ইসলাম ডেস্ক

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.)-কেও হারান। মহানবী (সা.)-এর চরম দুঃসময়ে এই দুই ব্যক্তিই তাঁকে আগলে রেখেছিলেন। ফলে তিনি মুষড়ে পড়েন, তাঁর মনোবল ভেঙে পড়ে।
খাদিজা (রা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবন
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ছিলেন কোরাইশ নেতা খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদের কন্যা। আনুমানিক ৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। মক্কার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিদুষী নারী ছিলেন। ৪০ বছর বয়সে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। তখন নবীজির বয়স ২৫ বছর। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী নারী।
খাদিজা (রা.) ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছিলেন। ইয়েমেন ও সিরিয়ায় তিনি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করতেন। ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সিরিয়ায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য মক্কার বিশ্বস্ত যুবক মুহাম্মদকে বেছে নেন। সঙ্গে দেন খাদিজার ক্রীতদাস মায়সারাকেও। তাঁরা সফলভাবে কাফেলা নিয়ে মক্কায় ফিরে আসেন এবং যুবক মুহাম্মদকে খাদিজা দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দেন।
খাদিজা (রা.)-এর তিনবার বিয়ে হয়। প্রত্যেক স্বামী থেকেই তাঁর সন্তান রয়েছে। প্রথম স্বামীর নাম আতিক ইবনে আইজ এবং দ্বিতীয় স্বামীর নাম মালিক ইবনে নাবাশ। প্রথমজন থেকে কন্যা হিন্দা এবং দ্বিতীয়জন থেকে দুই সন্তান হালা ও হিন্দকে গর্ভে ধারণ করেন। দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর খাদিজা (রা.) বান্ধবী নাফিসার মাধ্যমে যুবক মুহাম্মদকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ঘরে খাদিজা (রা.) ৬ সন্তানের জন্ম দেন। প্রথম সন্তান কাসিম। অল্প বয়সে কাসিম মক্কায় মারা যান। এরপর জন্ম হয় জয়নবের। তৃতীয় সন্তান আবদুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন নবুওয়াতের পর। আব্দুল্লাহও অল্প বয়সে মারা যান। এরপর জন্মগ্রহণ করেন রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা।
ত্রিশ বছর বয়স থেকেই মহানবী (সা.) প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। খাদিজা (সা.) নিয়মিত তাঁকে খাবার দিয়ে আসতেন। একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল অহি নিয়ে এলেন এবং মহানবী (সা.)–কে চাপ দিয়ে বক্ষে অহি প্রবিষ্ট করে দেন। এই ঘটনার পর তিনি ভীত হয়ে ঘরে ফিরে আসেন। তখন খাদিজা (রা.) এসব বিস্ময়কর ঘটনা বিশ্বাস করেন এবং নবিজির প্রতি ইমান আনেন। খাদিজা তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
ধনাঢ্য খাদিজা (রা.) নিজের সব সম্পদ মহানবী (সা.) ও ইসলামের খেদমতে ব্যয় করেছেন। মুসলমানদের চরম দুর্দশার সময়ে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ অবস্থায়ও তিনি বিপুল সহযোগিতা করেন।
অবশেষে নবুওয়াতের ১০ম বছর ১০ রমজান মক্কায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁকে মক্কার জান্নাতুল মুআল্লায় দাফন করা হয়।
ইসলামে খাদিজা (রা.)-এর অবদান
হজরত খাদিজা (রা.) ছিলেন মহানবী (সা.) ও ইসলামের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। দীর্ঘ পঁচিশ বছর তিনি মহানবী (সা.)-কে সাহচর্য দিয়ে, সেবা-যত্ন দিয়ে, বিপদ আপদে সাহস ও শক্তি দিয়ে, অভাব অনটনে অর্থ সম্পদ দিয়ে, ধ্যান ও জ্ঞানের প্রয়োজনে প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে ইসলামের বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মহানবী (সা.) তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘যখন মানুষ আমাকে অস্বীকার করল, তখন তিনি আমার প্রতি নিটোল বিশ্বাস স্থাপন করলেন। যখন মানুষ আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, তখন তিনি আমাকে দান করলেন। যখন মানুষ আমাকে বঞ্চিত করল, তখন তিনি আমাকে তাঁর সম্পদে অংশীদার করলেন। আল্লাহ আমাকে তাঁর গর্ভে সন্তান দিলেন। অন্য কোনো স্ত্রীর গর্ভে সন্তান দেননি।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৬ / ১১৮)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) খাদিজা (রা.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.)-কেও হারান। মহানবী (সা.)-এর চরম দুঃসময়ে এই দুই ব্যক্তিই তাঁকে আগলে রেখেছিলেন। ফলে তিনি মুষড়ে পড়েন, তাঁর মনোবল ভেঙে পড়ে।
খাদিজা (রা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবন
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ছিলেন কোরাইশ নেতা খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদের কন্যা। আনুমানিক ৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। মক্কার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিদুষী নারী ছিলেন। ৪০ বছর বয়সে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। তখন নবীজির বয়স ২৫ বছর। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী নারী।
খাদিজা (রা.) ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছিলেন। ইয়েমেন ও সিরিয়ায় তিনি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করতেন। ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সিরিয়ায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য মক্কার বিশ্বস্ত যুবক মুহাম্মদকে বেছে নেন। সঙ্গে দেন খাদিজার ক্রীতদাস মায়সারাকেও। তাঁরা সফলভাবে কাফেলা নিয়ে মক্কায় ফিরে আসেন এবং যুবক মুহাম্মদকে খাদিজা দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দেন।
খাদিজা (রা.)-এর তিনবার বিয়ে হয়। প্রত্যেক স্বামী থেকেই তাঁর সন্তান রয়েছে। প্রথম স্বামীর নাম আতিক ইবনে আইজ এবং দ্বিতীয় স্বামীর নাম মালিক ইবনে নাবাশ। প্রথমজন থেকে কন্যা হিন্দা এবং দ্বিতীয়জন থেকে দুই সন্তান হালা ও হিন্দকে গর্ভে ধারণ করেন। দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর খাদিজা (রা.) বান্ধবী নাফিসার মাধ্যমে যুবক মুহাম্মদকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ঘরে খাদিজা (রা.) ৬ সন্তানের জন্ম দেন। প্রথম সন্তান কাসিম। অল্প বয়সে কাসিম মক্কায় মারা যান। এরপর জন্ম হয় জয়নবের। তৃতীয় সন্তান আবদুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন নবুওয়াতের পর। আব্দুল্লাহও অল্প বয়সে মারা যান। এরপর জন্মগ্রহণ করেন রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা।
ত্রিশ বছর বয়স থেকেই মহানবী (সা.) প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। খাদিজা (সা.) নিয়মিত তাঁকে খাবার দিয়ে আসতেন। একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল অহি নিয়ে এলেন এবং মহানবী (সা.)–কে চাপ দিয়ে বক্ষে অহি প্রবিষ্ট করে দেন। এই ঘটনার পর তিনি ভীত হয়ে ঘরে ফিরে আসেন। তখন খাদিজা (রা.) এসব বিস্ময়কর ঘটনা বিশ্বাস করেন এবং নবিজির প্রতি ইমান আনেন। খাদিজা তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
ধনাঢ্য খাদিজা (রা.) নিজের সব সম্পদ মহানবী (সা.) ও ইসলামের খেদমতে ব্যয় করেছেন। মুসলমানদের চরম দুর্দশার সময়ে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ অবস্থায়ও তিনি বিপুল সহযোগিতা করেন।
অবশেষে নবুওয়াতের ১০ম বছর ১০ রমজান মক্কায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁকে মক্কার জান্নাতুল মুআল্লায় দাফন করা হয়।
ইসলামে খাদিজা (রা.)-এর অবদান
হজরত খাদিজা (রা.) ছিলেন মহানবী (সা.) ও ইসলামের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। দীর্ঘ পঁচিশ বছর তিনি মহানবী (সা.)-কে সাহচর্য দিয়ে, সেবা-যত্ন দিয়ে, বিপদ আপদে সাহস ও শক্তি দিয়ে, অভাব অনটনে অর্থ সম্পদ দিয়ে, ধ্যান ও জ্ঞানের প্রয়োজনে প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে ইসলামের বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মহানবী (সা.) তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘যখন মানুষ আমাকে অস্বীকার করল, তখন তিনি আমার প্রতি নিটোল বিশ্বাস স্থাপন করলেন। যখন মানুষ আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, তখন তিনি আমাকে দান করলেন। যখন মানুষ আমাকে বঞ্চিত করল, তখন তিনি আমাকে তাঁর সম্পদে অংশীদার করলেন। আল্লাহ আমাকে তাঁর গর্ভে সন্তান দিলেন। অন্য কোনো স্ত্রীর গর্ভে সন্তান দেননি।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৬ / ১১৮)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) খাদিজা (রা.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)
ইসলাম ডেস্ক

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.)-কেও হারান। মহানবী (সা.)-এর চরম দুঃসময়ে এই দুই ব্যক্তিই তাঁকে আগলে রেখেছিলেন। ফলে তিনি মুষড়ে পড়েন, তাঁর মনোবল ভেঙে পড়ে।
খাদিজা (রা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবন
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ছিলেন কোরাইশ নেতা খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদের কন্যা। আনুমানিক ৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। মক্কার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিদুষী নারী ছিলেন। ৪০ বছর বয়সে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। তখন নবীজির বয়স ২৫ বছর। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী নারী।
খাদিজা (রা.) ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছিলেন। ইয়েমেন ও সিরিয়ায় তিনি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করতেন। ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সিরিয়ায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য মক্কার বিশ্বস্ত যুবক মুহাম্মদকে বেছে নেন। সঙ্গে দেন খাদিজার ক্রীতদাস মায়সারাকেও। তাঁরা সফলভাবে কাফেলা নিয়ে মক্কায় ফিরে আসেন এবং যুবক মুহাম্মদকে খাদিজা দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দেন।
খাদিজা (রা.)-এর তিনবার বিয়ে হয়। প্রত্যেক স্বামী থেকেই তাঁর সন্তান রয়েছে। প্রথম স্বামীর নাম আতিক ইবনে আইজ এবং দ্বিতীয় স্বামীর নাম মালিক ইবনে নাবাশ। প্রথমজন থেকে কন্যা হিন্দা এবং দ্বিতীয়জন থেকে দুই সন্তান হালা ও হিন্দকে গর্ভে ধারণ করেন। দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর খাদিজা (রা.) বান্ধবী নাফিসার মাধ্যমে যুবক মুহাম্মদকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ঘরে খাদিজা (রা.) ৬ সন্তানের জন্ম দেন। প্রথম সন্তান কাসিম। অল্প বয়সে কাসিম মক্কায় মারা যান। এরপর জন্ম হয় জয়নবের। তৃতীয় সন্তান আবদুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন নবুওয়াতের পর। আব্দুল্লাহও অল্প বয়সে মারা যান। এরপর জন্মগ্রহণ করেন রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা।
ত্রিশ বছর বয়স থেকেই মহানবী (সা.) প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। খাদিজা (সা.) নিয়মিত তাঁকে খাবার দিয়ে আসতেন। একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল অহি নিয়ে এলেন এবং মহানবী (সা.)–কে চাপ দিয়ে বক্ষে অহি প্রবিষ্ট করে দেন। এই ঘটনার পর তিনি ভীত হয়ে ঘরে ফিরে আসেন। তখন খাদিজা (রা.) এসব বিস্ময়কর ঘটনা বিশ্বাস করেন এবং নবিজির প্রতি ইমান আনেন। খাদিজা তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
ধনাঢ্য খাদিজা (রা.) নিজের সব সম্পদ মহানবী (সা.) ও ইসলামের খেদমতে ব্যয় করেছেন। মুসলমানদের চরম দুর্দশার সময়ে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ অবস্থায়ও তিনি বিপুল সহযোগিতা করেন।
অবশেষে নবুওয়াতের ১০ম বছর ১০ রমজান মক্কায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁকে মক্কার জান্নাতুল মুআল্লায় দাফন করা হয়।
ইসলামে খাদিজা (রা.)-এর অবদান
হজরত খাদিজা (রা.) ছিলেন মহানবী (সা.) ও ইসলামের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। দীর্ঘ পঁচিশ বছর তিনি মহানবী (সা.)-কে সাহচর্য দিয়ে, সেবা-যত্ন দিয়ে, বিপদ আপদে সাহস ও শক্তি দিয়ে, অভাব অনটনে অর্থ সম্পদ দিয়ে, ধ্যান ও জ্ঞানের প্রয়োজনে প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে ইসলামের বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মহানবী (সা.) তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘যখন মানুষ আমাকে অস্বীকার করল, তখন তিনি আমার প্রতি নিটোল বিশ্বাস স্থাপন করলেন। যখন মানুষ আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, তখন তিনি আমাকে দান করলেন। যখন মানুষ আমাকে বঞ্চিত করল, তখন তিনি আমাকে তাঁর সম্পদে অংশীদার করলেন। আল্লাহ আমাকে তাঁর গর্ভে সন্তান দিলেন। অন্য কোনো স্ত্রীর গর্ভে সন্তান দেননি।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৬ / ১১৮)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) খাদিজা (রা.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প্রিয়তমা স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.)-কেও হারান। মহানবী (সা.)-এর চরম দুঃসময়ে এই দুই ব্যক্তিই তাঁকে আগলে রেখেছিলেন। ফলে তিনি মুষড়ে পড়েন, তাঁর মনোবল ভেঙে পড়ে।
খাদিজা (রা.)-এর বর্ণাঢ্য জীবন
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ছিলেন কোরাইশ নেতা খুওয়াইলিদ ইবনে আসাদের কন্যা। আনুমানিক ৫৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। মক্কার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিদুষী নারী ছিলেন। ৪০ বছর বয়সে ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। তখন নবীজির বয়স ২৫ বছর। তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী নারী।
খাদিজা (রা.) ব্যবসায় সাফল্য পেয়েছিলেন। ইয়েমেন ও সিরিয়ায় তিনি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালনা করতেন। ৫৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সিরিয়ায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য মক্কার বিশ্বস্ত যুবক মুহাম্মদকে বেছে নেন। সঙ্গে দেন খাদিজার ক্রীতদাস মায়সারাকেও। তাঁরা সফলভাবে কাফেলা নিয়ে মক্কায় ফিরে আসেন এবং যুবক মুহাম্মদকে খাদিজা দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দেন।
খাদিজা (রা.)-এর তিনবার বিয়ে হয়। প্রত্যেক স্বামী থেকেই তাঁর সন্তান রয়েছে। প্রথম স্বামীর নাম আতিক ইবনে আইজ এবং দ্বিতীয় স্বামীর নাম মালিক ইবনে নাবাশ। প্রথমজন থেকে কন্যা হিন্দা এবং দ্বিতীয়জন থেকে দুই সন্তান হালা ও হিন্দকে গর্ভে ধারণ করেন। দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর খাদিজা (রা.) বান্ধবী নাফিসার মাধ্যমে যুবক মুহাম্মদকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ঘরে খাদিজা (রা.) ৬ সন্তানের জন্ম দেন। প্রথম সন্তান কাসিম। অল্প বয়সে কাসিম মক্কায় মারা যান। এরপর জন্ম হয় জয়নবের। তৃতীয় সন্তান আবদুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন নবুওয়াতের পর। আব্দুল্লাহও অল্প বয়সে মারা যান। এরপর জন্মগ্রহণ করেন রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা।
ত্রিশ বছর বয়স থেকেই মহানবী (সা.) প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। খাদিজা (সা.) নিয়মিত তাঁকে খাবার দিয়ে আসতেন। একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল অহি নিয়ে এলেন এবং মহানবী (সা.)–কে চাপ দিয়ে বক্ষে অহি প্রবিষ্ট করে দেন। এই ঘটনার পর তিনি ভীত হয়ে ঘরে ফিরে আসেন। তখন খাদিজা (রা.) এসব বিস্ময়কর ঘটনা বিশ্বাস করেন এবং নবিজির প্রতি ইমান আনেন। খাদিজা তাঁকে সান্ত্বনা দেন।
ধনাঢ্য খাদিজা (রা.) নিজের সব সম্পদ মহানবী (সা.) ও ইসলামের খেদমতে ব্যয় করেছেন। মুসলমানদের চরম দুর্দশার সময়ে তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ অবস্থায়ও তিনি বিপুল সহযোগিতা করেন।
অবশেষে নবুওয়াতের ১০ম বছর ১০ রমজান মক্কায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁকে মক্কার জান্নাতুল মুআল্লায় দাফন করা হয়।
ইসলামে খাদিজা (রা.)-এর অবদান
হজরত খাদিজা (রা.) ছিলেন মহানবী (সা.) ও ইসলামের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। দীর্ঘ পঁচিশ বছর তিনি মহানবী (সা.)-কে সাহচর্য দিয়ে, সেবা-যত্ন দিয়ে, বিপদ আপদে সাহস ও শক্তি দিয়ে, অভাব অনটনে অর্থ সম্পদ দিয়ে, ধ্যান ও জ্ঞানের প্রয়োজনে প্রেরণা ও পরামর্শ দিয়ে ইসলামের বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। মহানবী (সা.) তাঁর অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘যখন মানুষ আমাকে অস্বীকার করল, তখন তিনি আমার প্রতি নিটোল বিশ্বাস স্থাপন করলেন। যখন মানুষ আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল, তখন তিনি আমাকে দান করলেন। যখন মানুষ আমাকে বঞ্চিত করল, তখন তিনি আমাকে তাঁর সম্পদে অংশীদার করলেন। আল্লাহ আমাকে তাঁর গর্ভে সন্তান দিলেন। অন্য কোনো স্ত্রীর গর্ভে সন্তান দেননি।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৬ / ১১৮)
অন্য হাদিসে মহানবী (সা.) খাদিজা (রা.)-এর শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প
০২ এপ্রিল ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প
০২ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প
০২ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মক্কার কোরাইশ নেতারা শিআবে আবি তালিবে অবরুদ্ধ করে তখন মহানবী (সা.) ও তাঁর সাহাবিদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। সেই দুঃসময়ে মহানবী (সা.) প্রথমে অভিভাবক ও হিতাকাঙ্ক্ষী চাচা আবু তালিবকে হারান। এমন বিপদের সময় তিনি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েন। দুই মাস যেতে না যেতেই নবুওয়াতের দশম হিজরির রমজান মাসের ১০ তারিখে তিনি প
০২ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে