রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে চতুর্থ পারার পুরোটা ও পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেক; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আলে ইমরানের ৯২ থেকে সুরা নিসার ৮৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে বদর যুদ্ধ, ইসলামের দাওয়াত, উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার, বিয়েশাদি, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা তুলে ধরা হলো—
মানবকল্যাণ মুসলমানের সেরা বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা আলে ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত ঘোষণা করে তাদের তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন—এক. তারা সৎ কাজের আদেশ দেয়, দুই. তারা অন্যায় কাজে বাধা দান করে এবং তিন. তারা আল্লাহর প্রতি ইমান আনে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের আগে ৭০টি উম্মত অতিক্রান্ত হয়েছে। তবে সবার মধ্যে তোমরাই শ্রেষ্ঠ।’ (ইবনে মাজাহ)
জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রয়াস—বদর যুদ্ধ
সুরা আলে ইমরানের ১২১ থেকে ১২৯ নম্বর আয়াতে বদর যুদ্ধের আলোচনা রয়েছে। মুসলিম ইতিহাসের প্রথম সশস্ত্র লড়াই এটি। দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান মদিনার উপকণ্ঠে বদর নামক স্থানে কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের যুদ্ধ। এটি ছিল অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। দাম্ভিকতার বিরুদ্ধে একনিষ্ঠতার লড়াই। অবিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিশ্বাসের লড়াই। এ যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীর ১ হাজার সশস্ত্র সেনা, ১০০টি ঘোড়া, ৭০০টি উট ছিল। মুসলমানেরা ছিলেন ৩১৩ জন। তাঁদের সঙ্গে ছিল মাত্র দুটি ঘোড়া ও ৭০টি উট। মুসলিমরা এ যুদ্ধে আল্লাহর গায়েবি মদদে অলৌকিকভাবে বিজয় লাভ করেন এবং কাফেররা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। এতে কুরাইশদের ৭০ জন নিহত হয় ও ৭০ জন বন্দী হয়। মুসলিমদের ১৪ জন শহিদ হন।
আজকের তারাবি ০১ : বনি ইসরাইলের ওপর আল্লাহর ক্রোধের কারণ অহেতুক প্রশ্ন
নারীদের নিয়ে স্বতন্ত্র সুরা—সুরা নিসা
সুরা নিসা মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১৭৬। পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরা এটি। নিসা অর্থ নারী। এ সুরায় নারীর অধিকার, নারীর উত্তরাধিকার, দাম্পত্যজীবন, তালাক ও নারী সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম রাখা হয় সুরা নিসা। নারীর উত্তরাধিকার বিষয়ে এত বিস্তারিত আলোচনা অন্য কোনো সুরায় করা হয়নি।
উত্তরাধিকারীদের ঠকানো জঘন্য পাপ
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মৃতের সম্পদ ওয়ারিশদের মধ্যে ভাগ করা ফরজ। আমাদের সমাজে উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনে নানাবিধ উদাসীনতা দেখা যায়। কোনো মুসলমান মারা গেলে তার সম্পত্তি বণ্টনের আগে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করা জরুরি। যেমন—তার সম্পদ থেকে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা, ঋণ আদায় করা, স্ত্রীর দেনমোহর আদায় করা এবং অসিয়ত করে গেলে তার প্রাপককে বুঝিয়ে দেওয়া। এ কাজগুলো শেষ হলে মৃত ব্যক্তির অবশিষ্ট সম্পত্তি ইসলামি ফারায়েজ আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমবেশি করা যাবে না। মা, স্ত্রী, ফুফু ও বোনদের ঠকানো যাবে না। আমাদের সমাজে সম্পদ বণ্টনে তাঁদের নানাভাবে ঠকানোর প্রবণতা দেখা যায়।
আজকের তারাবি ০২: জীবন-মৃত্যুর রহস্য ও স্ত্রীর অধিকার আদায়ের আদেশ
ইসলামি শরিয়তে মা, স্ত্রী, কন্যা কখনোই উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। তাঁরা উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পদ পাবেনই। মৃতের সম্পদ বণ্টনে আল্লাহর আইন অমান্য ও ওয়ারিশ ঠকানো পাপ। কবিরা গুনাহ।
আপনি নিয়মিত নামাজ, রোজা, তারাবি, হজ, জাকাত, ফিতরা, সদকা, দান-খয়রাত করছেন, কিন্তু ওয়ারিশ ঠকিয়েছেন, তাহলে আপনার ইবাদত কবুল হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনেরা, জোরপূর্বক নারীর উত্তরাধিকার হওয়া তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আর তাদের আবদ্ধ করে রেখো না, যাতে তোমরা তাদের যা (প্রাপ্য সম্পত্তি) প্রদান করেছ, তার কিয়দংশ নিয়ে নাও।’ (সুরা নিসা: ১৯)
উল্লেখ্য, জাহেলি যুগে স্ত্রীদের স্বামীর সাধারণ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হতো। ফলে স্বামীর মৃত্যুর পর অন্যান্য সম্পত্তির মতো স্ত্রীও তাঁর উত্তরাধিকারীর (বাবা, ভাই, ছেলে ইত্যাদি) সম্পত্তিতে পরিণত হতো। সে যুগে বাবার মৃত্যুর পর সৎমাকে বিয়ে করা যেত। ওই নারী সম্পদের মালিক হয়ে থাকলে সেগুলো কুক্ষিগত করতে জোর করে বিয়ে করা হতো। এমনকি সম্পদশালী নারীর বিয়ে ঠেকিয়ে দিত তার স্বজনেরা। (তাফসিরে জাকারিয়া)
যে ১৪ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা যাবে না
সব নারী-পুরুষ একে অন্যের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। কাকে বিয়ে করা যায় আর কাকে বিয়ে করা যায় না, এ বিষয়ে ইসলামে একটি মৌলিক নীতি আছে। সুরা নিসার ২৩ থেকে ২৫ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। যে ১৪ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা হারাম, তাদের তালিকা এখানে দেওয়া হলো—
১. মা
২. দাদি, নানি ও তাদের ওপরের সবাই
৩. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত কন্যাসন্তান
৪. সহোদর, বৈমাত্রেয় (সৎমায়ের মেয়ে) ও বৈপিত্রেয় (সৎবাবার মেয়ে) বোন
৫. বাবার সহোদর বোন এবং বাবার বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন
৬. যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর ঔরশজাত কন্যাসন্তান, স্ত্রীর আপন মা, নানি শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি
৭. মায়ের সহোদর বোন এবং মায়ের বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন
৮. ভাতিজি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানেরা
৯. ভাগ্নি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানেরা
১০. দুধ মেয়ে (স্ত্রীর দুধ পান করেছে এমন), সেই মেয়ের মেয়ে, দুধছেলের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কোনো কন্যাসন্তান এবং দুধছেলের স্ত্রী
১১. দুধ মা এবং তার দিকের খালা, ফুফু, নানি, দাদি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা
১২. দুধ বোন, দুধ বোনের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান। অর্থাৎ দুধ সম্পর্ককে রক্তসম্পর্কের মতোই গণ্য করতে হবে
১৩. ছেলের স্ত্রী
১৪. এমন দুই নারীকে একসঙ্গে স্ত্রী হিসেবে রাখা যাবে না, যাদের একজন পুরুষ হলে তাদের মধ্যে বিয়ে বৈধ হতো না। যেমন—স্ত্রীর বোন, খালা, ফুফু এ ছাড়াও ওহুদ যুদ্ধ, মৃত্যু, হাশর, আসমান-জমিন সৃষ্টি, দাম্পত্য জীবন, মুমিনদের বারবার পরীক্ষার কারণ, আমানত আদায়, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও জিহাদ পালনসহ ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আরও খবর পড়ুন:

আজ খতমে তারাবিতে চতুর্থ পারার পুরোটা ও পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেক; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আলে ইমরানের ৯২ থেকে সুরা নিসার ৮৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে বদর যুদ্ধ, ইসলামের দাওয়াত, উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার, বিয়েশাদি, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা তুলে ধরা হলো—
মানবকল্যাণ মুসলমানের সেরা বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা আলে ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত ঘোষণা করে তাদের তিনটি বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন—এক. তারা সৎ কাজের আদেশ দেয়, দুই. তারা অন্যায় কাজে বাধা দান করে এবং তিন. তারা আল্লাহর প্রতি ইমান আনে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের আগে ৭০টি উম্মত অতিক্রান্ত হয়েছে। তবে সবার মধ্যে তোমরাই শ্রেষ্ঠ।’ (ইবনে মাজাহ)
জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রয়াস—বদর যুদ্ধ
সুরা আলে ইমরানের ১২১ থেকে ১২৯ নম্বর আয়াতে বদর যুদ্ধের আলোচনা রয়েছে। মুসলিম ইতিহাসের প্রথম সশস্ত্র লড়াই এটি। দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজান মদিনার উপকণ্ঠে বদর নামক স্থানে কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের যুদ্ধ। এটি ছিল অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের লড়াই। দাম্ভিকতার বিরুদ্ধে একনিষ্ঠতার লড়াই। অবিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিশ্বাসের লড়াই। এ যুদ্ধে কুরাইশ বাহিনীর ১ হাজার সশস্ত্র সেনা, ১০০টি ঘোড়া, ৭০০টি উট ছিল। মুসলমানেরা ছিলেন ৩১৩ জন। তাঁদের সঙ্গে ছিল মাত্র দুটি ঘোড়া ও ৭০টি উট। মুসলিমরা এ যুদ্ধে আল্লাহর গায়েবি মদদে অলৌকিকভাবে বিজয় লাভ করেন এবং কাফেররা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। এতে কুরাইশদের ৭০ জন নিহত হয় ও ৭০ জন বন্দী হয়। মুসলিমদের ১৪ জন শহিদ হন।
আজকের তারাবি ০১ : বনি ইসরাইলের ওপর আল্লাহর ক্রোধের কারণ অহেতুক প্রশ্ন
নারীদের নিয়ে স্বতন্ত্র সুরা—সুরা নিসা
সুরা নিসা মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১৭৬। পবিত্র কোরআনের চতুর্থ সুরা এটি। নিসা অর্থ নারী। এ সুরায় নারীর অধিকার, নারীর উত্তরাধিকার, দাম্পত্যজীবন, তালাক ও নারী সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম রাখা হয় সুরা নিসা। নারীর উত্তরাধিকার বিষয়ে এত বিস্তারিত আলোচনা অন্য কোনো সুরায় করা হয়নি।
উত্তরাধিকারীদের ঠকানো জঘন্য পাপ
আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মৃতের সম্পদ ওয়ারিশদের মধ্যে ভাগ করা ফরজ। আমাদের সমাজে উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টনে নানাবিধ উদাসীনতা দেখা যায়। কোনো মুসলমান মারা গেলে তার সম্পত্তি বণ্টনের আগে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করা জরুরি। যেমন—তার সম্পদ থেকে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা, ঋণ আদায় করা, স্ত্রীর দেনমোহর আদায় করা এবং অসিয়ত করে গেলে তার প্রাপককে বুঝিয়ে দেওয়া। এ কাজগুলো শেষ হলে মৃত ব্যক্তির অবশিষ্ট সম্পত্তি ইসলামি ফারায়েজ আইন অনুযায়ী উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমবেশি করা যাবে না। মা, স্ত্রী, ফুফু ও বোনদের ঠকানো যাবে না। আমাদের সমাজে সম্পদ বণ্টনে তাঁদের নানাভাবে ঠকানোর প্রবণতা দেখা যায়।
আজকের তারাবি ০২: জীবন-মৃত্যুর রহস্য ও স্ত্রীর অধিকার আদায়ের আদেশ
ইসলামি শরিয়তে মা, স্ত্রী, কন্যা কখনোই উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। তাঁরা উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পদ পাবেনই। মৃতের সম্পদ বণ্টনে আল্লাহর আইন অমান্য ও ওয়ারিশ ঠকানো পাপ। কবিরা গুনাহ।
আপনি নিয়মিত নামাজ, রোজা, তারাবি, হজ, জাকাত, ফিতরা, সদকা, দান-খয়রাত করছেন, কিন্তু ওয়ারিশ ঠকিয়েছেন, তাহলে আপনার ইবাদত কবুল হবে না। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনেরা, জোরপূর্বক নারীর উত্তরাধিকার হওয়া তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আর তাদের আবদ্ধ করে রেখো না, যাতে তোমরা তাদের যা (প্রাপ্য সম্পত্তি) প্রদান করেছ, তার কিয়দংশ নিয়ে নাও।’ (সুরা নিসা: ১৯)
উল্লেখ্য, জাহেলি যুগে স্ত্রীদের স্বামীর সাধারণ সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হতো। ফলে স্বামীর মৃত্যুর পর অন্যান্য সম্পত্তির মতো স্ত্রীও তাঁর উত্তরাধিকারীর (বাবা, ভাই, ছেলে ইত্যাদি) সম্পত্তিতে পরিণত হতো। সে যুগে বাবার মৃত্যুর পর সৎমাকে বিয়ে করা যেত। ওই নারী সম্পদের মালিক হয়ে থাকলে সেগুলো কুক্ষিগত করতে জোর করে বিয়ে করা হতো। এমনকি সম্পদশালী নারীর বিয়ে ঠেকিয়ে দিত তার স্বজনেরা। (তাফসিরে জাকারিয়া)
যে ১৪ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা যাবে না
সব নারী-পুরুষ একে অন্যের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। কাকে বিয়ে করা যায় আর কাকে বিয়ে করা যায় না, এ বিষয়ে ইসলামে একটি মৌলিক নীতি আছে। সুরা নিসার ২৩ থেকে ২৫ নম্বর আয়াতে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। যে ১৪ শ্রেণির নারীকে বিয়ে করা হারাম, তাদের তালিকা এখানে দেওয়া হলো—
১. মা
২. দাদি, নানি ও তাদের ওপরের সবাই
৩. নিজের মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত কন্যাসন্তান
৪. সহোদর, বৈমাত্রেয় (সৎমায়ের মেয়ে) ও বৈপিত্রেয় (সৎবাবার মেয়ে) বোন
৫. বাবার সহোদর বোন এবং বাবার বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন
৬. যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর ঔরশজাত কন্যাসন্তান, স্ত্রীর আপন মা, নানি শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি
৭. মায়ের সহোদর বোন এবং মায়ের বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন
৮. ভাতিজি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানেরা
৯. ভাগ্নি অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কন্যাসন্তানেরা
১০. দুধ মেয়ে (স্ত্রীর দুধ পান করেছে এমন), সেই মেয়ের মেয়ে, দুধছেলের মেয়ে ও তাদের পরের প্রজন্মের কোনো কন্যাসন্তান এবং দুধছেলের স্ত্রী
১১. দুধ মা এবং তার দিকের খালা, ফুফু, নানি, দাদি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা
১২. দুধ বোন, দুধ বোনের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান। অর্থাৎ দুধ সম্পর্ককে রক্তসম্পর্কের মতোই গণ্য করতে হবে
১৩. ছেলের স্ত্রী
১৪. এমন দুই নারীকে একসঙ্গে স্ত্রী হিসেবে রাখা যাবে না, যাদের একজন পুরুষ হলে তাদের মধ্যে বিয়ে বৈধ হতো না। যেমন—স্ত্রীর বোন, খালা, ফুফু এ ছাড়াও ওহুদ যুদ্ধ, মৃত্যু, হাশর, আসমান-জমিন সৃষ্টি, দাম্পত্য জীবন, মুমিনদের বারবার পরীক্ষার কারণ, আমানত আদায়, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও জিহাদ পালনসহ ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
আরও খবর পড়ুন:

নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের (এনটিকিউবি) অধীনে পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম কেন্দ্রীয় সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হবে।
১৬ মিনিট আগে
মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগেমোখতারুল ইসলাম মিলন

নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের (এনটিকিউবি) অধীনে পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম কেন্দ্রীয় সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের প্রচার সম্পাদক হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বেলা ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ১০০ তরুণের জন্য ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের স্কলারশিপেরও ঘোষণা করা হবে। নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এবারের পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
ফলাফল প্রকাশ প্রসঙ্গে বোর্ডের পরিচালক মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন জানান, ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং প্রতিটি ঘরে ইসলামের সঠিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে আমরা নিরলস কাজ করছি। শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত (রহ.)-এর ইখলাস ও ত্যাগের ফসল এই বোর্ড আজ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কাছে কোরআন শিক্ষাকে সহজতর করেছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নূরানি পদ্ধতির নিজস্ব সিলেবাসে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং শিক্ষকদের মানোন্নয়নে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এ ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের (এনটিকিউবি) অধীনে পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম কেন্দ্রীয় সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের প্রচার সম্পাদক হাসানুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বেলা ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি ১০০ তরুণের জন্য ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের স্কলারশিপেরও ঘোষণা করা হবে। নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এবারের পরীক্ষায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।
ফলাফল প্রকাশ প্রসঙ্গে বোর্ডের পরিচালক মাওলানা ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন জানান, ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং প্রতিটি ঘরে ইসলামের সঠিক শিক্ষা পৌঁছে দিতে আমরা নিরলস কাজ করছি। শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত (রহ.)-এর ইখলাস ও ত্যাগের ফসল এই বোর্ড আজ অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কাছে কোরআন শিক্ষাকে সহজতর করেছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নূরানি পদ্ধতির নিজস্ব সিলেবাসে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং শিক্ষকদের মানোন্নয়নে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এ ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আজ খতমে তারাবিতে চতুর্থ পারার পুরোটা ও পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেক; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আলে ইমরানের ৯২ থেকে সুরা নিসার ৮৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে বদর যুদ্ধ, ইসলামের দাওয়াত, উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার, বিয়েশাদি, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা আলোচিত হয়েছে। এখা
২৫ মার্চ ২০২৩
মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার বান্দাদের বলো, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিভেদ সৃষ্টি করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৩)। ‘আর তোমরা লোকের সঙ্গে উত্তমভাবে কথা বলবে।’ (সুরা বাকারা: ৮৩)। এই আয়াতগুলো আমাদের শেখায়, একজন মুমিনের ভাষা হতে হবে কোমল, সৌজন্যমূলক এবং বিভেদ নয়; বরং ঐক্য সৃষ্টিকারী।
নবী করিম (সা.) ছিলেন জাওয়ামিউল কালিমের অধিকারী—অল্প কথায় গভীর অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি কখনো কটূক্তি করেননি; বরং শত্রুকেও নরম ভাষায় উপদেশ দিয়েছেন। তাঁর মুখের ভাষা ছিল সত্যনিষ্ঠ ও নম্র, হৃদয়গ্রাহী ও প্রাঞ্জল, রসিকতা ও মিথ্যাবর্জিত। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা ও লজ্জাস্থান হেফাজত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিনদার হব।’ (সহিহ বুখারি)
একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সামাজিক শান্তি ও সৌহার্দ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রুক্ষ ভাষা যেমন সম্পর্ক নষ্ট করে, তেমনি কোমল ভাষা হৃদয় জয় করে। একজন মুমিনের মুখের ভাষা হবে শান্তির বার্তা, সত্যের প্রতিচ্ছবি এবং নম্রতার প্রতীক।
ইসলাম আমাদের শেখায় ভাষা দিয়ে মানুষকে জয় করতে। তাই আসুন, আমরা আমাদের মুখের ভাষাকে ইমানের আলোয় শুদ্ধ করি, যেন আমাদের প্রতিটি উচ্চারণ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে এক ধাপ অগ্রসর।

মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমার বান্দাদের বলো, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি সুন্দর। নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিভেদ সৃষ্টি করে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৫৩)। ‘আর তোমরা লোকের সঙ্গে উত্তমভাবে কথা বলবে।’ (সুরা বাকারা: ৮৩)। এই আয়াতগুলো আমাদের শেখায়, একজন মুমিনের ভাষা হতে হবে কোমল, সৌজন্যমূলক এবং বিভেদ নয়; বরং ঐক্য সৃষ্টিকারী।
নবী করিম (সা.) ছিলেন জাওয়ামিউল কালিমের অধিকারী—অল্প কথায় গভীর অর্থ প্রকাশের ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি কখনো কটূক্তি করেননি; বরং শত্রুকেও নরম ভাষায় উপদেশ দিয়েছেন। তাঁর মুখের ভাষা ছিল সত্যনিষ্ঠ ও নম্র, হৃদয়গ্রাহী ও প্রাঞ্জল, রসিকতা ও মিথ্যাবর্জিত। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জিহ্বা ও লজ্জাস্থান হেফাজত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিনদার হব।’ (সহিহ বুখারি)
একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু ব্যক্তিগত নয়; বরং সামাজিক শান্তি ও সৌহার্দ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রুক্ষ ভাষা যেমন সম্পর্ক নষ্ট করে, তেমনি কোমল ভাষা হৃদয় জয় করে। একজন মুমিনের মুখের ভাষা হবে শান্তির বার্তা, সত্যের প্রতিচ্ছবি এবং নম্রতার প্রতীক।
ইসলাম আমাদের শেখায় ভাষা দিয়ে মানুষকে জয় করতে। তাই আসুন, আমরা আমাদের মুখের ভাষাকে ইমানের আলোয় শুদ্ধ করি, যেন আমাদের প্রতিটি উচ্চারণ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে এক ধাপ অগ্রসর।

আজ খতমে তারাবিতে চতুর্থ পারার পুরোটা ও পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেক; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আলে ইমরানের ৯২ থেকে সুরা নিসার ৮৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে বদর যুদ্ধ, ইসলামের দাওয়াত, উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার, বিয়েশাদি, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা আলোচিত হয়েছে। এখা
২৫ মার্চ ২০২৩
নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের (এনটিকিউবি) অধীনে পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম কেন্দ্রীয় সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হবে।
১৬ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৫: ১৩ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৬ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে চতুর্থ পারার পুরোটা ও পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেক; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আলে ইমরানের ৯২ থেকে সুরা নিসার ৮৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে বদর যুদ্ধ, ইসলামের দাওয়াত, উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার, বিয়েশাদি, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা আলোচিত হয়েছে। এখা
২৫ মার্চ ২০২৩
নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের (এনটিকিউবি) অধীনে পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম কেন্দ্রীয় সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হবে।
১৬ মিনিট আগে
মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
৯ ঘণ্টা আগে
মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি;
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

মাতৃভূমি—যেখানে জন্মগ্রহণ করে, যে মাটির ঘ্রাণে শৈশব কাটে, আর যে ভূমির কণা ছুঁয়ে জীবন বেড়ে ওঠে—তার প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা মানুষের এক স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক প্রবণতা। নিজের মাতৃভূমিকে মহব্বত করা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত একটি স্বাভাবিক মনোবৃত্তি; এটি রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহ।
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর মাতৃভূমি মক্কাকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। যখন তিনি মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশে হিজরত করছিলেন, তখন মক্কাকে উদ্দেশ্য করে তাঁর আবেগপূর্ণ উক্তি ছিল, ‘মক্কা, তুমি কতই-না পবিত্র শহর! আমার প্রিয়তম শহর তুমি। আমার সম্প্রদায় যদি আমাকে তাড়িয়ে না দিত, তবে আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৯)
মক্কা ত্যাগ করে মদিনাকে যখন তিনি নিজের স্থায়ী আবাসভূমি বানালেন, তখন তিনি মদিনার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতেন। মদিনাকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমার কাছে মক্কা যতটা প্রিয় ছিল, এর চেয়ে বেশি প্রিয় আমার কাছে মদিনাকে বানিয়ে দাও।’ (ইবনে হিব্বান: ৫৬০০)
নবীজি (সা.) মদিনাকে নিজের দেশ বানানোর পর তাঁর এই মহব্বত ছিল দৃশ্যমান। হজরত হুমাইদ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আনাস (রা.)-কে বলতে শুনেছেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর থেকে ফিরে যখন মদিনার উঁচু রাস্তাগুলো দেখতেন, তখন তিনি তাঁর উটনীকে মদিনার মহব্বতে দ্রুতগতিতে চালাতেন। তাঁর বাহন অন্য কোনো জন্তু হলে তিনি তাকে তাড়া দিতেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৮০২, ১৬৮৫)
সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে নিজের মাতৃভূমি বা স্বীয় দেশকে মহব্বত করা, ভালোবাসা এবং তার প্রতি আন্তরিক টান অনুভব করা মানব মনের একটি স্বভাবজাত বিষয়, ইসলামও এতে উৎসাহিত করে। রাসুল (সা.) নিজের দেশকে ভালোবেসেছেন; তাই দেশপ্রেম একটি সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত চেতনা।

আজ খতমে তারাবিতে চতুর্থ পারার পুরোটা ও পঞ্চম পারার প্রথম অর্ধেক; মোট দেড় পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা আলে ইমরানের ৯২ থেকে সুরা নিসার ৮৭ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে বদর যুদ্ধ, ইসলামের দাওয়াত, উত্তরাধিকার, এতিমের অধিকার, বিয়েশাদি, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা আলোচিত হয়েছে। এখা
২৫ মার্চ ২০২৩
নূরানি তা’লিমুল কোরআন বোর্ড বাংলাদেশের (এনটিকিউবি) অধীনে পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম কেন্দ্রীয় সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হবে।
১৬ মিনিট আগে
মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে