Ajker Patrika

অনিয়মে জেরবার কৃষির প্রকল্পে মেয়াদ বাড়ছে

সাইফুল মাসুম, ঢাকা 
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ৪১
অনিয়মে জেরবার কৃষির প্রকল্পে মেয়াদ বাড়ছে

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এর সুফল পাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।

দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালকসহ (পিডি) আট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে প্রকল্প দপ্তরের অফিস কক্ষ দখলসহ নানা অস্থিরতা চলছে। এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রীয় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।

আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির সুবিধা পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কৃষির বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনাও।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালালদের চক্র প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে। একই যন্ত্র কয়েকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে এ প্রকল্পে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদল হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটিতে নিয়োগ পেয়েছেন চতুর্থ পিডি মঞ্জুর-উল-আলম। অনিয়মের অপরাধে বরখাস্ত হতে পারেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরও অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫০৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত অর্থবছরের বাকি ৬ মাসের জন্য কিছু অর্থ রেখে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় আরেক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তসহ পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উপজেলাওয়ারি সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য (যন্ত্রের নাম, চেসিস নম্বর, কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দাখিল করতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অনিয়ম তদন্ত করে বিতরণ করা যন্ত্রপাতি শনাক্তকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে এসবের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংকট-বিড়ম্বিত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো উদ্দেশ্যেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমরা প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছি।’

অফিসছাড়া পাঁচ কর্মকর্তা

প্রকল্পটিতে প্রথম থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির দাগ ছিল। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আসে নতুন ধরনের বিপত্তি। শুরু হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা। বিএনপিপন্থী পরিচয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তৎকালীন পিডি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাদের অফিস ছেড়ে যেতে হুমকি-ধমকি দেন কয়েকবার। হুমকি দেওয়া কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান পিডি মঞ্জুর-উল-আলম।

প্রকল্পের তৎকালীন পিডি ও দুই ডিপিডিকে (উপপ্রকল্প পরিচালক) একটি হত্যা মামলাসহ দুটি ‘রাজনৈতিক মামলায়’ আসামি করা হয়েছে। খামারবাড়িতে এই তিন কর্মকর্তার ছবিসহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ লেখাসম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন পিডি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তিন কর্মকর্তার অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন নতুন পিডি। কক্ষের সামনে থেকে তাঁদের নামফলক খুলে ফেলা হয়। অফিস ছাড়তে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিপিডি শফিকুল ইসলাম শেখ, ডিপিডি আলতাফুন নাহার, জ্যেষ্ঠ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। দুই ডিপিডির কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে। তবে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ম অনুসারে অন্য কোথাও বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন পিডি নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত এক ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে তিন দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।

এদিকে প্রকল্পের দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের ‘অফিসছাড়া করার’ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি পিডিকে মৌখিকভাবেও জিজ্ঞেস করেছি। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমরা এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত