চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. নাজিম উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে পুলিশ সদস্যদের ছুটি এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু করেন তিনি। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে একাধিকবার মিশনে যাওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
হাসপাতালে কর্মরত বর্তমান ও সাবেক একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত নাজিম। আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটিকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন। এ কারণে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডিঅ্যান্ডপিএস-১) বেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়ার পর সিএমপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপকমিশনার (এমটি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এটা পুরোপুরি বিভাগীয় তদন্ত; বাইরের কেউ জানার বিষয় নয়।’
হাসপাতালের পরিচালনায় রয়েছে সিএমপি সদর দপ্তর। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিএমপির উপকমিশনার) মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এটি পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে পুলিশ সদর দপ্তরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে একসময় কর্মরত পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাঠানো অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে এই তদন্ত শুরু হয় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
তদন্ত ও বদলির ইতিহাস
২০২২ সালে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ছুটির অনুমতি এবং ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তখন হাসপাতালের আটজন চিকিৎসক লিখিত অভিযোগে জানান, নাজিম হাসপাতাল এড়িয়ে ভুল নির্দেশনা দিতেন এবং ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করতেন। ওই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্তে উঠে আসে, তিনি সাধারণ পুলিশ সদস্যদের বিশ্রাম, ছুটি ও মেডিকেল সনদ দিতে অর্থ নিতেন; বেসরকারি ল্যাব থেকে কমিশন গ্রহণ করতেন; সরকারি রোগী প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠাতেন; এমনকি তাঁর পছন্দমতো না হলে ছুটির কাগজে স্বাক্ষরে গড়িমসি করতেন। পরে তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর তাঁর প্রেষণ বাতিল করে তাঁকে মূল কর্মস্থল রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি হাসপাতালে ফেরত পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার বদলের পর তিনি আবারও চট্টগ্রামের বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। অভিযোগ রয়েছে, এরপর তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করেন।
যৌন নির্যাতনসহ আরও অভিযোগ
২০১৭ সালে চট্টগ্রামের মিড পয়েন্ট হাসপাতালে কর্মরত এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাজিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ওই নারী চিকিৎসকের ভাইকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছিল। চাপের মুখে পড়ে তিনি মামলা তুলে নেন। আজকের পত্রিকাকে ওই নারী চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ওনার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। ঘটনাটি তখনই মিটমাট হয়ে গেছে। তিনি আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর মামলা তুলে নিই।’
এ ছাড়া জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত অবস্থায় একাধিক নারী পুলিশ সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নাজিম ২০২২ ও ২০২৩ সালে হজ চিকিৎসক দলের সদস্য হন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনো নাই। এগুলো সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। হাসপাতালের কোনো একটি পক্ষ আমাকে হয়রানি করতে এসব করছে।’ নারী চিকিৎসকের ঘটনায় তিনি বলেন, ‘সেটা সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি ছিল। পরে সমাধান হয়ে গেছে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. নাজিম উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে পুলিশ সদস্যদের ছুটি এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু করেন তিনি। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে একাধিকবার মিশনে যাওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
হাসপাতালে কর্মরত বর্তমান ও সাবেক একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত নাজিম। আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের সদস্য ছিলেন এবং সংগঠনটিকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন। এ কারণে একাধিকবার অভিযোগ উঠলেও উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডিঅ্যান্ডপিএস-১) বেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়ার পর সিএমপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপকমিশনার (এমটি) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এটা পুরোপুরি বিভাগীয় তদন্ত; বাইরের কেউ জানার বিষয় নয়।’
হাসপাতালের পরিচালনায় রয়েছে সিএমপি সদর দপ্তর। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিএমপির উপকমিশনার) মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, ‘তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এটি পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে পুলিশ সদর দপ্তরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে একসময় কর্মরত পুলিশের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাঠানো অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে এই তদন্ত শুরু হয় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
তদন্ত ও বদলির ইতিহাস
২০২২ সালে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ছুটির অনুমতি এবং ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তখন হাসপাতালের আটজন চিকিৎসক লিখিত অভিযোগে জানান, নাজিম হাসপাতাল এড়িয়ে ভুল নির্দেশনা দিতেন এবং ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করতেন। ওই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্তে উঠে আসে, তিনি সাধারণ পুলিশ সদস্যদের বিশ্রাম, ছুটি ও মেডিকেল সনদ দিতে অর্থ নিতেন; বেসরকারি ল্যাব থেকে কমিশন গ্রহণ করতেন; সরকারি রোগী প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠাতেন; এমনকি তাঁর পছন্দমতো না হলে ছুটির কাগজে স্বাক্ষরে গড়িমসি করতেন। পরে তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর তাঁর প্রেষণ বাতিল করে তাঁকে মূল কর্মস্থল রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি হাসপাতালে ফেরত পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগ সরকার বদলের পর তিনি আবারও চট্টগ্রামের বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। অভিযোগ রয়েছে, এরপর তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করেন।
যৌন নির্যাতনসহ আরও অভিযোগ
২০১৭ সালে চট্টগ্রামের মিড পয়েন্ট হাসপাতালে কর্মরত এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাজিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ওই নারী চিকিৎসকের ভাইকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছিল। চাপের মুখে পড়ে তিনি মামলা তুলে নেন। আজকের পত্রিকাকে ওই নারী চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ওনার বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। ঘটনাটি তখনই মিটমাট হয়ে গেছে। তিনি আমাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর মামলা তুলে নিই।’
এ ছাড়া জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত অবস্থায় একাধিক নারী পুলিশ সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নাজিম ২০২২ ও ২০২৩ সালে হজ চিকিৎসক দলের সদস্য হন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনো নাই। এগুলো সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। হাসপাতালের কোনো একটি পক্ষ আমাকে হয়রানি করতে এসব করছে।’ নারী চিকিৎসকের ঘটনায় তিনি বলেন, ‘সেটা সামান্য ভুল-বোঝাবুঝি ছিল। পরে সমাধান হয়ে গেছে।’

অন্ধকারকে দোষারোপ না করে মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘কোন পথে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় মোট ইটভাটা ২১৩টি। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হচ্ছে মাত্র ১৭টি। বাকি ১৯৬টিই চলছে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর মালিকেরা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে ভাটা চালাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাটে এবার দৃশ্যত ভোটের মাঠে বড় শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুই দলই জাপার আধিপত্য ভাঙতে মরিয়া। তবে তিন আসনের দুটিতেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরা।
৩ ঘণ্টা আগে
ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে মাঠে মাঠে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ চিত্র মাগুরার মহম্মদপুরের। জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বহু কৃষক মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

অন্ধকারকে দোষারোপ না করে মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘কোন পথে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে অতীতের ১৫-১৬ বছরের অন্যায় অসংগতি থেকে মুক্ত করতে। এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার পর সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে তাদের। যেই লক্ষ্য নিয়ে তারা ক্ষমতার আসনে বসেছিল, তা অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে সত্য। কিন্তু তাদের গালিগালাজ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। অন্ধকারকে দোষারোপ না করে আমরা যদি মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসি, তাহলেই অনেক সমস্যা দূর করা যেতে পারে।’
ঐকমত্য কমিশনের বিষয়ে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘এই সরকারের ছয়টি সংস্কার কমিশন যখন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তখন আমরা সুপারিশগুলো নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা করেছি। আমরা ১৬৬টি প্রস্তাবনা বেছে নিয়েছিলাম। অনেক সিদ্ধান্ত নির্বাহী আদেশে বা অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়ন করা যেত, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।’
সুজন সম্পাদক আরও বলেন, ‘৮৪টি বিষয়ে ৩০টি রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য পেয়েছি। এর মধ্যে কিছু নির্বাহী আদেশে আবার কিছু গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। গণভোট আয়োজিত হতে চললেও সরকার সেভাবে প্রচার চালাচ্ছে না। আমরা সুজনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি মানুষ যেন জেনে-বুঝে গণভোটে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ির প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি, মনোনয়ন-বাণিজ্য হচ্ছে। এগুলো আমরা সবই জানি। আমরা আওয়াজ ওঠালে হয়তো পরিবর্তন হবে না, কিন্তু তাই বলে তো চুপ থাকব না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এই সব স্থানে স্বচ্ছতা আনার।’
মতবিনিময়ে অংশ নেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বিসহ অনেকে।

অন্ধকারকে দোষারোপ না করে মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘কোন পথে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
সুজন সম্পাদক বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে অতীতের ১৫-১৬ বছরের অন্যায় অসংগতি থেকে মুক্ত করতে। এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার পর সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে তাদের। যেই লক্ষ্য নিয়ে তারা ক্ষমতার আসনে বসেছিল, তা অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে সত্য। কিন্তু তাদের গালিগালাজ করলে সমস্যার সমাধান হবে না। অন্ধকারকে দোষারোপ না করে আমরা যদি মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসি, তাহলেই অনেক সমস্যা দূর করা যেতে পারে।’
ঐকমত্য কমিশনের বিষয়ে সুজন সম্পাদক বলেন, ‘এই সরকারের ছয়টি সংস্কার কমিশন যখন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তখন আমরা সুপারিশগুলো নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা করেছি। আমরা ১৬৬টি প্রস্তাবনা বেছে নিয়েছিলাম। অনেক সিদ্ধান্ত নির্বাহী আদেশে বা অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়ন করা যেত, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।’
সুজন সম্পাদক আরও বলেন, ‘৮৪টি বিষয়ে ৩০টি রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য পেয়েছি। এর মধ্যে কিছু নির্বাহী আদেশে আবার কিছু গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। গণভোট আয়োজিত হতে চললেও সরকার সেভাবে প্রচার চালাচ্ছে না। আমরা সুজনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি মানুষ যেন জেনে-বুঝে গণভোটে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ির প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি, মনোনয়ন-বাণিজ্য হচ্ছে। এগুলো আমরা সবই জানি। আমরা আওয়াজ ওঠালে হয়তো পরিবর্তন হবে না, কিন্তু তাই বলে তো চুপ থাকব না। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এই সব স্থানে স্বচ্ছতা আনার।’
মতবিনিময়ে অংশ নেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বিসহ অনেকে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. নাজিম উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে পুলিশ সদস্যদের ছুটি এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু করেন তিনি। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে একাধিকবার মিশনে যাওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এসব অভিযোগ
১৮ নভেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় মোট ইটভাটা ২১৩টি। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হচ্ছে মাত্র ১৭টি। বাকি ১৯৬টিই চলছে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর মালিকেরা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে ভাটা চালাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাটে এবার দৃশ্যত ভোটের মাঠে বড় শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুই দলই জাপার আধিপত্য ভাঙতে মরিয়া। তবে তিন আসনের দুটিতেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরা।
৩ ঘণ্টা আগে
ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে মাঠে মাঠে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ চিত্র মাগুরার মহম্মদপুরের। জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বহু কৃষক মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেদেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় মোট ইটভাটা ২১৩টি। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হচ্ছে মাত্র ১৭টি। বাকি ১৯৬টিই চলছে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর মালিকেরা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে ভাটা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোয় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, যা জনজীবন ও কৃষির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বৈধ ইটভাটার মধ্যে ভেড়ামারা উপজেলায় ৩টি, দৌলতপুরে ১টি, কুমারখালীতে ৯টি এবং খোকসা উপজেলায় ৪টি রয়েছে। এসব ইটভাটার মধ্যে ২টি অটো ব্রিকস এবং বাকি ১৫টি জিগ-জ্যাগ। কুষ্টিয়া সদর এবং মিরপুর উপজেলায় বৈধ কোনো ইটভাটা নেই। অবৈধ ১৯৬টি ইটভাটার মধ্যে ১টি অটো, ৪২টি জিগ-জ্যাগ, ২৯টি ড্রাম চিমনি ও ১২৪টি উচ্চতর পাকা ফিক্সড চিমনি।
এদিকে অবৈধ ২১টি ইটভাটার মালিক হাইকোর্টে রিটের কারণে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি আইনে কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কমপক্ষে প্রতিটি ইটভাটার জন্য তিন-চার একর কৃষিজমি নষ্ট করে ভাটা স্থাপন করেছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আইনের ফাঁকফোকর ডিঙিয়ে জেলায় গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ ইটভাটা। প্রতিবছরের মতো এবারও চলতি মৌসুমের শুরুতেই কৃষিজমি ও নদীর পলি মাটি কেটে ইটভাটাগুলোতে প্রস্তুত করা হচ্ছে নতুন ইট। এতে কৃষিজমি হ্রাস ও উদ্বেগজনকভাবে কমছে খাদ্যশস্য উৎপাদন।
জানা গেছে, ভাটার লাইসেন্স পেতে প্রস্তাবিত আবেদনের সঙ্গে ইট তৈরিতে মাটির উৎস উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে হলফনামা দাখিলের বাধ্যতামূলক শর্ত থাকলেও ভাটার মালিকদের অধিকাংশই তা মানছেন না। ফলে বেআইনিভাবে কৃষিজমি ও নদী তীরের পলি মাটি কেটে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইট।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইটভাটার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিজমি। এ ছাড়া কাঠ পুড়িয়ে উজাড় করা হচ্ছে ফলদ-বনজ সম্পদ। ইটভাটার নির্গত ধোঁয়া-ছাই ফসলের ক্ষতি, পরিবেশদূষণসহ জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত করছে চরমভাবে।’
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বৈধ ভাটামালিক বলেন, ‘ইটভাটা মালিক সমিতির শক্তিশালী সিন্ডিকেটের প্রভাব, অর্থবিত্ত ও তদবিরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা অবৈধ ভাটা উচ্ছেদে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। এ ছাড়া কতিপয় ভাটার মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সৃষ্টি করেছেন আইনি প্রতিবন্ধকতা। প্রতিবছর কিছুসংখ্যক ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলেও পরে অদৃশ্য কারণে তা আর বেশি দূর এগোয় না।
কুষ্টিয়া ইটভাটা মালিক সমিতি একাংশের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলী বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রণে ৭৩ ইটভাটা রয়েছে। ৮ থেকে ৯টা বাদে সবাই কয়লা ব্যবহার করে।’
পরিবেশের ছাড়পত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কারও পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। যদি তা-ই হয়, তাহলে সবাই অবৈধ। আমরা নিয়মিত সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমল থেকেই বন্ধ রয়েছে।’
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোতেও অভিযান চালানো হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় মোট ইটভাটা ২১৩টি। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হচ্ছে মাত্র ১৭টি। বাকি ১৯৬টিই চলছে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর মালিকেরা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে ভাটা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোয় প্রকাশ্যে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, যা জনজীবন ও কৃষির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বৈধ ইটভাটার মধ্যে ভেড়ামারা উপজেলায় ৩টি, দৌলতপুরে ১টি, কুমারখালীতে ৯টি এবং খোকসা উপজেলায় ৪টি রয়েছে। এসব ইটভাটার মধ্যে ২টি অটো ব্রিকস এবং বাকি ১৫টি জিগ-জ্যাগ। কুষ্টিয়া সদর এবং মিরপুর উপজেলায় বৈধ কোনো ইটভাটা নেই। অবৈধ ১৯৬টি ইটভাটার মধ্যে ১টি অটো, ৪২টি জিগ-জ্যাগ, ২৯টি ড্রাম চিমনি ও ১২৪টি উচ্চতর পাকা ফিক্সড চিমনি।
এদিকে অবৈধ ২১টি ইটভাটার মালিক হাইকোর্টে রিটের কারণে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি আইনে কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও কমপক্ষে প্রতিটি ইটভাটার জন্য তিন-চার একর কৃষিজমি নষ্ট করে ভাটা স্থাপন করেছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আইনের ফাঁকফোকর ডিঙিয়ে জেলায় গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ ইটভাটা। প্রতিবছরের মতো এবারও চলতি মৌসুমের শুরুতেই কৃষিজমি ও নদীর পলি মাটি কেটে ইটভাটাগুলোতে প্রস্তুত করা হচ্ছে নতুন ইট। এতে কৃষিজমি হ্রাস ও উদ্বেগজনকভাবে কমছে খাদ্যশস্য উৎপাদন।
জানা গেছে, ভাটার লাইসেন্স পেতে প্রস্তাবিত আবেদনের সঙ্গে ইট তৈরিতে মাটির উৎস উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কাছে হলফনামা দাখিলের বাধ্যতামূলক শর্ত থাকলেও ভাটার মালিকদের অধিকাংশই তা মানছেন না। ফলে বেআইনিভাবে কৃষিজমি ও নদী তীরের পলি মাটি কেটে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইট।
কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইটভাটার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিজমি। এ ছাড়া কাঠ পুড়িয়ে উজাড় করা হচ্ছে ফলদ-বনজ সম্পদ। ইটভাটার নির্গত ধোঁয়া-ছাই ফসলের ক্ষতি, পরিবেশদূষণসহ জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত করছে চরমভাবে।’
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বৈধ ভাটামালিক বলেন, ‘ইটভাটা মালিক সমিতির শক্তিশালী সিন্ডিকেটের প্রভাব, অর্থবিত্ত ও তদবিরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা অবৈধ ভাটা উচ্ছেদে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। এ ছাড়া কতিপয় ভাটার মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সৃষ্টি করেছেন আইনি প্রতিবন্ধকতা। প্রতিবছর কিছুসংখ্যক ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলেও পরে অদৃশ্য কারণে তা আর বেশি দূর এগোয় না।
কুষ্টিয়া ইটভাটা মালিক সমিতি একাংশের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলী বলেন, ‘আমাদের নিয়ন্ত্রণে ৭৩ ইটভাটা রয়েছে। ৮ থেকে ৯টা বাদে সবাই কয়লা ব্যবহার করে।’
পরিবেশের ছাড়পত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কারও পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। যদি তা-ই হয়, তাহলে সবাই অবৈধ। আমরা নিয়মিত সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমল থেকেই বন্ধ রয়েছে।’
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোতেও অভিযান চালানো হবে।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. নাজিম উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে পুলিশ সদস্যদের ছুটি এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু করেন তিনি। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে একাধিকবার মিশনে যাওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এসব অভিযোগ
১৮ নভেম্বর ২০২৫
অন্ধকারকে দোষারোপ না করে মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘কোন পথে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাটে এবার দৃশ্যত ভোটের মাঠে বড় শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুই দলই জাপার আধিপত্য ভাঙতে মরিয়া। তবে তিন আসনের দুটিতেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরা।
৩ ঘণ্টা আগে
ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে মাঠে মাঠে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ চিত্র মাগুরার মহম্মদপুরের। জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বহু কৃষক মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেখোরশেদ আলম সাগর, লালমনিরহাট

একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাটে এবার দৃশ্যত ভোটের মাঠে বড় শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুই দলই জাপার আধিপত্য ভাঙতে মরিয়া। তবে তিন আসনের দুটিতেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরা। বিএনপির এই বিবাদের সুবিধা পেতে পারে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি-জামায়াতের বাইরে জাতীয় পার্টি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের মতো দলগুলোও ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছে।
লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান। তিনি এই অঞ্চলের মূল ইস্যু হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোচ্চার। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়নে খুশি নয় দলের আরেক নেতা সাহেদুজ্জামান সরকার কোয়েলের অনুসারীরা। শেষ পর্যন্ত সাহেদুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তা হাসান রাজীব প্রধানের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল ইসলাম রাজু। ইতিপূর্বে করোনা ও বন্যার সময়ে মানুষের পাশে থাকায় এলাকায় তিনি পরিচিত মুখ। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বিরোধে বিএনপির ভোট ভাগাভাগি হলে সেটি তাঁকে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে পারেন মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। এবি পার্টির মনোনয়ন পেতে পারেন আবু রাইয়ান আসআরী রচি। এ ছাড়া ভোটের মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের ফজলুল করীম শাহারীয়ার, খেলাফত মজলিসের আবুল কাশেম। নানান রকম সামাজিক কাজে জনগণের মধ্যে আলোচনায় এসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তুরস্কপ্রবাসী শিহাব আহমেদ।
লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়নে ক্ষুব্ধ তাঁর চাচাতো ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করলে বা জোরালোভাবে ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে বিএনপির জন্য সমীকরণ বদলে যেতে পারে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেতে পারেন দলটির সাবেক এমপি মজিবুর রহমানের ছেলে শামীম কামাল। এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন রাসেল আহমেদ। জনতার দলের চেয়ারম্যান শামীম কামাল দলটির প্রার্থী হতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তরুণ উদ্যোক্তা মমতাজ আলী শান্তর নাম শোনা যাচ্ছে। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। জেলার অন্য দুই আসনের মতো এখানে বিএনপিতে উল্লেখযোগ্য কোনো বিদ্রোহী না থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে তিস্তাপারে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচিতে লাখো জনতার সমাগমের ঘটনায় তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিশমার বিষয়টি সামনে এসেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহের। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মোকছেদুল ইসলাম। তিনজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। এলাকাজুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাটে এবার দৃশ্যত ভোটের মাঠে বড় শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুই দলই জাপার আধিপত্য ভাঙতে মরিয়া। তবে তিন আসনের দুটিতেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরা। বিএনপির এই বিবাদের সুবিধা পেতে পারে জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি-জামায়াতের বাইরে জাতীয় পার্টি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের মতো দলগুলোও ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছে।
লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান। তিনি এই অঞ্চলের মূল ইস্যু হিসেবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোচ্চার। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়নে খুশি নয় দলের আরেক নেতা সাহেদুজ্জামান সরকার কোয়েলের অনুসারীরা। শেষ পর্যন্ত সাহেদুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তা হাসান রাজীব প্রধানের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ারুল ইসলাম রাজু। ইতিপূর্বে করোনা ও বন্যার সময়ে মানুষের পাশে থাকায় এলাকায় তিনি পরিচিত মুখ। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বিরোধে বিএনপির ভোট ভাগাভাগি হলে সেটি তাঁকে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে পারেন মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। এবি পার্টির মনোনয়ন পেতে পারেন আবু রাইয়ান আসআরী রচি। এ ছাড়া ভোটের মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের ফজলুল করীম শাহারীয়ার, খেলাফত মজলিসের আবুল কাশেম। নানান রকম সামাজিক কাজে জনগণের মধ্যে আলোচনায় এসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তুরস্কপ্রবাসী শিহাব আহমেদ।
লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা কমিটির সহসভাপতি রোকন উদ্দিন বাবুল। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়নে ক্ষুব্ধ তাঁর চাচাতো ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীরা। শেষ পর্যন্ত জাহাঙ্গীর স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করলে বা জোরালোভাবে ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে বিএনপির জন্য সমীকরণ বদলে যেতে পারে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেতে পারেন দলটির সাবেক এমপি মজিবুর রহমানের ছেলে শামীম কামাল। এনসিপির প্রার্থী হতে পারেন রাসেল আহমেদ। জনতার দলের চেয়ারম্যান শামীম কামাল দলটির প্রার্থী হতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তরুণ উদ্যোক্তা মমতাজ আলী শান্তর নাম শোনা যাচ্ছে। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। জেলার অন্য দুই আসনের মতো এখানে বিএনপিতে উল্লেখযোগ্য কোনো বিদ্রোহী না থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে তিস্তাপারে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচিতে লাখো জনতার সমাগমের ঘটনায় তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিশমার বিষয়টি সামনে এসেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহের। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মোকছেদুল ইসলাম। তিনজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। এলাকাজুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. নাজিম উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে পুলিশ সদস্যদের ছুটি এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু করেন তিনি। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে একাধিকবার মিশনে যাওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এসব অভিযোগ
১৮ নভেম্বর ২০২৫
অন্ধকারকে দোষারোপ না করে মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘কোন পথে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় মোট ইটভাটা ২১৩টি। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হচ্ছে মাত্র ১৭টি। বাকি ১৯৬টিই চলছে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর মালিকেরা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে ভাটা চালাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে মাঠে মাঠে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ চিত্র মাগুরার মহম্মদপুরের। জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বহু কৃষক মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগেমোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)

ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে মাঠে মাঠে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ চিত্র মাগুরার মহম্মদপুরের। জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বহু কৃষক মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মধুমতী সেতু ও আশপাশের পরিবেশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মধুমতী সেতুর পূর্ব পাশে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরঘেঁষা এলাকায় গড়ে ওঠা ৫টি অবৈধ ইটভাটার জন্য জায়গা প্রশস্ত করা হচ্ছে। পাশেই ইট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহে অবাধে কাটা হচ্ছে আবাদি জমি। একসময় এই সমতলভূমিতে বাদাম, ধান, সরিষা, পাট ও মরিচের ব্যাপক আবাদ হলেও এখন খননযন্ত্রের আঘাতে তা পরিণত হয়েছে গর্ত-খানাখন্দপূর্ণ অনুর্বর ভূমিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮টি ইটভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস থেকেই উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের কৃষিজমির টপ সয়েল বিক্রি শুরু হয়। ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ভাটামালিকেরা কৃষিজমির উর্বর অংশ ক্রয় করেন। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৪ মাস চলে আবাদি জমির টপ সয়েল কর্তনের হিড়িক। এসব কারণে দিন দিন ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি ও উৎপাদনক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পীযূষ রায় বলেন, টপ সয়েল হলো আবাদি জমির পুষ্টি-প্রাণ। এই মাটি কেটে নেওয়া হলে কমপক্ষে ১০ বছর ওই জমিতে ভালো ফলন আশা করা যাবে না। ফলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা থাকছে।
ইউএনও মুহ. শাহনুর জামান বলেন, ‘টপ সয়েল কাটার কোনো খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আবাদি জমি রক্ষা করতে হলে কেবল আইন প্রয়োগ করে নয়; বরং কৃষক ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি।’

ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে মাটির ওপরের উর্বর অংশ (টপ সয়েল) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু সেই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে মাঠে মাঠে। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এ চিত্র মাগুরার মহম্মদপুরের। জানা গেছে, উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বহু কৃষক মাটির উর্বর অংশ ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মধুমতী সেতু ও আশপাশের পরিবেশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মধুমতী সেতুর পূর্ব পাশে গিয়ে দেখা যায়, নদীর তীরঘেঁষা এলাকায় গড়ে ওঠা ৫টি অবৈধ ইটভাটার জন্য জায়গা প্রশস্ত করা হচ্ছে। পাশেই ইট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহে অবাধে কাটা হচ্ছে আবাদি জমি। একসময় এই সমতলভূমিতে বাদাম, ধান, সরিষা, পাট ও মরিচের ব্যাপক আবাদ হলেও এখন খননযন্ত্রের আঘাতে তা পরিণত হয়েছে গর্ত-খানাখন্দপূর্ণ অনুর্বর ভূমিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮টি ইটভাটায় ইট তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস থেকেই উপজেলার ৮ ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের কৃষিজমির টপ সয়েল বিক্রি শুরু হয়। ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ভাটামালিকেরা কৃষিজমির উর্বর অংশ ক্রয় করেন। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৪ মাস চলে আবাদি জমির টপ সয়েল কর্তনের হিড়িক। এসব কারণে দিন দিন ফসলি জমির উর্বরতা শক্তি ও উৎপাদনক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পীযূষ রায় বলেন, টপ সয়েল হলো আবাদি জমির পুষ্টি-প্রাণ। এই মাটি কেটে নেওয়া হলে কমপক্ষে ১০ বছর ওই জমিতে ভালো ফলন আশা করা যাবে না। ফলে আগামীতে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা থাকছে।
ইউএনও মুহ. শাহনুর জামান বলেন, ‘টপ সয়েল কাটার কোনো খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আবাদি জমি রক্ষা করতে হলে কেবল আইন প্রয়োগ করে নয়; বরং কৃষক ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মো. নাজিম উদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, টাকার বিনিময়ে পুলিশ সদস্যদের ছুটি এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু করেন তিনি। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রভাবে একাধিকবার মিশনে যাওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এসব অভিযোগ
১৮ নভেম্বর ২০২৫
অন্ধকারকে দোষারোপ না করে মোমবাতি হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘কোন পথে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
২ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ছয় উপজেলায় মোট ইটভাটা ২১৩টি। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে চালানো হচ্ছে মাত্র ১৭টি। বাকি ১৯৬টিই চলছে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যেসব ইটভাটার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই, সেগুলোর মালিকেরা প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে ভাটা চালাচ্ছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
একসময় জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ হিসেবে পরিচিত লালমনিরহাটে এবার দৃশ্যত ভোটের মাঠে বড় শক্তি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। দুই দলই জাপার আধিপত্য ভাঙতে মরিয়া। তবে তিন আসনের দুটিতেই বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহীরা।
৩ ঘণ্টা আগে