আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এই অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ত্র-গুলি বরাদ্দ ও খরচের হিসাবের এই গরমিলে হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপরাধ প্রমাণ করা জটিল হবে। কে কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, কার অস্ত্রের গুলিতে প্রাণহানি হয়েছে, এসব প্রমাণ করা সহজ হবে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ছয়টি থানায় অস্ত্র ও গুলি ব্যবহারের তথ্যে এ গরমিল পাওয়া গেছে। এগুলো হলো যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর এবং ভাটারা। জুলাই-আগস্টে যেসব থানা এলাকায় সহিংসতা ও হতাহতের হার বেশি ছিল, সেসব থানার হিসাবেও অমিল বেশি দেখা গেছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. তালেবুর রহমান বলেন, প্রতিটি ঘটনার আলাদা তদন্ত চলছে। গুলি যৌক্তিক ছিল কি না, তা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অস্ত্র বরাদ্দ ও গুলি খরচের অমিল সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
অবশ্য ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলেছে, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে গুলি ও অস্ত্র ব্যবহারের তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে এবং কোনো অনিয়ম বা অসংগতি প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি জানিয়েছে, থানার একজন পুলিশ সদস্যের নামে যেদিন যে অস্ত্র ও গুলি বরাদ্দ থাকে, তিনি সেদিন সেই অস্ত্র ও গুলি নেন। দায়িত্ব পালন শেষে সেই অস্ত্র ও গুলি থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন। ওই কর্মকর্তা বুঝে পাওয়া অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা অস্ত্রাগারের নিবন্ধন (রেজিস্টার) খাতায় লিখে রাখেন। তবে ডিএমপির ছয় থানায় এ নিয়মের বেশি ব্যত্যয় হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে। ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির তথ্য থানার অস্ত্রাগারের রেজিস্টারে সঠিকভাবে রাখা হয়নি। এমনকি একজনকে একধরনের অস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাঁর নামে সেদিন গুলি খরচ বা খারিজ দেখানো হয়েছে অন্য ধরনের অস্ত্রের।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ প্রথম গুলি চালায় ১৭ জুলাই। ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে মোট নিহত হন ৫৮ বিক্ষোভকারী, যা রাজধানীর থানাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।
সূত্র জানায়, ১৯ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট থেকে কুতুবখালী এবং যাত্রাবাড়ী থানার প্রধান ফটক পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতা হয়। ওই ঘটনায় ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় মণ্ডল বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআইয়ের নামে চায়নিজ রাইফেলের ৩৩৭টি গুলিসহ বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে নিবন্ধন খাতায় সেদিন যাঁদের নামে চায়নিজ রাইফেল ও গুলি বরাদ্দের তথ্য রয়েছে, এজাহারে তাঁদের নাম নেই। আবার নিবন্ধন খাতা অনুযায়ী অস্ত্র বরাদ্দ ছিল একজনের নামে, এজাহারে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে আরেকজনের নামে। যেমন এজাহারে এসআই নাদিম মুন্সীর চায়নিজ রাইফেল দিয়ে ৩০টি গুলি করার কথা উল্লেখ আছে। অথচ সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় তাঁর নামে শটগান (বাঁট নম্বর ১০২৪৪) বরাদ্দ থাকার তথ্য রয়েছে। একই দিন এএসআই তানভীর হোসেনের নামে ৩০টি চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হলেও নিবন্ধন খাতা বলছে, সেদিন তিনি পিস্তল (বাঁট নম্বর এ-৭৯৭০০৫) ও ৮টি গুলি বরাদ্দ পেয়েছেন। এসআই নুর মোহাম্মদ, ভবতোষ, কামরুজ্জামান, এএসআই সাফায়েত ও হাসান রিয়াজসহ কয়েকজনের নামে চায়নিজ রাইফেল বরাদ্দ ছিল, এজাহারে গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই।
