Ajker Patrika

তিস্তার তীর রক্ষা প্রকল্প

তোলা হচ্ছে বাঁধের পাশের বালু

  • বাঁধের ৩০ মিটার দূর থেকে বালু তুলে ভরা হচ্ছে জিও ব্যাগে।
  • নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বোমা মেশিন ব্যবহার করে তোলা হচ্ছে বালু।
  • এলাকাবাসী বলছেন, বাঁধের কাছ থেকে বালু তুলে জলে ফেলা হচ্ছে টাকা।
মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)
তিস্তার তীরে ভাঙন রোধে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। তবে সেই ব্যাগ ভরতে বালু তোলা হচ্ছে ভাঙনপ্রবণ এলাকা ও বাঁধের পাশ থেকে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তিস্তার তীরে ভাঙন রোধে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। তবে সেই ব্যাগ ভরতে বালু তোলা হচ্ছে ভাঙনপ্রবণ এলাকা ও বাঁধের পাশ থেকে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জিও ব্যাগে বালু ভরাট করতে নদীর ভাঙন ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নিষিদ্ধ বোমা মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে পাউবোর ঠিকাদার। বালু তোলার কারণে পাড়ের ফসলি জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজসহ আশপাশের গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বাঁধসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন এলাকায় বালু উত্তোলন করা হলেও তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই পাউবো ও স্থানীয় প্রশাসনের। অবৈধভাবে বালু তোলায় জলে যাবে সরকারের কোটি কোটি টাকার এ প্রকল্প।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তিস্তা নদীর তীর রক্ষায় ২০ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের বাইশপুকুর এলাকায় ১০৭০ মিটার তীরে জিও ব্যাগ ফেলার প্রকল্প চলমান। এতে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। চারটি প্যাকেজে ভাগ করে ঠিকাদার নিয়োগ করে পাউবো। তবে কাজ সম্পন্ন করছে সাব ঠিকাদার। এ ছাড়া জরুরি কাজের নামে দরপত্র ছাড়াই ঝুনাগাছ চাপানির ভেণ্ডাবাড়ী ও সোনাখুলি স্পার বাঁধ রক্ষায় ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলছে ডালিয়া পাউবো।

এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসব স্পার বাঁধ রক্ষায় দুটি প্রকল্পে সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। জিও ব্যাগ ভরাট করা হয়েছিল বাঁধের নিচের বালু তুলে। তবে বছর না ঘুরতেই জিও ব্যাগ ধসে পড়ে নদীতে বিলীন হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাইশপুকুর, ভেণ্ডাবাড়ী ও সোনাখুলি স্পার বাঁধের নিচে ভাঙন এলাকা থেকে বালু তুলে ভরা হচ্ছে ব্যাগে। বাঁধ থেকে ৩০ মিটার দূরত্বে নদীর ভাঙন ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি বোমা মেশিনে ১০ ইঞ্চি পাইপ যুক্ত করে বালু তোলা হচ্ছে। যদিও এমন মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমনকি নদীর তীর ভাঙনের শিকার হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও বালু তোলা নিষেধ। তবে এরপরও উত্তোলন করা পলিমিশ্রিত চিকন বালু দিয়ে পাশেই ভরা হচ্ছে জিও ব্যাগে। অথচ শুষ্ক ও মোটা বালু দিয়ে জিও ব্যাগ ভরাটের নিয়ম রয়েছে।

কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা কাজের ঠিকাদারদের অধীনে প্রায় আট দিন ধরে বালু তোলার কাজ করছেন। আর স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার অধিক মুনাফার লোভে কোনো আইন না মেনে নদীর ভাঙন যেখানে বেশি, সেখান থেকেই বালু উত্তোলন করছে। এর ফলে বস্তাগুলো (জিও ব্যাগ) কাজে আসবে না। প্রশাসন তা বন্ধও করে না। এ ক্ষেত্রে পাউবো কর্মকর্তাদের যোগসাজশ থাকার সন্দেহ করেন তাঁরা।

সোনাখুলি ভাঙনকবলিত এলাকার সামছুল হক বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে প্রতিবছর বড় বড় বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলা হয় নদীতে। নদীর তলদেশে যেখানে ভাঙনটা হয়, সেখানে মেশিন দিয়ে বালু তুলে আবার সেখানেই বালুর বস্তা ফেলে প্রতিরোধ তৈরি করা হয়। এই প্রতিরোধব্যবস্থা শুধু পানিতে টাকা ফেলা।

একই এলাকার জমির উদ্দিন অভিযোগ করেন, বানের জলে এসব বালুর বস্তা নদীর গভীরে চলে যায়। আর একই প্রক্রিয়ায় বছরের পর বছর কাজ হচ্ছে। সরকারি টাকা পানিতে যায়, অথচ ভাঙন রোধে তেমন কাজে আসে না।

বাইশপুকুর এলাকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, বস্তার মধ্যে মোটা বালু দেওয়ার কথা, কিন্তু ঠিকাদারেরা দিচ্ছেন নদীর চিকন বালু-মাটি। মোটা বালু দিয়ে নদীর মধ্যে বস্তা ফেললে, তা শক্ত ও মজবুত হতো।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য সোহেল হাসান বলেন, নদী এলাকায় বালু উত্তোলন করলে তা হবে আত্মঘাতী। এতে নদীর তলদেশে বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সে গর্তে নদীর তীর ধসে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। বাঁধ টিকিয়ে রাখতে অর্থ খরচ করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে এ অর্থ ব্যয় কোনো কাজে আসবে না।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ভাঙন এলাকায় মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই। তিনি বোমা মেশিন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে ইউএনওকে এগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম আমরা বরদাশত করব না। কেউ নির্দেশনা না মানলে আইনি ব্যবস্থা নেব। আর পাউবোর এক্সিয়েনকে বলব এইভাবে যাতে টাকার অপচয় করা না হয়, বালু যেখান থেকে তুলবে সেখানেই জিও ব্যাগ ফেলার মানে হয় না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে গুলি: ‎২৪ ঘণ্টায় বিদেশি অস্ত্রসহ ৩৩ জন গ্রেপ্তার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২: ০২
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

‎গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারা দেশে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ মোট ৩৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় র‍্যাব সদর দপ্তর।

র‍্যাব জানায়, ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডের বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তৎপরতা জোরদার করা হয়। ঘটনার দিন রিকশায় করে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই আততায়ী হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তিনি মাথায় গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রধান সন্দেহভাজন শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং বাইকচালক আলমগীর হোসেনকে শনাক্ত করে। তাদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

‎এরই ধারাবাহিকতায় হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদ খানের শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু (২৬) ও তাঁর সহযোগী মো. ফয়সালের (২৫) দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন তরুয়া এলাকার মোল্লার বাড়ির সামনে তরুয়ার বিলে অভিযান চালায় র‍্যাব-১১। ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে পরিচালিত ওই অভিযানে পানির ভেতর থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ৪১টি গুলি ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামি মো. ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

‎এদিকে রাজধানীসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মেট্রোপলিটন এলাকাসহ জেলা পর্যায়ে মোট ২২১টি টহল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় র‍্যাব ফোর্সেস ৩০টির বেশি অভিযান চালিয়ে ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে ৪২৭টি ইয়াবা, ৩২ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ১২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।‎

‎র‍্যাব জানিয়েছে, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারিসহ তাদের সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আশিক চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আশিক চৌধুরী
আশিক চৌধুরী

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেছেন। 

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বোটযোগে তিনি চট্টগ্রাম থেকে মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে যান। সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, মিডার সদস্য ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

আশিক চৌধুরী মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর, ডকইয়ার্ড পোর্ট এক্সেস রোড এলিভেটেড অংশসহ অন্যান্য প্রকল্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে প্রকল্পগুলোর সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে প্রকল্প পরিচালক, সিপিজিসিবিএলের এমডি, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ প্রকল্পগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মাতারবাড়ী পরিদর্শন শেষে বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে আসেন। এ সময় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। পরে তিনি বন্দরের বোর্ডরুমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান সমস্যা ও তা নিরসনকল্পে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।

পরে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর আহমেদ আমিন আবদুল্লাহকে প্রধান উপদেষ্টা যে প্রশংসাপত্র দিয়েছেন, তা হস্তান্তর করেন আশিক চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাবনায় মাহফিলের পাশে দোকান বসানো নিয়ে বিরোধ, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

পাবনা প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পাবনা শহরের দারুল আমান ট্রাস্ট এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের পাশে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে সুজন মোল্লা (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত অভিযোগে সোহান ইসলাম (২০) নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সুজন মোল্লা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামের সাইফুল মোল্লার ছেলে। আর আটক সোহান ইসলাম পাবনা সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর গ্রামের শরিফ প্রামাণিকের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দারুল আমান ট্রাস্টে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে সংলগ্ন এলাকায় দোকান বসানো নিয়ে সুজন ও সোহানের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহান ধারালো ছুরি দিয়ে সুজনকে আঘাত করেন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ওসি দুলাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সোহান ইসলামকে আটক করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৫

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
আটক ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় মাদক ও কিশোর গ্যাংবিরোধী অভিযানে পাঁচজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শহরের ঘোড়াঘাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাঁচজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। অভিযান শেষে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন।

অভিযানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। ফয়সাল মাহমুদ জানান, মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মূলে যৌথ বাহিনী বদ্ধপরিকর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের বড় বাজার ঘোড়াঘাট এলাকায় মাদক কেনাবেচা ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বাড়ার তথ্য পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত