এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনমূলে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে যোগদানের আদেশপ্রাপ্ত হন টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি ওই প্রজ্ঞাপন আংশিক সংশোধনে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে মোহাম্মদ ফেরদৌসকে যোগদান করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসকে পদায়ন করা কর্মস্থল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যোগদান করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এখনো কোনো সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন মোহাম্মদ ফেরদৌস। তিনি ২০২০ সালের ৪ জুন ইসলামপুরে যোগদান করেন। উপজেলার ছয়টি এটিও পদের মধ্যে চারটি পদই শূন্য রয়েছে। ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায়। এ ছাড়া আরও রয়েছে ৩০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখভাল করে থাকেন টিও। কিন্তু অনেক দিন ধরে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ভেঙে পড়েছে এই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। বেশির ভাগ কক্ষে ঝুলছে তালা। কয়েকটি কক্ষ খোলা থাকলেও নেই কোনো কর্মকর্তা ও লোকজন। টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত। তাঁর অনুপস্থিতিতে দাপ্তরিক কাজ সারছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী। মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করছেন এটিও মো. আব্দুল গফুর খান। মূলত এই দুজন কর্মকর্তা দিয়েই চলছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ডি-বালিয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন মোহন বলেন, ‘এমনিতেই বিদ্যালয়গুলো এবং শিক্ষকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ছয়টি এটিও পদের স্থলে দুজন কর্মরত। এরপর টিও স্যার অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে না থাকায় বিদ্যালয়গুলো যথাযথ দেখভাল করা হচ্ছে না। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক ও জেজেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান খান বলেন, ‘টিও স্যার অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয় মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। দাপ্তরিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সৃষ্টি হয়েছে নানাবিধ জটিলতা। টিও পদ শূন্য রেখে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার কোনোভাবেই চলতে পারে না। কাজেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি ফেরদৌস স্যার। এমনিতেই জনবলের সংকট, তার মধ্যে স্যার নেই। তিনি অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় দাপ্তরিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। মাত্র দুজন এটিও দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষা বিভাগ চালানো খুবই কষ্টকর। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধান হওয়া দরকার।’
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে কর্মস্থলে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শুনেছি পদোন্নতি এবং যোগদানের বিষয়ে দুই দিনের ব্যবধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুই প্রজ্ঞাপন জারি করায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন। তবে ওই বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত কাগজপত্র পাইনি। বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘কর্মস্থলে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইউএনওকে বলা হয়েছে। আশা রাখি ইতিমধ্যে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা রাখি, শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হয়। তিনি কল না ধরায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ মজুমদার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যোগদানের নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখনো এই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস যোগদান করেননি। কী কারণে যোগদান করছেন না, সেটাও তিনি আমাদেরকে জানাননি।’

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনমূলে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে যোগদানের আদেশপ্রাপ্ত হন টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি ওই প্রজ্ঞাপন আংশিক সংশোধনে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে মোহাম্মদ ফেরদৌসকে যোগদান করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসকে পদায়ন করা কর্মস্থল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যোগদান করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এখনো কোনো সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন মোহাম্মদ ফেরদৌস। তিনি ২০২০ সালের ৪ জুন ইসলামপুরে যোগদান করেন। উপজেলার ছয়টি এটিও পদের মধ্যে চারটি পদই শূন্য রয়েছে। ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায়। এ ছাড়া আরও রয়েছে ৩০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখভাল করে থাকেন টিও। কিন্তু অনেক দিন ধরে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ভেঙে পড়েছে এই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। বেশির ভাগ কক্ষে ঝুলছে তালা। কয়েকটি কক্ষ খোলা থাকলেও নেই কোনো কর্মকর্তা ও লোকজন। টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত। তাঁর অনুপস্থিতিতে দাপ্তরিক কাজ সারছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী। মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করছেন এটিও মো. আব্দুল গফুর খান। মূলত এই দুজন কর্মকর্তা দিয়েই চলছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ডি-বালিয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন মোহন বলেন, ‘এমনিতেই বিদ্যালয়গুলো এবং শিক্ষকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ছয়টি এটিও পদের স্থলে দুজন কর্মরত। এরপর টিও স্যার অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে না থাকায় বিদ্যালয়গুলো যথাযথ দেখভাল করা হচ্ছে না। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক ও জেজেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান খান বলেন, ‘টিও স্যার অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয় মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। দাপ্তরিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সৃষ্টি হয়েছে নানাবিধ জটিলতা। টিও পদ শূন্য রেখে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার কোনোভাবেই চলতে পারে না। কাজেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি ফেরদৌস স্যার। এমনিতেই জনবলের সংকট, তার মধ্যে স্যার নেই। তিনি অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় দাপ্তরিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। মাত্র দুজন এটিও দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষা বিভাগ চালানো খুবই কষ্টকর। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধান হওয়া দরকার।’
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে কর্মস্থলে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শুনেছি পদোন্নতি এবং যোগদানের বিষয়ে দুই দিনের ব্যবধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুই প্রজ্ঞাপন জারি করায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন। তবে ওই বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত কাগজপত্র পাইনি। বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘কর্মস্থলে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইউএনওকে বলা হয়েছে। আশা রাখি ইতিমধ্যে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা রাখি, শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হয়। তিনি কল না ধরায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ মজুমদার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যোগদানের নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখনো এই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস যোগদান করেননি। কী কারণে যোগদান করছেন না, সেটাও তিনি আমাদেরকে জানাননি।’
এম. কে. দোলন বিশ্বাস, ইসলামপুর (জামালপুর)

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনমূলে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে যোগদানের আদেশপ্রাপ্ত হন টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি ওই প্রজ্ঞাপন আংশিক সংশোধনে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে মোহাম্মদ ফেরদৌসকে যোগদান করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসকে পদায়ন করা কর্মস্থল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যোগদান করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এখনো কোনো সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন মোহাম্মদ ফেরদৌস। তিনি ২০২০ সালের ৪ জুন ইসলামপুরে যোগদান করেন। উপজেলার ছয়টি এটিও পদের মধ্যে চারটি পদই শূন্য রয়েছে। ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায়। এ ছাড়া আরও রয়েছে ৩০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখভাল করে থাকেন টিও। কিন্তু অনেক দিন ধরে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ভেঙে পড়েছে এই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। বেশির ভাগ কক্ষে ঝুলছে তালা। কয়েকটি কক্ষ খোলা থাকলেও নেই কোনো কর্মকর্তা ও লোকজন। টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত। তাঁর অনুপস্থিতিতে দাপ্তরিক কাজ সারছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী। মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করছেন এটিও মো. আব্দুল গফুর খান। মূলত এই দুজন কর্মকর্তা দিয়েই চলছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ডি-বালিয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন মোহন বলেন, ‘এমনিতেই বিদ্যালয়গুলো এবং শিক্ষকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ছয়টি এটিও পদের স্থলে দুজন কর্মরত। এরপর টিও স্যার অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে না থাকায় বিদ্যালয়গুলো যথাযথ দেখভাল করা হচ্ছে না। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক ও জেজেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান খান বলেন, ‘টিও স্যার অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয় মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। দাপ্তরিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সৃষ্টি হয়েছে নানাবিধ জটিলতা। টিও পদ শূন্য রেখে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার কোনোভাবেই চলতে পারে না। কাজেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি ফেরদৌস স্যার। এমনিতেই জনবলের সংকট, তার মধ্যে স্যার নেই। তিনি অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় দাপ্তরিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। মাত্র দুজন এটিও দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষা বিভাগ চালানো খুবই কষ্টকর। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধান হওয়া দরকার।’
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে কর্মস্থলে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শুনেছি পদোন্নতি এবং যোগদানের বিষয়ে দুই দিনের ব্যবধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুই প্রজ্ঞাপন জারি করায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন। তবে ওই বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত কাগজপত্র পাইনি। বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘কর্মস্থলে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইউএনওকে বলা হয়েছে। আশা রাখি ইতিমধ্যে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা রাখি, শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হয়। তিনি কল না ধরায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ মজুমদার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যোগদানের নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখনো এই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস যোগদান করেননি। কী কারণে যোগদান করছেন না, সেটাও তিনি আমাদেরকে জানাননি।’

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনমূলে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেয়ে জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে যোগদানের আদেশপ্রাপ্ত হন টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস। পরদিন ৮ ফেব্রুয়ারি ওই প্রজ্ঞাপন আংশিক সংশোধনে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে মোহাম্মদ ফেরদৌসকে যোগদান করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসকে পদায়ন করা কর্মস্থল লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি যোগদান করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এখনো কোনো সিনিয়র কর্মকর্তার কাছে টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন মোহাম্মদ ফেরদৌস। তিনি ২০২০ সালের ৪ জুন ইসলামপুরে যোগদান করেন। উপজেলার ছয়টি এটিও পদের মধ্যে চারটি পদই শূন্য রয়েছে। ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায়। এ ছাড়া আরও রয়েছে ৩০টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দেখভাল করে থাকেন টিও। কিন্তু অনেক দিন ধরে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ভেঙে পড়েছে এই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। বেশির ভাগ কক্ষে ঝুলছে তালা। কয়েকটি কক্ষ খোলা থাকলেও নেই কোনো কর্মকর্তা ও লোকজন। টিও মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত। তাঁর অনুপস্থিতিতে দাপ্তরিক কাজ সারছেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী। মাঠ পর্যায়ে দেখভাল করছেন এটিও মো. আব্দুল গফুর খান। মূলত এই দুজন কর্মকর্তা দিয়েই চলছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমাজ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ডি-বালিয়ামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসেন মোহন বলেন, ‘এমনিতেই বিদ্যালয়গুলো এবং শিক্ষকদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ছয়টি এটিও পদের স্থলে দুজন কর্মরত। এরপর টিও স্যার অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে না থাকায় বিদ্যালয়গুলো যথাযথ দেখভাল করা হচ্ছে না। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা যেন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক ও জেজেকেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুর রহমান খান বলেন, ‘টিও স্যার অনুপস্থিত থাকায় বিদ্যালয় মেরামতের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। দাপ্তরিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সৃষ্টি হয়েছে নানাবিধ জটিলতা। টিও পদ শূন্য রেখে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার কোনোভাবেই চলতে পারে না। কাজেই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. আইয়ুব আলী বলেন, ‘টিও পদের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেননি ফেরদৌস স্যার। এমনিতেই জনবলের সংকট, তার মধ্যে স্যার নেই। তিনি অনেক দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় দাপ্তরিক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। মাত্র দুজন এটিও দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষা বিভাগ চালানো খুবই কষ্টকর। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি সমাধান হওয়া দরকার।’
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ইতিমধ্যে কর্মস্থলে টিও মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শুনেছি পদোন্নতি এবং যোগদানের বিষয়ে দুই দিনের ব্যবধানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দুই প্রজ্ঞাপন জারি করায় শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেছেন। তবে ওই বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত কাগজপত্র পাইনি। বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, ‘কর্মস্থলে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইউএনওকে বলা হয়েছে। আশা রাখি ইতিমধ্যে তিনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
ইউএনও মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মস্থলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে বিভাগীয় কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা রাখি, শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করা হয়। তিনি কল না ধরায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আজ শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ মজুমদার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যোগদানের নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে গেলেও এখনো এই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস যোগদান করেননি। কী কারণে যোগদান করছেন না, সেটাও তিনি আমাদেরকে জানাননি।’

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আলম। তিনি বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর নয়ানগর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি পেশায় টাইলসের মিস্ত্রি ছিলেন।
ফারুককে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সজিবসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা সবাই একই এলাকায় থাকেন। ঘটনার সময় তাঁরা দেখতে পান, একদল কিশোর ফারুককে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হামলাকারীদের কাউকে তাঁরা চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সজিব। কী কারণে এই হামলা হয়েছে, সে বিষয়েও তাঁরা কিছু জানাতে পারেননি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, নিহতের বুকের ডান পাশে ও কোমরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আলম। তিনি বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর নয়ানগর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি পেশায় টাইলসের মিস্ত্রি ছিলেন।
ফারুককে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সজিবসহ কয়েকজন জানান, তাঁরা সবাই একই এলাকায় থাকেন। ঘটনার সময় তাঁরা দেখতে পান, একদল কিশোর ফারুককে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে হামলাকারীদের কাউকে তাঁরা চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সজিব। কী কারণে এই হামলা হয়েছে, সে বিষয়েও তাঁরা কিছু জানাতে পারেননি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, নিহতের বুকের ডান পাশে ও কোমরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
১৬ মার্চ ২০২৪
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয় থেকে বিজয় শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-২ (কাউখালী, নেছারাবাদ ও ভান্ডারিয়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী। শোভাযাত্রাটি স্বরূপকাঠি পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে নেছারাবাদ উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির প্রার্থী সোহেল মঞ্জুর সুমন। তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি মহান বিজয় দিবসে কোনো বিজয় র্যালি না করলেও একই নির্দেশ অমান্য করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিজয় র্যালি করেছেন, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন।
সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, ‘আমরা বিজয় দিবসে র্যালি করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও জেলা প্রশাসক আমাদের তা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি জামায়াতের প্রার্থীকেও অবগত করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে র্যালি করিনি। অথচ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নেছারাবাদে বিশাল বিজয় র্যালি করেছেন।’

বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, এ ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে জামায়াত প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করতেই থাকবেন। এতে নির্বাচনে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হবে। এ কারণে জামায়াত প্রার্থীকে দ্রুত লিখিত শোকজ নোটিশ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি প্রার্থী।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের র্যালি করতে নিষেধ করেছিলেন, তাই আমরা করিনি। অথচ একই দিনে জামায়াত র্যালি করেছে। এটি স্পষ্ট নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। দ্রুত নোটিশ না দিলে তারা ভবিষ্যতেও এমন কর্মকাণ্ড করবে।’
অভিযোগের বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কোনো মিছিল করিনি, শুধু বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছি। সারা দেশেই আমাদের কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে আমাদের ওপর কোনো পূর্বনিষেধাজ্ঞা ছিল না।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দত্ত বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিজয় র্যালির জন্য আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় ইউএনওর সঙ্গে কথা বলুন। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’

বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয় থেকে বিজয় শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-২ (কাউখালী, নেছারাবাদ ও ভান্ডারিয়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী। শোভাযাত্রাটি স্বরূপকাঠি পৌর শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ ঘটনায় বিকেলে নেছারাবাদ উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির প্রার্থী সোহেল মঞ্জুর সুমন। তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিএনপি মহান বিজয় দিবসে কোনো বিজয় র্যালি না করলেও একই নির্দেশ অমান্য করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী বিজয় র্যালি করেছেন, যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন।
সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেন, ‘আমরা বিজয় দিবসে র্যালি করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও জেলা প্রশাসক আমাদের তা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। বিষয়টি জামায়াতের প্রার্থীকেও অবগত করা হয়েছিল বলে জানানো হয়। আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে র্যালি করিনি। অথচ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নেছারাবাদে বিশাল বিজয় র্যালি করেছেন।’

বিএনপি প্রার্থী আরও বলেন, এ ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে জামায়াত প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করতেই থাকবেন। এতে নির্বাচনে সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হবে। এ কারণে জামায়াত প্রার্থীকে দ্রুত লিখিত শোকজ নোটিশ দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি প্রার্থী।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল বেরুনী সৈকত বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের র্যালি করতে নিষেধ করেছিলেন, তাই আমরা করিনি। অথচ একই দিনে জামায়াত র্যালি করেছে। এটি স্পষ্ট নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন। দ্রুত নোটিশ না দিলে তারা ভবিষ্যতেও এমন কর্মকাণ্ড করবে।’
অভিযোগের বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা জামায়াতের সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কোনো মিছিল করিনি, শুধু বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র্যালি করেছি। সারা দেশেই আমাদের কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে আমাদের ওপর কোনো পূর্বনিষেধাজ্ঞা ছিল না।’
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিত দত্ত বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিজয় র্যালির জন্য আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় ইউএনওর সঙ্গে কথা বলুন। তিনিই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
১৬ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লিটন, উপজেলা বিকল্প যুবধারার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক চঞ্চল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ দেওয়ান, উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি বুলেট আহমেদ ও শ্রীনগর ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি রাজু আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের বরণ করে নেন মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, শ্রীনগর বিএনপির সহসভাপতি আশরাফ হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মোড়ল প্রমুখ।
বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে শ্রীনগর বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি থেকে বের হয়ে বিকল্পধারা দল গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে প্রত্যাশিত কার্যক্রম চালাতে পারিনি। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনেও আমাদের কোনো প্রার্থী না থাকায় রাজনৈতিকভাবে আমরা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছি। তা ছাড়া বিএনপির আদর্শ ও চেতনা আমাদের মনে সব সময়ই ধারণ করা ছিল। তাই আমরা মনে করেছি, নিজেদের মূল রাজনৈতিক ঘরেই ফিরে আসা দরকার। দলীয় ঐক্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা বিকল্প যুবধরা ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেছি।’
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এ আসনকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ সংসদীয় আসন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আজ যুবধারা থেকে যে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।’

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, বিকল্প যুবধারার কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম লিটন, উপজেলা বিকল্প যুবধারার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক চঞ্চল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ দেওয়ান, উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি বুলেট আহমেদ ও শ্রীনগর ইউনিয়ন যুবধারার সভাপতি রাজু আহমেদের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের বরণ করে নেন মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, শ্রীনগর বিএনপির সহসভাপতি আশরাফ হোসেন মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মোড়ল প্রমুখ।
বিএনপিতে যোগদান প্রসঙ্গে শ্রীনগর বিকল্প যুবধারার আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি থেকে বের হয়ে বিকল্পধারা দল গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মাঠপর্যায়ে প্রত্যাশিত কার্যক্রম চালাতে পারিনি। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনেও আমাদের কোনো প্রার্থী না থাকায় রাজনৈতিকভাবে আমরা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছি। তা ছাড়া বিএনপির আদর্শ ও চেতনা আমাদের মনে সব সময়ই ধারণ করা ছিল। তাই আমরা মনে করেছি, নিজেদের মূল রাজনৈতিক ঘরেই ফিরে আসা দরকার। দলীয় ঐক্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা বিকল্প যুবধরা ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান করেছি।’
মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এ আসনকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও আদর্শ সংসদীয় আসন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আজ যুবধারা থেকে যে নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করেছেন, তাঁদের আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।’

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
১৬ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুল ইসলাম একই এলাকায় নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে নিহতের চাচাতো ভাই মহিরের রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে হাফিজুল ও মহিরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মহির বল্লম দিয়ে পেছন থেকে হাফিজুলের পিঠে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত যুবকের পিঠে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। দাফন শেষ হলে নিহতের পরিবার মামলা করবেন জানিয়েছেন।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও বল্লমের আঘাতে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবক মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে জিয়ারখী ইউনিয়নের মটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফিজুল ইসলাম একই এলাকায় নুর ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে নিহতের চাচাতো ভাই মহিরের রসুনের খেতে মুরগি যাওয়াকে কেন্দ্র করে হাফিজুল ও মহিরের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মহির বল্লম দিয়ে পেছন থেকে হাফিজুলের পিঠে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিহত যুবকের পিঠে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। দাফন শেষ হলে নিহতের পরিবার মামলা করবেন জানিয়েছেন।

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রায় দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শন, বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
১৬ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় ফারুক (১৮) নামের এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কাজলা নয়ানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২৬ মিনিট আগে
বিজয় দিবস উপলক্ষে পিরোজপুর-২ আসনের নেছারাবাদে বিজয় শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এটি জামায়াতের প্রার্থী শামীম বিন সাঈদীর নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মদ সোহেল মঞ্জুর সুমন।
২৭ মিনিট আগে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাইপাস সড়কের বিএনপির কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান হয়।
১ ঘণ্টা আগে