
গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নেপালের খাতা এলাকায় বাস করা বাধাই থারু বলা চলে জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন পুনর্বনায়ন এবং সংরক্ষণের কাজে। আর এর মূল উদ্দেশ্য বাঘের সংখ্যা বাড়ানো। ২০০৪ সালে জঙ্গলে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। এ সময় একটি চোখ হারান।
আমাদের বেশির ভাগই বুনো পরিবেশে বাঘ দেখিনি। তবে নেপালের খাতা করিডরে বলা চলে এদের পাশাপাশিই বাস করেন মানুষ। বাঘের আক্রমণের ঝুঁকি থাকার পরও এখানকার মানুষ বাঘ সংরক্ষণে সহায়তা করেন।
নেপালের বারদিয়া এলাকাটির পশ্চিমে ভারত। এই বারদিয়াতেই বাঘের গল্প শুনতে শুনতে বড় হয়েছেন ভাদাই থারু।
তাঁর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে বাঘ খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল না। বিশ শতকের গোড়ার দিকে এক লাখের বেশি বাঘ ঘুরে বেড়াত এশিয়াজুড়ে। কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে থারু যখন বেড়ে ওঠেন, তখন বাঘের সংখ্যা ২০ হাজারের আশপাশে নেমে এসেছে।
তবে এতে শিশু থারুকে বাঘের গল্প বলায় মা-বাবার কোনো বাধা ছিল না। এমন একটি অরণ্য এলাকায় বাস, যেখানে বাঘ ছিল জঙ্গলের রাজা, তাদের এক ধরনের পৌরাণিক চরিত্র হিসেবে দেখা হয়। থারু বলেন, কালেভদ্রে এদের কোনো একটি গ্রামে প্রবেশ করলে একে দেবতাদের অসন্তুষ্টির চিহ্ন হিসেবে দেখা হতো। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বাঘের আবাসস্থল রক্ষায় বন সংরক্ষণে মন দেন।
তারপরই ২০০৪ সালে থারুকে একটি বাঘ আক্রমণ করলে একটি চোখ হারান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি থারুর মনে প্রবল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে শুরুতে।
‘বাঘের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভের জন্ম হয় আমার মনে’ বলেন থারু, ‘ভেতরে ভেতরে ক্রোধে রীতিমতো জ্বলছিলাম। এমনকি জঙ্গলে ফিরে বাঘের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রবল এক তাড়না অনুভব করছিলাম।’
কিন্তু থারু টের পান সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে জঙ্গলটি বাঘের বাড়ি এবং তাঁর বাসস্থানের ক্ষতি করতে পারি শুধু এই ভয়ে আমাকে আক্রমণ করে বসে।’
আক্রমণের দিনটির কথা মনে করে থারু জানান, বনে ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ কাঠ এবং ঘাস সংগ্রহ করছিলেন। আর তিনি কমিউনিটি ফরেস্ট বা সামাজিক বনায়ন উদ্যোগের চেয়ারম্যান হিসেবে এর তত্ত্বাবধান করছিলেন।
‘মানুষ পুরো বনে ছড়িয়ে পড়েছিল। বাঘটি নিজেকে মানুষ পরিবেষ্টিত অবস্থায় আবিষ্কার করে, পালানোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না।’ বলেন তিনি, ‘আমাকে আক্রমণ করা বাঘটি ভয় পেয়েছিল। এটা আমাকে মেরে ফেলতে পারত, কিন্তু এটা আক্রমণ করেই চলে যায়।’
তারপর থারু নেপালের বাঘ রক্ষা করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আবারও কাজ শুরু করেন।
থারু জানান, ১৯৮০-র দশকে থারু গ্রামের চারপাশের খাতা এলাকার জমি বন উজাড়ের কারণে মোটামুটি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ২০০১ সালে উপকরণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য বনের ওপর নির্ভর করে এমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে হস্তান্তর করা হয় এলাকাটি।
খাতা করিডর নামে পরিচিত জায়গাটি উত্তর প্রদেশের কাতারনিয়াঘাট বন্য প্রাণী অভয়ারণ্যের সঙ্গে নেপালের বারদিয়া জাতীয় উদ্যানের সংযোগ স্থাপন করেছে। এখানকার অরণ্যবেষ্টিত এলাকার পরিমাণ ১১৫ হেক্টর থেকে এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টরে। থারুদের এই সংরক্ষণ উদ্যোগটি ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) কনজারভেশন এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে। আর অরণ্য ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসতে শুরু করে বাঘসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী, জানান থারু।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নেপাল বাঘের সংখ্যা ১২১ থেকে দ্বিগুণ করার একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে গেছে তারা, ডব্লিউডব্লিউএফের তাদের বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫৫-তে।
খাতা করিডর এই অঞ্চলে বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে।
নেপালের অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর নেচার কনজারভেশন (এনটিএনসি) কাজ করে সামাজিক বনায়ন নিয়ে। সংস্থাটির গবেষক উমেশ পদেল জানান, সাধারণত বন্য প্রাণীরা এ ধরনের করিডরকে তাদের স্থায়ী আবাসস্থল বলে মনে করে না। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার আগে, করিডরে ক্যামেরা বাঘ খুব কমই দেখা যেত। কিন্তু ২০২১ সালের বাঘ শুমারিতে দেখা গেছে যে চারটি বাঘ স্থায়ীভাবে খাতা করিডরে বসবাস করছে।
পদেল জানান, বাঘ একটি নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে বসবাস করে। সাধারণ একটি বাঘের বিচরণের জন্য ৫৮ বর্গমাইল এলাকা প্রয়োজন হয়। নিয়মিতই নতুন আবাস খোঁজে সে। করিডর তাদের অবাধে চলাফেরা করতে এবং সংখ্যা বিস্তারে সাহায্য করে।
বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি সংরক্ষণের দিক থেকে একটি বড় সফলতা হলেও এলাকাটি নতুন একটি সমস্যায় পড়ে গেছে। এখানে মানুষ-বন্য প্রাণী সংখ্যা বেড়েছে।
থারুকে যখন বাঘ আক্রমণ করে মানে ২০০৪ সালের দিকে এমন ঘটনা ছিল বিরল, কিন্তু বাঘের সংখ্যা বাড়ায় এই আক্রমণের ঘটনা বেশ নিয়মিত ঘটছে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাংকি ও বারদিয়া জাতীয় উদ্যানে মানুষের ওপর ৩৪টি প্রাণঘাতী আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এই করিডর এলাকায় ৬০০০ পরিবারের বাস এবং এর মাঝ দিয়ে চলে গেছে ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এতে মানুষ-বাঘ সংঘাতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে।
এনটিএনসি ক্যামেরা ট্র্যাপ দিয়ে বাঘের ওপর নজর রাখে এবং সম্ভাব্য সমস্যাযুক্ত বাঘ শনাক্ত করে। ‘যদি আমরা নিশ্চিত হই এই বাঘগুলো প্রায়ই মানুষের হতাহতের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরার সুপারিশ করি।’ বলেন তিনি। এটি নেপালি সেনাবাহিনী, ন্যাশনাল পার্ক অফিস এবং এনটিএনসির কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দিয়ে পরিচালিত হয়।
বাঘদের ট্র্যাকিং এবং পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, এনটিএনসি বাঘের প্রধান খাবার হরিণের সংখ্যা যেন ঠিক থাকে সেদিকেও নজর রাখে। একইভাবে, কৃত্রিম জলাধারের ব্যবস্থা করে বাঘের জনসংখ্যা বাড়াতে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের থেকে বন্য প্রাণীদের দূরে সরিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তবে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিই মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বৃদ্ধির একমাত্র কারণ নয়। পদেল বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দারা বন্য প্রাণীর আবাসস্থল দখল করছেন, একা বনে প্রবেশ করছেন এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের ক্ষতি করছেন। এসব সমস্যা তৈরির কারণেও তাঁরা প্রায়ই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন।’
তবে বাঘদের চেয়ে মানুষের ব্যবহার পরিবর্তনের চেষ্টা করা সহজ। মানুষকে এসব বিষয়ে বোঝাতে এবং বেড়াসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করে আক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে এনটিএনসি।
থারু জানান, মানুষ-বন্য প্রাণী সংঘাত বাড়লেও বাঘের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অধিবাসীরা খুশি।
প্রধান বা শীর্ষ শিকারি হিসেবে বাঘ হলো এখানকার সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী প্রজাতি। যার অর্থ হলো তারা বনের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। আর এ অরণ্যের ওপর আশপাশের সম্প্রদায়গুলো তাদের বাড়িঘর, ভরণপোষণ এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য নির্ভর করে।
‘বাঘ এক সময় বিপন্ন ছিল, এখন তারা ফিরে এসেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।’ বলেন থারু।
এখানকার মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করতে শেখানোর মাধ্যমে তিনি আশা করেন যে বাঘের আক্রমণগুলোও কমানো যেতে পারে। ‘পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীর সমান অধিকার আছে’। বলেন তিনি।
সূত্র: সিএনএন

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

গল্পটা নেপালের ভাদাই থারু নামের এক ব্যক্তির। বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করার সময় বাঘের আক্রমণে চোখ হারান তিনি। তারপর তিনি কী করলেন? প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলেন? না। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরের প্রায় দুই দশক ধরে বাঘ বাঁচাতেই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
১৪ নভেম্বর ২০২৩
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে