Ajker Patrika

নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আবাসিক এলাকা

জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
আপডেট : ১৯ মে ২০২২, ১১: ৪৬
নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আবাসিক এলাকা

সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কমতে থাকলেও আজ সকাল থেকে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল ৬টা থেকে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন নতুন আবাসিক এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পৌর এলাকার নতুনপাড়া, হাজীপাড়া, কালিপুর, পশ্চিম তেঘরিয়া, মল্লিকপুর—এসব এলাকার বাসা ও সড়কে পানি বাড়ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের পাঁচ উপজেলার দেড় শতাধিক গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার পানিবন্দী মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মানুষজ। ছাতক পৌর শহরসহ উপজেলার প্রায় সব কটি গ্রামই এখন পানিতে নিমজ্জিত। শিল্পনগরী ছাতক থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পণ্যবাহী বাহন গত তিন দিন ধরে চলাচল করতে পারছে না। এই সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে পানি উঠে যাওয়ায় একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। যে সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ছাতকের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করত, সেই সড়কে এখন মানুষ নৌকা দিয়ে চলাচল করছে। সড়কটিতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। আবার নৌকায় যাতায়াত করতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার প্রান্তিক গ্রামগুলোর শ্রমজীবী মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সড়কে ও বাড়িতে পানি থাকায় কাজেও যেতে পারছে না। এতে করে সরকারি বা বেসরকারি সহায়তার দিকেই তাকিয়ে আছেন তাঁরা।

এ বিষয়ে ছাতক উপজেলার রামপুর গ্রামের শামস উদ্দিন বলেন, ‘তিন দিন যাবৎ আমাদের গ্রামের রাস্তায় কোমরপানি। নৌকা ছাড়া বাইর হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। বাড়ির ভেতরেও পানি। আমি সিলেট যাইতাম জরুরি কাজে, কিন্তু রাস্তায় কোনো গাড়ি চলের না। তাই জরুরি কাজ থাকা সত্ত্বেও যাইতাম পারতাছি না।’ 

গাড়িচালক মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি সিলেট থাইকা ছাতক যাত্রী লইয়া আইছিলাম। তিন দিন আগে ফেরত যাওয়ার সময় দেখি রাস্তার মাঝে পানি। এখন পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার) একই জাগাত বইয়া রইছি। আমার গাড়ির মালিক আমাকে চিল্লাচিল্লি করতাছে। অন্যদিকে পরিবারের লোকজনও কষ্টের মাঝে আছে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার জন্য আরও ১০ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব খাবার যাবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। 

এ বিষয়ে বন্যায় আক্রান্তরা অভিযোগ করে জানান, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যায় আক্রান্তদের তুলনায় ত্রাণসহায়তা একেবারেই অপ্রতুল। বেশির ভাগ আক্রান্তই এখনো পর্যন্ত ত্রাণসহায়তা পাননি।

বন্যার বিষয়ে ছাতক উপজেলার তাজপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, ‘তিন দিন ধইরা আমার বাড়িত পানি। পরিবারের সদস্যরারে লইয়া অন্যের বাড়িত আশ্রয় লইছি। এখন পর্যন্ত একটা মানুষও আমরার খবর লইছে না।’

সৈদরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমান আবেগাপ্লুত কণ্ঠে জানান, ‘আমি দিনমজুর মানুষ। তিন-চাইর দিন ধইরা কোনো কাজকামো যাইতাম পারতাছি না। বাচ্চাকাচ্চারে লইয়া খুব কষ্টে দিন কাটাইতাছি। ঘরের ভেতরে হাঁটুপানি, নাই খাবারও। কেউ এখন পর্যন্ত একটা খবরও লইল না।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ২১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বিদ্যালয়ের ভেতরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পাঠদান সাময়িক বন্ধ রেখেছে আরও ২৮টি বিদ্যালয়ে। ছাতকের নিম্নাঞ্চলে ১৭২, দোয়ারাবাজারে ২৪, সদর উপজেলায় ১৮, তাহিরপুরে পাঁচ এবং শান্তিগঞ্জের একটি স্কুলের যোগাযোগের পথ প্লাবিত হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা নতুন করে প্লাবিতজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুর রহমান জানান, জেলার ২১৬টি বিদ্যালয়ের ভেতরে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ করে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে বন্যাকবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়া অন্যান্য বিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীরা যেতে না পারায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ঠিক রাখার জন্য শিক্ষকেরা স্কুলে যাচ্ছেন। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভারতের মেঘালয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। 

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামছুদ্দোহা জানান, সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, ছাতক পয়েন্টে ১৫৮ সেন্টিমিটার ওপর বয়ে যাচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত এবং আসাম ও চেরাপুঞ্জিতে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। 

খাদ্যসহায়তার বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার অবস্থা বেশি খারাপ। তাই এ দুই উপজেলায় ইতিমধ্যে ১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে আরও খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত