Ajker Patrika

উত্তরের কয়েক জেলায় ভাঙন-পানিবন্দীতে দিশেহারা মানুষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৪০
তিস্তার ভাঙনের কবলে পীরগাছার পানিয়ালঘাট এলাকা (বাঁয়ে)। যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পানিবন্দী মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
তিস্তার ভাঙনের কবলে পীরগাছার পানিয়ালঘাট এলাকা (বাঁয়ে)। যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পানিবন্দী মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নদ-নদীতে পানি বাড়ায় রাজশাহী বিভাগের পাঁচ জেলায় কমপক্ষে সাড়ে ছয় হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে অনেক বাড়িঘর। গতকাল রোববার সকাল থেকে পদ্মার পানি কমছে। এর ফলে ভাঙন আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে নদীপারের মানুষ। এদিকে রংপুরের পীরগাছায় অর্ধশত পরিবার এখন নদীভাঙনের কারণে অসহায় দিন পার করছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

রাজশাহী বিভাগে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, এরপর রাজশাহী। বসতবাড়ি তলিয়েছে নাটোর, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জে। সরকারি হিসাবে রাজশাহীতে ১ হাজার ৭৩৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাড়ে ৪ হাজার, নাটোরে ৮০ ও নওগাঁয় ২৫ পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা আরও বেশি।

এদিকে যমুনায় পানি বাড়ার কারণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের হাটপাঁচিল গ্রামের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১০টি বাড়িঘর এক সপ্তাহ ধরে পানিতে ডুবে আছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজাহার আলী বলেন, পদ্মার পানি বাড়ায় বন্যায় শিবগঞ্জের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এই উপজেলায় ১ হাজার ৪০০ হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১৩ টন চাল এবং ৭৫ বস্তা শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ইউএনও নুরুল ইসলাম জানান, দুই ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়েছে দুই হাজার পরিবার। প্লাবিত হয়েছে ৬০০ হেক্টর ফসলি জমি।

পদ্মার পানি বাড়ায় রাজশাহীর বাঘা, পবা, গোদাগাড়ী ও চারঘাটের অনেক পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ থেকে এবারও অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও গবাদিপশু নিয়ে এ পাড়ে আশ্রয় নিয়েছে। সবচেয়ে কষ্টে আছে বাঘারচক নারায়ণপুর, পবার মিডিল চর ও চর মাজারদিয়ারের বাসিন্দারা। মিডিল চরের চারপাশ ডুবে গেছে। চর মাজারদিয়ায় সব কটি ঘরবাড়ি হাঁটুসমান কিংবা গলাপানিতে ডুবে গেছে। ফলে অনেকে গবাদিপশু নিয়ে এ পাড়ে রাজশাহী শহরের বেতার মাঠে আশ্রয় নিয়েছে।

রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল হাই সরকার জানান, জেলায় পানিবন্দী পরিবারের সংখ্যা ১ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যে বাঘা, চারঘাট, পবা, গোদাগাড়ী ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ড রয়েছে। তাঁরা এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৮৫ টন চাল, ৪ লাখ টাকা এবং ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রোববার দুপুর ১২টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ৩৫ মিটার।

এদিকে আত্রাই নদের পানি বাড়ায় কমপক্ষে ২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নওগাঁর রানীনগর ও আত্রাই এবং রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়।

নাটোরের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম শাহা আলম মোল্লা জানান, লালপুর উপজেলায় পদ্মাতীরের ৮০টি পরিবার পানিবন্দী হয়েছে। বন্যা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য নাটোরের সব কটি উপজেলায় মোট ২০০ টন চাল এবং ৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি নিচু এলাকায় ঢুকেছে। সিরাজগঞ্জের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল বাছেদ জানান, যমুনা নদীর পানি রোববার সকালে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

বগুড়ার ত্রাণ কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জানান, সারিয়াকান্দি উপজেলায় নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে। এখানে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শাহজাদপুরের ইউএনও মো. কামরুজ্জামান বলেন, হাটপাঁচিল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা অনুযায়ী সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।

রংপুরের পীরগাছায় তিস্তা নদীর পানি এই বাড়ছে তো এই কমছে। পানি সামান্য কমতে থাকলে শুরু হয় ভাঙন। ফলে এই উপজেলায় অন্তত ৫০টি পরিবার এখন নদীভাঙনের কবলে পড়েছে। উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পানিয়ালের ঘাটসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ভাঙন দেখা দিয়েছে।

গত শনিবার পানিয়ালঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার ৭০-৮০টি পরিবার গত ১০-১৫ দিনে তিস্তার ভাঙনে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।

ছাওলার ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, ভাঙন রোধে পাউবো থেকে ৬ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ৫৫টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আলতাব হোসেন বলেন, নদীভাঙনের শিকার ৩০টি পরিবারকে এক বান্ডিল করে ঢেউটিন এবং ৩ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও বরাদ্দের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

পীরগাছার ইউএনও শেখ মো. রাসেল বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। সরকারিভাবে যা বরাদ্দ ছিল, তা এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং বরাদ্দ পেলে তা বিতরণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত