Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষায় বাধা, ইট দিয়ে শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদল নেতা

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় পরীক্ষা নিতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদল নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনায় পরীক্ষা নিতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদল নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা নিতে বাধা দেওয়ায় ইট দিয়ে এক সহকারী শিক্ষকের মাথা ফাটালেন যুবদলের নেতা ও তাঁর সহযোগীরা। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বনওয়ারীনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষকের নাম রাজীব বিশ্বাস, তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। অপর দিকে অভিযুক্ত নয়ন হোসেন উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে পরীক্ষা দিতে আসা শিশু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের স্কুলে ঢুকতে দেননি সহকারী শিক্ষকেরা। স্কুলগেটে শিক্ষকেরা জানিয়ে দেন, আজ ক্লাস বা পরীক্ষা কিছুই হবে না, চলে যান। বিভ্রান্ত ও ভীত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হন অভিভাবকেরা

এরপর স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক আব্দুর রবের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীদের আবার স্কুলে ডেকে এনে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এ বিষয় জানতে পেরে উপজেলার কয়েক শ শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হন। তাঁদের থামাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ফোন করে জানান। পরে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন, জবা ও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সেখানে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন। এ সময় তাঁরা সহকারী শিক্ষক রাজীব বিশ্বাসের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক জখম করেন।

আহত রাজীব বিশ্বাস বলেন, ‘চলমান শাটডাউনে সব পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ছিল। সেই সিদ্ধান্ত না মেনে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। আমরা সেখানে উপস্থিত হলে তিনি সন্ত্রাসী ডেকে এনে আমাদের মারধর করান।

আমার মাথায় ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। অন্য শিক্ষকেরা না থাকলে আমাকে মেরে ফেলত।’ সন্ত্রাসীদের চেনেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি যুবদল নেতা নয়ন ও জবাকে চিনেছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নয়ন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা জানতে পারি, সহকারী শিক্ষকেরা শিশুশিক্ষার্থীদের রুমে আটকে রেখেছেন। বিষয়টি দেখতে গেলে শিক্ষকেরা আমাদের ওপর চড়াও হন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।’ তাই ঘটনার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান।

ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আযম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