Ajker Patrika

প্রতারণার চেষ্টায় ৬ নারীকে থানায় দিল এলাকাবাসী, গ্রেপ্তার দেখানো হলো নাশকতা পরিকল্পনা মামলায়

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি 
জামালপুরের ইসলামপুর থানা থেকে ছয়জন নারীকে আদালতে নিচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
জামালপুরের ইসলামপুর থানা থেকে ছয়জন নারীকে আদালতে নিচ্ছে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতা পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।

কারাগারে পাঠানো নারীরা হলেন নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের তারতাপাড়া হাড়গিলা গ্রামের মোছা. বানেছা বেগম (২৫), পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার চাকদহ চরপাড়া গ্রামের মোছা. সাদিয়া (১৮), মোছা. হাফিজা বেগম (২৫), মোছা. রনিকা আক্তার (২৫), মোছা. লাইলী বেগম (৩৫) এবং ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পিয়ারপুর তারাপুর গ্রামের বৃষ্টি আক্তার (২০)।

গত বুধবার দুপুরে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ে স্থানীয়রা ছয় নারীকে আটক করে ইসলামপুর থানা-পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে ছয় নারীসহ আটজনের নামে নাশকতার পরিকল্পনা অভিযোগে ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় উপজেলার টনকী গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪৫) এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জুনাইল গ্রামের মোছা. মনি (৩০) ও অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়।

পুলিশ জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নাশকতার পরিকল্পনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছয় নারীকে জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পুলিশ হাজির করা হয়। এ সময় ছয় নারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সংশ্লিষ্ট বিচারক তাঁদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ছয়জন নারী ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের নামে সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলেন। প্রতারণার মাধ্যমে চলমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ এবং সরকার পতনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক গোপন কর্মকাণ্ড করছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য টাকা পয়সার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বলে ফরম পূরণের মাধ্যমে বিভিন্ন নারী-পুরুষকে সদস্য করছিলেন। আগামী ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালনের জন্য সংগ্রহ করা সদস্যদের উপস্থিত করার জন্য পরিকল্পনা করে যাচ্ছিলেন। এ নিয়ে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সন্দেহ হলে তাঁদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রেপ্তার নারীরা জিজ্ঞাসাবাদে থানা-পুলিশকে দুজনের নাম জানিয়েছেন। তারা হলেন মেলান্দহের টনকী গ্রামের রবিউল ইসলাম এবং পাকুন্দিয়ার জুনাইল গ্রামের মোছা. মনি (৩০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া নারীরা নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে বিদেশে পাচার করা কোটি কোটি টাকা ফেরত এনে সদস্যের ১ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাঁদের আটক করে নোয়ারপাড়া ইউপি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের আটক করে থানায় আনে।

থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকার সময় মোছা. সাদিয়া, মোছা. হাফিজা বেগম ও মোছা. রনিকা আক্তার বলেন, আমরা প্রতারণার শিকার। মাসিক বেতনে চাকরি দেওয়ার নামে একটি চক্র আমাদেরকে ব্যবহার করেছে।

নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রোমান হাসান বলেন, গ্রেপ্তার নারীরা ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে বিদেশে পাচার করা কোটি কোটি টাকা ফেরত এনে সদস্যের ১ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার পর্যন্ত ঋণ দেওয়া বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাঁদের আটক করে ইউপি কার্যালয়ে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাঁদের থানায় নিয়ে যান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দ্বীপক চন্দ্র পাল বলেন, আটক ছয় নারীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তকাজ চলছে।

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, আটক নারীরা অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার যন্ত্রাংশ দিয়ে ৩০ অস্ত্র তৈরি করা যেত: পুলিশ

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় লেদ কারখানায় অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানায় অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসব যন্ত্রাংশ অপর একটি লেদ কারখানায় পাঠানো হতো। পরে সেগুলো দিয়ে পিস্তল ও ওয়ান শুটারগান তৈরি করে বিক্রি হতো অপরাধীদের কাছে।

খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় লেদ কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের সরঞ্জাম উদ্ধারকালে আটক ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জোড় গেট এলাকায় দোহা আয়রন ফাউন্ডেশন ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়। অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সেখান থেকে অস্ত্র তৈরির কারিগরসহ চারজনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ওয়ার্কশপের মালিক নজরুল এবং কারিগর পিকলু, শহীদুল ও আকবর। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

কেএমপির উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জোড়া গেট থেকে অস্ত্রের যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। লোহার ছাঁচের মধ্যে যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছিল। যন্ত্রাংশগুলো অন্য স্থানে নিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে অস্ত্র তৈরি করা হতো। ডিবির একটি দল ওই কারখানার সন্ধান পেতে কাজ করছে। সেখান থেকে কাউকে পাওয়া গেলে আমরা জানতে পারব, খুলনার তৈরি হওয়া অস্ত্র কোথায় কোথায় যায়।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘খুলনার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই জোড় গেট এলাকা। এখানে এ ধরনের অস্ত্র তৈরির কারাখানা থাকবে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। কিছুদিন আগে এ ধরনের যন্ত্রাংশের চালান বিভিন্ন স্থানে গেছে।’

কেএমপির ডিসি আরও বলেন, ‘বর্তমানে খুলনায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। আমরা অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছি। জলদস্যু এবং স্থানীয় উঠতি সন্ত্রাসীরা এখন থেকে অস্ত্র নিয়ে যায়।’

খুলনা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমরা এখানে রেকি (নজরদারি) করেছি। লেদ কারখানার পাশাপাশি তাঁরা (মালিক ও কারিগর) পিস্তল এবং ওয়ান শুটারের যন্ত্রাংশ তৈরি করতেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এখানে অভিযান চালিয়েছি। যে যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে ৩০টি অস্ত্র তৈরি করা যেত। আটক ব্যক্তিদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। খুব শিগগির আমরা ভালো সংবাদ দিতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত
নাজমুল মোস্তফা আমিন। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ জরিমানা করেন।

চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা ইতিমধ্যে পরিশোধও করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, শনিবার বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন ও গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন বিএনপির প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন। সাতকানিয়ার বটতলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত শুনানি শেষে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫-এর ৯ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারার বিধান অনুযায়ী এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, সবই করা হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় নয়।

বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিনের বক্তব্য জানার জন্য ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শনিবার বেলা ২টার দিকে কর্ণফুলী থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত মোটরযান/যান্ত্রিক বাহনে নির্বাচনী শোডাউন করেন নাজমুল মোস্তফা আমিন।

অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া লাইভ ভিডিও সংযুক্ত করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই লোহাগাড়ায় প্রশাসনের কড়াকড়ির মুখে পড়েন বিএনপির এই মনোনীত প্রার্থী। বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মং এছান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হলুদ সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ, কৃষকের বাড়তি লাভের আশা

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সরিষা ফুলের খেত। ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাঠজুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। মাঠে কাজে ব্যস্ত কৃষক। আজ শনিবার সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা গ্রামে এই দৃশ্য দেখা যায়।

আমন ধান কাটার আগেই বিনা চাষে ও রিলে পদ্ধতিতে আগাম সরিষা চাষ করে কৃষকেরা এবার বাড়তি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। মাঠজুড়ে ভরে ওঠা সরিষা ফুল ভালো ফলনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ফকিরহাটে ১৬৩.৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৮০ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন ১ দশমিক ২ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২১৬ টন। তবে মাঠের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। উপজেলার ৩০০ জন কৃষককে বিনা মূল্যে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি পটাশ সার বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবাদ হওয়া উল্লেখযোগ্য জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-২০, বিনা সরিষা-৯ ও বিনা সরিষা-১১।

ফকিরহাটের বিভিন্ন ব্লকের কৃষক জসিম শেখ, মিঠুন দাস ও তপন দাস জানান, একই জমিতে বারবার এক ফসল চাষ করলে জমির উর্বরতা কমে যায়। কৃষি অফিসের পরামর্শে তাঁরা আমন ও বোরো ধানের মাঝখানে সরিষা চাষ শুরু করেছেন। এতে মাটির উর্বরতা বজায় থাকছে, পাশাপাশি কম শ্রম ও কম খরচে বাড়তি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

বেতাগা গ্রামের কৃষক পরেশ দাস ও সুধাংশু দাস জানান, আমন ধান থাকা অবস্থাতেই তাঁরা জমিতে বিনা চাষে সরিষা বীজ ছিটিয়ে দেন। সেই সরিষায় এরই মধ্যে ফুল এসেছে। যখন অন্য কৃষকেরা জমি চাষ শুরু করছেন, তখন তাঁদের খেতে সরিষার ফুল ও ফলন গঠন শুরু হয়েছে। আগাম সরিষা আহরণের পর একই জমিতে আবার বোরো ধান চাষ করবেন তাঁরা। এতে বছরে একটি অতিরিক্ত ফসল পাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি চাষ, সার এবং ওষুধের খরচও কমবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপুল মজুমদার জানান, অধিক লাভজনক হওয়ায় বিনা চাষে সরিষা আবাদে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে সফল হয়েছেন, তাঁদের দেখে অন্য কৃষকেরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সরিষা এখন কৃষকের জন্য লাভজনক একটি মধ্যবর্তী ফসল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহও বেড়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে হৃদরোগবিষয়ক সম্মেলন শুরু ১৫ ডিসেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার কনফারেন্স ‘কার্ডিকন-২০২৫’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডা. সন্দীপন কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার কনফারেন্স ‘কার্ডিকন-২০২৫’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডা. সন্দীপন কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম সোসাইটি অব ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির (সিএসআইসি) উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক কার্ডিওভাসকুলার কনফারেন্স ‘কার্ডিকন-২০২৫ ’। ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশি-বিদেশি ৫৫০ শতাধিক চিকিৎসক অংশগ্রহণ করবেন। উপস্থাপন করা হবে শতাধিক গবেষণাপত্র।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডা. সন্দীপন কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘শ্রেষ্ঠত্বের দিকে পদক্ষেপ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ সম্মেলনে হৃদরোগ ব্যবস্থাপনার মৌলিক, ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল দিক নিয়ে আলোচনা করা হবে।

আয়োজকেরা জানান, সম্মেলনে পর্তুগাল থেকে অধ্যাপক ফুয়াসটু জে পিন্টু, ইতালি থেকে অধ্যাপক এন্থোনিও কলোম্বো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডা. রফিক আহমেদ, মালয়েশিয়া থেকে অধ্যাপক ডা. সাজলি সাহলান বিন কাসিম, ভিয়েতনাম থেকে ডা. ফেম নাত মিনহ, পাকিস্তান থেকে ডা. গোলাম হুসাইন সোমরু, নেপাল থেকে ডা. অরুণ মাসকেই এবং ভারত থেকে অধ্যাপক অশোক শেঠসহ বিভিন্ন দেশের অনেক বিশেষজ্ঞ অংশ নেবেন। এ ছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরাও সম্মেলনে তাঁদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন।

সভায় জানানো হয়, কার্ডিকন সেন্ট্রাল অর্গানাইজিং কমিটির কো-অর্ডিনেটর ডা. কাজী শামীম আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কার্ডিকন সেন্ট্রাল অর্গানাইজিং কমিটির সভাপতি ডা. মো. নূর উদ্দিন তারেক, সিএসআইসি সভাপতি ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম চৌধুরী, অর্গানাইজিং কমিটির সেক্রেটারি ডা. আ ই ম নূর উদ্দিন জাহাঙ্গীর, সিএসআইসি জেনারেল সেক্রেটারি ডা. আনিসুল আউয়াল এবং সিএসআইসি জয়েন্ট সেক্রেটারি ও কার্ডিকন অর্গানাইজিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এস এম ইফতেখারুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত