Ajker Patrika

নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আবাসিক এলাকা

জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
আপডেট : ১৯ মে ২০২২, ১১: ৪৬
নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আবাসিক এলাকা

সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কমতে থাকলেও আজ সকাল থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল ৬টা থেকে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন নতুন আবাসিক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পৌর এলাকার নতুনপাড়া, হাজীপাড়া, কালিপুর, পশ্চিম তেঘরিয়া, মল্লিকপুর—এসব এলাকার বাসা ও সড়কে পানি বাড়ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার পানিবন্দী মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মানুষজ। ছাতক পৌর শহরসহ উপজেলার প্রায় সব কটি গ্রামই এখন পানিতে নিমজ্জিত। শিল্পনগরী ছাতক থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পণ্যবাহী বাহন গত তিন দিন ধরে চলাচল করতে পারছে না। এই সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে পানি উঠে যাওয়ায় একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। যে সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাতকের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করত, সেই সড়কে এখন মানুষ নৌকা দিয়ে চলাচল করছে। সড়কটিতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। আবার নৌকায় যাতায়াত করতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রান্তিক গ্রামগুলোর শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সড়কে ও বাড়িতে পানি থাকায় কাজেও যেতে পারছে না। এতে করে সরকারি বা বেসরকারি সহায়তার দিকেই তাকিয়ে আছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে ছাতক উপজেলার রামপুর গ্রামের শামস উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন যাবৎ আমাদের গ্রামের রাস্তায় কোমরপানি। নৌকা ছাড়া বাইর হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। বাড়ির ভেতরেও পানি। আমি সিলেট যাইতাম জরুরি কাজে, কিন্তু রাস্তায় কোনো গাড়ি চলের না। তাই জরুরি কাজ থাকা সত্ত্বেও যাইতাম পারতাছি না।’ 

গাড়িচালক মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি সিলেট থাইকা ছাতক যাত্রী লইয়া আইছিলাম। তিন দিন আগে ফেরত যাওয়ার সময় দেখি রাস্তার মাঝে পানি। এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার) একই জাগাত বইয়া রইছি। আমার গাড়ির মালিক আমাকে চিল্লাচিল্লি করতাছে। অন্যদিকে পরিবারের লোকজনও কষ্টের মাঝে আছে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব খাবার যাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। 

এ বিষয়ে বন্যায় আক্রান্তরা অভিযোগ করে জানান, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যায় আক্রান্তদের তুলনায় ত্রাণসহায়তা একেবারেই অপ্রতুল। বেশির ভাগ আক্রান্তই এখনো পর্যন্ত ত্রাণসহায়তা পাননি।

বন্যার বিষয়ে ছাতক উপজেলার তাজপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, ‘তিন দিন ধইরা আমার বাড়িত পানি। পরিবারের সদস্যরারে লইয়া অন্যের বাড়িত আশ্রয় লইছি। এখন পর্যন্ত একটা মানুষও আমরার খবর লইছে না।’

সৈদরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমান আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানান, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। তিন-চাইর দিন ধইরা কোনো কাজকামো যাইতাম পারতাছি না। বাচ্চাকাচ্চারে লইয়া খুব কষ্টে দিন কাটাইতাছি। ঘরের ভেতরে হাঁটুপানি, নাই খাবারও। কেউ এখন পর্যন্ত একটা খবরও লইল না।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ২১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বিদ্যালয়ের ভেতরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পাঠদান সাময়িক বন্ধ রেখেছে আরও ২৮টি বিদ্যালয়ে। ছাতকের নিম্নাঞ্চলে ১৭২, দোয়ারাবাজারে ২৪, সদর উপজেলায় ১৮, তাহিরপুরে পাঁচ এবং শান্তিগঞ্জের একটি স্কুলের যোগাযোগের পথ প্লাবিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা নতুন করে প্লাবিতজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান জানান, জেলার ২১৬টি বিদ্যালয়ের ভেতরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ করে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে বন্যাকবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়া অন্যান্য বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীরা যেতে না পারায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ঠিক রাখার জন্য শিক্ষকেরা স্কুলে যাচ্ছেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। 

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামছুদ্দোহা জানান, সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, ছাতক পয়েন্টে ১৫৮ সেন্টিমিটার ওপর বয়ে যাচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত এবং আসাম ও চেরাপুঞ্জিতে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। 

খাদ্যসহায়তার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার অবস্থা বেশি খারাপ। তাই এ দুই উপজেলায় ইতিমধ্যে ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে আরও খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়াটে খুনি দিয়ে হকারকে হত্যা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।

গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুদানে হামলা: নিহত শান্তিরক্ষী শামীমের বাড়িতে কান্নার রোল

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত
শামীম রেজা। ছবি: সংগৃহীত

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।

নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা
শোকে আচ্ছন্ন শামীমের পরিবার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।

শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’

বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’

স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত