Ajker Patrika

ছাত্রাবাসে গাঁজাগাছ: ইসলামপুরে ছাত্রলীগ নেতার রোষানল থেকে বাঁচতে দুই শিক্ষার্থীর আবেদন

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুন ২০২৩, ১৪: ০৫
ছাত্রাবাসে গাঁজাগাছ: ইসলামপুরে ছাত্রলীগ নেতার রোষানল থেকে বাঁচতে দুই শিক্ষার্থীর আবেদন

জামালপুরের ইসলামপুরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছাত্রাবাস থেকে গত শুক্রবার গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে চালিয়ে মাদক গ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম, মদের বেশ কিছু খালি বোতলসহ টবে রোপণকৃত একটি গাঁজার গাছ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলহাজ মিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ মিয়ার রোষানল থেকে রেহাই পেতে আইএইচটির মো. দায়েমূল ইসলাম জীবন মিয়া এবং রিদোয়ান আল রাফি নামে দুই শিক্ষার্থী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ, জেলা ছাত্রলীগ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর আলাদা লিখিত অভিযোগ করেন। এতেই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তুলে ধরেন তাঁরা। 

গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ।  এর আগে গত রোববার রাতে আইএইচটির অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ করেন ওই দুই শিক্ষার্থী। অবশ্য এখনো এটি হাতে পাননি বলে জানান অধ্যক্ষ। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে। তবে আনীত অভিযোগ ‘ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগ নেতা মো. আলহাজ মিয়া।  

আইএইচটির তৃতীয় ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ভুক্তভোগী মো. দায়েমূল ইসলাম জীবন মিয়া তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেন, আলহাজ মিয়া তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান পাকাপোক্ত করতে কখনো কখনো আইএইচটির ছাত্রাবাসে ঢুকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালান। প্রায়ই বহিরাগত লোকজন নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে দলীয় প্রভাব বিস্তার করেন। উদ্দেশ্য হাসিল করতে দলীয় সভা-সেমিনারে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করিয়ে তাঁর পক্ষে সমর্থন আদায় করেন। লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটায় দলীয় সভা-সেমিনারে না যেতে চাইলে শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধমকি দেন। এ ছাড়া তিনি কিছু ছাত্রকে মাদকে আসক্তি করিয়েছেন। 

মো. দায়েমূল ইসলাম জীবন মিয়া আরও জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে কিছু করার সাহস পায় না। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা আলহাজ মিয়ার দাপটে আতঙ্কে থাকে। গত ২ জুন সন্ধ্যায় ছাত্রাবাসের ২১৪, ২১৭ ও ৩২০ নম্বর কক্ষে ঢুকে আলহাজ মিয়ার অনুসারী পঞ্চম ব্যাচের প্রথম বর্ষের ছাত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য রিফাত আহমেদ ফারাজি এবং তৃতীয় ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইসলামপুর পৌর ছাত্রলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আহসান রায়হান মাদক সেবন করেন। এতে বাধা দেওয়ায় তাঁরা জীবন মিয়াকে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। কিন্তু জরুরি বিভাগে ঢুকে আলহাজ মিয়াকে সমর্থন দিতে রাজি না হলে চিকিৎসা নিতে দেওয়া হবে বলে সতর্ক করে আবারও জীবন মিয়াকে মারধরের চেষ্টা করেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোন পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হলে তাদের রোষানল থেকে সাময়িক মুক্তি পান জীবন মিয়া। 

তিনি আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, পরে ২ জুন রাত ১১টার দিকে থানার পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একদল সদস্য অভিযান চালিয়ে ছাত্রাবাসের ২১৪ নম্বর কক্ষে রিফাত ফারাজি ও রায়হানের টবে রোপণকৃত একটি গাঁজা গাছ, ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামসহ মদের বেশ কিছু খালি বোতল উদ্ধার করেন। 

অন্যদিকে, তৃতীয় ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিদোয়ান আল রাফি তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেন, ছাত্রাবাসের ২১৪ নম্বর কক্ষে তিনি থাকেন। আলহাজ মিয়ার মদদে রিফাত ফারাজি এবং রায়হান জোর করে টবে গাঁজার গাছ রোপণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনার পর থেকে আলহাজ মিয়ার সঙ্গীরা জীবন মিয়া এবং আল রাফিকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে তাঁরা দুজনই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ইসলামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলহাজ মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যারা অভিযোগ করেছে, তাঁদের চিনিও না। আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। পুরো বিষয়টি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।’ 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করিম রাব্বী বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ মিয়ার রোষানলে পড়ে হয়রানির হওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের কাছে জমা দিতে বলব। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সাংগঠনিক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’ 

ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে দুই শিক্ষার্থীর লিখিত আবেদন পেয়েছি। সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আনীত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’ 

আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, ‘ছাত্রাবাসের কক্ষ থেকে মাদক গ্রহণের সরঞ্জামসহ মদের খালি বোতল এবং টবের মধ্যে রোপণকৃত একটি ছোট্ট গাঁজা গাছ উদ্ধার করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ছাত্রদের অভিযোগ হাতে পাইনি। কিন্তু এ ঘটনায় ইতিমধ্যে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ মারা গেছেন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৭০) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। তিনি ধানমন্ডির বাসায় থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ শ্রীনগর উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকে অসুস্থ ছিলেন।

উল্লেখ্য, সুকুমার রঞ্জন ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (কুলা প্রতীক) ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে (ধানের শীষ) পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে নিহত দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১০
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণপিটুনিতে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের বাড়িতে শোকের মাতম এখনো থামেনি। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পুরো পরিবার যেন শোকে কাতর।

প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাসহ নানা আশ্বাস। এ ছাড়া দিপুর পরিবারের জন্য বাড়িতে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ সোমবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান নিহত দিপু দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তাঁর সঙ্গে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, শীতবস্ত্র, শুকনো খাবার ও একটি সেলাই মেশিন পরিবারটিকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিপুর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও দেন জেলা প্রশাসক।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সহযোগিতাসহ সব সময় তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় নিহতে দিপুর ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিবাদ সমাবেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকায় দিপু দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহ নগরী ও তারাকান্দায় মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। আজ সচেতন ময়মনসিংহবাসীর ব্যানারে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন দিপু দাসের ছোট ভাই অপু দাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা আল নুর মো. আয়াস, হৃদয় খান, সাংবাদিক মোজাম্মেল খোকন, কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।

একই দাবিতে দিপু দাসের নিজ উপজেলা তারাকান্দায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্ট ও দিপু দাসের পরিবার। আজ সকালে তারাকান্দা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের তারাকান্দা উপজেলা সভাপতি বিজন কুমার ভৌমিক রতন, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শর্মা সরকার কাঞ্চনসহ দিপুর পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা কারখানার মালিকসহ প্রকৃত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন এবং দিপু দাসের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যানজটে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা রহমতপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টা তিনেক ধরে চলা অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) থেকে পৃথক করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা, সব কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদ শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষণ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের পর ছয় মাসের বনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘৯ মাস আগে আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তখন শুধু আশ্বাস দিয়েছিল, বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’ আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেনে না নেবে, তত দিন ক্যাম্পাস লকডাউন, প্রশাসনিক ভবন বন্ধসহ এই আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিতাসে শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যায় জামাতা গ্রেপ্তার

হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শাশুড়িকে খালে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জামাতা মো. জামাল সিকদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে ঢাকার সাভারে আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার সকালে তাঁকে তিতাস থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তিতাস থানা-পুলিশ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।

গত ১০ অক্টোবর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে সুফিয়া খাতুন নামে (৭০) এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর জামাতা জামাল তাঁকে বসতবাড়ির কাছে খালে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে তিতাস থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন জামাল।

জানা গেছে, জামাল সুফিয়া বেগমের ভাই দিলু সিকদারের ছেলে। তাঁর সঙ্গে সুফিয়ার মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির পাশেই জামালের বাড়ি।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন শিকদারকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে আজ সকালে থানায় আনা হয়। পরে দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত