প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:
প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নতুন রেলসেতুটি নির্মাণে ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়ার সম্ভাব্যতা যাচাই রেলওয়েকে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ঠিক ৩০০ মিটার উত্তরে নতুন ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেলসেতু নির্মাণের জন্য অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাথমিকভাবে। এ ছাড়া সেতুর উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ করা হবে সেতুর সংযোগ লাইন হিসেবে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত হলে সেতুর নকশার কাজ শুরু হবে। নতুন সেতু নির্মাণে প্রাথমিকভাবে ৯ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই এবং নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যয় কমবেশি হতে পারে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘বিদ্যমান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। সেতুর ডিজাইনসহ সবকিছু নতুন করে করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা নামে একটি প্রকল্প চলছে রেলওয়েতে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও ডিটেইল ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মধ্যে নতুন হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষাও আছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এ সমীক্ষা প্রকল্প চলছে। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পরামর্শক হিসেবে যৌথ উদ্যোগে কাজটি পেয়েছে জাপানের ওসিজি, ফ্রান্সের ইজিআইএস, মালয়েশিয়ার এইচএসএস এবং বাংলাদেশের সুদেব কনসাল্ট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ কাজে পরামর্শক খাতে ব্যয় হচ্ছে ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০৬ টাকা।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সুবিধাদি প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের পরিচালক মো. আবিদুর রহমান বলেন, এখনো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে।
ডিটেইল ডিজাইন এবং সম্ভবত সমীক্ষা চূড়ান্ত হলে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হবে। তারপর ডিপিপি রেল মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে, যেগুলোর কাজ ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
এদিকে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রেলওয়ের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রয়েছে, তা শত বছরের পুরোনো। এটি ঐতিহাসিক হলেও ট্রেন চলাচলে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। নতুন ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনবিশিষ্ট ব্রিজ নির্মাণ করা হলে রেলযোগাযোগ আরও সহজ এবং গতিশীল হবে।
১১০ বছরে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ: পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে ১১০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। একদিকে অপরূপ সৌন্দর্য, অন্যদিকে ইতিহাসের নিদর্শন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে আজও এটির ওপর দিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে ট্রেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ১০০ বছর পূর্ণ করে। এরপর রেল বিভাগ একটি মূল্যায়ন (অ্যাসেসমেন্ট) করে, যাতে দেখা যায়—এ ব্রিজ দিয়ে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নিরাপদে ট্রেন চলাচল সম্ভব, যদি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত থাকে।
ব্রিজের স্টিল অংশ ও রেললাইনসম্পর্কিত ফিটিংস নিয়মিত মেরামত করা হয়। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ৫ বছরে একবার ব্রিজটি রং করা হয় এবং ৩ বছর পরপর বিয়ারিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝুঁকিমুক্তভাবে ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কারণ যুদ্ধের সময় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সংস্কারের পর সর্বোচ্চ গতি ছিল ৪০ কিলোমিটার। কিন্তু সেতুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন চলার গতিও কমেছে।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে মোট ২৮টি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে, যার মধ্যে ১৮টি যাত্রীবাহী ও ১০টি মালবাহী।
অবিভক্ত ভারতের কলকাতার সঙ্গে আসাম ও ইস্টার্ন বেঙ্গলের যোগাযোগ সহজ করতে ১৮৮৯ সালে পদ্মা নদীর ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেয় ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ১৯০৮ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। শুরুতে একমুখী লাইনের পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তী সময়ে ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। তারপর ঐতিহাসিক এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯১০ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৫ সালে। ব্যয় হয় ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি। ১৯১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চলে এবং ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ।
আরও খবর পড়ুন:

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৪ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চর জালালের পাড়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে বাবু ওরফে দিপু এবং জালাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল হোসেন। আহত হয়েছেন একই এলাকার শ্যামল মিয়া। হতাহত তিনজনই চাচা-ভাতিজা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কেন্দুয়ার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে জেলা শহরের যাচ্ছিলেন তিনজন। বেলটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী একটি মরিচবোঝাই ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনজন। তাঁদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দিপু ও রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত শ্যামলকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামাল উদ্দিন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্ত চলছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান। আমরা ট্রাকটি আটক করেছি, কিন্তু চালক পালিয়েছে।’

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৪ মিনিট আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগেখান রফিক, বরিশাল

বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সুযোগ নিচ্ছেন সারের পরিবেশকেরা (ডিলার)। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সারের মূল্য বস্তাপ্রতি সাড়ে তিন শ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি বাড়তি টাকা দিয়েও সময়মতো সার মিলছে না।
কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভিন্ন উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এই দুই উপজেলায় ঢুকে ব্যাপক তরমুজ চাষ শুরু করায় কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তরমুজচাষি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি গলাচিপা থেকে এসে তরমুজ চাষের জন্য চরের প্রায় ৩০ একর জমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। তাঁর দরকার ১০০ বস্তা, অথচ স্থানীয় ডিলাররা দিচ্ছেন ১০ বস্তা। তার ওপর দামও বেশি।
আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩৫০, ড্যাব ১ হাজার ৪০০ দরে কিনেছি; যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক বেশি।’
আরেক তরমুজচাষি কেনান হোসেন বলেন, ‘হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ সীমান্তের বাউসিয়ার চরে ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে এসে নতুন এ জমিতে চাষ করতে গিয়ে সারসংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতি বস্তা ড্যাপ সার সরকারনির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬৮০ এবং ইউরিয়া ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৩৮০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার ১০০ বস্তা সার লাগবে, কিন্তু ডিলার দিয়েছে ৫০ বস্তা। এখন তরমুজের চারা বড় হওয়ার সময়। পর্যাপ্ত সার না দিলে তরমুজের ফলন ভালো হবে না।’
জানা গেছে, জেলার হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়জালিয়া, মেমানিয়া এবং মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর, আলিমাবাদ, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত প্রতি বস্তা ইউরিয়ার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৫০, টিএসপির বস্তা ১ হাজার ৩৫০, ড্যাপ ১ হাজার ৫০ টাকা। ডিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে সারের মূল্য বেশি নিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘গত বছর হিজলায় মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবাদ হচ্ছে ২০০ হেক্টর জমিতে। এর কারণ হলো অন্য উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এসে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।’
এদিকে মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের তরমুজচাষি সোহাগ জমাদ্দার বলেন, ‘এবার তিন একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু সারের দাম বেশি। চাহিদামতো পাওয়াও যাচ্ছে না।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর বসু বলেন, ‘গত বছর মেহেন্দীগঞ্জে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার ৩০০ হেক্টর বেড়ে মোট ৫০০ হেক্টরে আবাদ হচ্ছে। এখানে ভোলা ও পটুয়াখালীর চাষিরা এসে তরমুজ চাষ করছেন। যে কারণে এ বছর চাহিদার চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টন সার বেশি লাগতে পারে। মৌসুমি চাষিরা যখন সার বেশি চান, তখন হয়তো ডিলার সেই সুযোগ নিচ্ছেন। তবু আমরা সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকায় এবার তরমুজ আবাদ হচ্ছে। এ জন্য আমরা অতিরিক্ত সার চেয়েছি। তবে ডিলাররা অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ বুঝে বেশি টাকা নিচ্ছেন কি না জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সুযোগ নিচ্ছেন সারের পরিবেশকেরা (ডিলার)। তাঁরা বিভিন্ন ধরনের সারের মূল্য বস্তাপ্রতি সাড়ে তিন শ টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন বলে কৃষকেরা অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি বাড়তি টাকা দিয়েও সময়মতো সার মিলছে না।
কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভিন্ন উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এই দুই উপজেলায় ঢুকে ব্যাপক তরমুজ চাষ শুরু করায় কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।
হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তরমুজচাষি আলাউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি গলাচিপা থেকে এসে তরমুজ চাষের জন্য চরের প্রায় ৩০ একর জমি ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। তাঁর দরকার ১০০ বস্তা, অথচ স্থানীয় ডিলাররা দিচ্ছেন ১০ বস্তা। তার ওপর দামও বেশি।
আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বস্তা ইউরিয়া ১ হাজার ৪০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩৫০, ড্যাব ১ হাজার ৪০০ দরে কিনেছি; যা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অনেক বেশি।’
আরেক তরমুজচাষি কেনান হোসেন বলেন, ‘হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ সীমান্তের বাউসিয়ার চরে ৩০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থেকে এসে নতুন এ জমিতে চাষ করতে গিয়ে সারসংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতি বস্তা ড্যাপ সার সরকারনির্ধারিত ১ হাজার ৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৬৮০ এবং ইউরিয়া ১ হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে ১ হাজার ৩৮০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমার ১০০ বস্তা সার লাগবে, কিন্তু ডিলার দিয়েছে ৫০ বস্তা। এখন তরমুজের চারা বড় হওয়ার সময়। পর্যাপ্ত সার না দিলে তরমুজের ফলন ভালো হবে না।’
জানা গেছে, জেলার হিজলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়জালিয়া, মেমানিয়া এবং মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর, আলিমাবাদ, জাঙ্গালিয়া, চরগোপালপুর, দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে ব্যাপক তরমুজের চাষ শুরু হয়েছে।
জানতে চাইলে হিজলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘সরকারনির্ধারিত প্রতি বস্তা ইউরিয়ার খুচরা মূল্য ১ হাজার ৩৫০, টিএসপির বস্তা ১ হাজার ৩৫০, ড্যাপ ১ হাজার ৫০ টাকা। ডিলাররা কৃষকদের কাছ থেকে সারের মূল্য বেশি নিলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আহসানুল হাবিব আল জনি বলেন, ‘গত বছর হিজলায় মাত্র ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আবাদ হচ্ছে ২০০ হেক্টর জমিতে। এর কারণ হলো অন্য উপজেলা থেকে মৌসুমি চাষিরা এসে তরমুজ চাষ শুরু করেছেন।’
এদিকে মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের তরমুজচাষি সোহাগ জমাদ্দার বলেন, ‘এবার তিন একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কিন্তু সারের দাম বেশি। চাহিদামতো পাওয়াও যাচ্ছে না।’
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর বসু বলেন, ‘গত বছর মেহেন্দীগঞ্জে ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার ৩০০ হেক্টর বেড়ে মোট ৫০০ হেক্টরে আবাদ হচ্ছে। এখানে ভোলা ও পটুয়াখালীর চাষিরা এসে তরমুজ চাষ করছেন। যে কারণে এ বছর চাহিদার চেয়ে ২০ থেকে ৫০ টন সার বেশি লাগতে পারে। মৌসুমি চাষিরা যখন সার বেশি চান, তখন হয়তো ডিলার সেই সুযোগ নিচ্ছেন। তবু আমরা সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তদারকি করব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশালের উপপরিচালক মোসাম্মৎ মরিয়ম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জে নতুন নতুন এলাকায় এবার তরমুজ আবাদ হচ্ছে। এ জন্য আমরা অতিরিক্ত সার চেয়েছি। তবে ডিলাররা অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ বুঝে বেশি টাকা নিচ্ছেন কি না জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৪ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
পুকুর ইজারা পাওয়া রায়হান আলী রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক। তাঁর বাবা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। অয়েজ উদ্দিন গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর ছেলেকে সরকারি পুকুর ইজারা দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রায়হানের মামলা ও পুকুর ইজারাসংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, গোদাগাড়ী থানা পোড়ানোর মামলায় গত ৮ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন যুবলীগ নেতা রায়হান আলী। এ সময় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এরপর ১৯ মে গোদাগাড়ী উপজেলার সরকারি খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কারাগারে যাওয়া রায়হান আলী প্রকৃত মৎস্যচাষি না হয়েও আওয়ামী আমলে প্রভাব খাটিয়ে আশার আলো মৎস্যচাষি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন নেন। হয়ে যান সমিতির সভাপতিও। তিনি জেলে যাওয়ার পর পুকুর ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে এ সমিতির নামে তিনটি পুকুর ইজারা নিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে স্বাক্ষরও ছিল রায়হান আলীর।
২৭ অক্টোবর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি রায়হানের আশার আলো সমিতির নামে দুটি পুকুর ইজারা দেয়। সমিতিটি মোহনপুর ইউনিয়নের ৫৬ নম্বর কোচারপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ একরের একটি পুকুর এবং ৬৭ নম্বর আইহাই মৌজার ৫০০ নম্বর দাগের দেড় একরের আরেকটি পুকুর ইজারা পায়। আশার আলো ৭৯ নম্বর মিরপুর মৌজার ২৭২ নম্বর দাগের শূন্য দশমিক ৯৯ একরের আরেকটি পুকুর ইজারা চেয়েছিল। এ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে সারাংপুর মধ্যপাড়া মৎস্যচাষি সমিতির নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একটি সমিতিকে দুটির বেশি পুকুর ইজারা দেওয়া যায় না। তাই মিরপুরের পুকুরটি সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতির নামে দেওয়া হয়েছে। পুকুর তিনটি পেয়েছে একই চক্র। সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতিরও সভাপতি যুবলীগ নেতা রায়হান আলীর বড় ভাই তাইনুস আলী। তিনিও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। তিনি গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক।
এদিকে যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাদাত রত্নকে লিখিতভাবে জানান, তিনি পুকুর ইজারা গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। ইজারা বাতিলের আবেদনও জানান তিনি।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তিন পুকুর হাতিয়ে নিয়েছে পৌর এলাকার সারেংপুর মহল্লার মাহফুজ বারীর সিন্ডিকেট। মাহফুজ বারীও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী।
যোগাযোগ করা হলে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে মাহফুজুল বারী বলেন, ‘আমি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে কিছু বলব না। ব্যস্ত আছি। পরে এ বিষয়ে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাব।’ পরে আর ফোন দেননি তিনি।
ইউএনও ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাজমুস সাদাত রত্ন বলেন, ‘এ ঘটনা আগের ইউএনওর সময়ের। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিতে হবে।’

রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৮ মে কারাগারে যান রায়হান আলী। ছিলেন ৪ জুন পর্যন্ত। অথচ এই সময়ের মধ্যে তাঁর নামে খাসপুকুর ইজারা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদন মঞ্জুরও করেছে। তাঁর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে ৯ বিঘার দুটি পুকুর।
পুকুর ইজারা পাওয়া রায়হান আলী রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক। তাঁর বাবা গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস। অয়েজ উদ্দিন গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁর ছেলেকে সরকারি পুকুর ইজারা দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রায়হানের মামলা ও পুকুর ইজারাসংক্রান্ত নথিপত্রে দেখা গেছে, গোদাগাড়ী থানা পোড়ানোর মামলায় গত ৮ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন যুবলীগ নেতা রায়হান আলী। এ সময় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। এরপর ১৯ মে গোদাগাড়ী উপজেলার সরকারি খাসপুকুর ইজারা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
কারাগারে যাওয়া রায়হান আলী প্রকৃত মৎস্যচাষি না হয়েও আওয়ামী আমলে প্রভাব খাটিয়ে আশার আলো মৎস্যচাষি লিমিটেড নামের একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন নেন। হয়ে যান সমিতির সভাপতিও। তিনি জেলে যাওয়ার পর পুকুর ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে এ সমিতির নামে তিনটি পুকুর ইজারা নিতে আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে স্বাক্ষরও ছিল রায়হান আলীর।
২৭ অক্টোবর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি রায়হানের আশার আলো সমিতির নামে দুটি পুকুর ইজারা দেয়। সমিতিটি মোহনপুর ইউনিয়নের ৫৬ নম্বর কোচারপাড়া মৌজার ১ নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত ২৪৯ নম্বর দাগের ১ দশমিক ৫৮ একরের একটি পুকুর এবং ৬৭ নম্বর আইহাই মৌজার ৫০০ নম্বর দাগের দেড় একরের আরেকটি পুকুর ইজারা পায়। আশার আলো ৭৯ নম্বর মিরপুর মৌজার ২৭২ নম্বর দাগের শূন্য দশমিক ৯৯ একরের আরেকটি পুকুর ইজারা চেয়েছিল। এ পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে সারাংপুর মধ্যপাড়া মৎস্যচাষি সমিতির নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একটি সমিতিকে দুটির বেশি পুকুর ইজারা দেওয়া যায় না। তাই মিরপুরের পুকুরটি সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতির নামে দেওয়া হয়েছে। পুকুর তিনটি পেয়েছে একই চক্র। সারাংপুর মধ্যপাড়া সমিতিরও সভাপতি যুবলীগ নেতা রায়হান আলীর বড় ভাই তাইনুস আলী। তিনিও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। তিনি গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের একজন শিক্ষক।
এদিকে যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এবং উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাদাত রত্নকে লিখিতভাবে জানান, তিনি পুকুর ইজারা গ্রহণের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। ইজারা বাতিলের আবেদনও জানান তিনি।
তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই তিন পুকুর হাতিয়ে নিয়েছে পৌর এলাকার সারেংপুর মহল্লার মাহফুজ বারীর সিন্ডিকেট। মাহফুজ বারীও প্রকৃত মৎস্যচাষি নন। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী।
যোগাযোগ করা হলে জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি আংশিক স্বীকার করে মাহফুজুল বারী বলেন, ‘আমি জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে কিছু বলব না। ব্যস্ত আছি। পরে এ বিষয়ে আপনাকে ফোন দিয়ে জানাব।’ পরে আর ফোন দেননি তিনি।
ইউএনও ও উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাজমুস সাদাত রত্ন বলেন, ‘এ ঘটনা আগের ইউএনওর সময়ের। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিতে হবে।’

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে পদ্মা নদীর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। শতবর্ষী এ সেতুতে ট্রেন চলাচল ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাশে নতুন আরেকটি রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
০৫ জুলাই ২০২৫
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
৪ মিনিট আগে
জামালপুর পৌর এলাকার বেলটিয়ায় টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
বরিশালের হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরে রসালো ফল তরমুজ চাষে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। গত বছর উপজেলা দুটিতে ২০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর তা সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৭০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এর ফলে দুই উপজেলায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে