Ajker Patrika

‘ভাইয়ের মুখ চেনা যায় না, পুইড়া ছাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৩, ০১: ২১
‘ভাইয়ের মুখ চেনা যায় না, পুইড়া ছাই’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সাত নম্বর কক্ষ। এখানেই সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে নিহতদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে। মেডিকেল স্টাফদের দম ফেলার ফুরসত নেই! ঝড়ের বেগে কলম চলছে। 

এদিকে নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে এই কক্ষের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। স্বজন হারানো মানুষের শুধু বিলাপ কানে আসছে। তাঁরা কী বলছেন বিলাপের বিষাদে সেটি তলিয়ে যাচ্ছে!

এমন এক পরিবেশে নিবন্ধন ডেস্কের পাশে দাঁড়িয়ে নিবন্ধন বইয়ের দিকে অপলক চেয়ে আছেন তাজুল ইসলাম ভূইয়া (৫৩)। ছলছল চোখ, গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া কান্নার জলের শুকনো দাগ স্পষ্ট। হঠাৎ ফোন বেজে উঠল, রিসিভ করেই অপর প্রান্ত থেকে ধরা গলায় কেউ বলছেন, 'ভাইয়েরে তো চেনা যায় না। মুখ পুইড়া ছাই। একটা দাড়িও নাই!'

পঞ্চাশোর্ধ্ব তাজুল এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। দরদর করে গাল বেয়ে পানি পড়তে লাগল তাঁর। নিঃশব্দে অঝোরে কেঁদে চললেন। ওপাশ থেকে হয়তো কিছু জানতে চাওয়া হলো। জবাবে তাজুল কান্নারুদ্ধ কণ্ঠে বললেন, 'এখন এন্ট্রি করা হইলো। লাশ কখন নিতে পারমু জানি না।'

ফোনে কথা শেষ হওয়ার পরই সন্তর্পণে কাছে গিয়ে কিছু কথা জানতে চাই তাজুল ইসলামের কাছে। জানা গেল, বিস্ফোরণ যেখানে ঘটেছে তার পাশের ভবনেই ইউসুফ স্যানিটারি। তাঁর বড় ভাই নূরুল ইসলাম ভূইয়া এই দোকানের মালিক। প্রতিদিনের মতো আজও নুরুল এসেছিলেন দোকানে। এখন হাসপাতালে মর্গে তাঁর নিথর দেহ। স্বজনেরা মরদেহ বুঝে পাওয়ার জন্য বুকে পাথর চেপে অপেক্ষা করছেন।

দশ দিন আগেই কাতার থেকে দেশে ফিরেছেন বংশাল সুরিটোলার সুমন (২১)। শবে বরাতে রোজা রেখেছেন বাবা-মা। তাঁদের জন্য ইফতার কিনতে বেরিয়েছিলেন বিকেলে। ফেরা আর হয়নি। রাত সাড়ে ৯টায় কাতার ফেরত এই যুবক ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের স্ট্রেচারে নিথর পড়ে আছেন। স্বজনেরা হতবিহ্বল, বাকরুদ্ধ। 

শুধু নিবন্ধন কাজে থাকা কর্মীদের স্বজনেরা বারবার অনুরোধ করছিলেন, দ্রুত মরদেহ হস্তান্তরের জন্য। সুমন সম্পর্কে এসব তথ্য জানা গেল স্বজনদের আহাজারি আর বিলাপ থেকে। একপর্যায়ে সুমনের মরদেহ প্রায় জোর করেই নিয়ে গেছেন স্বজনেরা।

ছোট্ট নিবন্ধন কক্ষের বাইরে 'কুইক রেসপন্স টিমের' কক্ষ। সেখানে একটি চেয়ারে নির্বাক বসে পঞ্চাশোর্ধ্ব শীর্ণদেহি হাসেম মিয়া। তাঁর ছেলে হৃদয় মিয়ার (২০) মরদেহ নিতে এসেছেন।

কেউ সন্তান, কেউ স্বামী আর কেউ ভাই হারিয়ে লাশের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। ছবি: আজকের পত্রিকাগুলিস্তানের ফুটপাতে পান, সিগারেট বিক্রি করেন হাসেম। ছেলে এক মাস আগেও দুর্ঘটনা কবলিত ভবনের একটি দোকানে কাজ করতেন। পুরো একমাস বেকার। তাই ছেলেকে বিকেলে ফোন করে তাঁর দোকানে সহায়তার জন্য আসতে বলেছিলেন। বাবার কথায় গুলিস্তানে আসার পথে বিস্ফোরণের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারান হৃদয়। 

এ জন্যই হয়তো হাসেম মিয়ার ছেলে হারানোর কষ্ট, সেই সঙ্গে অপরাধবোধ তাঁর শীর্ণ বুকে হিমালয় সমান ভার হয়ে আছে। হাসেম মিয়ার সঙ্গে কথা বলা গেল না। কথা হলো হৃদয়ের খালু জয়নাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, 'হৃদয়ের মুখের এক পাশ পুইড়া গেছে। দেখলে ডর লাগে। পুইরা যাওয়া মুখ দেখলে চেনার উপায় নাই।'

তাহলে মরদেহ শনাক্ত করলেন কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নাল মিয়া বলেন, মুখের অন্য পাশে ঠিক আছে। তার থোতনায় (থুতনিতে) অল্প দাড়ি, পায়ের দাগ আর উজ্জ্বল গায়ের রঙ দেইখা চিনছি।'

জরুরি বিভাগের বাইরে স্ট্রেচারে গুরুতর আহত জামাল শিকদারকে (৩৫) নিয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছেন মুন্নি বেগম। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। হঠাৎ দিনমজুর স্বামীর এমন অবস্থা দেখে মুষড়ে পড়েছেন। অন্যের বাড়িতে সাহায্যকারীর কাজ করেন মুন্নি বেগম। জামালের মাথা ও পায়ে ভয়ানক জখম। সেখানে ব্যান্ডেজ জড়ানো।

সাদা ব্যান্ডেজ রক্তে ভিজে গেছে। মাথার সিটি স্ক্যান ও পায়ের এক্সরে করা হয়েছে। এখন দরকার উন্নত চিকিৎসা। সেই টাকা কীভাবে জোগার হবে ভেবে কূল পাচ্ছেন না মুন্নি বেগম। আকাশ পাতাল ভেবে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বামীকে নিয়ে মাদারীপুরে গ্রামের বাড়ি চলে যাবেন। তবে সেই টাকাও নেই তাঁর হাতে! কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী যুবক অবশ্য অর্থের ব্যবস্থা করে দিতে চেষ্টা করছিলেন তখন। 

জামাল বিস্ফোরণ স্থলের ভবনটির আনিকা গ্যালারি নামে একটি সিরামিক পণ্যের দোকানে লোডারের কাজ করেন।

এদিকে ঢাকার জেলা  প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক সহায়তা, চিকিৎসা সহায়তা, খাদ্য সহায়তা থেকে শুরু করে স্বজনদেরও সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। এরই মধ্যে ঢামেক জরুরি বিভাগের সামনে একটি বুথ খুলেছে জেলা প্রশাসন।

সেই বুথে বসে মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, এখান থেকে নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার, গুরুতর আহতদের ২৫ হাজার, সামান্য আহতদের ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

বিস্ফোরণে নিহত ১৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মরদেহ স্বজনেরা প্রায় জোর করে নিয়ে গেছেন। রাত ১১টা ৪০ পর্যন্ত আহতদের নিয়ে একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেখা গেছে।

আরও খবর পড়ুন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি রোডে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। তাঁর নাম-পরিচয় জানাতে না পারলেও পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৭০ বছর।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রামপুরার ডিআইটি রোড বেটারলাইফ হাসপাতালের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান পথচারীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে মারা যান তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সফিকুল ইসলাম খান। তিনি জানান, মৃত ব্যক্তির নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। অটোরিকশাটিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে বাঁশবাগানে পড়ে ছিল কলেজছাত্রের লাশ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৩৪
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সিয়াম হোসেন (১৭) নামের এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি বাঁশবাগানে তার লাশ পাওয়া যায়।

সিয়াম দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ি এলাকার বাসিন্দা। সে গোয়ালগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম সিপুল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মধুগাড়ি এলাকার শেহালা উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাঁশবাগানে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পরে দৌলতপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

মৃত শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সিয়াম। পরে আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী মিলে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, সকালে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল সোমবার ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসন হিসেবে পরিচিত এই আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মোট ১৬ জন এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই আসনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে, সে আভাসই মিলেছে।

এদিন ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা ও হাতপাখা প্রতীকে একজন করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে যুক্ত হন।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুকের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সুলতান আহমেদ খানও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিন ঢাকা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী নেতা ও সমর্থকের উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপির তিনজন বড় নেতা ও তিনজন সমর্থক রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও অবিভক্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নাজিমউদ্দীন মাস্টার, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেত আলী বাবু। তাঁদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল কবির পল অনেক দিন ধরে ঢাকা-৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেই মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়েও এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাজ্জাত হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লার মা পারুল মোল্লাসহ আরও কয়েকজন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশের দাবি, কৌশলগত কারণেই এসব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনী মাঠে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সাজ্জাদ আল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী বাচ্চু ভূঁইয়া, গণফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন, মো. ফারুক, মো. সাজ্জাদ ও মো. শোয়েব মাহমুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঢাকা-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ শুরুতেই জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের পাশাপাশি বিএনপির ভেতরের এই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্য এবারের নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এভারকেয়ারের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবিসহ আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন এক পলক দেখতে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে শতশত মানুষ ভিড় জমতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁদের নেত্রীকে একপলক দেখার জন্য এসেছেন, কেউ কেউ ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন।

ঢাকায় থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই ইতিমধ্যে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত