
গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে