পাহাড় এখন উচ্চমূল্যের ফল-ফসলের উর্বর কেন্দ্র
রোকন উদ্দীন, বান্দরবান থেকে ফিরে

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন ক্রমেই বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এটি দেশের কৃষি অর্থনীতির সম্ভাব্য একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একসময় কাজুবাদাম মূলত খাবারে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ নিয়মিত বাদাম খাচ্ছেন, ফলে চাহিদা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি আমদানি করা কাজুবাদামের সঙ্গে দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত কাজুবাদামও বাজারে পৌঁছাচ্ছে।
পাহাড়ে উৎপাদন বৃদ্ধি
দেশে কাজুবাদামের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১০ হাজার টন। এর বড় অংশ আসে পাহাড়ি অঞ্চলের আবাদ থেকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২,০২১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ১,৬১৬ টন। তিন বছরের মধ্যে আবাদের পরিমাণ এবং উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে পাহাড়ি অঞ্চলে আবাদ হয়েছিল ৩,৩১৭ হেক্টর, উৎপাদিত হয়েছিল ৩,০৯৫ টন।
‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কাজুবাদাম তুলনামূলক কম যত্নে ফল দেয়। একবার গাছ লাগালে বছরের পর বছর ফল আসে। পাহাড়ে এক কেজি সাধারণ আম থেকে আসে ৪০ টাকা, তবে কাজুবাদামের দাম কয়েক গুণ বেশি। তাই পাহাড়ি কৃষকেরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। আমরা বিনা মূল্যে চারা এবং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিনিয়োগ
ষাটের দশক থেকে পাহাড়ে চাষ হলেও আগে প্রক্রিয়াজাতকরণের যন্ত্রপাতি সহজলভ্য ছিল না। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে প্রথম কারখানা চালু হওয়ার পর গত এক দশকে দেশে ২২টি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে ১৫টি নিয়মিত উৎপাদন চালাচ্ছে; যেগুলোর ১০-১২ হাজার টন বাদাম প্রক্রিয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বড় করপোরেট গ্রুপও পাহাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেমন সিটি গ্রুপের রহিমা ফুড, বিএসআরএম, কাজী ফার্মস, মাজ্জাক অ্যাগ্রো ও কিষানঘর অ্যাগ্রো।
বান্দরবানে কিষানঘর অ্যাগ্রো ২০১৯ সালে প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি মাসে ১০-১২ লাখ টাকার কাজুবাদাম বিক্রি করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথমে আকার ছোট হওয়ায় বিক্রি কম হতো। তবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন ৯৫০ জন কৃষক উৎপাদনে যুক্ত। ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
খুশি পাহাড়ি কৃষকেরা
বান্দরবান সদর উপজেলার কৃষক মংসুই মারমা বলেন, ‘তিন বছর আগে ৫০টি গাছ লাগিয়েছিলাম। এবার ১০ কেজির বেশি ফল পেয়েছি। পাইকারি দরে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির নারী উদ্যোক্তা রুনা ত্রিপুরা বলেন, ‘১০ একর জমিতে গাছ লাগিয়েছি। স্থানীয়ভাবে বাদাম ছাড়ানো ও প্যাকেটজাত করে শহরে পাঠাচ্ছি। আগামী বছর অনলাইনে বিক্রি শুরু করব।’
বাজারমূল্য
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০-১,৭৫০ টাকায়। ভাজা কাজুবাদামের দাম ১,৮০০-২,০০০ টাকায়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের চাহিদা বাড়ায় দেশীয় উৎপাদন বাজারে প্রতিস্থাপন করছে।
প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা
কাজুবাদামের খোসায় থাকে ‘উরুশিওল’ যৌগ, যা চামড়ায় চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রয়োজন। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে শুকানো ও প্রসেসিং কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; যাতে কৃষকদের আর খোলা মাঠে শুকাতে না হয়। এ ছাড়া কাজু আপেলও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ায় গবেষণা ও বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন ক্রমেই বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এটি দেশের কৃষি অর্থনীতির সম্ভাব্য একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একসময় কাজুবাদাম মূলত খাবারে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ নিয়মিত বাদাম খাচ্ছেন, ফলে চাহিদা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি আমদানি করা কাজুবাদামের সঙ্গে দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত কাজুবাদামও বাজারে পৌঁছাচ্ছে।
পাহাড়ে উৎপাদন বৃদ্ধি
দেশে কাজুবাদামের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১০ হাজার টন। এর বড় অংশ আসে পাহাড়ি অঞ্চলের আবাদ থেকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২,০২১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ১,৬১৬ টন। তিন বছরের মধ্যে আবাদের পরিমাণ এবং উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে পাহাড়ি অঞ্চলে আবাদ হয়েছিল ৩,৩১৭ হেক্টর, উৎপাদিত হয়েছিল ৩,০৯৫ টন।
‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কাজুবাদাম তুলনামূলক কম যত্নে ফল দেয়। একবার গাছ লাগালে বছরের পর বছর ফল আসে। পাহাড়ে এক কেজি সাধারণ আম থেকে আসে ৪০ টাকা, তবে কাজুবাদামের দাম কয়েক গুণ বেশি। তাই পাহাড়ি কৃষকেরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। আমরা বিনা মূল্যে চারা এবং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিনিয়োগ
ষাটের দশক থেকে পাহাড়ে চাষ হলেও আগে প্রক্রিয়াজাতকরণের যন্ত্রপাতি সহজলভ্য ছিল না। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে প্রথম কারখানা চালু হওয়ার পর গত এক দশকে দেশে ২২টি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে ১৫টি নিয়মিত উৎপাদন চালাচ্ছে; যেগুলোর ১০-১২ হাজার টন বাদাম প্রক্রিয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বড় করপোরেট গ্রুপও পাহাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেমন সিটি গ্রুপের রহিমা ফুড, বিএসআরএম, কাজী ফার্মস, মাজ্জাক অ্যাগ্রো ও কিষানঘর অ্যাগ্রো।
বান্দরবানে কিষানঘর অ্যাগ্রো ২০১৯ সালে প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি মাসে ১০-১২ লাখ টাকার কাজুবাদাম বিক্রি করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথমে আকার ছোট হওয়ায় বিক্রি কম হতো। তবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন ৯৫০ জন কৃষক উৎপাদনে যুক্ত। ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
খুশি পাহাড়ি কৃষকেরা
বান্দরবান সদর উপজেলার কৃষক মংসুই মারমা বলেন, ‘তিন বছর আগে ৫০টি গাছ লাগিয়েছিলাম। এবার ১০ কেজির বেশি ফল পেয়েছি। পাইকারি দরে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির নারী উদ্যোক্তা রুনা ত্রিপুরা বলেন, ‘১০ একর জমিতে গাছ লাগিয়েছি। স্থানীয়ভাবে বাদাম ছাড়ানো ও প্যাকেটজাত করে শহরে পাঠাচ্ছি। আগামী বছর অনলাইনে বিক্রি শুরু করব।’
বাজারমূল্য
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০-১,৭৫০ টাকায়। ভাজা কাজুবাদামের দাম ১,৮০০-২,০০০ টাকায়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের চাহিদা বাড়ায় দেশীয় উৎপাদন বাজারে প্রতিস্থাপন করছে।
প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা
কাজুবাদামের খোসায় থাকে ‘উরুশিওল’ যৌগ, যা চামড়ায় চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রয়োজন। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে শুকানো ও প্রসেসিং কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; যাতে কৃষকদের আর খোলা মাঠে শুকাতে না হয়। এ ছাড়া কাজু আপেলও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ায় গবেষণা ও বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।
পাহাড় এখন উচ্চমূল্যের ফল-ফসলের উর্বর কেন্দ্র
রোকন উদ্দীন, বান্দরবান থেকে ফিরে

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন ক্রমেই বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এটি দেশের কৃষি অর্থনীতির সম্ভাব্য একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একসময় কাজুবাদাম মূলত খাবারে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ নিয়মিত বাদাম খাচ্ছেন, ফলে চাহিদা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি আমদানি করা কাজুবাদামের সঙ্গে দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত কাজুবাদামও বাজারে পৌঁছাচ্ছে।
পাহাড়ে উৎপাদন বৃদ্ধি
দেশে কাজুবাদামের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১০ হাজার টন। এর বড় অংশ আসে পাহাড়ি অঞ্চলের আবাদ থেকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২,০২১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ১,৬১৬ টন। তিন বছরের মধ্যে আবাদের পরিমাণ এবং উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে পাহাড়ি অঞ্চলে আবাদ হয়েছিল ৩,৩১৭ হেক্টর, উৎপাদিত হয়েছিল ৩,০৯৫ টন।
‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কাজুবাদাম তুলনামূলক কম যত্নে ফল দেয়। একবার গাছ লাগালে বছরের পর বছর ফল আসে। পাহাড়ে এক কেজি সাধারণ আম থেকে আসে ৪০ টাকা, তবে কাজুবাদামের দাম কয়েক গুণ বেশি। তাই পাহাড়ি কৃষকেরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। আমরা বিনা মূল্যে চারা এবং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিনিয়োগ
ষাটের দশক থেকে পাহাড়ে চাষ হলেও আগে প্রক্রিয়াজাতকরণের যন্ত্রপাতি সহজলভ্য ছিল না। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে প্রথম কারখানা চালু হওয়ার পর গত এক দশকে দেশে ২২টি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে ১৫টি নিয়মিত উৎপাদন চালাচ্ছে; যেগুলোর ১০-১২ হাজার টন বাদাম প্রক্রিয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বড় করপোরেট গ্রুপও পাহাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেমন সিটি গ্রুপের রহিমা ফুড, বিএসআরএম, কাজী ফার্মস, মাজ্জাক অ্যাগ্রো ও কিষানঘর অ্যাগ্রো।
বান্দরবানে কিষানঘর অ্যাগ্রো ২০১৯ সালে প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি মাসে ১০-১২ লাখ টাকার কাজুবাদাম বিক্রি করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথমে আকার ছোট হওয়ায় বিক্রি কম হতো। তবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন ৯৫০ জন কৃষক উৎপাদনে যুক্ত। ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
খুশি পাহাড়ি কৃষকেরা
বান্দরবান সদর উপজেলার কৃষক মংসুই মারমা বলেন, ‘তিন বছর আগে ৫০টি গাছ লাগিয়েছিলাম। এবার ১০ কেজির বেশি ফল পেয়েছি। পাইকারি দরে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির নারী উদ্যোক্তা রুনা ত্রিপুরা বলেন, ‘১০ একর জমিতে গাছ লাগিয়েছি। স্থানীয়ভাবে বাদাম ছাড়ানো ও প্যাকেটজাত করে শহরে পাঠাচ্ছি। আগামী বছর অনলাইনে বিক্রি শুরু করব।’
বাজারমূল্য
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০-১,৭৫০ টাকায়। ভাজা কাজুবাদামের দাম ১,৮০০-২,০০০ টাকায়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের চাহিদা বাড়ায় দেশীয় উৎপাদন বাজারে প্রতিস্থাপন করছে।
প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা
কাজুবাদামের খোসায় থাকে ‘উরুশিওল’ যৌগ, যা চামড়ায় চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রয়োজন। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে শুকানো ও প্রসেসিং কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; যাতে কৃষকদের আর খোলা মাঠে শুকাতে না হয়। এ ছাড়া কাজু আপেলও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ায় গবেষণা ও বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন ক্রমেই বাড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এটি দেশের কৃষি অর্থনীতির সম্ভাব্য একটি ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে দেখছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, একসময় কাজুবাদাম মূলত খাবারে মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ নিয়মিত বাদাম খাচ্ছেন, ফলে চাহিদা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি আমদানি করা কাজুবাদামের সঙ্গে দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত কাজুবাদামও বাজারে পৌঁছাচ্ছে।
পাহাড়ে উৎপাদন বৃদ্ধি
দেশে কাজুবাদামের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১০ হাজার টন। এর বড় অংশ আসে পাহাড়ি অঞ্চলের আবাদ থেকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২,০২১ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ১,৬১৬ টন। তিন বছরের মধ্যে আবাদের পরিমাণ এবং উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২৩-২৪ সালে পাহাড়ি অঞ্চলে আবাদ হয়েছিল ৩,৩১৭ হেক্টর, উৎপাদিত হয়েছিল ৩,০৯৫ টন।
‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের’ পরিচালক শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘কাজুবাদাম তুলনামূলক কম যত্নে ফল দেয়। একবার গাছ লাগালে বছরের পর বছর ফল আসে। পাহাড়ে এক কেজি সাধারণ আম থেকে আসে ৪০ টাকা, তবে কাজুবাদামের দাম কয়েক গুণ বেশি। তাই পাহাড়ি কৃষকেরা আকৃষ্ট হচ্ছেন। আমরা বিনা মূল্যে চারা এবং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’
প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিনিয়োগ
ষাটের দশক থেকে পাহাড়ে চাষ হলেও আগে প্রক্রিয়াজাতকরণের যন্ত্রপাতি সহজলভ্য ছিল না। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে প্রথম কারখানা চালু হওয়ার পর গত এক দশকে দেশে ২২টি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার মধ্যে ১৫টি নিয়মিত উৎপাদন চালাচ্ছে; যেগুলোর ১০-১২ হাজার টন বাদাম প্রক্রিয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বড় করপোরেট গ্রুপও পাহাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, যেমন সিটি গ্রুপের রহিমা ফুড, বিএসআরএম, কাজী ফার্মস, মাজ্জাক অ্যাগ্রো ও কিষানঘর অ্যাগ্রো।
বান্দরবানে কিষানঘর অ্যাগ্রো ২০১৯ সালে প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি মাসে ১০-১২ লাখ টাকার কাজুবাদাম বিক্রি করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রথমে আকার ছোট হওয়ায় বিক্রি কম হতো। তবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এখন ৯৫০ জন কৃষক উৎপাদনে যুক্ত। ভবিষ্যতে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
খুশি পাহাড়ি কৃষকেরা
বান্দরবান সদর উপজেলার কৃষক মংসুই মারমা বলেন, ‘তিন বছর আগে ৫০টি গাছ লাগিয়েছিলাম। এবার ১০ কেজির বেশি ফল পেয়েছি। পাইকারি দরে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।’
খাগড়াছড়ির নারী উদ্যোক্তা রুনা ত্রিপুরা বলেন, ‘১০ একর জমিতে গাছ লাগিয়েছি। স্থানীয়ভাবে বাদাম ছাড়ানো ও প্যাকেটজাত করে শহরে পাঠাচ্ছি। আগামী বছর অনলাইনে বিক্রি শুরু করব।’
বাজারমূল্য
কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০-১,৭৫০ টাকায়। ভাজা কাজুবাদামের দাম ১,৮০০-২,০০০ টাকায়। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের চাহিদা বাড়ায় দেশীয় উৎপাদন বাজারে প্রতিস্থাপন করছে।
প্রক্রিয়া ও নিরাপত্তা
কাজুবাদামের খোসায় থাকে ‘উরুশিওল’ যৌগ, যা চামড়ায় চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রয়োজন। বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এম এম শাহ্ নেয়াজ জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে শুকানো ও প্রসেসিং কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; যাতে কৃষকদের আর খোলা মাঠে শুকাতে না হয়। এ ছাড়া কাজু আপেলও পুষ্টিতে সমৃদ্ধ হওয়ায় গবেষণা ও বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৬ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন...
১৯ আগস্ট ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন...
১৯ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন...
১৯ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৬ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

গত দশকে পাহাড়ি এলাকায় কাজুবাদামের চাষ দ্রুত বেড়েছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা এখন দেশের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র। আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্যাভ্যাসে কাজুবাদামের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশীয় প্রক্রিয়াজাত কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে দেশীয় উৎপাদন...
১৯ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১৬ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে