আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে রাজনৈতিক চুক্তির খুব কাছাকাছি ওয়াশিংটন ও তেহরান। ইরানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থাটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জব্দকৃত অর্থ ছাড় করে এবং বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করতে পারে তেহরান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের এই প্রস্তাবে যদি যুক্তরাষ্ট্র রাজি হয় তাহলে শিগগিরই একটি সমঝোতা হতে পারে। তবে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যদি এই চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়, তাহলে এক বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ রাখবে তেহরান। এরই মধ্যে তাদের কাছে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম আছে, তার কিছু অংশ বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কিংবা জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা হবে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে এই সাময়িক বিরতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পরস্পরবিরোধী ‘রেড লাইন’ নিয়ে অচলাবস্থার সমাধানে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন চলে আসা বিরোধ নিরসনে গত মাস থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা আলোচনার টেবিলে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনার শুরু থেকেই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের ওপর জোর দিয়ে আসছেন। তাঁদের ভাষ্য—২০১৫ সালের ব্যর্থ পরমাণু চুক্তির পরিবর্তে ইরানের সঙ্গে যদি নতুন কোনো চুক্তি হয়, তবে সেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাব্য পথ হিসেবে দেখে। অন্যদিকে, ইরান বহুবার দাবি করেছে, তাদের এমন কোনো অভিপ্রায় নেই। তারা পরমাণু শক্তিকে ব্যবহার করতে চায় শুধু বেসামরিক উদ্দেশ্যে। ওয়াশিংটনের সমৃদ্ধকরণ পরিত্যাগের দাবিকে তারা প্রকাশ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে, একে তারা নিজেদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ বলে মনে করে।
ওয়াশিংটনে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইরানি সূত্রগুলো যে প্রস্তাবের কথা বলছে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার টেবিলে তোলা হয়নি। এ প্রতিবেদন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি রয়টার্সের প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন, ‘ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ একটি অপ্রতিরোধ্য নীতিগত বিষয়।’
অবশ্য ইরানি সূত্রগুলোও বলছে, তেহরান কোনোভাবেই ট্রাম্প প্রশাসনের শর্ত মেনে তাদের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করবে না বা পারমাণবিক স্থাপনাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবে না। এসব দাবি ইরানের জন্য অগ্রহণযোগ্য, বরং তাদের শর্ত হলো—যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করতে হবে যে ইরান একটি পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সার্বভৌম অধিকার রাখে।
একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে যে তেল বিক্রির অর্থ আটকে আছে, বিশেষ করে কাতারে জমাকৃত ছয় বিলিয়ন ডলার—তা অবমুক্ত করার অনুমোদন দিতে হবে। এই দুটি বিষয়ই তেহরানের জন্য যেকোনো রাজনৈতিক সমঝোতার শর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে একটি বন্দিবিনিময় চুক্তির পর কাতারের একটি ব্যাংকে জমাকৃত ইরানের ছয় বিলিয়ন ডলার তহবিল মুক্ত করা হলেও, তেহরান এখনো এই অর্থ হাতে পায়নি। ইরানি সূত্র জানায়, ‘তেহরান চায় এই অর্থ কোনো শর্ত বা সীমাবদ্ধতা ছাড়া সরাসরি ইরানে স্থানান্তর করা হোক। এর জন্য যদি কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়, সেটাও করা উচিত।’
সূত্রগুলো আরও জানায়, প্রস্তাবিত রাজনৈতিক চুক্তিটি পরমাণু ইস্যুতে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সফল হওয়ার জন্য আরও কিছু সময় দেবে, যাতে ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় জটিল বিষয়গুলোর সমাধান সম্ভব হয়। দ্বিতীয় এক সূত্র বলেছে, ‘এটি কোনো অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি নয়। বরং এটি একটি রাজনৈতিক সমঝোতা, যার মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হবে—দুই পক্ষই শান্তিতে আগ্রহী।’
অবশ্য ইরানের এমন প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র রাজি হবে কি না, তা নিয়ে বেশ সন্দিহান পশ্চিমা কূটনীতিকেরা। পশ্চিমা কূটনীতিকেরা বলছেন—ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র একটি সাময়িক রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছালেও ইউরোপীয় দেশগুলো তখনই এতে সমর্থন দেবে, যখন তারা নিশ্চিত হতে পারবে যে ইরান সত্যিই তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইরানের মুখের কথায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে এর সত্যতা নিশ্চিত হতে চাইবে তারা।
এ ক্ষেত্রে, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা—আইএইএকে দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে ইরান কী পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং তারা কার্যত তাদের প্রতিশ্রুতি মানছে কি না। তাই ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে, যাচাইযোগ্য উদ্যোগ ছাড়া ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সাময়িক রাজনৈতিক চুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বিষয়ে নমনীয় হলেও নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়ার বিষয়টি এখনো একটি বড় বাধা। যুক্তরাষ্ট্র চায়, পরমাণু-সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞাগুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার হোক, অন্যদিকে ইরান দাবি করছে—তাদের তেলনির্ভর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এমন সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর নতুন যেসব কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করলে কি সেসব কিছুটা শিথিল হতে পারে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে ইরানি একটি সূত্র রয়টার্সকে জানান, পাঁচ দফায় এসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে যে নিষেধাজ্ঞা কীভাবে শিথিল করা যায়।
২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যেমন—কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জাতীয় তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওয়াশিংটনের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বা অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এর ফলে ইরানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্ব বর্তমানে একাধিক সংকটে জর্জরিত। অঞ্চলটিতে বিদ্যুৎ ও পানি ঘাটতি, মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে আঞ্চলিক মিত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্ষতি এবং ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ট্রাম্পের কঠোর নীতির কারণে আরও তীব্র হয়েছে পরিস্থিতি।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর, তিনি আবার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশলকে কার্যকর করেছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেছেন এবং সরাসরি হুমকি দিয়েছেন যে যদি চলমান আলোচনায় চুক্তি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপও নিতে পারে।
ইরানি কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের ভেতরে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এবং ধর্মীয় শাসনব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে নতুন কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোই এখন তাদের কাছে সবচেয়ে ভালো বিকল্প। বিগত বছরগুলোতে ইরানে সামাজিক দমন-পীড়ন ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যার জবাবে সরকার কঠোর দমননীতি অনুসরণ করেছে। তবে এসব আন্দোলন মূল স্পষ্ট করেছে যে ইরান সরকার গণবিক্ষোভের মুখে নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ ইরানকে পশ্চিমা দেশগুলোর নতুন মানবাধিকারভিত্তিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে রাজনৈতিক চুক্তির খুব কাছাকাছি ওয়াশিংটন ও তেহরান। ইরানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থাটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জব্দকৃত অর্থ ছাড় করে এবং বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করতে পারে তেহরান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের এই প্রস্তাবে যদি যুক্তরাষ্ট্র রাজি হয় তাহলে শিগগিরই একটি সমঝোতা হতে পারে। তবে, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যদি এই চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়, তাহলে এক বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ রাখবে তেহরান। এরই মধ্যে তাদের কাছে যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম আছে, তার কিছু অংশ বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কিংবা জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা হবে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে এই সাময়িক বিরতি ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পরস্পরবিরোধী ‘রেড লাইন’ নিয়ে অচলাবস্থার সমাধানে সহায়তা করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন চলে আসা বিরোধ নিরসনে গত মাস থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা আলোচনার টেবিলে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনার শুরু থেকেই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের ওপর জোর দিয়ে আসছেন। তাঁদের ভাষ্য—২০১৫ সালের ব্যর্থ পরমাণু চুক্তির পরিবর্তে ইরানের সঙ্গে যদি নতুন কোনো চুক্তি হয়, তবে সেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।
ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাব্য পথ হিসেবে দেখে। অন্যদিকে, ইরান বহুবার দাবি করেছে, তাদের এমন কোনো অভিপ্রায় নেই। তারা পরমাণু শক্তিকে ব্যবহার করতে চায় শুধু বেসামরিক উদ্দেশ্যে। ওয়াশিংটনের সমৃদ্ধকরণ পরিত্যাগের দাবিকে তারা প্রকাশ্যেই প্রত্যাখ্যান করেছে, একে তারা নিজেদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ বলে মনে করে।
ওয়াশিংটনে এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, ইরানি সূত্রগুলো যে প্রস্তাবের কথা বলছে, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার টেবিলে তোলা হয়নি। এ প্রতিবেদন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘায়ি রয়টার্সের প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বলেছেন, ‘ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ একটি অপ্রতিরোধ্য নীতিগত বিষয়।’
অবশ্য ইরানি সূত্রগুলোও বলছে, তেহরান কোনোভাবেই ট্রাম্প প্রশাসনের শর্ত মেনে তাদের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করবে না বা পারমাণবিক স্থাপনাগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবে না। এসব দাবি ইরানের জন্য অগ্রহণযোগ্য, বরং তাদের শর্ত হলো—যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করতে হবে যে ইরান একটি পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সার্বভৌম অধিকার রাখে।
একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে যে তেল বিক্রির অর্থ আটকে আছে, বিশেষ করে কাতারে জমাকৃত ছয় বিলিয়ন ডলার—তা অবমুক্ত করার অনুমোদন দিতে হবে। এই দুটি বিষয়ই তেহরানের জন্য যেকোনো রাজনৈতিক সমঝোতার শর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে একটি বন্দিবিনিময় চুক্তির পর কাতারের একটি ব্যাংকে জমাকৃত ইরানের ছয় বিলিয়ন ডলার তহবিল মুক্ত করা হলেও, তেহরান এখনো এই অর্থ হাতে পায়নি। ইরানি সূত্র জানায়, ‘তেহরান চায় এই অর্থ কোনো শর্ত বা সীমাবদ্ধতা ছাড়া সরাসরি ইরানে স্থানান্তর করা হোক। এর জন্য যদি কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হয়, সেটাও করা উচিত।’
সূত্রগুলো আরও জানায়, প্রস্তাবিত রাজনৈতিক চুক্তিটি পরমাণু ইস্যুতে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সফল হওয়ার জন্য আরও কিছু সময় দেবে, যাতে ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় জটিল বিষয়গুলোর সমাধান সম্ভব হয়। দ্বিতীয় এক সূত্র বলেছে, ‘এটি কোনো অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি নয়। বরং এটি একটি রাজনৈতিক সমঝোতা, যার মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হবে—দুই পক্ষই শান্তিতে আগ্রহী।’
অবশ্য ইরানের এমন প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র রাজি হবে কি না, তা নিয়ে বেশ সন্দিহান পশ্চিমা কূটনীতিকেরা। পশ্চিমা কূটনীতিকেরা বলছেন—ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র একটি সাময়িক রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছালেও ইউরোপীয় দেশগুলো তখনই এতে সমর্থন দেবে, যখন তারা নিশ্চিত হতে পারবে যে ইরান সত্যিই তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইরানের মুখের কথায় নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে এর সত্যতা নিশ্চিত হতে চাইবে তারা।
এ ক্ষেত্রে, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা—আইএইএকে দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে ইরান কী পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং তারা কার্যত তাদের প্রতিশ্রুতি মানছে কি না। তাই ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে, যাচাইযোগ্য উদ্যোগ ছাড়া ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সাময়িক রাজনৈতিক চুক্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বিষয়ে নমনীয় হলেও নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়ার বিষয়টি এখনো একটি বড় বাধা। যুক্তরাষ্ট্র চায়, পরমাণু-সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞাগুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার হোক, অন্যদিকে ইরান দাবি করছে—তাদের তেলনির্ভর অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, এমন সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে তুলে নিতে হবে।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর নতুন যেসব কড়াকড়ি ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করলে কি সেসব কিছুটা শিথিল হতে পারে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে ইরানি একটি সূত্র রয়টার্সকে জানান, পাঁচ দফায় এসব নিয়েই আলোচনা হয়েছে যে নিষেধাজ্ঞা কীভাবে শিথিল করা যায়।
২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যেমন—কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং জাতীয় তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওয়াশিংটনের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বা অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এর ফলে ইরানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্ব বর্তমানে একাধিক সংকটে জর্জরিত। অঞ্চলটিতে বিদ্যুৎ ও পানি ঘাটতি, মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে আঞ্চলিক মিত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্ষতি এবং ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। ট্রাম্পের কঠোর নীতির কারণে আরও তীব্র হয়েছে পরিস্থিতি।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর, তিনি আবার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশলকে কার্যকর করেছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেছেন এবং সরাসরি হুমকি দিয়েছেন যে যদি চলমান আলোচনায় চুক্তি না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপও নিতে পারে।
ইরানি কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতিতে দেশের ভেতরে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এবং ধর্মীয় শাসনব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে নতুন কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোই এখন তাদের কাছে সবচেয়ে ভালো বিকল্প। বিগত বছরগুলোতে ইরানে সামাজিক দমন-পীড়ন ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, যার জবাবে সরকার কঠোর দমননীতি অনুসরণ করেছে। তবে এসব আন্দোলন মূল স্পষ্ট করেছে যে ইরান সরকার গণবিক্ষোভের মুখে নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলস্বরূপ ইরানকে পশ্চিমা দেশগুলোর নতুন মানবাধিকারভিত্তিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে রাজনৈতিক চুক্তির খুব কাছাকাছি ওয়াশিংটন ও তেহরান। ইরানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থাটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জব্দকৃত অর্থ ছাড় করে এবং বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়,
২৯ মে ২০২৫
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে রাজনৈতিক চুক্তির খুব কাছাকাছি ওয়াশিংটন ও তেহরান। ইরানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থাটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জব্দকৃত অর্থ ছাড় করে এবং বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়,
২৯ মে ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ মিনিট আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে রাজনৈতিক চুক্তির খুব কাছাকাছি ওয়াশিংটন ও তেহরান। ইরানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থাটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জব্দকৃত অর্থ ছাড় করে এবং বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়,
২৯ মে ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে রাজনৈতিক চুক্তির খুব কাছাকাছি ওয়াশিংটন ও তেহরান। ইরানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল বুধবার বার্তা সংস্থাটিকে তাঁরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জব্দকৃত অর্থ ছাড় করে এবং বেসামরিক ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়,
২৯ মে ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ মিনিট আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
২ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে