শিমুল দেব, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় দুস্থ নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি করে চালের বস্তা সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদ। তবে গুদাম থেকে আনা বস্তার চাল খাবার অযোগ্য হওয়ায় তা এখনো বিতরণ করা হয়নি বলে জানান ইউপি সদস্যরা। উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী বিরুদ্ধে বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অতিদরিদ্র ও অসচ্ছল নারীদের খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সেই হিসেবে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য বজরা ইউনিয়নের ২৯০ জন সুবিধাভোগীর ৬০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। সে মোতাবেক ১০ সেপ্টেম্বর উলিপুর খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৫৮০ বস্তায় ১৭ টন ৪০০ কেজি চাল বজরা ইউপির গুদামে আনা হয়।
বজরা ইউপির সদস্য আরজু মিয়া, লুৎফর রহমান ও এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, উলিপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য ভিডব্লিউবির চাল আনা হয়। পরিষদের গুদামে চালগুলো আনার পর দেখা যায়, অধিকাংশ বস্তায় পচা ও দুর্গন্ধময় চাল সরবরাহ করা হয়েছে। চালগুলো একেক বস্তায় একেক ধরনের। বস্তার চালগুলো ছাতা ধরা, দুর্গন্ধযুক্ত, ভাঙা, পাথর মেশানো। এসব চাল কোনো মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই চালগুলো বিতরণ করা হয়নি। বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে।
উলিপুর ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ আলী গত এপ্রিল যোগ দেন। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। শুরুতেই চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম করেন। বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের লটারি হয়। সেখানে ৫২৩ জন কৃষক নির্বাচিত হন। তাঁদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৫৬৫ টন ধান সংগ্রহ করা হয়। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ টন করে ধান খাদ্যগুদামে বিক্রি করেছেন। গুদামসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আলী লটারিতে নাম ওঠা কৃষকের নাম বাদ দিয়ে প্রায় ভুয়া ৫০ জনের নাম দেখিয়ে ধান সংগ্রহের বিল তুলে করে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মিলমালিক সমিতির সদস্য বলেন, লটারিতে নাম ওঠা যেসব কৃষক খাদ্যগুদামে ধান দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে টনপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা করে প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন গুদাম কর্মকর্তা। বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৪৬৯ টন চাল সংগ্রহ করা হয়। সরকারি বিধি মোতাবেক চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে শুটার (পালিশ) চাল সংগ্রহ করার নিয়ম। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা মিলারদের কাছে বেশির ভাগ নন-শুটার ও নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করেন। এর বিনিময়ে টনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেন। এভাবে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। বর্তমানে খাদ্যগুদামে থাকা নন-শুটার নিম্নমানের পচা চালগুলো ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল হিসেবে বজরা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিম্নমানের চাল সরবরাহের কথা অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, পরিষদের লোকজনের সঙ্গে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। খারাপ চাল যাওয়ার কথা নয়। গুদাম থেকে চালগুলো সরবরাহের সময় আপনি দেখেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখে দিয়েছি, একটু উনিশ-বিশ হতে পারে। বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম ও উৎকোচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হুসাইন বজরা ইউনিয়নে নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে পরিষদে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা বলেন, ‘নিম্নমানের চালের বিষয়ে বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করেছেন। উপজেলা খাদ্য বিভাগকে সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই খারাপ চাল বিতরণ করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, ভিডব্লিউবি কর্মসূচি হলো বাংলাদেশে দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে পরিচালিত একটি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, যা আগে ভিজিডি (দুস্থ মহিলা উন্নয়ন) কর্মসূচি নামে পরিচিত ছিল। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ দুস্থ নারীদের খাদ্য ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা হয়।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় দুস্থ নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি করে চালের বস্তা সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদ। তবে গুদাম থেকে আনা বস্তার চাল খাবার অযোগ্য হওয়ায় তা এখনো বিতরণ করা হয়নি বলে জানান ইউপি সদস্যরা। উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী বিরুদ্ধে বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অতিদরিদ্র ও অসচ্ছল নারীদের খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সেই হিসেবে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য বজরা ইউনিয়নের ২৯০ জন সুবিধাভোগীর ৬০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। সে মোতাবেক ১০ সেপ্টেম্বর উলিপুর খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৫৮০ বস্তায় ১৭ টন ৪০০ কেজি চাল বজরা ইউপির গুদামে আনা হয়।
বজরা ইউপির সদস্য আরজু মিয়া, লুৎফর রহমান ও এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, উলিপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য ভিডব্লিউবির চাল আনা হয়। পরিষদের গুদামে চালগুলো আনার পর দেখা যায়, অধিকাংশ বস্তায় পচা ও দুর্গন্ধময় চাল সরবরাহ করা হয়েছে। চালগুলো একেক বস্তায় একেক ধরনের। বস্তার চালগুলো ছাতা ধরা, দুর্গন্ধযুক্ত, ভাঙা, পাথর মেশানো। এসব চাল কোনো মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই চালগুলো বিতরণ করা হয়নি। বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে।
উলিপুর ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ আলী গত এপ্রিল যোগ দেন। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। শুরুতেই চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম করেন। বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের লটারি হয়। সেখানে ৫২৩ জন কৃষক নির্বাচিত হন। তাঁদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৫৬৫ টন ধান সংগ্রহ করা হয়। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ টন করে ধান খাদ্যগুদামে বিক্রি করেছেন। গুদামসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আলী লটারিতে নাম ওঠা কৃষকের নাম বাদ দিয়ে প্রায় ভুয়া ৫০ জনের নাম দেখিয়ে ধান সংগ্রহের বিল তুলে করে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মিলমালিক সমিতির সদস্য বলেন, লটারিতে নাম ওঠা যেসব কৃষক খাদ্যগুদামে ধান দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে টনপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা করে প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন গুদাম কর্মকর্তা। বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৪৬৯ টন চাল সংগ্রহ করা হয়। সরকারি বিধি মোতাবেক চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে শুটার (পালিশ) চাল সংগ্রহ করার নিয়ম। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা মিলারদের কাছে বেশির ভাগ নন-শুটার ও নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করেন। এর বিনিময়ে টনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেন। এভাবে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। বর্তমানে খাদ্যগুদামে থাকা নন-শুটার নিম্নমানের পচা চালগুলো ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল হিসেবে বজরা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিম্নমানের চাল সরবরাহের কথা অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, পরিষদের লোকজনের সঙ্গে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। খারাপ চাল যাওয়ার কথা নয়। গুদাম থেকে চালগুলো সরবরাহের সময় আপনি দেখেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখে দিয়েছি, একটু উনিশ-বিশ হতে পারে। বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম ও উৎকোচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হুসাইন বজরা ইউনিয়নে নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে পরিষদে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা বলেন, ‘নিম্নমানের চালের বিষয়ে বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করেছেন। উপজেলা খাদ্য বিভাগকে সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই খারাপ চাল বিতরণ করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, ভিডব্লিউবি কর্মসূচি হলো বাংলাদেশে দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে পরিচালিত একটি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, যা আগে ভিজিডি (দুস্থ মহিলা উন্নয়ন) কর্মসূচি নামে পরিচিত ছিল। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ দুস্থ নারীদের খাদ্য ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা হয়।
শিমুল দেব, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় দুস্থ নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি করে চালের বস্তা সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদ। তবে গুদাম থেকে আনা বস্তার চাল খাবার অযোগ্য হওয়ায় তা এখনো বিতরণ করা হয়নি বলে জানান ইউপি সদস্যরা। উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী বিরুদ্ধে বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অতিদরিদ্র ও অসচ্ছল নারীদের খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সেই হিসেবে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য বজরা ইউনিয়নের ২৯০ জন সুবিধাভোগীর ৬০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। সে মোতাবেক ১০ সেপ্টেম্বর উলিপুর খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৫৮০ বস্তায় ১৭ টন ৪০০ কেজি চাল বজরা ইউপির গুদামে আনা হয়।
বজরা ইউপির সদস্য আরজু মিয়া, লুৎফর রহমান ও এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, উলিপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য ভিডব্লিউবির চাল আনা হয়। পরিষদের গুদামে চালগুলো আনার পর দেখা যায়, অধিকাংশ বস্তায় পচা ও দুর্গন্ধময় চাল সরবরাহ করা হয়েছে। চালগুলো একেক বস্তায় একেক ধরনের। বস্তার চালগুলো ছাতা ধরা, দুর্গন্ধযুক্ত, ভাঙা, পাথর মেশানো। এসব চাল কোনো মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই চালগুলো বিতরণ করা হয়নি। বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে।
উলিপুর ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ আলী গত এপ্রিল যোগ দেন। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। শুরুতেই চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম করেন। বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের লটারি হয়। সেখানে ৫২৩ জন কৃষক নির্বাচিত হন। তাঁদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৫৬৫ টন ধান সংগ্রহ করা হয়। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ টন করে ধান খাদ্যগুদামে বিক্রি করেছেন। গুদামসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আলী লটারিতে নাম ওঠা কৃষকের নাম বাদ দিয়ে প্রায় ভুয়া ৫০ জনের নাম দেখিয়ে ধান সংগ্রহের বিল তুলে করে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মিলমালিক সমিতির সদস্য বলেন, লটারিতে নাম ওঠা যেসব কৃষক খাদ্যগুদামে ধান দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে টনপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা করে প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন গুদাম কর্মকর্তা। বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৪৬৯ টন চাল সংগ্রহ করা হয়। সরকারি বিধি মোতাবেক চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে শুটার (পালিশ) চাল সংগ্রহ করার নিয়ম। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা মিলারদের কাছে বেশির ভাগ নন-শুটার ও নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করেন। এর বিনিময়ে টনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেন। এভাবে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। বর্তমানে খাদ্যগুদামে থাকা নন-শুটার নিম্নমানের পচা চালগুলো ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল হিসেবে বজরা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিম্নমানের চাল সরবরাহের কথা অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, পরিষদের লোকজনের সঙ্গে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। খারাপ চাল যাওয়ার কথা নয়। গুদাম থেকে চালগুলো সরবরাহের সময় আপনি দেখেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখে দিয়েছি, একটু উনিশ-বিশ হতে পারে। বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম ও উৎকোচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হুসাইন বজরা ইউনিয়নে নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে পরিষদে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা বলেন, ‘নিম্নমানের চালের বিষয়ে বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করেছেন। উপজেলা খাদ্য বিভাগকে সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই খারাপ চাল বিতরণ করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, ভিডব্লিউবি কর্মসূচি হলো বাংলাদেশে দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে পরিচালিত একটি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, যা আগে ভিজিডি (দুস্থ মহিলা উন্নয়ন) কর্মসূচি নামে পরিচিত ছিল। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ দুস্থ নারীদের খাদ্য ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা হয়।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় দুস্থ নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি করে চালের বস্তা সংগ্রহ করে ইউনিয়ন পরিষদ। তবে গুদাম থেকে আনা বস্তার চাল খাবার অযোগ্য হওয়ায় তা এখনো বিতরণ করা হয়নি বলে জানান ইউপি সদস্যরা। উপজেলার বজরা ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া মোহাম্মদ আলী বিরুদ্ধে বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বজরা ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অতিদরিদ্র ও অসচ্ছল নারীদের খাদ্যসহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সেই হিসেবে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য বজরা ইউনিয়নের ২৯০ জন সুবিধাভোগীর ৬০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। সে মোতাবেক ১০ সেপ্টেম্বর উলিপুর খাদ্যগুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৫৮০ বস্তায় ১৭ টন ৪০০ কেজি চাল বজরা ইউপির গুদামে আনা হয়।
বজরা ইউপির সদস্য আরজু মিয়া, লুৎফর রহমান ও এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে জানান, উলিপুর সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য ভিডব্লিউবির চাল আনা হয়। পরিষদের গুদামে চালগুলো আনার পর দেখা যায়, অধিকাংশ বস্তায় পচা ও দুর্গন্ধময় চাল সরবরাহ করা হয়েছে। চালগুলো একেক বস্তায় একেক ধরনের। বস্তার চালগুলো ছাতা ধরা, দুর্গন্ধযুক্ত, ভাঙা, পাথর মেশানো। এসব চাল কোনো মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। তাই চালগুলো বিতরণ করা হয়নি। বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ ইউএনওকে অবগত করা হয়েছে।
উলিপুর ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ আলী গত এপ্রিল যোগ দেন। এরপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। শুরুতেই চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম করেন। বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহের লটারি হয়। সেখানে ৫২৩ জন কৃষক নির্বাচিত হন। তাঁদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৫৬৫ টন ধান সংগ্রহ করা হয়। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩ টন করে ধান খাদ্যগুদামে বিক্রি করেছেন। গুদামসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আলী লটারিতে নাম ওঠা কৃষকের নাম বাদ দিয়ে প্রায় ভুয়া ৫০ জনের নাম দেখিয়ে ধান সংগ্রহের বিল তুলে করে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মিলমালিক সমিতির সদস্য বলেন, লটারিতে নাম ওঠা যেসব কৃষক খাদ্যগুদামে ধান দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে টনপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা করে প্রায় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন গুদাম কর্মকর্তা। বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৪৬৯ টন চাল সংগ্রহ করা হয়। সরকারি বিধি মোতাবেক চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে ৪৯ টাকা কেজি দরে শুটার (পালিশ) চাল সংগ্রহ করার নিয়ম। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা মিলারদের কাছে বেশির ভাগ নন-শুটার ও নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করেন। এর বিনিময়ে টনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেন। এভাবে ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। বর্তমানে খাদ্যগুদামে থাকা নন-শুটার নিম্নমানের পচা চালগুলো ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাল হিসেবে বজরা ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সরবরাহ করা হচ্ছে।
নিম্নমানের চাল সরবরাহের কথা অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, পরিষদের লোকজনের সঙ্গে পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। খারাপ চাল যাওয়ার কথা নয়। গুদাম থেকে চালগুলো সরবরাহের সময় আপনি দেখেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখে দিয়েছি, একটু উনিশ-বিশ হতে পারে। বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে অনিয়ম ও উৎকোচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মিসবাহুল হুসাইন বজরা ইউনিয়নে নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে পরিষদে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার সাহা বলেন, ‘নিম্নমানের চালের বিষয়ে বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে অবগত করেছেন। উপজেলা খাদ্য বিভাগকে সরেজমিন দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই খারাপ চাল বিতরণ করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, ভিডব্লিউবি কর্মসূচি হলো বাংলাদেশে দুস্থ ও দরিদ্র নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে পরিচালিত একটি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, যা আগে ভিজিডি (দুস্থ মহিলা উন্নয়ন) কর্মসূচি নামে পরিচিত ছিল। এ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ দুস্থ নারীদের খাদ্য ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা হয়।

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় মাঠ-সংলগ্ন সেতু থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় থাকা ফিরোজ মোল্যা নামের এক ভ্যানচালককে জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
নিহত উৎপল ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইল গ্রামের অজয় সরকারের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী এক শিশুসন্তান রয়েছে।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোরে সড়কের পাশে ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পাশেই একটি সেতুর সঙ্গে একই গ্রামের ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খুলে বলেন তিনি।
ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে রনকাইল গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী কাজী শাহীন বলেন, উৎপল সরকার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মাছ কিনতে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চার ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভ্যানচালক ফিরোজ মোল্যাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে ব্রিজের রেলিংয়ে বেঁধে ফেলে। তারা উৎপলের সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা লুট করে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মারুফ হাসান রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে এটাকে ডাকাতি বলা যায় না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে মূল কারণ বলা যাবে।’

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য পচা, দুর্গন্ধময় ও ছাতা পড়ে যাওয়া চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় উৎপল সরকার (৩৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের গৌরদিয়া এলাকার কালীতলা ব্রিজ-সংলগ্ন মাঠ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১ ঘণ্টা আগে