ঢাবি সংবাদদাতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের তথাকথিত ‘আইওয়াশ’ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্তে নেই কোনো স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমান অগ্রগতি।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৯টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও শাহবাগ মোড় অবস্থান নেন ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা। এ সময় নেতারা স্পষ্টভাবে বলেন, কেবল লোকদেখানো গ্রেপ্তার নয়, চাই প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি। অন্যথায় আন্দোলন জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং প্রয়োজনে ‘যমুনা ঘেরাও’ কর্মসূচিতে যাওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
শাহবাগ মোড় অবরোধকারী ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়—‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘কে বলে রে জিয়া নাই, জিয়া আছে বাংলায়’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস জাস্টিস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’।

ছাত্রদল নেতারা জানান, পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। পাশাপাশি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনেও অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিদের, যারা অপরাধস্থলে উপস্থিত ছিল—তাদের গ্রেপ্তার হতে দেখিনি। আমাদের আশ্বস্ত করার মতো কোনো অগ্রগতি দেখানো হয়নি। ৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো ফলাফল নেই। প্রশাসন বলেছে, সেদিন সিসিটিভি ক্যামেরা নাকি অকেজো ছিল। এ থেকেই বোঝা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা রাজনীতিকরণ করছি না, আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে এসেছি। ইন্টেরিম সরকারও বিমাতাসুলভ আচরণ করছে এবং তারা কেবল চেয়ার উপভোগ করছে। তাদের বক্তব্য ও অবস্থানে আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বিনষ্ট হতে দেখছি।’
রাকিব আরও বলেন, ‘সাম্যের জানাজায় অংশ নেওয়ার সময় শিবিরের কোনো কর্মসূচি চোখে পড়েনি, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাদের কোনো অবস্থান নেই। তারা মোহাম্মদপুর আর্টস কলেজ ইস্যু নিয়েও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা বারবার প্রমাণ করেছে, তারা মুনাফেক এবং তারা বলে তাদের দিয়ে নাকি ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে। এ কারণেই তারা ১৯৭১ সাল থেকে বারবার পরাজিত শক্তির পক্ষ নিয়েছে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম ভূঁইয়া ইমন বলেন, ‘সাম্য ফ্যাসিস্টদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিল। তার হত্যাকাণ্ডের পর আজও প্রশাসন প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানাব এবং ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতেও আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ঐক্য অটুট রাখতে উপাচার্য যে ব্যর্থ হয়েছেন, তা সাম্যের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা, তোফাজ্জল হত্যা, শেখ হাসিনার মোটিভ পোড়ানো, শহীদ মিনারের সামনে গণিত বিভাগে লাশ পাওয়া—এসব ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই আজ সাম্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।’
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রশাসনকে আরও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী শেখ বলেন, ‘আইওয়াশ করার জন্যই ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা প্রেস ব্রিফিং আমরা দেখিনি। আমরা জানি না, আসলে হত্যার পেছনে কারা ছিল। যদি এ হত্যাকাণ্ডের যৌক্তিক ও স্বচ্ছ ফলাফল না আসে, তাহলে আমরা জাতীয় পর্যায়ে আন্দোলনে যাব। প্রয়োজনে আমরা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব।’
শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হলেও পাশের কিছু সড়ক খোলা থাকায় সেসব পথে রিকশাসহ কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীবাহী যানবাহনের চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের তথাকথিত ‘আইওয়াশ’ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্তে নেই কোনো স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমান অগ্রগতি।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৯টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও শাহবাগ মোড় অবস্থান নেন ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা। এ সময় নেতারা স্পষ্টভাবে বলেন, কেবল লোকদেখানো গ্রেপ্তার নয়, চাই প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি। অন্যথায় আন্দোলন জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং প্রয়োজনে ‘যমুনা ঘেরাও’ কর্মসূচিতে যাওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
শাহবাগ মোড় অবরোধকারী ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়—‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘কে বলে রে জিয়া নাই, জিয়া আছে বাংলায়’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস জাস্টিস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’।

ছাত্রদল নেতারা জানান, পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। পাশাপাশি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনেও অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিদের, যারা অপরাধস্থলে উপস্থিত ছিল—তাদের গ্রেপ্তার হতে দেখিনি। আমাদের আশ্বস্ত করার মতো কোনো অগ্রগতি দেখানো হয়নি। ৯ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো ফলাফল নেই। প্রশাসন বলেছে, সেদিন সিসিটিভি ক্যামেরা নাকি অকেজো ছিল। এ থেকেই বোঝা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা রাজনীতিকরণ করছি না, আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে এসেছি। ইন্টেরিম সরকারও বিমাতাসুলভ আচরণ করছে এবং তারা কেবল চেয়ার উপভোগ করছে। তাদের বক্তব্য ও অবস্থানে আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বিনষ্ট হতে দেখছি।’
রাকিব আরও বলেন, ‘সাম্যের জানাজায় অংশ নেওয়ার সময় শিবিরের কোনো কর্মসূচি চোখে পড়েনি, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাদের কোনো অবস্থান নেই। তারা মোহাম্মদপুর আর্টস কলেজ ইস্যু নিয়েও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা বারবার প্রমাণ করেছে, তারা মুনাফেক এবং তারা বলে তাদের দিয়ে নাকি ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে। এ কারণেই তারা ১৯৭১ সাল থেকে বারবার পরাজিত শক্তির পক্ষ নিয়েছে।’

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর আলম ভূঁইয়া ইমন বলেন, ‘সাম্য ফ্যাসিস্টদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিল। তার হত্যাকাণ্ডের পর আজও প্রশাসন প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানাব এবং ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতেও আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘ছাত্র-জনতার ঐক্য অটুট রাখতে উপাচার্য যে ব্যর্থ হয়েছেন, তা সাম্যের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে। প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো একত্রে সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা, তোফাজ্জল হত্যা, শেখ হাসিনার মোটিভ পোড়ানো, শহীদ মিনারের সামনে গণিত বিভাগে লাশ পাওয়া—এসব ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই আজ সাম্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।’
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রশাসনকে আরও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানান।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী শেখ বলেন, ‘আইওয়াশ করার জন্যই ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা প্রেস ব্রিফিং আমরা দেখিনি। আমরা জানি না, আসলে হত্যার পেছনে কারা ছিল। যদি এ হত্যাকাণ্ডের যৌক্তিক ও স্বচ্ছ ফলাফল না আসে, তাহলে আমরা জাতীয় পর্যায়ে আন্দোলনে যাব। প্রয়োজনে আমরা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব।’
শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হলেও পাশের কিছু সড়ক খোলা থাকায় সেসব পথে রিকশাসহ কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। অ্যাম্বুলেন্স ও রোগীবাহী যানবাহনের চলাচলে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন।
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে সাত ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের
৮ মিনিট আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
২৬ মিনিট আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে
৩৭ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করে।
বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে প্রতি মাসে একদিন ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হবে। নিজেদের ক্যাম্পাস, নিজেদের কর্মস্থলকে নিজেরাই পরিষ্কার রাখি—এই অঙ্গীকার থেকে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’
এরপর বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে সবাই পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কারকাজে হাত লাগান। এ সময় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, হল প্রভোস্ট ড. মো. শাহজাহান আলী, ড. জিন্নাত রেহানা, লায়লা আরজুমান্দ বানু, শিক্ষক একরামুল হকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া রোভার স্কাউট ও গ্রিন ভয়েসের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সবাই কর্মসূচি চলে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করে।
বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে প্রতি মাসে একদিন ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হবে। নিজেদের ক্যাম্পাস, নিজেদের কর্মস্থলকে নিজেরাই পরিষ্কার রাখি—এই অঙ্গীকার থেকে সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই।’
এরপর বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে সবাই পুরো ক্যাম্পাস পরিষ্কারকাজে হাত লাগান। এ সময় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, হল প্রভোস্ট ড. মো. শাহজাহান আলী, ড. জিন্নাত রেহানা, লায়লা আরজুমান্দ বানু, শিক্ষক একরামুল হকসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া রোভার স্কাউট ও গ্রিন ভয়েসের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সবাই কর্মসূচি চলে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের তথাকথিত আইওয়াশ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্তে নেই কোনো স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমান অগ্রগতি।
২২ মে ২০২৫
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে সাত ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের
৮ মিনিট আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
২৬ মিনিট আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে
৩৭ মিনিট আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে সাত ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে দুপুর থেকে উপাচার্য (ভিসি), সহ-উপাচার্যসহ (প্রোভিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ রয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন চবি শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানায় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংগঠন। রাত ৮টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দেখা যায়। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটকে স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদলের কর্মীরা অবস্থান নেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
গতকাল রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটা রীতিমতো অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক শামীম খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।

অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গতকাল রাতে বিক্ষোভ-মিছিল করে শাখা ছাত্রদল। এর ধারাবাহিকতায় আজ তাঁর পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়।
পাল্টাপাল্টি অবস্থান, থমথমে পরিস্থিতি
দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার চার ঘণ্টা পর বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) প্রতিনিধিরা। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ইব্রাহিম রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের একটি বক্তব্যকে ঘিরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন শুনে চাকসুর প্রতিনিধিদের জানিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করা কোনো ছাত্রসংগঠনের কাজ হতে পারে না।’
পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে এসে বিক্ষোভ-মিছিল করেন শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি বাক্যবিনিময় হলে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উভয় পাশে এসে জড়ে হয়ে বিক্ষোভ করেন।
চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায়, জামায়াতের টাকায় নয়। গতকাল (রোববার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সহ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খান স্যার পাকিস্তানিদের যোদ্ধা বলেছেন। অথচ এই পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের জনগণকে হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তাঁর ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ ছাড়া আমরা তালা খুলব না।’
চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘ছাত্রদল পুরোনো সংস্কৃতিতে ফিরছে। তারা চবি প্রশাসনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করছে। ছাত্রদলের এরূপ ঘৃণ্য কাজকে আমরা মন থেকে ঘৃণা করি। তারা যদি এই সংস্কৃতি থেকে ফিরে না আসে, ছাত্রশিবির তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।’
প্রধান ফটকে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ছাত্রদল প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরাও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে শিবিরের অবস্থানের কথা জানতে পেরে আমরা এখানে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এখনই চলে যাচ্ছি।’

সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল প্রশাসন
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বক্তব্য দেওয়ার সময় সহ-উপাচার্য অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন; যা ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহ-উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে মুজিবনগর সরকারের ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ গ্রন্থ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের একটি সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এখনো হয়নি।’ এ ছাড়া ১৯৭২ সালে নিখোঁজ চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জহির রায়হান শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেলে এ বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য সামনে আসতে পারত।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় পূর্ণ আস্থাশীল। তবে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে জনমনে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সহ-উপাচার্যের বক্তব্যটির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়, তবে তিনি সাড়া দেননি।
জানতে চাইলে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে সাত ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এতে দুপুর থেকে উপাচার্য (ভিসি), সহ-উপাচার্যসহ (প্রোভিসি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ রয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন চবি শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে সংহতি জানায় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংগঠন। রাত ৮টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে দেখা যায়। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে প্রধান ফটকে স্থানীয় বিএনপি-ছাত্রদলের কর্মীরা অবস্থান নেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
গতকাল রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় চবির সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান তাঁর বক্তব্যে ‘পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটা রীতিমতো অবান্তর’ বলে মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক শামীম খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’ এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।

অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের এই বক্তব্যের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গতকাল রাতে বিক্ষোভ-মিছিল করে শাখা ছাত্রদল। এর ধারাবাহিকতায় আজ তাঁর পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়।
পাল্টাপাল্টি অবস্থান, থমথমে পরিস্থিতি
দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার চার ঘণ্টা পর বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) প্রতিনিধিরা। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ইব্রাহিম রনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের একটি বক্তব্যকে ঘিরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হয়েছেন শুনে চাকসুর প্রতিনিধিদের জানিয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করা কোনো ছাত্রসংগঠনের কাজ হতে পারে না।’
পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পাশে এসে বিক্ষোভ-মিছিল করেন শাখা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি বাক্যবিনিময় হলে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। শিবিরের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উভয় পাশে এসে জড়ে হয়ে বিক্ষোভ করেন।
চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় চলে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায়, জামায়াতের টাকায় নয়। গতকাল (রোববার) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সহ-উপাচার্য শামীম উদ্দিন খান স্যার পাকিস্তানিদের যোদ্ধা বলেছেন। অথচ এই পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের জনগণকে হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। তাঁর ওই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ ছাড়া আমরা তালা খুলব না।’
চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ‘ছাত্রদল পুরোনো সংস্কৃতিতে ফিরছে। তারা চবি প্রশাসনকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করছে। ছাত্রদলের এরূপ ঘৃণ্য কাজকে আমরা মন থেকে ঘৃণা করি। তারা যদি এই সংস্কৃতি থেকে ফিরে না আসে, ছাত্রশিবির তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।’
প্রধান ফটকে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার ছাত্রদল প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরাও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে শিবিরের অবস্থানের কথা জানতে পেরে আমরা এখানে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এখনই চলে যাচ্ছি।’

সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিল প্রশাসন
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে সহ-উপাচার্যের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বক্তব্য দেওয়ার সময় সহ-উপাচার্য অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘পাকিস্তানি বাহিনী’র পরিবর্তে ‘পাকিস্তানি যোদ্ধা’ এবং ‘বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলতে গিয়ে ‘অবান্তর’ শব্দ ব্যবহার করেন; যা ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সহ-উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে মুজিবনগর সরকারের ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কাদিরের লেখা ‘দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীন’ গ্রন্থ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীরের একটি সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এখনো হয়নি।’ এ ছাড়া ১৯৭২ সালে নিখোঁজ চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘জহির রায়হান শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁকে খুঁজে পাওয়া গেলে এ বিষয়ে অনেক অজানা তথ্য সামনে আসতে পারত।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় পূর্ণ আস্থাশীল। তবে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে জনমনে যেন বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সহ-উপাচার্যের বক্তব্যটির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়, তবে তিনি সাড়া দেননি।
জানতে চাইলে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে আছি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের তথাকথিত আইওয়াশ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্তে নেই কোনো স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমান অগ্রগতি।
২২ মে ২০২৫
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন।
৩ মিনিট আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
২৬ মিনিট আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে
৩৭ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
গতকাল রোববার (বাদ জোহর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্প্রতি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত সব নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনায়ও প্রার্থনা করা হয়।
দিনব্যাপী কোরআন খতমের পর আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে এতিম শিশুরা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরকালীন মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করে।
দোয়া মাহফিল শেষে এতিম শিশুদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ও প্রযোজক রাসেল আজম, ইমাম হোসেন ইমন, মাহমুদ হাসান রানা, মুনিরুজ্জামান লিপন, সোহেল হাসান, মোহন আহমেদ, মাইদুল রাকিবসহ বিভিন্ন নির্মাতা ও প্রযোজকেরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে আজ সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
গতকাল রোববার (বাদ জোহর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সম্প্রতি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত সব নেতা-কর্মীর সুস্থতা কামনায়ও প্রার্থনা করা হয়।
দিনব্যাপী কোরআন খতমের পর আয়োজিত এই দোয়া মাহফিলে এতিম শিশুরা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরকালীন মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করে।
দোয়া মাহফিল শেষে এতিম শিশুদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় আয়োজকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা ও প্রযোজক রাসেল আজম, ইমাম হোসেন ইমন, মাহমুদ হাসান রানা, মুনিরুজ্জামান লিপন, সোহেল হাসান, মোহন আহমেদ, মাইদুল রাকিবসহ বিভিন্ন নির্মাতা ও প্রযোজকেরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে আজ সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের তথাকথিত আইওয়াশ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্তে নেই কোনো স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমান অগ্রগতি।
২২ মে ২০২৫
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন।
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে সাত ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের
৮ মিনিট আগে
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে
৩৭ মিনিট আগেসম্পাদক পরিষদের নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের এই সংগঠন বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁকে সেখানে আটকে রেখে পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়। এ ধরনের চর্চা তারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও দেখেছে। সেই সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার ছিল নিয়মিত ঘটনা। বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃখজনক বাস্তবতারই পুনরাবৃত্তি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিষদ স্পষ্টভাবে বলতে চায়—কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তা অবশ্যই প্রচলিত আইন ও ন্যায়বিচারসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ ছাড়া ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া, সেখানে আটকে রাখা কিংবা পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ আরও বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা করা হয়েছে এবং অনেকে এখনো কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়ে এর আগেও সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতিই মনে করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সব ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় আজ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জানা যায়, ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গতকাল রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ। বিবৃতিতে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের এই সংগঠন বলেছে, এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁকে সেখানে আটকে রেখে পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় এবং গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের স্মৃতি উসকে দেয়। এ ধরনের চর্চা তারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও দেখেছে। সেই সময় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও নির্বিচার গ্রেপ্তার ছিল নিয়মিত ঘটনা। বর্তমান ঘটনাটি সেই দুঃখজনক বাস্তবতারই পুনরাবৃত্তি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিষদ স্পষ্টভাবে বলতে চায়—কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তা অবশ্যই প্রচলিত আইন ও ন্যায়বিচারসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ ছাড়া ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া, সেখানে আটকে রাখা কিংবা পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদ আরও বলেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বহু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা করা হয়েছে এবং অনেকে এখনো কারাগারে রয়েছেন। এ বিষয়ে এর আগেও সম্পাদক পরিষদ তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা এসব মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। এ ধরনের আচরণ অতীতের স্বৈরাচারী শাসনামলের সাংবাদিক নিপীড়নের স্মৃতিই মনে করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পাদক পরিষদ এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সব ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল তুলে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় আজ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জানা যায়, ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ গতকাল রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করেন। মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় প্রশাসনের তথাকথিত আইওয়াশ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, হত্যার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তদন্তে নেই কোনো স্বচ্ছতা বা দৃশ্যমান অগ্রগতি।
২২ মে ২০২৫
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উপ-উপাচার্য ড. মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠন ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশগ্রহণ করেন।
৩ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান ফটকে সাত ঘণ্টা ধরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শাখা শিবিরের নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের
৮ মিনিট আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেছে এতিম শিশুরা।
২৬ মিনিট আগে