আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ী পুলিশ সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো। কিন্তু পুলিশ বলছে, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না মিললে এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সরকারি গেজেট অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলিতে ৮৩৪ জন শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০১ জন।
আন্দোলন চলাকালে রংপুরে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় আবু সাঈদের ভাইয়ের করা মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ জন। বাকিরা সবাই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাঈদ হত্যা মামলার মতো অন্যান্য হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনসিপির। তাঁরা এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরকে নানাভাবে চাপে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলার কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য আইজিপি বাহারুল আলমের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত আইজিপি ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও ডিআইজিরাও রয়েছেন। মনিটরিং সেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের নজরদারিতে রাখলেও এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে রাজি নন।
একাধিক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাঁদের এখনই গ্রেপ্তার করতে চাচ্ছেন না। বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এ বক্তব্য সুপারভাইজার কর্মকর্তারা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছেন।
ঢাকার বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামলার অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ মিললে তারপর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করলেই হবে। এখনই আর গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নেই।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, ইউনিট ও শাখার প্রধানদের দায় রয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে তাঁদের দায় কীভাবে উল্লেখ করা হবে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পুলিশ। এসব বিষয়ে তদন্তের শেষ দিকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মামলার উদাহরণ টেনে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশ দিয়েই হোক, এমনটি চাইছেন না। এ জন্য আলাদা কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে যাঁরাই জড়িত থাকুন, তাঁদের শাস্তি হতে হবে। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্ট থেকেও প্রতীয়মান। কাউকেই বিশেষ আনুকূল্য দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। এতে করে পুলিশের ইমেজই ভালো হবে। জনমনে পুলিশের প্রতি যে ক্ষোভ, তা প্রশমনের একমাত্র উপায় দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা।’ সরকার বা পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করলেও পুলিশের অপরাধ পুলিশ দিয়ে তদন্ত করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এনসিপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অপরাধ অন্য কোনো স্বাধীন কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা উচিত। আমরা সে দাবি সব সময় জানাচ্ছি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তদন্ত করলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট সৃষ্টি হয়।’
তবে বিভিন্ন রকম জনমত সৃষ্টি করে চাপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ) মুখপাত্র ফানতাসির মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে এবং ফুটেজ চেক করে গণহত্যাকারী পুলিশদের পরিচয় বের করি এবং আমাদের পেজ থেকে পাবলিশ করি। আমাদের পেজে পাবলিক এনগেজমেন্ট বেশি থাকায় জনমত সৃষ্টি করা যায়। আর এভাবেই প্রেসার ক্রিয়েট করে আমরা গণহত্যার বিচারের কাজে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি।’
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলন ঘিরে হওয়া মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ সদস্য আসামি। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইজিপি ৫, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ৪১, সাবেক ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) ১২, বর্তমান ডিআইজি ১২, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ২, বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি ৪২, সাবেক এসপি (পুলিশ সুপার) ৩, বর্তমান এসপি ৫৯, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৫৬, সহকারী পুলিশ সুপার ২১ ও পরিদর্শক ১৬৮ জন রয়েছেন। বাকি ৬৩৮ জন এসআই (উপপরিদর্শক), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), নায়েক ও কনস্টেবল।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, জুলাইয়ের ঘটনায় সাবেক-বর্তমান ৫৪ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। মামলাগুলো তদন্তাধীন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে তদন্ত কর্মকর্তার কাজে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ না করেন, সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ী পুলিশ সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো। কিন্তু পুলিশ বলছে, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না মিললে এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সরকারি গেজেট অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলিতে ৮৩৪ জন শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০১ জন।
আন্দোলন চলাকালে রংপুরে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় আবু সাঈদের ভাইয়ের করা মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ জন। বাকিরা সবাই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাঈদ হত্যা মামলার মতো অন্যান্য হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনসিপির। তাঁরা এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরকে নানাভাবে চাপে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলার কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য আইজিপি বাহারুল আলমের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত আইজিপি ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও ডিআইজিরাও রয়েছেন। মনিটরিং সেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের নজরদারিতে রাখলেও এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে রাজি নন।
একাধিক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাঁদের এখনই গ্রেপ্তার করতে চাচ্ছেন না। বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এ বক্তব্য সুপারভাইজার কর্মকর্তারা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছেন।
ঢাকার বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামলার অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ মিললে তারপর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করলেই হবে। এখনই আর গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নেই।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, ইউনিট ও শাখার প্রধানদের দায় রয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে তাঁদের দায় কীভাবে উল্লেখ করা হবে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পুলিশ। এসব বিষয়ে তদন্তের শেষ দিকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মামলার উদাহরণ টেনে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশ দিয়েই হোক, এমনটি চাইছেন না। এ জন্য আলাদা কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে যাঁরাই জড়িত থাকুন, তাঁদের শাস্তি হতে হবে। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্ট থেকেও প্রতীয়মান। কাউকেই বিশেষ আনুকূল্য দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। এতে করে পুলিশের ইমেজই ভালো হবে। জনমনে পুলিশের প্রতি যে ক্ষোভ, তা প্রশমনের একমাত্র উপায় দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা।’ সরকার বা পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করলেও পুলিশের অপরাধ পুলিশ দিয়ে তদন্ত করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এনসিপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অপরাধ অন্য কোনো স্বাধীন কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা উচিত। আমরা সে দাবি সব সময় জানাচ্ছি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তদন্ত করলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট সৃষ্টি হয়।’
তবে বিভিন্ন রকম জনমত সৃষ্টি করে চাপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ) মুখপাত্র ফানতাসির মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে এবং ফুটেজ চেক করে গণহত্যাকারী পুলিশদের পরিচয় বের করি এবং আমাদের পেজ থেকে পাবলিশ করি। আমাদের পেজে পাবলিক এনগেজমেন্ট বেশি থাকায় জনমত সৃষ্টি করা যায়। আর এভাবেই প্রেসার ক্রিয়েট করে আমরা গণহত্যার বিচারের কাজে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি।’
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলন ঘিরে হওয়া মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ সদস্য আসামি। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইজিপি ৫, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ৪১, সাবেক ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) ১২, বর্তমান ডিআইজি ১২, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ২, বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি ৪২, সাবেক এসপি (পুলিশ সুপার) ৩, বর্তমান এসপি ৫৯, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৫৬, সহকারী পুলিশ সুপার ২১ ও পরিদর্শক ১৬৮ জন রয়েছেন। বাকি ৬৩৮ জন এসআই (উপপরিদর্শক), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), নায়েক ও কনস্টেবল।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, জুলাইয়ের ঘটনায় সাবেক-বর্তমান ৫৪ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। মামলাগুলো তদন্তাধীন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে তদন্ত কর্মকর্তার কাজে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ না করেন, সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ী পুলিশ সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো। কিন্তু পুলিশ বলছে, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না মিললে এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সরকারি গেজেট অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলিতে ৮৩৪ জন শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০১ জন।
আন্দোলন চলাকালে রংপুরে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় আবু সাঈদের ভাইয়ের করা মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ জন। বাকিরা সবাই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাঈদ হত্যা মামলার মতো অন্যান্য হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনসিপির। তাঁরা এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরকে নানাভাবে চাপে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলার কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য আইজিপি বাহারুল আলমের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত আইজিপি ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও ডিআইজিরাও রয়েছেন। মনিটরিং সেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের নজরদারিতে রাখলেও এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে রাজি নন।
একাধিক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাঁদের এখনই গ্রেপ্তার করতে চাচ্ছেন না। বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এ বক্তব্য সুপারভাইজার কর্মকর্তারা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছেন।
ঢাকার বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামলার অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ মিললে তারপর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করলেই হবে। এখনই আর গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নেই।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, ইউনিট ও শাখার প্রধানদের দায় রয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে তাঁদের দায় কীভাবে উল্লেখ করা হবে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পুলিশ। এসব বিষয়ে তদন্তের শেষ দিকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মামলার উদাহরণ টেনে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশ দিয়েই হোক, এমনটি চাইছেন না। এ জন্য আলাদা কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে যাঁরাই জড়িত থাকুন, তাঁদের শাস্তি হতে হবে। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্ট থেকেও প্রতীয়মান। কাউকেই বিশেষ আনুকূল্য দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। এতে করে পুলিশের ইমেজই ভালো হবে। জনমনে পুলিশের প্রতি যে ক্ষোভ, তা প্রশমনের একমাত্র উপায় দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা।’ সরকার বা পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করলেও পুলিশের অপরাধ পুলিশ দিয়ে তদন্ত করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এনসিপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অপরাধ অন্য কোনো স্বাধীন কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা উচিত। আমরা সে দাবি সব সময় জানাচ্ছি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তদন্ত করলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট সৃষ্টি হয়।’
তবে বিভিন্ন রকম জনমত সৃষ্টি করে চাপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ) মুখপাত্র ফানতাসির মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে এবং ফুটেজ চেক করে গণহত্যাকারী পুলিশদের পরিচয় বের করি এবং আমাদের পেজ থেকে পাবলিশ করি। আমাদের পেজে পাবলিক এনগেজমেন্ট বেশি থাকায় জনমত সৃষ্টি করা যায়। আর এভাবেই প্রেসার ক্রিয়েট করে আমরা গণহত্যার বিচারের কাজে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি।’
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলন ঘিরে হওয়া মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ সদস্য আসামি। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইজিপি ৫, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ৪১, সাবেক ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) ১২, বর্তমান ডিআইজি ১২, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ২, বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি ৪২, সাবেক এসপি (পুলিশ সুপার) ৩, বর্তমান এসপি ৫৯, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৫৬, সহকারী পুলিশ সুপার ২১ ও পরিদর্শক ১৬৮ জন রয়েছেন। বাকি ৬৩৮ জন এসআই (উপপরিদর্শক), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), নায়েক ও কনস্টেবল।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, জুলাইয়ের ঘটনায় সাবেক-বর্তমান ৫৪ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। মামলাগুলো তদন্তাধীন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে তদন্ত কর্মকর্তার কাজে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ না করেন, সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ী পুলিশ সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো। কিন্তু পুলিশ বলছে, অভিযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না মিললে এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। সরকারি গেজেট অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলিতে ৮৩৪ জন শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০১ জন।
আন্দোলন চলাকালে রংপুরে গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় আবু সাঈদের ভাইয়ের করা মামলায় ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ জন। বাকিরা সবাই পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাঈদ হত্যা মামলার মতো অন্যান্য হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনসিপির। তাঁরা এ নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরকে নানাভাবে চাপে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে হওয়া মামলার কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য আইজিপি বাহারুল আলমের নেতৃত্বে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত আইজিপি ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও ডিআইজিরাও রয়েছেন। মনিটরিং সেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের নজরদারিতে রাখলেও এখনই আর কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে রাজি নন।
একাধিক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাঁদের এখনই গ্রেপ্তার করতে চাচ্ছেন না। বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের এ বক্তব্য সুপারভাইজার কর্মকর্তারা পুলিশ সদর দপ্তরকে জানিয়েছেন।
ঢাকার বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মামলার অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ মিললে তারপর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করলেই হবে। এখনই আর গ্রেপ্তারের প্রয়োজন নেই।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ, ইউনিট ও শাখার প্রধানদের দায় রয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে তাঁদের দায় কীভাবে উল্লেখ করা হবে এবং তাঁদের গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পুলিশ। এসব বিষয়ে তদন্তের শেষ দিকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মামলার উদাহরণ টেনে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা পুলিশের অপরাধের তদন্ত পুলিশ দিয়েই হোক, এমনটি চাইছেন না। এ জন্য আলাদা কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে যাঁরাই জড়িত থাকুন, তাঁদের শাস্তি হতে হবে। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্ট থেকেও প্রতীয়মান। কাউকেই বিশেষ আনুকূল্য দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা চাই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে। এতে করে পুলিশের ইমেজই ভালো হবে। জনমনে পুলিশের প্রতি যে ক্ষোভ, তা প্রশমনের একমাত্র উপায় দোষী পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা।’ সরকার বা পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করলেও পুলিশের অপরাধ পুলিশ দিয়ে তদন্ত করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এনসিপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অপরাধ অন্য কোনো স্বাধীন কমিশন বা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা উচিত। আমরা সে দাবি সব সময় জানাচ্ছি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তদন্ত করলে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট সৃষ্টি হয়।’
তবে বিভিন্ন রকম জনমত সৃষ্টি করে চাপ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স (জেআরএ) মুখপাত্র ফানতাসির মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে এবং ফুটেজ চেক করে গণহত্যাকারী পুলিশদের পরিচয় বের করি এবং আমাদের পেজ থেকে পাবলিশ করি। আমাদের পেজে পাবলিক এনগেজমেন্ট বেশি থাকায় জনমত সৃষ্টি করা যায়। আর এভাবেই প্রেসার ক্রিয়েট করে আমরা গণহত্যার বিচারের কাজে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি।’
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলন ঘিরে হওয়া মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ সদস্য আসামি। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইজিপি ৫, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ৪১, সাবেক ডিআইজি (উপ-মহাপরিদর্শক) ১২, বর্তমান ডিআইজি ১২, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ২, বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি ৪২, সাবেক এসপি (পুলিশ সুপার) ৩, বর্তমান এসপি ৫৯, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ৫৬, সহকারী পুলিশ সুপার ২১ ও পরিদর্শক ১৬৮ জন রয়েছেন। বাকি ৬৩৮ জন এসআই (উপপরিদর্শক), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), নায়েক ও কনস্টেবল।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, জুলাইয়ের ঘটনায় সাবেক-বর্তমান ৫৪ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার রয়েছেন। মামলাগুলো তদন্তাধীন। তদন্তকারী কর্মকর্তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ তার অস্ত্র ব্যবহার করবে জনস্বার্থে এবং আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে। আইন সবার জন্য সমান। ন্যায়ানুগভাবে এসব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করা উচিত। দোষী-নির্দোষ চিহ্নিত করতে বিলম্ব হলে বাহিনীর সদস্যদের মনোবলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে তদন্ত কর্মকর্তার কাজে কেউ যাতে হস্তক্ষেপ না করেন, সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে এদিন বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির আরও অনেক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ৮১টি আসনে দলটির একাধিক নেতা...
২ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে এদিন বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির আরও অনেক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ৮১টি আসনে দলটির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
তবে শুধু বিএনপিতে নয়, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের দুই নেতা। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের তারিখ ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তির তারিখ ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ৩,৪০৭ জন। তাঁদের মধ্যে গতকাল শেষ দিন পর্যন্ত জমা পড়েছে ২ হাজার ৫৮২টি।
গত ৩ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। এক দিন পরই মাদারীপুর-১ আসনের ঘোষিত প্রার্থী কামাল জামাল মোল্লার নাম স্থগিত করা হয়। পরে ৪ ডিসেম্বর আরও ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। পরবর্তী ২৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্যে মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছে ৮ জোট নেতার। এর বাইরে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন আরও ৫ নেতা।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা যায়, ময়মনসিংহে ১১টি আসনের ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির ১৪ জন নেতা। ময়মনসিংহ-৪ ও ৫ বাদে বাকি সব আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতারা। ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের আসনেই দলের আরও দুই নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বাইরে দলের অন্য নেতারাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানসহ ২ জন। নোয়াখালী-৫ আসনে দলের বাইরে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতা প্রয়াত মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ। নোয়াখালী-৬ আসনেও বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের তিন নেতা। দলের সমর্থন না পেয়েও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক এমপি ফজলুল আজিম ও তাঁর স্ত্রী এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানবীর উদ্দিন রাজিব। তিনটি আসনে বিদ্রোহীরা মাঠে থাকলে বিএনপির জন্য নেতিবাচক ফল আনতে পারে।
নওগাঁর ৬ আসনের মধ্যে ৫টিতেই বিএনপির প্রার্থী আছেন একাধিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬টি আসনেও আছেন বিএনপির একাধিক প্রার্থী। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে সমর্থন দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকিকে বিএনপির ছাড় দেওয়া আসনে বিএনপির এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নাটোরের ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চান। এর মধ্যে নাটোর-১ আসনে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরকে ছাড় দিলেও সেখানে বিএনপির নেতা হাসান মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মানিকগঞ্জের ৩ আসনেই বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি সংসদীয় আসনের একটিতে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির এক নেতা। দিনাজপুরের ৬ আসনের মধ্যে দুটিতে বিএনপির দুজন করে নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন (দিনাজপুর-২ ও ৫)।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম, জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, বরিশাল, বাগেরহাট, ফরিদপুর, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, শেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, নাটোর ও রংপুর, নরসিংদী, পাবনাসহ বিভিন্ন জায়গায় এক এবং একাধিক আসনে বিএনপির কয়েকজন করে নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জামায়াতে ইসলামী
এদিকে দলীয় প্রার্থী থাকার পরেও ময়মনসিংহ-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর জসিম উদ্দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জামায়াতের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হাসানুজ্জামান সজীব। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলটির নেতা জহুরুল ইসলাম আজিজি।
১৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৫ আসনে পরিবর্তন করেছে বিএনপি। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে। ঢাকা-১২ আসনে সাইফুল আলম নীরবের পরিবর্তে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মো. মাসুদুজ্জামান ভোটে অনীহা প্রকাশ করার পর সেখানে বিএনপির সাবেক মহানগর সভাপতি আবুল কালামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। রাউজান (চট্টগ্রাম-৬) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবর্তে গোলাম আকবর খন্দকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি আগে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুকের জন্য ফাঁকা রাখা হলেও অলি আহমদের দল জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেওয়ার পর সেখানে বিএনপি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিনকে প্রার্থী করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৪ আসনে কাজী সালাহউদ্দিনের পরিবর্তে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-১১ থেকে সরিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান।
বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমানের ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সেখানে বিএনপির নেতা মীর শাহে আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তবে মান্না শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বদলে কবির আহমেদ ভূঁইয়াকে প্রার্থী করা হয়। মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে এক্মি গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রবীণ নেতা মিজানুর রহমান সিনহার পরিবর্তে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে কামরুজ্জামান রতনের বদলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঝিনাইদহ-১ আসনে সদ্য পদত্যাগ করা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে। নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর পরিবর্তে জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যশোর-১, যশোর-৫ ও যশোর-৬ আসনেও দলীয় ও জোটগত সমীকরণে নতুন প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। মাদারীপুর-১ আসনে কামাল জামাল মোল্লার বদলে নাদিরা আক্তারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যশোর-৬ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণকে প্রথমে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ থেকে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া রাশেদ খান। এদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেই বিকল্প প্রার্থী রেখেছে বিএনপি।
মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২ হাজার ৫৮২টি
ইসি জানিয়েছে, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছিল, জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছিল, জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি। খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি। ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪টি জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি মনোনয়নপত্র।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে এদিন বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির আরও অনেক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ৮১টি আসনে দলটির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
তবে শুধু বিএনপিতে নয়, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের দুই নেতা। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের তারিখ ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তির তারিখ ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন ৩,৪০৭ জন। তাঁদের মধ্যে গতকাল শেষ দিন পর্যন্ত জমা পড়েছে ২ হাজার ৫৮২টি।
গত ৩ নভেম্বর প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। এক দিন পরই মাদারীপুর-১ আসনের ঘোষিত প্রার্থী কামাল জামাল মোল্লার নাম স্থগিত করা হয়। পরে ৪ ডিসেম্বর আরও ৩৬টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। পরবর্তী ২৮ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে। এর মধ্যে মনোনয়ন নিশ্চিত হয়েছে ৮ জোট নেতার। এর বাইরে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন আরও ৫ নেতা।
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা যায়, ময়মনসিংহে ১১টি আসনের ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির ১৪ জন নেতা। ময়মনসিংহ-৪ ও ৫ বাদে বাকি সব আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতারা। ময়মনসিংহ-১ আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের আসনেই দলের আরও দুই নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর বাইরে দলের অন্য নেতারাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমানসহ ২ জন। নোয়াখালী-৫ আসনে দলের বাইরে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির নেতা প্রয়াত মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ। নোয়াখালী-৬ আসনেও বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের তিন নেতা। দলের সমর্থন না পেয়েও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক এমপি ফজলুল আজিম ও তাঁর স্ত্রী এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানবীর উদ্দিন রাজিব। তিনটি আসনে বিদ্রোহীরা মাঠে থাকলে বিএনপির জন্য নেতিবাচক ফল আনতে পারে।
নওগাঁর ৬ আসনের মধ্যে ৫টিতেই বিএনপির প্রার্থী আছেন একাধিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬টি আসনেও আছেন বিএনপির একাধিক প্রার্থী। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে সমর্থন দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকিকে বিএনপির ছাড় দেওয়া আসনে বিএনপির এক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নাটোরের ৪টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চান। এর মধ্যে নাটোর-১ আসনে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুরকে ছাড় দিলেও সেখানে বিএনপির নেতা হাসান মাহমুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মানিকগঞ্জের ৩ আসনেই বিএনপির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি সংসদীয় আসনের একটিতে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির এক নেতা। দিনাজপুরের ৬ আসনের মধ্যে দুটিতে বিএনপির দুজন করে নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন (দিনাজপুর-২ ও ৫)।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম, জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, বরিশাল, বাগেরহাট, ফরিদপুর, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, শেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, নাটোর ও রংপুর, নরসিংদী, পাবনাসহ বিভিন্ন জায়গায় এক এবং একাধিক আসনে বিএনপির কয়েকজন করে নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জামায়াতে ইসলামী
এদিকে দলীয় প্রার্থী থাকার পরেও ময়মনসিংহ-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর জসিম উদ্দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জামায়াতের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হাসানুজ্জামান সজীব। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলটির নেতা জহুরুল ইসলাম আজিজি।
১৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী বদল
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ১৫ আসনে পরিবর্তন করেছে বিএনপি। সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এসেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে। ঢাকা-১২ আসনে সাইফুল আলম নীরবের পরিবর্তে যুগপৎ আন্দোলনের মিত্র বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মো. মাসুদুজ্জামান ভোটে অনীহা প্রকাশ করার পর সেখানে বিএনপির সাবেক মহানগর সভাপতি আবুল কালামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। রাউজান (চট্টগ্রাম-৬) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবর্তে গোলাম আকবর খন্দকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি আগে এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুকের জন্য ফাঁকা রাখা হলেও অলি আহমদের দল জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেওয়ার পর সেখানে বিএনপি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিনকে প্রার্থী করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৪ আসনে কাজী সালাহউদ্দিনের পরিবর্তে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-১১ থেকে সরিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান।
বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমানের ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সেখানে বিএনপির নেতা মীর শাহে আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তবে মান্না শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমানের বদলে কবির আহমেদ ভূঁইয়াকে প্রার্থী করা হয়। মুন্সিগঞ্জ-২ আসনে এক্মি গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রবীণ নেতা মিজানুর রহমান সিনহার পরিবর্তে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ এবং মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে কামরুজ্জামান রতনের বদলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঝিনাইদহ-১ আসনে সদ্য পদত্যাগ করা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে। নড়াইল-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর পরিবর্তে জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যশোর-১, যশোর-৫ ও যশোর-৬ আসনেও দলীয় ও জোটগত সমীকরণে নতুন প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। মাদারীপুর-১ আসনে কামাল জামাল মোল্লার বদলে নাদিরা আক্তারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যশোর-৬ আসনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণকে প্রথমে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ থেকে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া রাশেদ খান। এদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি আসনেই বিকল্প প্রার্থী রেখেছে বিএনপি।
মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২ হাজার ৫৮২টি
ইসি জানিয়েছে, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছিল, জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছিল, জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি। খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি। ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪টি জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি মনোনয়নপত্র।

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ীদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ীদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে এদিন বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির আরও অনেক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ৮১টি আসনে দলটির একাধিক নেতা...
২ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ীদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে এদিন বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির আরও অনেক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ৮১টি আসনে দলটির একাধিক নেতা...
২ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

জুলাই আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে করা মামলায় পুলিশের ১ হাজার ৫৯ জন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন মাত্র ৫৪ জন। স্বাধীন তদন্ত কমিশন করে বাকি দায়ীদেরও গ্রেপ্তারের চাপ দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) জুলাই আন্দোলনের শরিক দলগুলো।
০৮ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরে এদিন বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হতে বিএনপির আরও অনেক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাত ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ৮১টি আসনে দলটির একাধিক নেতা...
২ ঘণ্টা আগে
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
৭ ঘণ্টা আগে