তন্ময় মণ্ডলের নামে নিবন্ধন খাতায় সেদিন কোনো অস্ত্র বরাদ্দের তথ্য না থাকলেও এজাহারে তিনি চায়নিজ রাইফেলের ৩০টি গুলি করার দাবি করেন। জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তখন (ডিএমপির) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাসের নামে ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় একটি শটগান (বাঁট নম্বর ১৬৪৯৬৭) ও ৫০টি গুলি, একটি চায়নিজ রাইফেল (বাঁট নম্বর ৫৮০৫) ও ৫০টি গুলি এবং ২০টি সাউন্ড গ্রেনেড বরাদ্দের উল্লেখ আছে। তবে তাঁর নামে গুলি খরচ নেই। অবশ্য মধুসূদন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তখন সচিবালয়ে ছিলাম।’
১৮ থেকে ২১ জুলাইয়ের সহিংসতায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা পাঁচটি মামলার বাদী এসআই নাদিম মুন্সি, এসআই তন্ময়, এসআই নওশের, এসআই সাইফুল এবং এসআই এহসানুল হক মোল্লা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাদী আলাপকালে বলেন, ডিএমপির তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিভিন্ন মামলায় গুলি খারিজ দেখানো হয়। পরে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এগুলো আবার খারিজ করা হবে বলে তাঁরা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা) জানিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এসআই অভিযোগ করেন, গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে তখন কয়েকজন এসআই প্রতিবাদ করলেও ঊর্ধ্বতনদের চাপে তা টিকেনি। তবে এ বিষয়ে কয়েকজন যাত্রাবাড়ী থানায় জিডি করেন। তাঁদের একজন এসআই নাদিম মুন্সী। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর করা মামলায় যাঁদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে, তাঁদের নামে সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় ওসব অস্ত্র ও গুলি ইস্যু ছিল না। তাঁরা গুলিও করেননি।
এসআই শামীম রেজা ২৭ জুলাই করা জিডিতে উল্লেখ করেন, ১৯ ও ২০ জুলাই তাঁর নামে শটগানের ১০টি ও চায়নিজ রাইফেলের ২০টি গুলি খরচ দেখানো হলেও ১৯ জুলাই তাঁর ডিউটি ছিল না, ওই দিন তিনি বাসায় ছিলেন। ২০ জুলাই একটি শটগান (বাঁট নম্বর ৮২১০) ও ৩০টি গুলি বরাদ্দ ছিল। তবে তিনি থানায় ডিউটি করেন। ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। কোনো গুলি করেননি।
সূত্র জানায়, বাড্ডা থানা থেকে ভাটারা থানায় গুলি ও অস্ত্র দেওয়া হলেও সেই গুলি খরচ দেখানো হয়েছে বাড্ডা থানার পুলিশ সদস্যদের নামে। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার এসআই শাহ আলমসহ অন্তত ছয়জন পুলিশ সদস্য জিডি করেছেন। জিডিতে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা গুলি না করলেও তাঁদের নামে খরচ দেখানো হয়েছে।
ওই সময় বাড্ডা থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা এসআই জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথামতো গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। ভাটারা থানায় গুলি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এক থানায় ঘাটতি হলে আরেক থানা থেকে অফিস আদেশে নিয়েছে। এগুলো তদন্তে বের হবে।
মোহাম্মদপুর থানাও যেসব পুলিশ সদস্যের নামে গুলি খরচ দেখিয়েছে, তার সঙ্গে অস্ত্র বরাদ্দের তথ্যের মিল নেই। ১৮ জুলাই মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় করা মামলার এজাহারে সেদিন শটগানের ২ হাজারটি ও চায়নিজ রাইফেলের ১২০টি গুলির খরচ দেখানো হয়েছে। থানার ৪০ জন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের বিপরীতে সমান শটগানের ৫০টি গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসআই চয়ন সাহার নামে নাইন এমএম পিস্তল ইস্যু থাকলেও চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এই মামলার বাদী এসআই আদনান বিন আজাদ।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ডিএমপির অপরাধ ও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও থানার অস্ত্রাগার থেকে চায়নিজ রাইফেলের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড এবং শটগানের গুলি নেন। তবে সেগুলো কারা, কোথায় খরচ করেছেন, সেই হিসাব তাঁরা না দেওয়ায় থানাগুলোতেও কোনো তথ্য নেই।
ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ওই আন্দোলনের সময় পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন থানা এলাকায় মোতায়েন ছিলেন এবং গুলি শেষ হলে তাঁরা থানার অস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করেন। কিন্তু গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই, খরচ দেখানো হয় থানায় কর্মরত সদস্যদের নামে। কিছু পুলিশ সদস্য নিজেকে সরকারের আস্থাভাজন দেখাতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা পেতে নিজের নামে গুলি খরচ দেখানোর চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুলিবর্ষণকারীদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসব কারণে গুলি খরচের হিসাবে এই গরমিল।
আইনজীবীরা বলছেন, গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তির নাম, অস্ত্রের নম্বর এবং গুলির প্রমাণ ছাড়া হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হবে। আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, যেহেতু অস্ত্র বরাদ্দ এবং গুলি খরচের তথ্য সঠিকভাবে রাখা হয়নি; সুতরাং ব্ল্যাস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে হত্যার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হবে না।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, গুলি কোথা থেকে এসেছে, তা শনাক্ত করা কঠিন হবে।
আরও খবর পড়ুন:

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এই অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ত্র-গুলি বরাদ্দ ও খরচের হিসাবের এই গরমিলে হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের অপরাধ প্রমাণ করা জটিল হবে। কে কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, কার অস্ত্রের গুলিতে প্রাণহানি হয়েছে, এসব প্রমাণ করা সহজ হবে না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ছয়টি থানায় অস্ত্র ও গুলি ব্যবহারের তথ্যে এ গরমিল পাওয়া গেছে। এগুলো হলো যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর এবং ভাটারা। জুলাই-আগস্টে যেসব থানা এলাকায় সহিংসতা ও হতাহতের হার বেশি ছিল, সেসব থানার হিসাবেও অমিল বেশি দেখা গেছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. তালেবুর রহমান বলেন, প্রতিটি ঘটনার আলাদা তদন্ত চলছে। গুলি যৌক্তিক ছিল কি না, তা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে অস্ত্র বরাদ্দ ও গুলি খরচের অমিল সম্পর্কে তিনি অবগত নন।
অবশ্য ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র বলেছে, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে গুলি ও অস্ত্র ব্যবহারের তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে এবং কোনো অনিয়ম বা অসংগতি প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি জানিয়েছে, থানার একজন পুলিশ সদস্যের নামে যেদিন যে অস্ত্র ও গুলি বরাদ্দ থাকে, তিনি সেদিন সেই অস্ত্র ও গুলি নেন। দায়িত্ব পালন শেষে সেই অস্ত্র ও গুলি থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেন। ওই কর্মকর্তা বুঝে পাওয়া অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা অস্ত্রাগারের নিবন্ধন (রেজিস্টার) খাতায় লিখে রাখেন। তবে ডিএমপির ছয় থানায় এ নিয়মের বেশি ব্যত্যয় হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে। ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির তথ্য থানার অস্ত্রাগারের রেজিস্টারে সঠিকভাবে রাখা হয়নি। এমনকি একজনকে একধরনের অস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাঁর নামে সেদিন গুলি খরচ বা খারিজ দেখানো হয়েছে অন্য ধরনের অস্ত্রের।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ প্রথম গুলি চালায় ১৭ জুলাই। ৫ আগস্ট পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে মোট নিহত হন ৫৮ বিক্ষোভকারী, যা রাজধানীর থানাগুলোর মধ্যে সর্বাধিক।
সূত্র জানায়, ১৯ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট থেকে কুতুবখালী এবং যাত্রাবাড়ী থানার প্রধান ফটক পর্যন্ত ব্যাপক সহিংসতা হয়। ওই ঘটনায় ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় মণ্ডল বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার কয়েকজন এসআই ও এএসআইয়ের নামে চায়নিজ রাইফেলের ৩৩৭টি গুলিসহ বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি করার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে নিবন্ধন খাতায় সেদিন যাঁদের নামে চায়নিজ রাইফেল ও গুলি বরাদ্দের তথ্য রয়েছে, এজাহারে তাঁদের নাম নেই। আবার নিবন্ধন খাতা অনুযায়ী অস্ত্র বরাদ্দ ছিল একজনের নামে, এজাহারে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে আরেকজনের নামে। যেমন এজাহারে এসআই নাদিম মুন্সীর চায়নিজ রাইফেল দিয়ে ৩০টি গুলি করার কথা উল্লেখ আছে। অথচ সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় তাঁর নামে শটগান (বাঁট নম্বর ১০২৪৪) বরাদ্দ থাকার তথ্য রয়েছে। একই দিন এএসআই তানভীর হোসেনের নামে ৩০টি চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হলেও নিবন্ধন খাতা বলছে, সেদিন তিনি পিস্তল (বাঁট নম্বর এ-৭৯৭০০৫) ও ৮টি গুলি বরাদ্দ পেয়েছেন। এসআই নুর মোহাম্মদ, ভবতোষ, কামরুজ্জামান, এএসআই সাফায়েত ও হাসান রিয়াজসহ কয়েকজনের নামে চায়নিজ রাইফেল বরাদ্দ ছিল, এজাহারে গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই।
তন্ময় মণ্ডলের নামে নিবন্ধন খাতায় সেদিন কোনো অস্ত্র বরাদ্দের তথ্য না থাকলেও এজাহারে তিনি চায়নিজ রাইফেলের ৩০টি গুলি করার দাবি করেন। জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি আজকের পত্রিকা'কে বলেন, তখন (ডিএমপির) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, ডিএমপির সহকারী কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাসের নামে ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানার অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় একটি শটগান (বাঁট নম্বর ১৬৪৯৬৭) ও ৫০টি গুলি, একটি চায়নিজ রাইফেল (বাঁট নম্বর ৫৮০৫) ও ৫০টি গুলি এবং ২০টি সাউন্ড গ্রেনেড বরাদ্দের উল্লেখ আছে। তবে তাঁর নামে গুলি খরচ নেই। অবশ্য মধুসূদন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তখন সচিবালয়ে ছিলাম।’
১৮ থেকে ২১ জুলাইয়ের সহিংসতায় যাত্রাবাড়ী থানায় করা পাঁচটি মামলার বাদী এসআই নাদিম মুন্সি, এসআই তন্ময়, এসআই নওশের, এসআই সাইফুল এবং এসআই এহসানুল হক মোল্লা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাদী আলাপকালে বলেন, ডিএমপির তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিভিন্ন মামলায় গুলি খারিজ দেখানো হয়। পরে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এগুলো আবার খারিজ করা হবে বলে তাঁরা (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা) জানিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এসআই অভিযোগ করেন, গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে তখন কয়েকজন এসআই প্রতিবাদ করলেও ঊর্ধ্বতনদের চাপে তা টিকেনি। তবে এ বিষয়ে কয়েকজন যাত্রাবাড়ী থানায় জিডি করেন। তাঁদের একজন এসআই নাদিম মুন্সী। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর করা মামলায় যাঁদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে, তাঁদের নামে সেদিন অস্ত্রাগারের নিবন্ধন খাতায় ওসব অস্ত্র ও গুলি ইস্যু ছিল না। তাঁরা গুলিও করেননি।
এসআই শামীম রেজা ২৭ জুলাই করা জিডিতে উল্লেখ করেন, ১৯ ও ২০ জুলাই তাঁর নামে শটগানের ১০টি ও চায়নিজ রাইফেলের ২০টি গুলি খরচ দেখানো হলেও ১৯ জুলাই তাঁর ডিউটি ছিল না, ওই দিন তিনি বাসায় ছিলেন। ২০ জুলাই একটি শটগান (বাঁট নম্বর ৮২১০) ও ৩০টি গুলি বরাদ্দ ছিল। তবে তিনি থানায় ডিউটি করেন। ডিউটি শেষে অস্ত্রাগারে অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। কোনো গুলি করেননি।
সূত্র জানায়, বাড্ডা থানা থেকে ভাটারা থানায় গুলি ও অস্ত্র দেওয়া হলেও সেই গুলি খরচ দেখানো হয়েছে বাড্ডা থানার পুলিশ সদস্যদের নামে। এ বিষয়ে বাড্ডা থানার এসআই শাহ আলমসহ অন্তত ছয়জন পুলিশ সদস্য জিডি করেছেন। জিডিতে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা গুলি না করলেও তাঁদের নামে খরচ দেখানো হয়েছে।
ওই সময় বাড্ডা থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা এসআই জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কথামতো গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। ভাটারা থানায় গুলি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এক থানায় ঘাটতি হলে আরেক থানা থেকে অফিস আদেশে নিয়েছে। এগুলো তদন্তে বের হবে।
মোহাম্মদপুর থানাও যেসব পুলিশ সদস্যের নামে গুলি খরচ দেখিয়েছে, তার সঙ্গে অস্ত্র বরাদ্দের তথ্যের মিল নেই। ১৮ জুলাই মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় সহিংসতার ঘটনায় করা মামলার এজাহারে সেদিন শটগানের ২ হাজারটি ও চায়নিজ রাইফেলের ১২০টি গুলির খরচ দেখানো হয়েছে। থানার ৪০ জন পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের বিপরীতে সমান শটগানের ৫০টি গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসআই চয়ন সাহার নামে নাইন এমএম পিস্তল ইস্যু থাকলেও চায়নিজ রাইফেলের গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এই মামলার বাদী এসআই আদনান বিন আজাদ।
পুলিশ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ডিএমপির অপরাধ ও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও থানার অস্ত্রাগার থেকে চায়নিজ রাইফেলের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড এবং শটগানের গুলি নেন। তবে সেগুলো কারা, কোথায় খরচ করেছেন, সেই হিসাব তাঁরা না দেওয়ায় থানাগুলোতেও কোনো তথ্য নেই।
ডিএমপির সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ওই আন্দোলনের সময় পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সদস্যরা বিভিন্ন থানা এলাকায় মোতায়েন ছিলেন এবং গুলি শেষ হলে তাঁরা থানার অস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করেন। কিন্তু গুলি খরচে তাঁদের নাম নেই, খরচ দেখানো হয় থানায় কর্মরত সদস্যদের নামে। কিছু পুলিশ সদস্য নিজেকে সরকারের আস্থাভাজন দেখাতে এবং ব্যক্তিগত সুবিধা পেতে নিজের নামে গুলি খরচ দেখানোর চেষ্টা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুলিবর্ষণকারীদের আড়াল করতে অন্যদের নামে গুলি খরচ দেখানো হয়েছে। এসব কারণে গুলি খরচের হিসাবে এই গরমিল।
আইনজীবীরা বলছেন, গুলিবর্ষণকারী ব্যক্তির নাম, অস্ত্রের নম্বর এবং গুলির প্রমাণ ছাড়া হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হবে। আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, যেহেতু অস্ত্র বরাদ্দ এবং গুলি খরচের তথ্য সঠিকভাবে রাখা হয়নি; সুতরাং ব্ল্যাস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে হত্যার প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হবে না।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, গুলি কোথা থেকে এসেছে, তা শনাক্ত করা কঠিন হবে।
আরও খবর পড়ুন:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশ সদস্যদের বরাদ্দ করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির হিসাবে গরমিল পাওয়া গেছে। থানার নিবন্ধন খাতার তথ্যের সঙ্গে মামলার এজাহারে বর্ণিত অস্ত্র ও গুলির তথ্যে এ অমিল রয়েছে। এমনকি অস্ত্র বরাদ্দ করা এবং ব্যবহারকারী সদস্যের নামও ভিন্ন।
০৬ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে