
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট যেমনটা দাবি করেছিল, তারা চার শতাধিক আসনে জিতবে। তবে এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় দেখা গেছে, তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। বাস্তবে আর পরিণত হবে না। কংগ্রেসের জোট ইন্ডিয়া ভালোভাবেই ফিরে এসেছে এবং লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনে স্পষ্ট ব্যবধান গড়ে দেওয়ায় ভূমিকা রাখে যেসব রাজ্য—যেমন উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য কংগ্রেসের জোট ইন্ডিয়া স্পষ্ট এগিয়ে আছে। অন্য রাজ্যগুলোতেও ইন্ডিয়া জোট এখন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনের লোকসভার সবগুলোতেই গণনা চলছে। যেখানে বিজেপির জোট এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩৩ আসনে এগিয়ে আছে। অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন ২০ আসনে।
কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যেসব রাজ্যে
উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ৮০ লোকসভা আসনের মধ্যে ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার সমাজবাদী পার্টি ও অন্যান্য দল বিশেষ করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মিলে এখন পর্যন্ত ৪৩টি আসনে এগিয়ে আছে। বিজেপি এগিয়ে আছে ৩৬টি আসনে। অন্যান্য দল এগিয়ে আছে মাত্র একটি আসনে।
মহারাষ্ট্রেও এগিয়ে আছে ইন্ডিয়া জোট। ৪৮ আসনের এই রাজ্যটিতে কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে আছে ২৭টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে আছে ২০টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে আছে মাত্র একটি আসনে। পশ্চিমবঙ্গেও এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট। জোটের অংশীদার ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে ৩০টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ১১টি আসনে। অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে।
তামিলনাড়ুতেও এগিয়ে ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম পার্টি। দলটি ৩৯ আসনের মধ্যে ৩৮টিতেই এগিয়ে আছে। বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। ২০ আসনের কেরালায় ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে ১৮টি আসনে। বিজেপি এই রাজ্যে মাত্র একটি আসনে এগিয়ে। অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে।
পাঞ্জাবে কংগ্রেস এবং দলটির জোটসঙ্গী আম আদমি পার্টির কাছে পাত্তাই পায়নি বিজেপি ও এর জোট এনডিএ। রাজ্যের ১৩ লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে সাতটি আসনে, আম আদমি পার্টি এগিয়ে তিনটি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে বাকি তিনটি আসনে।
হরিয়ানা রাজ্যেও এগিয়ে কংগ্রেস এবং এর জোটসঙ্গীরা। জোটটি ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ছয়টিতেই এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে বাকি চারটি আসনে। মণিপুর ও মেঘালয়ের যথাক্রমে দুই ও একটি করে লোকসভা আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে কংগ্রেস। এ ছাড়া চণ্ডীগড়, লাক্ষাদ্বীপ ও নাগাল্যান্ডের একটি করে লোকসভা আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে কংগ্রেস। পদুচেরির একমাত্র লোকসভা আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।
বিজেপির এনডিএ জোট এগিয়ে যেসব রাজ্যে
বিজেপি সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে বিহারে। বিহারের ৪০ লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপির জোট এগিয়ে ৩২টি এবং বাকি আটটিতে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীরা। বিশেষ করে জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং অন্য প্রার্থীরা এগিয়ে এসব আসনে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির জোটের কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না ইন্ডিয়া। এই রাজ্যের ২৯টি আসনের সবগুলোতেই এনডিএ এগিয়ে।
কর্ণাটকে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন হলেও লোকসভা নির্বাচনে দলটি সেখানে সেই অর্থে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপির প্রার্থীরা এগিয়ে ১৮টিতে, কংগ্রেসের প্রার্থীরা এগিয়ে ৮টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের নিজ রাজ্য গুজরাটে ইন্ডিয়া জোট ভালো করবে না তা অনুমেয় ছিল। সেই অনুমানই যেন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের ২৬ লোকসভা আসনের মধ্যে ২৪টিতেই এনডিএ জোটের প্রার্থীরা এগিয়ে। কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীরা মাত্র একটি আসনে এগিয়ে।
অন্ধ্র প্রদেশে এগিয়ে আছে বিজেপির জোটসঙ্গী তেলেগু দেশাম পার্টি। দলটি এবং তার জোটসঙ্গীরা ২৫ লোকসভা আসনের মধ্যে এগিয়ে আছে ২০টিতে। বিজেপিবিরোধী জোটের অংশ ওয়াইএসআরসিপি চারটি আসনে এবং কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে এগিয়ে আছে। রাজস্থানের ২৫ আসনের মধ্যে বিজেপি ১৪টি আসনে এবং কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে ১১টি আসনে এগিয়ে আছে।
২১ লোকসভা আসনবিশিষ্ট ওডিশায় বিজেপি ও এর জোট এনডিএ এগিয়ে আছে ১৯টি আসনে এবং কংগ্রেস ও এর জোটসঙ্গীরা এগিয়ে আছে মাত্র দুটি আসনে। আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে বিজেপির প্রার্থীরা এগিয়ে ১০টি আসনে এবং কংগ্রেসের প্রার্থীরা এগিয়ে মাত্র চারটি আসনে।
ঝাড়খণ্ডের ১৪ আসনের মধ্যে বিজেপি ও এর জোটসঙ্গীরা এগিয়ে ১০টিতে এবং স্থানীয় দল জনমুক্তি মোর্চা এগিয়ে চারটি আসনে। ছত্তিশগড়ে এগিয়ে আবার বিজেপি ও এর জোটসঙ্গীরা। ১১টি লোকসভা আসনের মধ্যে নয়টিকে এগিয়ে বিজেপি এবং মাত্র দুটি এগিয়ে কংগ্রেস। মজার ব্যাপার হলো, দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের অংশ হলেও দলটি নিজ রাজ্যেই কোনো আসনেই এগিয়ে নেই। সাত আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে বিজেপি।
জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটিতে এগিয়ে বিজেপি এবং বাকি দুটিতে এগিয়ে স্থানীয় দল জেকেএন। অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। উত্তরাখণ্ডের পাঁচ আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে বিজেপি। হিমাচলের চার আসনেই এগিয়ে বিজেপি, অরুণাচলের দুই আসনে এগিয়ে বিজেপি, দাদরা-নগর হাভেলি, গোয়া, আন্দামান নিকোবর, লাদাখে একটি করে আসনে এগিয়ে বিজেপি। ত্রিপুরার দুটি আসনেই এগিয়ে বিজেপি।
এর বাইরে, সিকিম, মিজোরামের একটি করে লোকসভা আসনে স্থানীয় দলগুলোই এগিয়ে আছে। এ ছাড়া, তেলেঙ্গানার ১৭টি আসনের মধ্যে বিজেপির জোট ও ইন্ডিয়া জোট উভয়ই আটটি করে আসনে এগিয়ে এবং অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে।
লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট যেমনটা দাবি করেছিল, তারা চার শতাধিক আসনে জিতবে। তবে এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় দেখা গেছে, তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। বাস্তবে আর পরিণত হবে না। কংগ্রেসের জোট ইন্ডিয়া ভালোভাবেই ফিরে এসেছে এবং লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনে স্পষ্ট ব্যবধান গড়ে দেওয়ায় ভূমিকা রাখে যেসব রাজ্য—যেমন উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য কংগ্রেসের জোট ইন্ডিয়া স্পষ্ট এগিয়ে আছে। অন্য রাজ্যগুলোতেও ইন্ডিয়া জোট এখন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনের লোকসভার সবগুলোতেই গণনা চলছে। যেখানে বিজেপির জোট এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩৩ আসনে এগিয়ে আছে। অন্যান্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন ২০ আসনে।
কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যেসব রাজ্যে
উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ৮০ লোকসভা আসনের মধ্যে ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার সমাজবাদী পার্টি ও অন্যান্য দল বিশেষ করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস মিলে এখন পর্যন্ত ৪৩টি আসনে এগিয়ে আছে। বিজেপি এগিয়ে আছে ৩৬টি আসনে। অন্যান্য দল এগিয়ে আছে মাত্র একটি আসনে।
মহারাষ্ট্রেও এগিয়ে আছে ইন্ডিয়া জোট। ৪৮ আসনের এই রাজ্যটিতে কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে আছে ২৭টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে আছে ২০টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে আছে মাত্র একটি আসনে। পশ্চিমবঙ্গেও এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট। জোটের অংশীদার ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে ৩০টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ১১টি আসনে। অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে।
তামিলনাড়ুতেও এগিয়ে ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগাম পার্টি। দলটি ৩৯ আসনের মধ্যে ৩৮টিতেই এগিয়ে আছে। বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। ২০ আসনের কেরালায় ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে ১৮টি আসনে। বিজেপি এই রাজ্যে মাত্র একটি আসনে এগিয়ে। অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে।
পাঞ্জাবে কংগ্রেস এবং দলটির জোটসঙ্গী আম আদমি পার্টির কাছে পাত্তাই পায়নি বিজেপি ও এর জোট এনডিএ। রাজ্যের ১৩ লোকসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস এগিয়ে সাতটি আসনে, আম আদমি পার্টি এগিয়ে তিনটি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে বাকি তিনটি আসনে।
হরিয়ানা রাজ্যেও এগিয়ে কংগ্রেস এবং এর জোটসঙ্গীরা। জোটটি ১০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ছয়টিতেই এগিয়ে। বিজেপি এগিয়ে বাকি চারটি আসনে। মণিপুর ও মেঘালয়ের যথাক্রমে দুই ও একটি করে লোকসভা আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে কংগ্রেস। এ ছাড়া চণ্ডীগড়, লাক্ষাদ্বীপ ও নাগাল্যান্ডের একটি করে লোকসভা আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে কংগ্রেস। পদুচেরির একমাত্র লোকসভা আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।
বিজেপির এনডিএ জোট এগিয়ে যেসব রাজ্যে
বিজেপি সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে বিহারে। বিহারের ৪০ লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপির জোট এগিয়ে ৩২টি এবং বাকি আটটিতে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীরা। বিশেষ করে জোটসঙ্গী রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং অন্য প্রার্থীরা এগিয়ে এসব আসনে। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির জোটের কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না ইন্ডিয়া। এই রাজ্যের ২৯টি আসনের সবগুলোতেই এনডিএ এগিয়ে।
কর্ণাটকে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন হলেও লোকসভা নির্বাচনে দলটি সেখানে সেই অর্থে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপির প্রার্থীরা এগিয়ে ১৮টিতে, কংগ্রেসের প্রার্থীরা এগিয়ে ৮টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের নিজ রাজ্য গুজরাটে ইন্ডিয়া জোট ভালো করবে না তা অনুমেয় ছিল। সেই অনুমানই যেন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের ২৬ লোকসভা আসনের মধ্যে ২৪টিতেই এনডিএ জোটের প্রার্থীরা এগিয়ে। কংগ্রেস এবং তার জোটসঙ্গীরা মাত্র একটি আসনে এগিয়ে।
অন্ধ্র প্রদেশে এগিয়ে আছে বিজেপির জোটসঙ্গী তেলেগু দেশাম পার্টি। দলটি এবং তার জোটসঙ্গীরা ২৫ লোকসভা আসনের মধ্যে এগিয়ে আছে ২০টিতে। বিজেপিবিরোধী জোটের অংশ ওয়াইএসআরসিপি চারটি আসনে এবং কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে এগিয়ে আছে। রাজস্থানের ২৫ আসনের মধ্যে বিজেপি ১৪টি আসনে এবং কংগ্রেস ও তার জোটসঙ্গীরা এগিয়ে ১১টি আসনে এগিয়ে আছে।
২১ লোকসভা আসনবিশিষ্ট ওডিশায় বিজেপি ও এর জোট এনডিএ এগিয়ে আছে ১৯টি আসনে এবং কংগ্রেস ও এর জোটসঙ্গীরা এগিয়ে আছে মাত্র দুটি আসনে। আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে বিজেপির প্রার্থীরা এগিয়ে ১০টি আসনে এবং কংগ্রেসের প্রার্থীরা এগিয়ে মাত্র চারটি আসনে।
ঝাড়খণ্ডের ১৪ আসনের মধ্যে বিজেপি ও এর জোটসঙ্গীরা এগিয়ে ১০টিতে এবং স্থানীয় দল জনমুক্তি মোর্চা এগিয়ে চারটি আসনে। ছত্তিশগড়ে এগিয়ে আবার বিজেপি ও এর জোটসঙ্গীরা। ১১টি লোকসভা আসনের মধ্যে নয়টিকে এগিয়ে বিজেপি এবং মাত্র দুটি এগিয়ে কংগ্রেস। মজার ব্যাপার হলো, দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি ইন্ডিয়া জোটের অংশ হলেও দলটি নিজ রাজ্যেই কোনো আসনেই এগিয়ে নেই। সাত আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে বিজেপি।
জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি আসনের মধ্যে দুটিতে এগিয়ে বিজেপি এবং বাকি দুটিতে এগিয়ে স্থানীয় দল জেকেএন। অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। উত্তরাখণ্ডের পাঁচ আসনের সবগুলোতেই এগিয়ে বিজেপি। হিমাচলের চার আসনেই এগিয়ে বিজেপি, অরুণাচলের দুই আসনে এগিয়ে বিজেপি, দাদরা-নগর হাভেলি, গোয়া, আন্দামান নিকোবর, লাদাখে একটি করে আসনে এগিয়ে বিজেপি। ত্রিপুরার দুটি আসনেই এগিয়ে বিজেপি।
এর বাইরে, সিকিম, মিজোরামের একটি করে লোকসভা আসনে স্থানীয় দলগুলোই এগিয়ে আছে। এ ছাড়া, তেলেঙ্গানার ১৭টি আসনের মধ্যে বিজেপির জোট ও ইন্ডিয়া জোট উভয়ই আটটি করে আসনে এগিয়ে এবং অন্যরা এগিয়ে মাত্র একটি আসনে।
লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কিত আরও খবর পড়ুন:

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনের লোকসভার সবগুলোতেই গণনা চলছে। যেখানে বিজেপির জোট এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩৩ আসনে এগিয়ে আছে। অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন ২০ আসনে
০৪ জুন ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনের লোকসভার সবগুলোতেই গণনা চলছে। যেখানে বিজেপির জোট এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩৩ আসনে এগিয়ে আছে। অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন ২০ আসনে
০৪ জুন ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২০ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনের লোকসভার সবগুলোতেই গণনা চলছে। যেখানে বিজেপির জোট এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩৩ আসনে এগিয়ে আছে। অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন ২০ আসনে
০৪ জুন ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ৫৪৩ আসনের লোকসভার সবগুলোতেই গণনা চলছে। যেখানে বিজেপির জোট এনডিএ ২৯০ আসনে এগিয়ে আছে এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ২৩৩ আসনে এগিয়ে আছে। অন্য দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন ২০ আসনে
০৪ জুন ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
২০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
২১ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগে