জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি। কিন্তু চড়া সুদের চাপ কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্রের ঋণ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। মানুষের যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে আগ্রহ কমে, সে জন্য ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে সুদহার। এরই অংশ হিসেবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সুদের হার আরও দেড় শতাংশ কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই আলোকে আগামী ডিসেম্বরে নতুন সুদহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমিয়ে ট্রেজারি বিল-বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ধার করা বাড়ানো হয়েছে। কারণ, ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার সঞ্চয়পত্রের তুলনায় কম। এতে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হলেও বিপাকে পড়ছেন সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর নির্ভরশীল মানুষ, বিশেষ করে অবসরে যাওয়া নাগরিকেরা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি সরকারের সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়ছে। তবু সুদহার কমানো হচ্ছে, যা বিনিয়োগ-কারীদের নিরুৎসাহিত করবে। এখন সরকার ট্রেজারি বিল-বন্ড থেকে সস্তায় ঋণ পাবে। এতে সরকারি অর্থ সাশ্রয় হবে। এটা সরকারের জন্য ভালো। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জন্য এটি চাপ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সরকার চলতি বছরের ১ জুলাই জাতীয় সঞ্চয়পত্রের প্রধান স্কিমগুলোর মুনাফার হার ৪৭ থেকে ৫৭ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সুদহার ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ করা হয়, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। একইভাবে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সুদহার করা হয় ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। পরিবার সঞ্চয়পত্রের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্তিতে সুদহার ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ করা হয়। আর পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তিতে সুদহার এখন ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সাল থেকে কয়েক দফায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হয়েছে। পাশাপাশি আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি শর্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, উপযোগী হোক বা না হোক, আইএমএফের শর্ত মানতেই সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়েছে। এতে বয়স্ক, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বঞ্চিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপে এই শ্রেণির মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। ব্যাংকগুলো বেশি সুদ দেওয়ায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের আগ্রহও কমছে।
সঞ্চয়পত্রে নিরাপদ বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত জুন থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগামী জানুয়ারিতে ১০ শতাংশের কাছাকাছি নামিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরি পলিসির নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) ড. এজাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি কমেছে। আবার বেসরকারি বিনিয়োগ কমেছে। সে জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। তারা সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ড কিনছে। এতে সুদহার সাড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছি, যা সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশ কম। সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে সস্তা সুদে ট্রেজারি বিল-বন্ড বেশি হারে কিনছে। অন্যদিকে আগের কেনা সঞ্চয়পত্রগুলোর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় তার অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে গ্রাহকদের। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ক্রমেই নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাসে নিট বিক্রি ছিল ২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে নিট বিক্রি কমেছে ৮৯৪ কোটি টাকা বা ৪১ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিতে যে ঋণাত্মক ধারা চলছে, তা ২০২৪-২৫ ছিল ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল রেকর্ড ২১ হাজার ১২৪ কোটি এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের ওপর মানুষের আগ্রহ যাতে ট্রেজারি বন্ড বা বিলে শিফট হয়, সেটি নিয়ে ভাবছে সরকার। এ বিষয়ে কাজ চলছে। মূলত বিকল্প বিনিয়োগের উৎস থাকায় সরকার সঞ্চয়পত্রে ঋণ কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে।’
গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন করা নিলাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদ হার ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। ১৮২ দিন মেয়াদি বিলের রেট ছিল ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ২ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ১৫ বছর মেয়াদি সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ২০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ সঞ্চয়পত্র ভেঙে খাচ্ছে। আর সুদের হার হ্রাস এবং শর্তের বেড়াজালে মানুষের মধ্যে সঞ্চয়পত্র কেনার প্রবণতা কমেছে। নতুন করে সুদ কমালে সঞ্চয়পত্র থেকে মুখ সরিয়ে মানুষ ভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করবে। তখন সরকার ট্রেজারি বিল ও বন্ড থেকে অর্থ ধার করবে, যার নেতিবাচক প্রভাব বিনিয়োগের ওপর পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে নিট ঋণ নেওয়া কমে দাঁড়ায় ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। মূলত এ সময় বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতির হার একক অঙ্কে এসে প্রায় ৭ শতাংশে রয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবে ওই হার কমানো উচিত। না হলে সরকার ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না।’
আরও খবর পড়ুন:

বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি। কিন্তু চড়া সুদের চাপ কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্রের ঋণ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। মানুষের যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে আগ্রহ কমে, সে জন্য ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে সুদহার। এরই অংশ হিসেবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সুদের হার আরও দেড় শতাংশ কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই আলোকে আগামী ডিসেম্বরে নতুন সুদহার ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমিয়ে ট্রেজারি বিল-বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ধার করা বাড়ানো হয়েছে। কারণ, ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার সঞ্চয়পত্রের তুলনায় কম। এতে সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হলেও বিপাকে পড়ছেন সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর নির্ভরশীল মানুষ, বিশেষ করে অবসরে যাওয়া নাগরিকেরা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি সরকারের সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটা পড়ছে। তবু সুদহার কমানো হচ্ছে, যা বিনিয়োগ-কারীদের নিরুৎসাহিত করবে। এখন সরকার ট্রেজারি বিল-বন্ড থেকে সস্তায় ঋণ পাবে। এতে সরকারি অর্থ সাশ্রয় হবে। এটা সরকারের জন্য ভালো। কিন্তু সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জন্য এটি চাপ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সরকার চলতি বছরের ১ জুলাই জাতীয় সঞ্চয়পত্রের প্রধান স্কিমগুলোর মুনাফার হার ৪৭ থেকে ৫৭ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে। তখন অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্রে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সাড়ে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সুদহার ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ করা হয়, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। একইভাবে তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সুদহার করা হয় ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৩০ শতাংশ। পরিবার সঞ্চয়পত্রের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্তিতে সুদহার ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ করা হয়। আর পেনশনার সঞ্চয়পত্রের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্তিতে সুদহার এখন ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সাল থেকে কয়েক দফায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হয়েছে। পাশাপাশি আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি শর্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, উপযোগী হোক বা না হোক, আইএমএফের শর্ত মানতেই সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়েছে। এতে বয়স্ক, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা বঞ্চিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপে এই শ্রেণির মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। ব্যাংকগুলো বেশি সুদ দেওয়ায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের আগ্রহও কমছে।
সঞ্চয়পত্রে নিরাপদ বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত জুন থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগামী জানুয়ারিতে ১০ শতাংশের কাছাকাছি নামিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরি পলিসির নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) ড. এজাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি কমেছে। আবার বেসরকারি বিনিয়োগ কমেছে। সে জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। তারা সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ড কিনছে। এতে সুদহার সাড়ে ৯ শতাংশের কাছাকাছি, যা সঞ্চয়পত্রের চেয়ে বেশ কম। সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রের চেয়ে সস্তা সুদে ট্রেজারি বিল-বন্ড বেশি হারে কিনছে। অন্যদিকে আগের কেনা সঞ্চয়পত্রগুলোর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় তার অর্থ পরিশোধ করা হচ্ছে গ্রাহকদের। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ক্রমেই নেতিবাচক দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাসে নিট বিক্রি ছিল ২ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে নিট বিক্রি কমেছে ৮৯৪ কোটি টাকা বা ৪১ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিতে যে ঋণাত্মক ধারা চলছে, তা ২০২৪-২৫ ছিল ৬ হাজার ৬৩ কোটি টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল রেকর্ড ২১ হাজার ১২৪ কোটি এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের ওপর মানুষের আগ্রহ যাতে ট্রেজারি বন্ড বা বিলে শিফট হয়, সেটি নিয়ে ভাবছে সরকার। এ বিষয়ে কাজ চলছে। মূলত বিকল্প বিনিয়োগের উৎস থাকায় সরকার সঞ্চয়পত্রে ঋণ কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে।’
গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন করা নিলাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ৯১ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদ হার ছিল ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। ১৮২ দিন মেয়াদি বিলের রেট ছিল ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং ৩৬৪ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ২ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ১৫ বছর মেয়াদি সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ২০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ সঞ্চয়পত্র ভেঙে খাচ্ছে। আর সুদের হার হ্রাস এবং শর্তের বেড়াজালে মানুষের মধ্যে সঞ্চয়পত্র কেনার প্রবণতা কমেছে। নতুন করে সুদ কমালে সঞ্চয়পত্র থেকে মুখ সরিয়ে মানুষ ভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করবে। তখন সরকার ট্রেজারি বিল ও বন্ড থেকে অর্থ ধার করবে, যার নেতিবাচক প্রভাব বিনিয়োগের ওপর পড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের ব্যাংক খাত থেকে নিট ঋণ নেওয়া কমে দাঁড়ায় ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। মূলত এ সময় বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, ‘এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতির হার একক অঙ্কে এসে প্রায় ৭ শতাংশে রয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবে ওই হার কমানো উচিত। না হলে সরকার ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না।’
আরও খবর পড়ুন:

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩ ঘণ্টা আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৭ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোর নগদ প্রবাহ সচল রাখা ও একীভূতকরণ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রিফাইন্যান্স, প্রি-ফাইন্যান্স ও বিশেষ আবর্তিত ফান্ডের আওতায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছিল পাঁচ ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকেই নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ছিল বিশেষ অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায়। বর্তমানে এসব ঋণের অর্থ আদায় শুরু হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী এই আদায়ের অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে ব্যাংকগুলোর নগদ ঘাটতি ও চলতি হিসাবের চাপ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই কর্তনপ্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। একীভূত করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় এবং ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে এখন রিফাইন্যান্স বা প্রি-ফাইন্যান্সের টাকা কেটে রাখলে তারা দৈনন্দিন লেনদেনও পরিচালনা করতে পারবে না। তাই প্রশাসকদের সুপারিশে গভর্নর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তহবিল কর্তন আপাতত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এসব ব্যাংকের সম্মিলিত ঋণ পোর্টফোলিও প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে আমানত রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ইউনিয়ন ব্যাংকে খেলাপির হার ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিতে ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীতে ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীতে ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য ঘাটতি সাময়িকভাবে কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে প্রশাসকদের ওপর এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব একীভূত ব্যাংকের আর্থিক কাঠামোকে টেকসই করার জন্য সম্পদ ও দায়ের সঠিক হিসাব প্রস্তুত করা।
সরকার ইতিমধ্যে নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন কাঠামো অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ব্যাংক চালু হলে এটি দেশের বৃহত্তম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে গভর্নর সরাসরি একীভূতকরণের সব ধাপ নজরদারি করছেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংস্কার কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ পাঁচ ব্যাংকের অনেক আমানতকারী এখনো জমা অর্থ তুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত মনে করছে, প্রি-ফাইন্যান্স ও রিফাইন্যান্স তহবিলের আদায়কৃত টাকা কর্তন বন্ধ করলে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ প্রবাহ বাড়বে। এতে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া সহজ হবে এবং ধীরে ধীরে আস্থাও ফিরবে। একই সঙ্গে প্রশাসকদের একীভূতকরণ-সংক্রান্ত আর্থিক বিশ্লেষণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও তৈরি হবে।

একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকগুলোর নগদ প্রবাহ সচল রাখা ও একীভূতকরণ প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রিফাইন্যান্স, প্রি-ফাইন্যান্স ও বিশেষ আবর্তিত ফান্ডের আওতায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছিল পাঁচ ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকেই নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ছিল বিশেষ অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায়। বর্তমানে এসব ঋণের অর্থ আদায় শুরু হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী এই আদায়ের অংশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকে। তবে ব্যাংকগুলোর নগদ ঘাটতি ও চলতি হিসাবের চাপ বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই কর্তনপ্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বর্তমানে একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো এক্সিম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। একীভূত করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় এবং ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ নামে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাংকগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক যে এখন রিফাইন্যান্স বা প্রি-ফাইন্যান্সের টাকা কেটে রাখলে তারা দৈনন্দিন লেনদেনও পরিচালনা করতে পারবে না। তাই প্রশাসকদের সুপারিশে গভর্নর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তহবিল কর্তন আপাতত বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এসব ব্যাংকের সম্মিলিত ঋণ পোর্টফোলিও প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বিপরীতে আমানত রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা বা ৭৬ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ইউনিয়ন ব্যাংকে খেলাপির হার ৯৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিতে ৯৭ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামীতে ৯৫ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামীতে ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং এক্সিম ব্যাংকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর তারল্য ঘাটতি সাময়িকভাবে কিছুটা প্রশমিত হবে। তবে প্রশাসকদের ওপর এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব একীভূত ব্যাংকের আর্থিক কাঠামোকে টেকসই করার জন্য সম্পদ ও দায়ের সঠিক হিসাব প্রস্তুত করা।
সরকার ইতিমধ্যে নতুন সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকার প্রাথমিক মূলধন কাঠামো অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি সরকারি অর্থায়নে এবং বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ শেয়ার দেওয়া হবে আমানতকারীদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ব্যাংক চালু হলে এটি দেশের বৃহত্তম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমানতকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। সেই লক্ষ্যে গভর্নর সরাসরি একীভূতকরণের সব ধাপ নজরদারি করছেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংস্কার কমিটির সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এ পাঁচ ব্যাংকের অনেক আমানতকারী এখনো জমা অর্থ তুলতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্ভবত মনে করছে, প্রি-ফাইন্যান্স ও রিফাইন্যান্স তহবিলের আদায়কৃত টাকা কর্তন বন্ধ করলে ব্যাংকগুলোর হাতে নগদ প্রবাহ বাড়বে। এতে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া সহজ হবে এবং ধীরে ধীরে আস্থাও ফিরবে। একই সঙ্গে প্রশাসকদের একীভূতকরণ-সংক্রান্ত আর্থিক বিশ্লেষণ ও পুনর্গঠন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগও তৈরি হবে।

বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি। কিন্তু চড়া সুদের চাপ কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্রের ঋণ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। মানুষের যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে আগ্রহ কমে, সে জন্য ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে সুদহার। এরই অংশ হিসেবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সুদের হার আরও দেড়...
১৪ অক্টোবর ২০২৫
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৭ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মানিন্দর সিধু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সিধু বলেছেন, ‘ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা যৌথভাবে কাজের সুযোগগুলো নিয়ে কথা বলেছি—বিমান ও মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জ্বালানি, কৃষি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বিভিন্ন খাতে আরও কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিন দিনের সফরে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন সিধু। তাঁর এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে নিহত হন খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
কিন্তু ট্রুডোর মন্তব্যের জেরে ভারত-কানাডা উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। দুই দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং ভারত কানাডায় ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করে দেয়।
তবে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। জুনে আলবার্টা প্রদেশে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কার্নি ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ওই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নীতির ওপর ভিত্তি করে কানাডা-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই নিয়মিত সেবা পুনরায় চালু করা যায়।
এদিকে, দিল্লিতে আজকের বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতির কারণে ভারত ও কানাডা উভয় দেশই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কানাডার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী মানিন্দর সিধু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সিধু বলেছেন, ‘ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা যৌথভাবে কাজের সুযোগগুলো নিয়ে কথা বলেছি—বিমান ও মহাকাশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), জ্বালানি, কৃষি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজসহ বিভিন্ন খাতে আরও কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’
তিন দিনের সফরে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন সিধু। তাঁর এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২৩ সালের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে নিহত হন খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার। কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির সরকার ওই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তবে ভারত ট্রুডোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
কিন্তু ট্রুডোর মন্তব্যের জেরে ভারত-কানাডা উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। দুই দেশ একে অপরের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে এবং ভারত কানাডায় ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করে দেয়।
তবে এ বছরের শুরুতে ক্ষমতায় আসার পর কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন। জুনে আলবার্টা প্রদেশে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কার্নি ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ওই বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আইনের শাসন এবং সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা নীতির ওপর ভিত্তি করে কানাডা-ভারত সম্পর্কের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই নেতা নতুন হাইকমিশনার নিয়োগে সম্মত হয়েছেন, যাতে নাগরিক ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই নিয়মিত সেবা পুনরায় চালু করা যায়।
এদিকে, দিল্লিতে আজকের বৈঠকটি এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতির কারণে ভারত ও কানাডা উভয় দেশই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখোমুখি।

বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি। কিন্তু চড়া সুদের চাপ কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্রের ঋণ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। মানুষের যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে আগ্রহ কমে, সে জন্য ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে সুদহার। এরই অংশ হিসেবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সুদের হার আরও দেড়...
১৪ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন এ দাম আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তবে মূল কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা।

দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন এ দাম আগামীকাল শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বাড়ায় সোনার মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তবে মূল কারণ হচ্ছে, বৈশ্বিক বাজারে সোনার দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপা ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা।

বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি। কিন্তু চড়া সুদের চাপ কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্রের ঋণ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। মানুষের যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে আগ্রহ কমে, সে জন্য ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে সুদহার। এরই অংশ হিসেবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সুদের হার আরও দেড়...
১৪ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩ ঘণ্টা আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৭ ঘণ্টা আগে
পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

পবিত্র রমজান আসার আগেই নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারে অস্বস্তির বাতাস বইছে। পণ্য সরবরাহে বাধা, চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য আর পণ্যের লেবেলে করপোরেটদের লাগামহীন দাম বসানোর অপতৎপরতা ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়াচ্ছে, যা রীতিমতো জনগণের পকেটকে ছিঁড়ে নিচ্ছে। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করে বলেছেন, সরকার এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সতর্কবার্তা আসে। সংগঠনের নবনিযুক্ত প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘রোজায় নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভায় ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি ও বাণিজ্য সংগঠনের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।
এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজির প্রলয় শুরু হয়েছে। ট্রাক থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে চাঁদা দিতে হয়। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা দিতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় চাঁদাবাজি এখন সংগঠিত রূপ নিয়েছে। শ্যামবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন বলেন, চাঁদাবাজি এখন সর্বনাশের স্তরে নেমেছে। একদিকে ট্রাকে পণ্য ভরতে চাঁদা, অন্যদিকে পণ্য নামাতেও চাঁদা। প্রশাসন জানে, কিন্তু চুপ।
আরও বড় উদ্বেগ এসেছে করপোরেট আগ্রাসন নিয়ে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোড়কজাত পণ্যের অজুহাতে করপোরেট কোম্পানিগুলো বাজার দখল করছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে পণ্য পেলেও করপোরেট ব্র্যান্ডিংয়ের চাপে খুচরা বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। ফরিদ উদ্দিনের ভাষায়, ৩ টাকার মোড়ক লাগিয়ে ৪০ টাকা দাম বাড়ায়, এটাই আজকের বাস্তবতা। অথচ এসব কিছুর দায় ভোক্তার ওপরই পড়ছে।
চিনি ও তেল ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখন তুলনামূলক স্থিতিশীল। কিন্তু স্থানীয় উৎপাদনে গ্যাস-সংকট ও লজিস্টিক জটিলতা না মিটলে রমজানের আগে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাঁদের আশঙ্কা, চিনি ও তেল মিলের উৎপাদন স্থবির হলে বাজারে নতুন চাপ তৈরি হবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. আবদুর রহিম খান সভায় বলেন, সরকারের লক্ষ্য বাজারে ভারসাম্য রাখা, ব্যবসায়ীকে হয়রানি নয়। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, চাঁদাবাজি বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও দৃঢ় হতে হবে, আর ব্যবসায়ীদেরও আইন মেনে চলতে হবে।
ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, বড় করপোরেটদের নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজি থামাতে না পারলে শুধু রমজান নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেই ভোক্তামুখী পণ্যমূল্যের চাপ দীর্ঘায়িত হবে। কারণ, নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজারই দেশের খাদ্য সরবরাহব্যবস্থার মেরুদণ্ড; এখানে অস্থিরতা মানেই বাজেটের বাইরে নতুন মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি।

বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম বড় উৎস সঞ্চয়পত্র বিক্রি। কিন্তু চড়া সুদের চাপ কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্রের ঋণ থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। মানুষের যাতে সঞ্চয়পত্র কিনতে আগ্রহ কমে, সে জন্য ধাপে ধাপে কমানো হচ্ছে সুদহার। এরই অংশ হিসেবে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সুদের হার আরও দেড়...
১৪ অক্টোবর ২০২৫
একীভূত প্রক্রিয়াধীন শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের তীব্র তারল্যসংকট মোকাবিলায় বিশেষ ছাড়মূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের নির্দেশে এসব ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে প্রি-ফাইন্যান্স, রিফাইন্যান্স বা অন্যান্য বিশেষ অর্থায়ন তহবিলের আদায়কৃত অর্থ কেটে রাখার নিয়ম সাময়িকভাবে...
৩ ঘণ্টা আগে
খালিস্তান আন্দোলনের অন্যতম নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রায় আড়াই বছর আগে তলানিতে পৌঁছেছিল ভারত-কানডা সম্পর্ক। তবে কূটনৈতিক বিরোধ কাটিয়ে প্রধান বাণিজ্য অংশীদার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে অটোয়া।
৭ ঘণ্টা আগে
দুই দিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল। এবার সোনার দাম এক লাফে ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বেড়েছে। এতে করে ভালো মানের সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে