Ajker Patrika

দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২৩, ১৫: ০৬
দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উজানের ঢলে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার পর ধরলা নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে কুড়িগ্রামে নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

নাগেশ্বরীতে দুধকুমার নদের পানি একটি গ্রামীণ সড়ক উপচে অন্তত পাঁচটি গ্রামে প্রবেশ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী জানায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় ওই সড়কটি মূলত বন্যার পানি ঠেকানোর কাজ করে থাকে।  

আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদ বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার এবং সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী দুই তিন দিন পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’

পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলার পানি সদরের সেতু পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে তিস্তার পানিও। 

পাউবোর পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ছয় দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। এতে জেলার উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলসহ নদ-নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। 

তবে পূর্বাভাসের চেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সব কটি নদ-নদীর পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে তীরবর্তী হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে বসতবাড়ি ছেড়েছে। 

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সদরের পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, হলোখানা ও ভোগডাঙা ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ও সাহেবের আলগা ইউনিয়ন; দুধকুমার অববাহিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীরঝাড় ইউনিয়ন, নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ, বল্লভের খাস, নারায়ণপুর, নুনখাওয়া ও বামনডাঙা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বাড়ার কারণে প্লাবিত এলাকার পরিধি বাড়ছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা করছে নদ-নদীতীরবর্তী বাসিন্দারা। 

দুধকুমার নদের পানি বেড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মুরিয়া ও আনসার হাট এলাকায় একটি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তবে পাউবো বলছে, সেটি তাদের কোনো বাঁধ নয়, একটি গ্রামীণ সড়ক। এর আগে সড়কটির ঢালু অংশে জিও ব্যাগ ফেলে সেটি রক্ষার চেষ্টা করলেও নদের পানি বাড়ায় তা উপচে গেছে বলে জানিয়েছেন পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

নদ–নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষস্থানীয়রা বলছেন, বাঁধটি উপচে যাওয়ায় সেনপাড়া, ধনিটারি, নামাহাইল্লা ও তেলিপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পানির চাপে যেকোনো সময় বাঁধটি ভেঙে যেতে পারে। 

কুড়িগ্রাম সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোবের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘ভাই, শুধু পানি আর পানি। এমন করে পানি বাড়লে ২০১৭ সালের বন্যার মতো হবে।’ 

নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ফাঁন্দেরচর গ্রামের চন্দ্রবানু বলেন, ‘আইজ তিন দিন থাইকা ঘরেত পানি। অহন আর থাহা যাইতেছে না। সবকিছু লইয়া উঁচা জায়গায় যাই। নাইলে পানিতে ডুইবা মরণ লাগব।’ বাড়ির লোকজনসহ গরু ও হাঁস নিয়ে পাশের গ্রামের একটি ঈদগাহ মাঠে আপাতত আশ্রয় নেবেন বলে জানান চন্দ্রবানু ও তাঁর স্বামী মেহের জামাল। 
শুধু চন্দ্রবানু-মেহের জামালের পরিবার নয়, ফান্দেরচর গ্রামসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অনেক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন। 

আজ শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, এখনো উপজেলা পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। বিকেল নাগাদ প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে। এর পরই সরকারিভাবে সহায়তা বরাদ্দ ও বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ সাদাত বলেন, ‘উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেশ কিছু বাড়িঘরে পানিও প্রবেশ করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।’ 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার মজুত এবং আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় নৌকা প্রস্তুত রেখেছি। পশুখাদ্যের যেন ঘাটতি না হয়, সেই প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রেখেছি।’ 

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বাড়ছে। ধরলা ও দুধকুমার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বাড়বে। পূর্বাভাস অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে আগামী ১৮-১৯ জুলাই বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। এতে করে নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এরপর পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাটোরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

নলডাঙ্গা (নাটোর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সান্তাহার জিআরপি পুলিশকে সংবাদ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, মাধনগর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে একজন মধ্যবয়সী নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেন ওই নারী কোনো কারণে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন। পরে অনেক সময় কোনো নড়াচড়া না করায় তাঁদের মধ্যে সন্দেহ হলে তাঁরা ওই নারীকে ডেকে তোলার চেষ্টা করেও পারেননি। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে নিশ্চিত হন ওই নারী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সান্তাহার জিআরপি পুলিশ।

সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, তাঁরা মাধনগর রেলস্টেশনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে একটি টিম পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
চট্টগ্রামের রাউজানে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পেয়ে আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের রাউজানে বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পেয়ে আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় তিনটি বসতঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ঘরগুলোর বাসিন্দারা বেড়া ভেঙে বাইরে বের হয়ে রক্ষা পান।

গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আজ শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে প্রথমে বিমল তালুকদার নামের এক ব্যক্তির ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিমল আগুনের শিখা দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পান। পরে ঘরের বেড়া ভেঙে প্রাণে রক্ষা পান। তবে আগুনে তাঁর ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

একই সময় বিমলের বসতঘরের পাশে অমল তালুকদারের ঘরের দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ করে একটি প্যান্টে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তাঁর ঘরের কয়েক শ ফুট দূরত্বে বাবুল দাশ নামে এক ব্যক্তির ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। টের পেয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজা বন্ধ পেয়ে টিন কেটে বের হন ওই পরিবারের সদস্যরা। এ সময় লিটন দাশ নামের এক ব্যক্তি আহত হন।

খবর পেয়ে আজ শনিবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজলের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাঁরা দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সিরাজুল ইসলামসহ একটি দল। এ সময় সিরাজুল ইসলাম অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জিয়াউল আহসানের পৈতৃক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪০
জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়। ছবি: সংগৃহীত
জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী ও খুন-গুম হত্যা মামলায় কারাবন্দী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের বরিশাল নগরীর পৈতৃক বাড়িতে হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল যুবক এই হামলা করে। তবে তারা ভবনের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বিএম কলেজের অদূরে জিয়াউলের পৈতৃক নিবাস। সীমানা প্রাচীরঘেরা বাড়িতে তাঁর বাবার পুরোনো ভবন ছাড়াও ভাই-বোনদের যৌথ একটি বহুতল ভবন রয়েছে। এ বাড়িতে আগে থাকতেন জিয়াউল আহসানের বড় ভাই বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক ও ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান বিপ্লব। জিয়াউল আহসান ছাড়া অন্য দুই ভাই আত্মগোপনে রয়েছেন। বর্তমানে দুটি ভবনেই ভাড়াটিয়ারা বাস করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

হামলার ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে প্রথম দফায় ১০-১৫ জন যুবক গিয়েছিল। বাড়িতে প্রবেশের প্রধান গেট তালা দেওয়া থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরও বেশি যুবক এসে দ্বিতীয় দফায় ওই বাসায় যায়। তখন একদল যুবক দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে যায় এবং আরেক দল গেটের বাইরে ছিল। তবে ভবনের প্রধান ফটক আটকানো থাকায় যুবকেরা ভবনের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। বাইর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তিনতলা পর্যন্ত জানালার কাচ ভাঙচুর করতে পেরেছে।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভবনের ভাড়াটিয়াদের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওই যুবকেরা।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনে অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। এর আগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। তারা বাড়ির মধ্যে ইটপাটকেল এবং জানালার কাচ ভাঙচুরের আলামত পেয়েছেন। এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাপ স্বতন্ত্র, বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময় উত্তর দেবে: রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: 
বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা আজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাপের মতো বেটিরও কপালে “স্বতন্ত্র” (প্রার্থী) আছে কি না? বাপ স্বতন্ত্র (প্রার্থী ছিলেন), বেটিও স্বতন্ত্র কি না, সময়ই এর উত্তর দেবে।’

আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুল্লা আবর আলী বাজার খেলার মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় করে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন এ আয়োজন করে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী দেওয়া হয়নি। আসনটিতে মনোনয়নপ্রত্যাশী রুমিন ফারহানা নিয়মিত সভা-সমাবেশ করে আসছেন।

দোয়া ও আলোচনা সভায় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৭৩ সালে জনগণের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বতন্ত্র হলেও তখন জনগণ ভুল করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আমার বাবাকে জিততে দেননি।’

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমার রাজনীতির আদর্শ ও পথপ্রদর্শক খালেদা জিয়া। তিনি এ দেশের মানুষের পালস বুঝতেন। কোনো দিন দেশ ছেড়ে যাননি। আমি সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ। এখানকার মানুষ যা বলবে, আমি তাই করব।’

জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনার প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, ‘মনোনয়নপত্র আমি কিনব না। এটি আমার এলাকার ভোটারদের মনোনয়ন। তারা চাইলে কিনবে, আমি কিনব না। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার মানুষ ও গণমাধ্যম। আপনাদের মোবাইল ও ক্যামেরার চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র আর কিছু নেই। অনিয়ম দেখলে সঙ্গে সঙ্গে জানাবেন।’

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘যদি এত ভাই থেকেও কেউ নিরাপত্তা দিতে না পারেন, তবে সেটাকে আল্লাহর ফয়সালা হিসেবে মেনে নেব।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. মালু মিয়া। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত