অফিসে দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সঠিক খাবার নির্বাচন করে আপনি কর্মক্ষমতা ও মনোযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। জেনে নিন স্বাস্থ্যকর ১০টি স্ন্যাক্স সম্পর্কে
আপেল এবং পিনাট বাটার
আপেল আর পিনাট বাটার মিলে এমন এক অসাধারণ স্ন্যাক্স তৈরি করে যা পুষ্টিতে ভরপুর ও স্বাস্থ্যকর। আপেলে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনাকে শক্তি দেয়। আর পিনাট বাটার যোগ করে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূর রাখে।
ফাইবার ও প্রোটিন একসঙ্গে কাজ করে শক্তি স্থিতিশীল রাখতে, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হঠাৎ শক্তির অভাব থেকে বাঁচায়। ফলে আপনার মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
প্রণালি
১টি তাজা আপেল প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আপেলটি দুই বা তিন টুকরো করে কেটে নিন, অথবা স্লাইস করে কাটুন। চামচের সাহায্যে আপেলের স্লাইসে পিনাট বাটার (প্রাকৃতিক, চিনিহীন হলে ভালো) লাগান। চাইলে আপেলের ওপর পিনাট বাটার ছড়িয়ে দিতে পারেন, অথবা আপেলের টুকরো পিনাট বাটারে ডুবিয়ে খেতে পারেন। পরিবেশনের জন্য সামান্য ক্যানেল বা দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে আরও মজাদার করে তুলতে পারেন।
গ্রিক দই ও মধু
গ্রিক দইয়ের ঘন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ গুণ আপনাকে দীর্ঘ সময় উদ্যমী রাখে। মধুর প্রাকৃতিক চিনি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। কাজের ফাঁকে এটি হতে পারে আদর্শ স্ন্যাক্স। সঙ্গে যদি একটু গ্রানোলা যোগ করেন, তবে মজাদার ক্রাঞ্চের পাশাপাশি ফাইবারও পাবেন।
প্রণালি
একটি ছোট বাটিতে ১ কাপ গ্রিক দই নিন। দইয়ের ওপরে ১-২ টেবিল চামচ মধু ঢালুন। চাইলে এর মধ্যে কিছু গ্রানোলা, বেরিস বা কলা দিয়ে আরও সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর করতে পারেন।

হুমাস ও সবজির স্টিক
গাজরের স্টিক ও হুমাস এক চমৎকার স্ন্যাক্স। বা আরও ভালো কিছু চাইলে, হুমাসের সঙ্গে রঙিন বেল পেপার, শসার স্লাইস যোগ করতে পারেন। এগুলো ফাইবারে ভরপুর, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
প্রণালি
ছোলা ঘণ্টা খানিক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পরে সেদ্ধ করে নিন। ব্লেন্ডারে ছোলা, তিলের পেস্ট, লেবুর রস, রসুন, জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিন। সঙ্গে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিন, যাতে হুমাসটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়। এতে সুস্বাদু গন্ধও থাকবে। মিশ্রণটি ঘন হলে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে রেখে এর ওপর কিছু জলপাই তেল ছড়িয়ে দিন। চাইলে পাপরিকা বা মরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে সাজাতে পারেন।
এডামামে
সবুজ সয়াবিন এডামামে প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা দূর করার জন্য আদর্শ। এতে থাকা আইসোফ্ল্যাভোনস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগ উন্নত করে।
প্রণালি
সয়াবিন কাঁচা হলে পানিতে লবণ দিয়ে ৫-৭ মিনিট সেদ্ধ করুন। পানি ঝরিয়ে ফেলুন। ১ চা চামচ জলপায় তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী মরিচ বা অন্য মসলা যোগ করুন। সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।

ফলের স্ন্যাক্স
আপেল, কলা বা বেরি (স্ট্রবেরিও হতে পারে) রাখুন হাতের কাছে। আপেলের টুকরোয় পিনাট বাটার বা কলার ওপর একটু দারুচিনি গুঁড়ো ছিটিয়ে খেলে সাধারণ ফলও অসাধারণ হয়ে উঠবে।
প্রণালি
আপেল বা পছন্দ মতো অন্যান্য ফল নিন। সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো বা স্লাইস করে কেটে নিন। এক চামচ আমন্ড বাটার বা পিনাট বাটার মেশান। চাইলে স্বাদের জন্য এক চা চামচ মধু দিতে পারেন। ক্রাঞ্চি এবং লোভনীয় টেক্সচার যোগ করতে ফলের ওপর বাদাম বা গ্রানোলা ছড়িয়ে দিন। এরপর দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। দারুচিনি কেবল স্বাদই বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যকরও।
এনার্জি বলস
নানা ধরনের বাদাম, বীজ (কুমড়া বা চিয়া) এবং ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি এনার্জি বলস আপনাকে দীর্ঘ সময় সক্রিয় রাখতে পারে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ও উদ্যমী করতে এই স্ন্যাকসগুলো আপনার টেবিলে মজুত রাখুন।
প্রণালি
একটি বড় মিক্সিং বাটিতে ওটস, পিনাট বাটার, মধু, চকলেট চিপস এবং চিয়া বীজ নিন। ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট যোগ করলে এটি সুগন্ধ বাড়াবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি শুষ্ক মনে হলে পিনাট বাটার বা মধু যোগ করুন। মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট অংশ নিয়ে হাতে বল তৈরি করুন। প্রতিটি বল সাধারণত ১–২ ইঞ্চি আকারের হতে পারে। বলগুলো একটি প্লেটে বা ট্রেতে সাজিয়ে ২০–৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন, যাতে এগুলো ভালোভাবে জমে যায়।

সি–উইড স্ন্যাক্স
আয়োডিনে ভরপুর এবং কম ক্যালরিযুক্ত সি–উইড স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার কাজের ফাঁকের শান্তিদায়ক সঙ্গী।
প্রণালি
শুকনো সি–উইড শিটগুলো বের করে একটি সমতল জায়গায় রাখুন। একটি ছোট বাটিতে তিলের তেল, লবণ এবং চাইলে চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে সি–উইড শিটের ওপরে হালকা তেল লাগিয়ে নিন। উভয় পাশেই তেল লাগান যেন ভালোভাবে ভাজা যায়। বড়, শুকনো প্যানে একটি একটি করে ভাজুন। মাঝারি আঁচে ১০–১৫ সেকেন্ড ধরে প্রতিটি পাশ ভাজুন। এটি মুচমুচে হয়ে এলে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। ভাজা সি–উইড শিটগুলোর ওপর সাদা বা কালো তিল ছড়িয়ে দিন। এটি স্ন্যাক্সের স্বাদ ও টেক্সচার আরও আকর্ষণীয় করবে।

সেদ্ধ ডিম
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সেদ্ধ ডিম ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক। ওপরে এক চিমটি বিট লবণ বা পেপরিকার গুঁড়া দিয়ে আরও সুস্বাদু করুন।
ডার্ক চকলেট যুক্ত এসপ্রেসো বিন
ক্যাফেইন আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মিশ্রণে এটি একটি শক্তিদায়ক স্ন্যাক্স। কাজের ফাঁকে এটি আপনাকে দ্রুত শক্তি দেবে। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে।
পপকর্ন
মাখন ছাড়া তৈরি এয়ার–পপড পপকর্ন কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যোগ করুন চিলি পাউডার বা নিউট্রিশনাল ইস্ট, এটি খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অফিসে দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সঠিক খাবার নির্বাচন করে আপনি কর্মক্ষমতা ও মনোযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। জেনে নিন স্বাস্থ্যকর ১০টি স্ন্যাক্স সম্পর্কে
আপেল এবং পিনাট বাটার
আপেল আর পিনাট বাটার মিলে এমন এক অসাধারণ স্ন্যাক্স তৈরি করে যা পুষ্টিতে ভরপুর ও স্বাস্থ্যকর। আপেলে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনাকে শক্তি দেয়। আর পিনাট বাটার যোগ করে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূর রাখে।
ফাইবার ও প্রোটিন একসঙ্গে কাজ করে শক্তি স্থিতিশীল রাখতে, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হঠাৎ শক্তির অভাব থেকে বাঁচায়। ফলে আপনার মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
প্রণালি
১টি তাজা আপেল প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আপেলটি দুই বা তিন টুকরো করে কেটে নিন, অথবা স্লাইস করে কাটুন। চামচের সাহায্যে আপেলের স্লাইসে পিনাট বাটার (প্রাকৃতিক, চিনিহীন হলে ভালো) লাগান। চাইলে আপেলের ওপর পিনাট বাটার ছড়িয়ে দিতে পারেন, অথবা আপেলের টুকরো পিনাট বাটারে ডুবিয়ে খেতে পারেন। পরিবেশনের জন্য সামান্য ক্যানেল বা দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে আরও মজাদার করে তুলতে পারেন।
গ্রিক দই ও মধু
গ্রিক দইয়ের ঘন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ গুণ আপনাকে দীর্ঘ সময় উদ্যমী রাখে। মধুর প্রাকৃতিক চিনি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। কাজের ফাঁকে এটি হতে পারে আদর্শ স্ন্যাক্স। সঙ্গে যদি একটু গ্রানোলা যোগ করেন, তবে মজাদার ক্রাঞ্চের পাশাপাশি ফাইবারও পাবেন।
প্রণালি
একটি ছোট বাটিতে ১ কাপ গ্রিক দই নিন। দইয়ের ওপরে ১-২ টেবিল চামচ মধু ঢালুন। চাইলে এর মধ্যে কিছু গ্রানোলা, বেরিস বা কলা দিয়ে আরও সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর করতে পারেন।

হুমাস ও সবজির স্টিক
গাজরের স্টিক ও হুমাস এক চমৎকার স্ন্যাক্স। বা আরও ভালো কিছু চাইলে, হুমাসের সঙ্গে রঙিন বেল পেপার, শসার স্লাইস যোগ করতে পারেন। এগুলো ফাইবারে ভরপুর, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
প্রণালি
ছোলা ঘণ্টা খানিক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পরে সেদ্ধ করে নিন। ব্লেন্ডারে ছোলা, তিলের পেস্ট, লেবুর রস, রসুন, জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিন। সঙ্গে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিন, যাতে হুমাসটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়। এতে সুস্বাদু গন্ধও থাকবে। মিশ্রণটি ঘন হলে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে রেখে এর ওপর কিছু জলপাই তেল ছড়িয়ে দিন। চাইলে পাপরিকা বা মরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে সাজাতে পারেন।
এডামামে
সবুজ সয়াবিন এডামামে প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা দূর করার জন্য আদর্শ। এতে থাকা আইসোফ্ল্যাভোনস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগ উন্নত করে।
প্রণালি
সয়াবিন কাঁচা হলে পানিতে লবণ দিয়ে ৫-৭ মিনিট সেদ্ধ করুন। পানি ঝরিয়ে ফেলুন। ১ চা চামচ জলপায় তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী মরিচ বা অন্য মসলা যোগ করুন। সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।

ফলের স্ন্যাক্স
আপেল, কলা বা বেরি (স্ট্রবেরিও হতে পারে) রাখুন হাতের কাছে। আপেলের টুকরোয় পিনাট বাটার বা কলার ওপর একটু দারুচিনি গুঁড়ো ছিটিয়ে খেলে সাধারণ ফলও অসাধারণ হয়ে উঠবে।
প্রণালি
আপেল বা পছন্দ মতো অন্যান্য ফল নিন। সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো বা স্লাইস করে কেটে নিন। এক চামচ আমন্ড বাটার বা পিনাট বাটার মেশান। চাইলে স্বাদের জন্য এক চা চামচ মধু দিতে পারেন। ক্রাঞ্চি এবং লোভনীয় টেক্সচার যোগ করতে ফলের ওপর বাদাম বা গ্রানোলা ছড়িয়ে দিন। এরপর দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। দারুচিনি কেবল স্বাদই বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যকরও।
এনার্জি বলস
নানা ধরনের বাদাম, বীজ (কুমড়া বা চিয়া) এবং ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি এনার্জি বলস আপনাকে দীর্ঘ সময় সক্রিয় রাখতে পারে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ও উদ্যমী করতে এই স্ন্যাকসগুলো আপনার টেবিলে মজুত রাখুন।
প্রণালি
একটি বড় মিক্সিং বাটিতে ওটস, পিনাট বাটার, মধু, চকলেট চিপস এবং চিয়া বীজ নিন। ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট যোগ করলে এটি সুগন্ধ বাড়াবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি শুষ্ক মনে হলে পিনাট বাটার বা মধু যোগ করুন। মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট অংশ নিয়ে হাতে বল তৈরি করুন। প্রতিটি বল সাধারণত ১–২ ইঞ্চি আকারের হতে পারে। বলগুলো একটি প্লেটে বা ট্রেতে সাজিয়ে ২০–৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন, যাতে এগুলো ভালোভাবে জমে যায়।

সি–উইড স্ন্যাক্স
আয়োডিনে ভরপুর এবং কম ক্যালরিযুক্ত সি–উইড স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার কাজের ফাঁকের শান্তিদায়ক সঙ্গী।
প্রণালি
শুকনো সি–উইড শিটগুলো বের করে একটি সমতল জায়গায় রাখুন। একটি ছোট বাটিতে তিলের তেল, লবণ এবং চাইলে চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে সি–উইড শিটের ওপরে হালকা তেল লাগিয়ে নিন। উভয় পাশেই তেল লাগান যেন ভালোভাবে ভাজা যায়। বড়, শুকনো প্যানে একটি একটি করে ভাজুন। মাঝারি আঁচে ১০–১৫ সেকেন্ড ধরে প্রতিটি পাশ ভাজুন। এটি মুচমুচে হয়ে এলে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। ভাজা সি–উইড শিটগুলোর ওপর সাদা বা কালো তিল ছড়িয়ে দিন। এটি স্ন্যাক্সের স্বাদ ও টেক্সচার আরও আকর্ষণীয় করবে।

সেদ্ধ ডিম
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সেদ্ধ ডিম ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক। ওপরে এক চিমটি বিট লবণ বা পেপরিকার গুঁড়া দিয়ে আরও সুস্বাদু করুন।
ডার্ক চকলেট যুক্ত এসপ্রেসো বিন
ক্যাফেইন আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মিশ্রণে এটি একটি শক্তিদায়ক স্ন্যাক্স। কাজের ফাঁকে এটি আপনাকে দ্রুত শক্তি দেবে। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে।
পপকর্ন
মাখন ছাড়া তৈরি এয়ার–পপড পপকর্ন কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যোগ করুন চিলি পাউডার বা নিউট্রিশনাল ইস্ট, এটি খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অফিসে দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সঠিক খাবার নির্বাচন করে আপনি কর্মক্ষমতা ও মনোযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। জেনে নিন স্বাস্থ্যকর ১০টি স্ন্যাক্স সম্পর্কে
আপেল এবং পিনাট বাটার
আপেল আর পিনাট বাটার মিলে এমন এক অসাধারণ স্ন্যাক্স তৈরি করে যা পুষ্টিতে ভরপুর ও স্বাস্থ্যকর। আপেলে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনাকে শক্তি দেয়। আর পিনাট বাটার যোগ করে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূর রাখে।
ফাইবার ও প্রোটিন একসঙ্গে কাজ করে শক্তি স্থিতিশীল রাখতে, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হঠাৎ শক্তির অভাব থেকে বাঁচায়। ফলে আপনার মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
প্রণালি
১টি তাজা আপেল প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আপেলটি দুই বা তিন টুকরো করে কেটে নিন, অথবা স্লাইস করে কাটুন। চামচের সাহায্যে আপেলের স্লাইসে পিনাট বাটার (প্রাকৃতিক, চিনিহীন হলে ভালো) লাগান। চাইলে আপেলের ওপর পিনাট বাটার ছড়িয়ে দিতে পারেন, অথবা আপেলের টুকরো পিনাট বাটারে ডুবিয়ে খেতে পারেন। পরিবেশনের জন্য সামান্য ক্যানেল বা দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে আরও মজাদার করে তুলতে পারেন।
গ্রিক দই ও মধু
গ্রিক দইয়ের ঘন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ গুণ আপনাকে দীর্ঘ সময় উদ্যমী রাখে। মধুর প্রাকৃতিক চিনি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। কাজের ফাঁকে এটি হতে পারে আদর্শ স্ন্যাক্স। সঙ্গে যদি একটু গ্রানোলা যোগ করেন, তবে মজাদার ক্রাঞ্চের পাশাপাশি ফাইবারও পাবেন।
প্রণালি
একটি ছোট বাটিতে ১ কাপ গ্রিক দই নিন। দইয়ের ওপরে ১-২ টেবিল চামচ মধু ঢালুন। চাইলে এর মধ্যে কিছু গ্রানোলা, বেরিস বা কলা দিয়ে আরও সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর করতে পারেন।

হুমাস ও সবজির স্টিক
গাজরের স্টিক ও হুমাস এক চমৎকার স্ন্যাক্স। বা আরও ভালো কিছু চাইলে, হুমাসের সঙ্গে রঙিন বেল পেপার, শসার স্লাইস যোগ করতে পারেন। এগুলো ফাইবারে ভরপুর, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
প্রণালি
ছোলা ঘণ্টা খানিক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পরে সেদ্ধ করে নিন। ব্লেন্ডারে ছোলা, তিলের পেস্ট, লেবুর রস, রসুন, জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিন। সঙ্গে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিন, যাতে হুমাসটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়। এতে সুস্বাদু গন্ধও থাকবে। মিশ্রণটি ঘন হলে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে রেখে এর ওপর কিছু জলপাই তেল ছড়িয়ে দিন। চাইলে পাপরিকা বা মরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে সাজাতে পারেন।
এডামামে
সবুজ সয়াবিন এডামামে প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা দূর করার জন্য আদর্শ। এতে থাকা আইসোফ্ল্যাভোনস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগ উন্নত করে।
প্রণালি
সয়াবিন কাঁচা হলে পানিতে লবণ দিয়ে ৫-৭ মিনিট সেদ্ধ করুন। পানি ঝরিয়ে ফেলুন। ১ চা চামচ জলপায় তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী মরিচ বা অন্য মসলা যোগ করুন। সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।

ফলের স্ন্যাক্স
আপেল, কলা বা বেরি (স্ট্রবেরিও হতে পারে) রাখুন হাতের কাছে। আপেলের টুকরোয় পিনাট বাটার বা কলার ওপর একটু দারুচিনি গুঁড়ো ছিটিয়ে খেলে সাধারণ ফলও অসাধারণ হয়ে উঠবে।
প্রণালি
আপেল বা পছন্দ মতো অন্যান্য ফল নিন। সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো বা স্লাইস করে কেটে নিন। এক চামচ আমন্ড বাটার বা পিনাট বাটার মেশান। চাইলে স্বাদের জন্য এক চা চামচ মধু দিতে পারেন। ক্রাঞ্চি এবং লোভনীয় টেক্সচার যোগ করতে ফলের ওপর বাদাম বা গ্রানোলা ছড়িয়ে দিন। এরপর দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। দারুচিনি কেবল স্বাদই বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যকরও।
এনার্জি বলস
নানা ধরনের বাদাম, বীজ (কুমড়া বা চিয়া) এবং ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি এনার্জি বলস আপনাকে দীর্ঘ সময় সক্রিয় রাখতে পারে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ও উদ্যমী করতে এই স্ন্যাকসগুলো আপনার টেবিলে মজুত রাখুন।
প্রণালি
একটি বড় মিক্সিং বাটিতে ওটস, পিনাট বাটার, মধু, চকলেট চিপস এবং চিয়া বীজ নিন। ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট যোগ করলে এটি সুগন্ধ বাড়াবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি শুষ্ক মনে হলে পিনাট বাটার বা মধু যোগ করুন। মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট অংশ নিয়ে হাতে বল তৈরি করুন। প্রতিটি বল সাধারণত ১–২ ইঞ্চি আকারের হতে পারে। বলগুলো একটি প্লেটে বা ট্রেতে সাজিয়ে ২০–৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন, যাতে এগুলো ভালোভাবে জমে যায়।

সি–উইড স্ন্যাক্স
আয়োডিনে ভরপুর এবং কম ক্যালরিযুক্ত সি–উইড স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার কাজের ফাঁকের শান্তিদায়ক সঙ্গী।
প্রণালি
শুকনো সি–উইড শিটগুলো বের করে একটি সমতল জায়গায় রাখুন। একটি ছোট বাটিতে তিলের তেল, লবণ এবং চাইলে চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে সি–উইড শিটের ওপরে হালকা তেল লাগিয়ে নিন। উভয় পাশেই তেল লাগান যেন ভালোভাবে ভাজা যায়। বড়, শুকনো প্যানে একটি একটি করে ভাজুন। মাঝারি আঁচে ১০–১৫ সেকেন্ড ধরে প্রতিটি পাশ ভাজুন। এটি মুচমুচে হয়ে এলে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। ভাজা সি–উইড শিটগুলোর ওপর সাদা বা কালো তিল ছড়িয়ে দিন। এটি স্ন্যাক্সের স্বাদ ও টেক্সচার আরও আকর্ষণীয় করবে।

সেদ্ধ ডিম
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সেদ্ধ ডিম ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক। ওপরে এক চিমটি বিট লবণ বা পেপরিকার গুঁড়া দিয়ে আরও সুস্বাদু করুন।
ডার্ক চকলেট যুক্ত এসপ্রেসো বিন
ক্যাফেইন আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মিশ্রণে এটি একটি শক্তিদায়ক স্ন্যাক্স। কাজের ফাঁকে এটি আপনাকে দ্রুত শক্তি দেবে। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে।
পপকর্ন
মাখন ছাড়া তৈরি এয়ার–পপড পপকর্ন কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যোগ করুন চিলি পাউডার বা নিউট্রিশনাল ইস্ট, এটি খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অফিসে দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে। সঠিক খাবার নির্বাচন করে আপনি কর্মক্ষমতা ও মনোযোগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারেন। জেনে নিন স্বাস্থ্যকর ১০টি স্ন্যাক্স সম্পর্কে
আপেল এবং পিনাট বাটার
আপেল আর পিনাট বাটার মিলে এমন এক অসাধারণ স্ন্যাক্স তৈরি করে যা পুষ্টিতে ভরপুর ও স্বাস্থ্যকর। আপেলে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনাকে শক্তি দেয়। আর পিনাট বাটার যোগ করে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন যা দীর্ঘ সময় ক্ষুধা দূর রাখে।
ফাইবার ও প্রোটিন একসঙ্গে কাজ করে শক্তি স্থিতিশীল রাখতে, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হঠাৎ শক্তির অভাব থেকে বাঁচায়। ফলে আপনার মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
প্রণালি
১টি তাজা আপেল প্রথমে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। আপেলটি দুই বা তিন টুকরো করে কেটে নিন, অথবা স্লাইস করে কাটুন। চামচের সাহায্যে আপেলের স্লাইসে পিনাট বাটার (প্রাকৃতিক, চিনিহীন হলে ভালো) লাগান। চাইলে আপেলের ওপর পিনাট বাটার ছড়িয়ে দিতে পারেন, অথবা আপেলের টুকরো পিনাট বাটারে ডুবিয়ে খেতে পারেন। পরিবেশনের জন্য সামান্য ক্যানেল বা দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে আরও মজাদার করে তুলতে পারেন।
গ্রিক দই ও মধু
গ্রিক দইয়ের ঘন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ গুণ আপনাকে দীর্ঘ সময় উদ্যমী রাখে। মধুর প্রাকৃতিক চিনি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। কাজের ফাঁকে এটি হতে পারে আদর্শ স্ন্যাক্স। সঙ্গে যদি একটু গ্রানোলা যোগ করেন, তবে মজাদার ক্রাঞ্চের পাশাপাশি ফাইবারও পাবেন।
প্রণালি
একটি ছোট বাটিতে ১ কাপ গ্রিক দই নিন। দইয়ের ওপরে ১-২ টেবিল চামচ মধু ঢালুন। চাইলে এর মধ্যে কিছু গ্রানোলা, বেরিস বা কলা দিয়ে আরও সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর করতে পারেন।

হুমাস ও সবজির স্টিক
গাজরের স্টিক ও হুমাস এক চমৎকার স্ন্যাক্স। বা আরও ভালো কিছু চাইলে, হুমাসের সঙ্গে রঙিন বেল পেপার, শসার স্লাইস যোগ করতে পারেন। এগুলো ফাইবারে ভরপুর, যা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে।
প্রণালি
ছোলা ঘণ্টা খানিক পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পরে সেদ্ধ করে নিন। ব্লেন্ডারে ছোলা, তিলের পেস্ট, লেবুর রস, রসুন, জিরা গুঁড়া এবং লবণ দিন। সঙ্গে জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিন, যাতে হুমাসটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়। এতে সুস্বাদু গন্ধও থাকবে। মিশ্রণটি ঘন হলে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। একটি পাত্রে রেখে এর ওপর কিছু জলপাই তেল ছড়িয়ে দিন। চাইলে পাপরিকা বা মরিচ গুঁড়া ছড়িয়ে সাজাতে পারেন।
এডামামে
সবুজ সয়াবিন এডামামে প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ক্ষুধা দূর করার জন্য আদর্শ। এতে থাকা আইসোফ্ল্যাভোনস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা আপনার স্মৃতি এবং মনোযোগ উন্নত করে।
প্রণালি
সয়াবিন কাঁচা হলে পানিতে লবণ দিয়ে ৫-৭ মিনিট সেদ্ধ করুন। পানি ঝরিয়ে ফেলুন। ১ চা চামচ জলপায় তেল এবং স্বাদ অনুযায়ী মরিচ বা অন্য মসলা যোগ করুন। সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।

ফলের স্ন্যাক্স
আপেল, কলা বা বেরি (স্ট্রবেরিও হতে পারে) রাখুন হাতের কাছে। আপেলের টুকরোয় পিনাট বাটার বা কলার ওপর একটু দারুচিনি গুঁড়ো ছিটিয়ে খেলে সাধারণ ফলও অসাধারণ হয়ে উঠবে।
প্রণালি
আপেল বা পছন্দ মতো অন্যান্য ফল নিন। সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো বা স্লাইস করে কেটে নিন। এক চামচ আমন্ড বাটার বা পিনাট বাটার মেশান। চাইলে স্বাদের জন্য এক চা চামচ মধু দিতে পারেন। ক্রাঞ্চি এবং লোভনীয় টেক্সচার যোগ করতে ফলের ওপর বাদাম বা গ্রানোলা ছড়িয়ে দিন। এরপর দারুচিনি গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। দারুচিনি কেবল স্বাদই বাড়ায় না, এটি স্বাস্থ্যকরও।
এনার্জি বলস
নানা ধরনের বাদাম, বীজ (কুমড়া বা চিয়া) এবং ড্রাই ফ্রুট দিয়ে তৈরি এনার্জি বলস আপনাকে দীর্ঘ সময় সক্রিয় রাখতে পারে। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে ও উদ্যমী করতে এই স্ন্যাকসগুলো আপনার টেবিলে মজুত রাখুন।
প্রণালি
একটি বড় মিক্সিং বাটিতে ওটস, পিনাট বাটার, মধু, চকলেট চিপস এবং চিয়া বীজ নিন। ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট যোগ করলে এটি সুগন্ধ বাড়াবে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি আঠালো মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি শুষ্ক মনে হলে পিনাট বাটার বা মধু যোগ করুন। মিশ্রণটি থেকে ছোট ছোট অংশ নিয়ে হাতে বল তৈরি করুন। প্রতিটি বল সাধারণত ১–২ ইঞ্চি আকারের হতে পারে। বলগুলো একটি প্লেটে বা ট্রেতে সাজিয়ে ২০–৩০ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন, যাতে এগুলো ভালোভাবে জমে যায়।

সি–উইড স্ন্যাক্স
আয়োডিনে ভরপুর এবং কম ক্যালরিযুক্ত সি–উইড স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার কাজের ফাঁকের শান্তিদায়ক সঙ্গী।
প্রণালি
শুকনো সি–উইড শিটগুলো বের করে একটি সমতল জায়গায় রাখুন। একটি ছোট বাটিতে তিলের তেল, লবণ এবং চাইলে চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে নিন। ব্রাশের সাহায্যে সি–উইড শিটের ওপরে হালকা তেল লাগিয়ে নিন। উভয় পাশেই তেল লাগান যেন ভালোভাবে ভাজা যায়। বড়, শুকনো প্যানে একটি একটি করে ভাজুন। মাঝারি আঁচে ১০–১৫ সেকেন্ড ধরে প্রতিটি পাশ ভাজুন। এটি মুচমুচে হয়ে এলে প্যান থেকে নামিয়ে নিন। ভাজা সি–উইড শিটগুলোর ওপর সাদা বা কালো তিল ছড়িয়ে দিন। এটি স্ন্যাক্সের স্বাদ ও টেক্সচার আরও আকর্ষণীয় করবে।

সেদ্ধ ডিম
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত সেদ্ধ ডিম ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক। ওপরে এক চিমটি বিট লবণ বা পেপরিকার গুঁড়া দিয়ে আরও সুস্বাদু করুন।
ডার্ক চকলেট যুক্ত এসপ্রেসো বিন
ক্যাফেইন আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মিশ্রণে এটি একটি শক্তিদায়ক স্ন্যাক্স। কাজের ফাঁকে এটি আপনাকে দ্রুত শক্তি দেবে। তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে।
পপকর্ন
মাখন ছাড়া তৈরি এয়ার–পপড পপকর্ন কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এর সঙ্গে যোগ করুন চিলি পাউডার বা নিউট্রিশনাল ইস্ট, এটি খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলবে।

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
২১ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন
দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
২১ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা
দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
২১ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।
দীর্ঘ সময় কাজের চাপে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এমন সময় স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হতে পারে আপনার সেরা সঙ্গী। এগুলো শুধু ক্ষুধা মেটাবে না, বরং মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত করে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
২১ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
২১ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে