অধিদপ্তর, সংস্থার সঙ্গে পদবিবৈষম্য করা হচ্ছে। কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পদবিবৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বারবার কমিটি গঠন করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থার ১৩ হাজারসহ প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদবি ও বেতনবৈষম্যের শিকার। এ বৈষম্য নিরসন না করে অভিন্ন নিয়োগবিধি করলে বেতনবৈষম্য আরও বাড়বে।
উদ্যোগ আছে, বাস্তবায়ন নেই
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ২০১২ সালের ১২ আগস্টের সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। সেই সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একই কমিটির সভায় এ বিষয়টি আবার আলোচিত হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে তাদের অধীন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয়। ২৫২টি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থা এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানায়। তবে এরপর মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পদ-পদবিবৈষম্যের বিষয়ে একটি সভা করে। দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২তম সভায় এবং একাদশ সংসদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভায় সচিবালয়ের মতো করে সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সরকারি সংস্থার প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও গেজেটেড পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় শাখা একটি উপকমিটি গঠন করে।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় উপকমিটির সুপারিশ মোতাবেক সব দপ্তর থেকে পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সব সচিবকে চিঠি দেয়। এরপর ৩০টি অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি সংস্থা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে তাদের প্রস্তাব পাঠায়। বিধি অনুবিভাগ এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দিলে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে সরকারকে সুপারিশ দিতে কমিটি করা হয়। ওই সময় বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামীম সোহেল। তাঁকে সম্প্রতি বিধি-১ অনুবিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই অনুবিভাগের অন্য দায়িত্বে বসানো হয়েছে। বিধি-১ অনুবিভাগে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি।
শামীম সোহেল গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আর ওই দায়িত্বে না থাকায় কমিটিতে কী হচ্ছে, তা বলতে পারব না।’
তবে কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, ‘সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের চাপের মুখে কমিটির প্রথম সভা স্থগিত করা হয়েছে। এখন আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।’
অভিন্ন বিধিমালায় জটিলতা বাড়বে
২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল। তখন পর্যায়ক্রমে এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়। জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের সুপারিশ দিতে গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে কর্মচারীদের আপত্তির মুখে ১৩ মে কমিটির সভা ডেকেও তা স্থগিত করা হয়।
সবার জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে মাঠ প্রশাসনের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে বদলির পথ তৈরি হবে।
আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে বৈষম্য বাড়বে। কারণ সচিবালয় নির্দেশমালার কাজের ধরন আর মাঠ প্রশাসনের কাজের ধরন এক নয়। আমরা অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন-সংক্রান্ত গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সচিবালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাচ্ছেন, আমরাও তাঁদের মতো সুবিধা চাই। সরকার কীভাবে আমাদের সে সুবিধা দেবে, সেটা সরকারের ব্যাপার। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য করা হচ্ছে, আমরা এর অবসান চাই।’
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া মনে করেন, সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘সব দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম নয়। নিয়োগের সময় একই ধরনের যোগ্যতাও চাওয়া হয় না। অভিন্ন নিয়োগবিধি না করে সব সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের সমান সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা যেতে পারে। হুট করে এমন কিছু করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
অভিন্ন নিয়োগবিধির পক্ষে নন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদারও। আজকের পত্রিকা'কে তিনি বলেন, ‘সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা বাস্তবভিত্তিক নয়। সব সরকারি অফিসের কাজের ধরন এক নয়, ফলে সুযোগ-সুবিধায় ভিন্নতা থাকতেই পারে। প্রয়োজনে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও খবর পড়ুন:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল। তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার। পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয়। সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘প্রভাবশালী’ ওই তিন
১৭ মে ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে