Ajker Patrika

যশোরে মামলায় বন্ধ ৮ সেতুর কাজ

  • কম উচ্চতায় সেতুগুলো নির্মাণ শুরু করায় একটি পরিবেশবাদী সংগঠন মামলা করে।
  • বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই নৌকায় পারাপার হচ্ছে বাসিন্দারা।
  • এলজিইডির ভুলের জন্য আজ জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছে: পরিবেশবাদী
  • আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন ডিজাইন করে কাজ করা হবে: এলজিইডি
জাহিদ হাসান, যশোর 
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ০৭
৩০ গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ২০২২ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় কচুয়া-ছাতিয়ানতলা সেতুর। তবে মামলায় আটকে যায় কাজ। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পাড়ি দিতে হচ্ছে ভৈরব নদ। সম্প্রতি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলায়। 	ছবি: আজকের পত্রিকা
৩০ গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য ২০২২ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় কচুয়া-ছাতিয়ানতলা সেতুর। তবে মামলায় আটকে যায় কাজ। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় বাসিন্দাদের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পাড়ি দিতে হচ্ছে ভৈরব নদ। সম্প্রতি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ও বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলার বুক চিরে উত্তর-দক্ষিণে বয়ে গেছে ভৈরব নদ। নদের পশ্চিমে কচুয়া ইউনিয়ন। পূর্বে বাঘারপাড়ার ছাতিয়ানতলা ইউনিয়ন। ছাতিয়ানতলা বাজারের পাশেই এই নদীর ওপরে জরাজীর্ণ সেতুটি ছিল দুটি ইউনিয়নের অন্তত ৩০ গ্রামের যাতায়াতের ভরসা। ভোগান্তি কমাতে সেটি ভেঙে ২০২২ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় নতুন সেতু নির্মাণের কাজ। ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ শেষ।

তবে বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন না নিয়ে কম উচ্চতায় সেতুটি নির্মাণ করায় আদালতে মামলা করে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। এরপর সাড়ে তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নির্মাণকাজ। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই নৌকায় পারাপার হচ্ছে বাসিন্দারা। শুধু কচুয়া আর ছাতিয়ানতলা নয়; জেলার চারটি নদীর ওপর নির্মিত ৮টি সেতুর একই দশা। কম উচ্চতায় সেতুগুলো নির্মাণ শুরু করায় আদালতে মামলা করে ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। এতে থমকে গেছে কাজ। ভোগান্তি পোহাচ্ছে কয়েক লাখ মানুষ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নির্মাণাধীন সেতুগুলো এলজিইডির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন না নিয়ে সেতুগুলো নির্মাণ করতে গিয়ে ফেঁসে গেছে দপ্তরটি। এলজিইডি ও প্রশাসক বলছে, সেতুর উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে। আদালতের নির্দেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনটি প্রকল্পে ২০২১ সাল থেকে সদরের ভৈরব নদের ওপর দায়তলা সেতু, একই নদের ওপর রাজারহাট হামিদপুর সেতু ও ছাতিয়ানতলা সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। শার্শার বেতনা নদীর ওপর নাভারণ ঘোড়পাড়ায় দুটি ও মনিরামপুর উপজেলার শ্রী নদীর ওপর মনিরামপুর-নেহালপুর, মুক্তেস্বরী নদীর ওপরও দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আটটি সেতুর মোট ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করে ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন না নিয়ে কম উচ্চতায় সেতু নির্মাণ শুরু করায় বিভিন্ন সংগঠন স্মারকলিপি কর্মসূচি শুরু করে। এরপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করায় নদী রক্ষা আন্দোলনকারীরা সেতুগুলো নৌচলাচলের উপযোগী করে নির্মাণের আরজি জানিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ছয় মাসের মধ্যে যথাযথ শর্ত মেনে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপরও সাড়ে তিন বছর পার হলেও শুরু হয়নি কাজ। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে বাসিন্দারের। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি সদরের দায়তলা সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে। নদীর ওপর অস্থায়ী বাসের পাটাতন দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। নুর নাহার নামে এক নারী বলেন, ‘নদীর পূর্বদিকে ভগবতীতলা আর পশ্চিম পাশে ফতেপুর। ভগবতীতলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই সেতু।

সেতু না হওয়াতে কোনো যানবাহন যেতে পারে না। যানবাহনে চড়ে সেতুর সামনে নেমে বাসের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে ওপাশ থেকে গাড়িতে উঠতে হয়। কোনো রোগী অসুস্থ হলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। ১০ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। আমাদের এই ভোগান্তি দূর করার দাবি জানাচ্ছি।’

সূত্র জানায়, ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (ডব্লিউবিবিআইপি) আওতায় সেতুগুলোর ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে এখন পর্যন্ত গড় অগ্রগতি প্রায় সাড়ে ৭৮ শতাংশ। স্থানীয় নদ-নদী রক্ষা আন্দোলনের সংগঠকদের অভিযোগ, সেতুগুলোর উচ্চতা যথাযথ না হওয়ায় নৌচলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সার্ভে করে সেতুগুলোকে ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে।

ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের উপদেষ্টা তসলিমুর রহমান বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ জলপথে প্রথম শ্রেণির নৌপথের ক্ষেত্রে সেতুর উচ্চতা হবে কমপক্ষে ৬০ ফুট, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪০ ফুট, তৃতীয় শ্রেণিতে ২৫ ফুট এবং চতুর্থ শ্রেণিতে অন্তত ১৬ ফুট। কিন্তু যশোরের নির্মাণাধীন সেতুগুলো ৪ দশমিক ৫৯ ফুট থেকে ১১ দশমিক ৫০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার। কিন্তু তা না মেনেই নির্মাণ করা হচ্ছিল এসব সেতু। নদীকে মেরে ফেলে এসব কর্মকাণ্ড করায় আমরা জনস্বার্থে মামলা করেছি। মামলার পরে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে ছয় মাসের মধ্যে যথাযথ শর্ত মেনে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু এত দিনেও কাজ শুরু হয়নি। তাদের ভুলের জন্য আজ জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।’

এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সেতুগুলো নিয়ে উচ্চতা জটিলতা নিয়ে মামলা চলমান। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন ডিজাইন করে কাজ করবে দপ্তরটি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদিকে বলেছিলাম—‘র’ তোকে বাঁচতে দেবে না: বোন মাছুমা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
হাদিকে বলেছিলাম—‘র’ তোকে বাঁচতে দেবে না: বোন মাছুমা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’

হাদি ভারতবিরোধী লেখা লিখত, বাংলাদেশপন্থী লেখালেখি করত উল্লেখ করে মাছুমা বলেন, তার রক্তের প্রতিটি বিন্দুতে ছিল দেশপ্রেম। তার জীবনের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। তার জীবন দেশের জন্যই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ‘র’ আছে, আওয়ামী লীগ আছে—আবার এখন মির্জা আব্বাসের বিপরীতে ঢাকা-৮ আসনে দাঁড়িয়েছে—এখন তার শত্রুর অভাব নেই। এ দেশে জিয়াউর রহমানকেও বাঁচতে দেয়নি।

হাদির ভগ্নিপতি আমীর হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ওসমান হাদি এমন একজন মানুষ, যার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবটাই দেশপ্রেমে ভরা। রাস্তায়, শাহবাগ মোড়ে—যেখানেই থাকুক—স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একই কথা বলে। বাংলাদেশে এত সৎ মানুষ রাজনীতি করে না—এটা আমরা আগে থেকেই তাকে বলতাম। কিন্তু সে বলত, “না, কেউ না কেউকে তো শুরু করতেই হবে।” মূলত সে-ই সে শুরুটা করেছে।’

আমীর হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম, তার ওপর এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ সে ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। সে বাংলাদেশের প্রতিটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলত। তাই আমরা তাকে ব্যালেন্স করে চলতে বলতাম, কারণ ব্যালেন্স ছাড়া এ দেশে টিকে থাকা যায় না। কিন্তু সে বলত, “হ্যাঁ, আমি করব। হয়তো আমি একদিন থাকব না, কিন্তু আমার দেখাদেখি হাজারো-লাখো হাদির জন্ম হবে।’”

ঝালকাঠির নলছিটির বাড়িতে হাদির বোন ও ভগ্নিপতি বসবাস করেন। হাদির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ভগ্নিপতি আমীর জানান, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। হাদির মাকে এক সপ্তাহ আগে ঢাকায় হাদির বাসায় রেখে এসেছিলেন বলে তিনি জানান।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাদির বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ ও খাসমহল জামে মসজিদের ইমাম। মা তাসলিমা হাদি গৃহিণী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে হাদি পঞ্চম। হাদির স্ত্রী রাবেয়া ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে।

হাদির বাল্যবন্ধু ইসমাইল মুসাফির বলেন, ওসমান হাদি ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। শৈশব থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড—বিশেষ করে কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতায়—সে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। এ কারণে সে বারবার জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক পেয়েছে। তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না; ব্যক্তি হিসেবেই সে সব সময় রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যশোর কারাগারে সেই উদ্ভাবক মিজানের ‘আত্মহত্যা’

­যশোর প্রতিনিধি
যশোরের আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান। ছবি: সংগৃহীত
যশোরের আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজান। ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দী মিজানুর কারাগারের ভেতরে কার্পেট চালির (যেখানে কার্পেট তৈরি হয়) দরজা ভেঙে ঢোকেন। সেখানে তিনি গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।

মৃত মিজানুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে। তিনি চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আসেন। মিজান ওয়ার্কশপ মেকানিক থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আবিষ্কার করে এক দশক ধরে জেলায় পরিচিতি পান ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে।

জানতে চাইলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, তিনি (মিজান) মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন। কিন্তু কৌশলে তিনি কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান যশোরের শার্শার একজন মেকানিক। যিনি বহু উদ্ভাবনী যন্ত্র; যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যানবাহন তৈরি করেছেন। গত বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় মিজানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নবীনগরে দুর্বৃত্তের হামলায় যুবক গুলিবিদ্ধ

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৮
মো. রাব্বি। ছবি: সংগৃহীত
মো. রাব্বি। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার আদালত পাড়ার কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

আহত যুবকের নাম মো. রাব্বি (২১)। তিনি উপজেলা শাহবাজপুর গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে পৌর সদর মাঝিকারা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত চলছে, আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

মো. বিল্লাল হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ তিনটি গুলি শব্দ শোনা যায়। বের হয়ে দেখি এক যুবক পিস্তল হাতে দৌড়ে চলে যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ রাব্বিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।’

অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার জমিদার বাড়িসংলগ্ন বালুরচরের মাঠে মারামারির একটি ঘটনার সালিস চলছিল। সালিসে রাব্বির বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাড়ি ফেরার পথে কালীবাড়ি মোড়ে রাব্বিকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।  

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক অঙ্কন রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, আহত যুবকের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে একটা ছিদ্র দেখা যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুমিল্লা রেফার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড্ডায় চলন্ত বাসে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৫
বাড্ডায় চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
বাড্ডায় চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পাওয়ার পর বারিধারা ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিটকে পাঠানো হয় এবং তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।’

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলা বাসটি তখনো রাস্তায় চলন্ত অবস্থায় ছিল।

অগ্নিকাণ্ডের সময় বাসটিতে যাত্রী ছিল কি না—সে সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারেনি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত